নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।
দেশের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বাংলাদেশের সিরামিক পণ্যসামগ্রী আমেরিকা, কানাডা, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, ইতালী, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, নরওয়ে, গ্রীস, আয়ারল্যান্ড, নেদারল্যান্ড, স্পেন, অষ্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, অষ্ট্রেলিয়া, জাপান, নিউজিল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, কুয়েত, মিশর, লিবিয়া, তুরস্ক, জর্দান, ইরান, কাতার, ওম্যান, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ভারত, মালদ্বীপ, তাইওয়ান, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, ব্রুনাই, মায়ানমার, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, আর্জেন্টিনাসহ অর্ধশতাধিক দেশে রপ্তানি হচ্ছে। দৈনন্দিন কাজে ব্যবহৃত সিরামিকের তৈজসপত্র, টাইলসসহ সেনিটারির যেকোনো পণ্য উৎপাদনে বিপ্লব ঘটিয়েছে বাংলাদেশের সিরামিক কোম্পানিগুলো।
পেছনে ফিরে দেখা: স্বাধীনতা-পরবর্তীকালে বিদেশ থেকে সিরামিক পণ্য আমদানি করে দেশের চাহিদা মেটানো হতো। তখন চীন, ইতালিসহ বিভিন্ন দেশ থেকেই এসব পণ্য আসত। পরে আশির দশকে দেশের উদ্যোক্তারা সিরামিক পণ্য উৎপাদনে এগিয়ে আসেন। ২০০০ সালের দিকে এ খাতে মোটামুটি বিপ্লব ঘটে যায়। উন্নতমানের সিরামিক পণ্য উৎপাদন করে মুন্নু, শাইনপুকুর, পিপলস, আরএকে, সিবিসি, ফার, স্ট্যান্ডার্ড, বেঙ্গল ফাইন সিরামিকসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যেই ব্র্যান্ড হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।
বাংলাদেশ সিরামিক পণ্য প্রস্তুতকারী সমিতি (বিসিডব্লিউএমএ) সূত্র জানিয়েছে, সিরামিক শিল্পে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ প্রায় সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা। সারা দেশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা ৪৭টি প্রতিষ্ঠান তৈজসপত্র, টাইলস ও সেনেটারি পণ্যসামগ্রী উৎপাদন করছে। এ খাতের স্থানীয় বাজারের পরিমাণ প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা।
জানা গেছে, সিরামিক শিল্পের কাঁচামাল আমদানি নির্ভর। তবে টাইলসের জন্য মাটি ও সিলিকা বালু যথাক্রমে ময়মনসিংহ ও সিলেট থেকে পাওয়া যায়। তৈজসপত্র উৎপাদনের জন্য প্রয়োজন হয় বিশেষ মাটি, যা আনতে হয় ভারত ও চীন থেকে।
ভালো উপহার সামগ্রী: বিয়ে, জন্মদিন, বিয়ে বার্ষিকী ও বিভিন্ন দিবসে উপহার হিসেবে তৈজসপত্রের জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। সাধ ও সাধ্যের মধ্যে প্রয়োজনীয় জিনিস হিসেবে উপহারের তালিকায় রয়েছে শীর্ষে। বর্তমানে বাজারে সিরামিক পণ্যগুলো বেশ টেকসই ও গুণগত মানে উন্নত।
শুধু উপহার নয়, নিজের ঘরের অতি প্রয়োজনীয় অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে ক্রোকারিজ পণ্য। কোয়ালিটি এবং ডিজাইন অনুসারে দামের তারতম্য হয়। এ ছাড়া প্রতি সেটে পিসের সংখ্যা যত বাড়বে তার দামও তত বাড়বে।
কোথায় পাবেন: মুন্নু সিরামিক, বেঙ্গল, প্যারাগন, কিয়াম, শাইনপুকুরের নিজস্ব বিক্রয় কেন্দ্র ছাড়াও এলিফ্যান্ট রোড, ফার্মগেট, পল্টন, গুলশান, নিউমার্কেট আর চন্দ্রিমা সুপার মার্কেটের দোকানগুলোতে পাওয়া যাবে। বর্তমানে দেশের প্রায় প্রতিটি জেলায় শপিং সেন্টার গড়ে উঠেছে। যেখানে নামি দামি সব ব্র্যান্ডের ক্রোকারেজ শপের শোরুম আছে। আপনি চাইলে সেখান থেকেও পছন্দের ক্রোকারিজ সংগ্রহ করতে পারেন।
২০১৩-১৪ অর্থবছরের বাজেটে উদ্যোক্তাদের দাবী: সিরামিক শিল্পের উপর বিভিন্ন স্তরে আরোপিত শুল্কহার কমানোর দাবী জানিয়েছেন বাংলাদেশ সিরামিক ওয়ারনারস ম্যানুফ্যাকচারাস অ্যাসোসিয়েশন (বিসিডব্লিউএমএ)। আসন্ন ২০১৩-১৪ অর্থবছরের বাজেটের জন্য ইতিমধ্যে সংগঠনের পক্ষ থেকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাছে দাবী জানানো হয়েছে।
সংগঠনের পক্ষ থেকে সিরামিক শিল্পের মৌলিক কাঁচামাল আমদানীর ক্ষেত্রে শুল্কহার ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। একই সঙ্গে অপরিহার্য কাঁচামাল আমদানীর ক্ষেত্রে বিদ্যমান আমদানি শুল্ক ১২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে উৎপাদক যন্ত্রাংশ আমদানীর ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ, ১২ শতাংশ এবং ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
এছাড়া টাইলস উৎপাদন পর্যায়ে আরোপিত ১৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহারে দাবী করা হয়েছে। একই সঙ্গে রাজস্ব ঘাটতি সমন্বয়ে আমদানী পণ্যের উপর সম্পূলক শুল্ক ৬০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৮০ শতাংশে উন্নীত করার দাবী করা হয়। শুল্ক আইন সংশোধনেরও প্রস্তাব করা হয়েছে।
২৫ শে মার্চ, ২০১৪ ভোর ৬:২১
তালপাতারসেপাই বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকেও
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ১১:৪৩
দুঃখ হীন পৃথিবী বলেছেন: অনেক সুন্দর একটা খবর শেয়ার করলেন, ধন্যবাদ আপনাকে