নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।
উপজেলা নির্বাচনকে ঘিরে বিএনপি ও জামায়াতের তৃণমূলে বিরোধ বেড়েছে। তৃতীয় দফায় পরাজয়ের জন্য প্রকাশ্যেই পরস্পরকে দায়ী করছে বিএনপি-জামায়াত। ফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বিএনপি-জামায়াতের বিরোধেই তৃতীয় দফায় ভালো করেছে আওয়ামী লীগ। আগামীতে দু'দফা নির্বাচন রয়েছে। সেখানেও বিএনপি-জামায়াত বিরোধ কমবে না। ফলে চতুর্থ ও পঞ্চম দফায়ও আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীরা ভালো করতে পারেন বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।তৃণমূলে বিএনপি-জামায়াত বিরোধ বাড়ছে
তিন দফায় সমাপ্ত ২৯৪ উপজেলার ৮৩টিতে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী দেয় জামায়াত। ৭৫টিতে মুখোমুখি লড়াইয়ে ছিল বিএনপি-জামায়াত। এর মধ্যে ১৯টিতে জামায়াত, ১৭টিতে বিএনপি এবং ৩৯টিতে জয়ী হয়েছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের জয়ী হওয়া ৩৯ উপজেলার ১৮টিতে জামায়াত এবং ২১টিতে বিএনপি দ্বিতীয় হয়। জামায়াতের অভিযোগ, বিএনপির ছাড় না দেওয়ার মানসিকতার কারণেই ১৮ উপজেলায় পরাজিত হয়েছে তারা। বিএনপির অভিযোগ, জামায়াতের স্বার্থপরতায় ২১ উপজেলায় পরাজয় হয়েছে।
তিন পর্বে বিএনপির চেয়ারম্যান পদে জয়ের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২৬। আওয়ামী লীগের ১২১ এবং জামায়াতের ২৭। তৃতীয় দফায় পরাজয়ের পরও বিএনপি-জামায়াতের বিরোধ কমেনি। বরং দ্বন্দ্ব ও বিরোধ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২৩ ও ৩১ মার্চ ১৬৭ উপজেলায় নির্বাচন হবে। এর মধ্যে একটিতেও জামায়াতকে ছাড় দেয়নি বিএনপি। বিএনপির আচরণে ক্ষুব্ধ জামায়াত জয়ের সম্ভাবনা ক্ষীণ এমন উপজেলায়ও প্রার্থী দিয়েছে। ১৬৭ উপজেলার ৪৪টিতে চেয়ারম্যান প্রার্থী আছে জামায়াতের। সবক'টিতে বিএনপির সঙ্গে মুখোমুখি লড়াইয়ে তারা। বিএনপি-জামায়াতের বিরোধে তৃতীয় দফার মতো পরের দুই দফায়ও আবারও লাভবান হতে পারেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীরা।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন, বিএনপি-জামায়াতের বিরোধে নয়, ভালো প্রস্তুতির কারণেই জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ। তিনি সমকালকে বলেন, 'প্রথম দুই দফায় আমাদের প্রার্থী সমন্বয়ে কিছুটা ঘাটতি ছিল। তৃতীয় দফায় তা কাটিয়ে উঠতে পারায় ভালো হয়েছে।' পরের দফায় আরও ভালো ফল হবে বলে আশা করেন তিনি। বিএনপি-জামায়াতের বিরোধে কিছুটা হলেও সুবিধা হয়েছে বলে স্বীকার করেন এ নেতা।বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জে. মাহবুবুর রহমান সমকালকে বলেন, জামায়াত একটি আলাদা দল। তারা আলাদা প্রার্থী দিয়েছে। তবে সমন্বয় হলে বিএনপি-জামায়াত উভয়ের জন্য ভালো হতো। ২৫ ফেব্রুয়ারি ১৯ দলের সভায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া নির্দেশ দেন, যে উপজেলায় যার অবস্থান সেই দল সেখানে প্রার্থী দেবে। জামায়াত তখন এ সিদ্ধান্ত মেনে নিলেও প্রার্থী সমর্থনে তা মানেনি তৃণমূল। একই অবস্থা বিএনপিতেও। দলীয়ভাবে জামায়াতকে ছাড় দিলেও অনেক উপজেলায় স্থানীয় নেতারা সেখানে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন।জামায়াতের স্বার্থপর আচরণকে দায়ী করেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ। তার অভিযোগ, জামায়াতের কারণেই ফরিদপুরে পরাজয় হয়েছে বিএনপির। তিনি নির্বাচনের পর দিন সমকালকে বলেন, জামায়াত স্বার্থপর দল। নিজের স্বার্থের বাইরে কিছু চিন্তা করতে পারে না। জামায়াতকে জোট থেকে বের করে দিতে ম্যাডামকে (খালেদা জিয়া) বলব।
তবে জামায়াতের দাবি, বিএনপির কারণেই পরাজয় হয়েছে। শিবিরের প্রচার সম্পাদক আ স ম ইয়াহিয়া সমকালকে বলেন, জোট রক্ষার দায়িত্ব শুধু জামায়াতের একার নয়। বিএনপিকেও একই আন্তরিকতা দেখাতে হবে। তিনি অভিযোগ করেন, বিএনপির কারণেই অনেক উপজেলায় জামায়াতের পরাজয় হয়েছে। সুত্র
©somewhere in net ltd.