নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।
এটি একটি অপচেষ্টা। তারা মহান মুক্তিযুদ্ধে যে বিশ্বাস করে না- এটা তারই প্রমাণ। গোটা জাতিকে তারা ধোঁকা দিতে চাইছে। আসলে আলোচনায় আসতে চেয়েছেন তারেক রহমান। তিনি ইংল্যান্ডে প্রথমে এই কথাটি বলেন। তারপরই সুর মেলান খালেদা জিয়া। জিয়াউর রহমানই নাকি বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি। কয় কী মনু! সব ইতিহাসই মিথ্যা হয়ে গেলো? পড়া যাক বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিদের তালিকা। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের ২০ জন রাষ্ট্রপতি যারা বিভিন্ন মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেছেন, তার ইতিহাসটা জানা যাক আবারো। বিশ জনের নামের তালিকা ও মেয়াদকাল, দলের নাম সবই আছে ইতিহাসে।
১) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সময়কাল : ১১ এপ্রিল ১৯৭১ইং থেকে ১২ জানুয়ারি ১৯৭২ইং পর্যন্ত। আওয়ামী লীগ।
২) সৈয়দ নজরুল ইসলাম। (অস্থায়ী) সময়কাল : ১১ এপ্রিল ১৯৭১ইং থেকে ১০ জানুয়ারি ১৯৭২ইং পর্যন্ত। আওয়ামী লীগ।
৩) বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী। সময়কাল : ১২ জানুয়ারি ১৯৭২ইং থেকে ২৪ ডিসেম্বর ১৯৭৩ইং পর্যন্ত। আওয়ামী লীগ।
৪) মোহাম্মদ উল্লাহ। সময়কাল: ২৪ ডিসেম্বর ১৯৭৩ইং থেকে ২৫ জানুয়ারি ১৯৭৫ইং পর্যন্ত। আওয়ামী লীগ
৫) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সময়কাল : ২৫ জানুয়ারি ১৯৭৫ইং থেকে ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ইং পর্যন্ত। আওয়ামী লীগ।
৬) খন্দকার মোশতাক আহমদ। সময়কাল : ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ইং থেকে ৬ নভেম্বর ১৯৭৫ইং পর্যন্ত। আওয়ামী লীগ।
৭) বিচারপতি আবু সাদাত মোহম্মদ সায়েম। সময়কাল : ৬ নভেম্বর ১৯৭৫ইং থেকে ২১ এপ্রিল ১৯৭৭ইং পর্যন্ত।
৮) মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান। সময়কাল : ২১ এপ্রিল ১৯৭৭ইং থেকে ৩০ মে ১৯৮১ইং পর্যন্ত। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)
৯) বিচারপতি আব্দুস সাত্তার (অস্থায়ী)। সময়কাল : ৩০ মে ১৯৮১ইং থেকে ২৪ মার্চ ১৯৮২ইং পর্যন্ত। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।
১০) হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। সময়কাল : ২৪ মার্চ ১৯৮২ইং থেকে ২৭ মার্চ ১৯৮২ইং পর্যন্ত। জাতীয় পার্টি।
১১) বিচারপতি এ.এফ.এম আহসান উদ্দিন চৌধুরী। সময়কাল : ২৭ মার্চ ১৯৮২ইং থেকে ১১ ডিসেম্বর ১৯৮৩ইং পর্যন্ত। জাতীয় পার্টি।
১২) হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। সময়কাল : ১১ ডিসেম্বর ১৯৮৩ইং থেকে ৬ ডিসেম্বর ১৯৯০ইং পর্যন্ত। জাতীয় পার্টি।
১৩) বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ (অস্থায়ী)। সময়কাল : ৬ ডিসেম্বর ১৯৯০ইং থেকে ১০ অক্টোবর ১৯৯১ইং পর্যন্ত। নির্দলীয়, তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান।
১৪) বিচারপতি আবদুর রহমান বিশ্বাস। সময়কাল : ১০ অক্টোবর ১৯৯১ইং থেকে ৯ অক্টোবর ১৯৯৬ইং পর্যন্ত। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।
১৫) বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ। সময়কাল : ৯ অক্টোবর ১৯৯৬ইং থেকে ১৪ নভেম্বর ২০০১ইং পর্যন্ত। নির্দলীয় (আওয়ামী লীগ কর্তৃক নির্বাচিত)।
১৬) অধ্যাপক এ. কিউ. এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী। সময়কাল : ১৪ নভেম্বর ২০০১ইং থেকে ২১ জুন ২০০২ইং পর্যন্ত। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।
১৭) ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার। সময়কাল : ২১ জুন ২০০২ইং থেকে ৬ সেপ্টেম্বর ২০০২ইং পর্যন্ত। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।
১৮) অধ্যাপক ইয়াজ উদ্দিন আহম্মেদ। সময়কাল : ৬ সেপ্টেম্বর ২০০২ইং থেকে ১২ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ইং পর্যন্ত। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।
১৯) এডভোকেট জিল্লুর রহমান। সময়কাল : ১২ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ইং থেকে ২০ মার্চ ২০১৩ পর্যন্ত। আওয়ামী লীগ।
২০) এডভোকেট আবদুল হামিদ। সময়কাল : ২০ মার্চ ২০১৩ থেকে চলমান সময় পর্যন্ত, প্রথমে অস্থায়ী। পরে স্থায়ী। আওয়ামী লীগ।
এদিকে বিএনপির অফিসিয়াল ওয়েব সাইটেও বলা হয়েছে জিয়াউর রহমান দেশের সপ্তম রাষ্ট্রপতি। হঠাৎ করেই বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বিএনপির অফিসিয়াল ওয়েবসাইট। ২৮ মার্চ ২০১৪ শুক্রবার পর্যন্ত ওই সাইটে প্রবেশ করা গেলেও এখন যাচ্ছে না। তবে কারিগরি ত্রুটির কারণে সাইটটি দেখা যাচ্ছে না বলে দাবি করেছে বিএনপি। বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রথম দাবি করে বলেন, তার বাবা জিয়াউর রহমান দেশের “প্রথম রাষ্ট্রপতি”। এর একদিন পর খালেদা জিয়াও একই দাবি করেন। বিএনপির অনেক নেতা এই বক্তব্যের পক্ষে যুক্তি দেয়ারও চেষ্টা করেন। কিন্তু তারা যখন এই দাবি করছেন তখনো বিএনপির অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে দেখা যায় জিয়াউর রহমান সপ্তম রাষ্ট্রপতি!
বিএনপির একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিতর্ক এড়াতে সাইটটি বন্ধ করে রাখা হয়েছে। তবে তাদের অফিসিয়াল ভাষ্য, কারিগরি ত্রুটির কারণে সাইটটি দেখা যাচ্ছে না। স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে বিতর্ক তুলে এখন আবার বিএনপি দেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি নিয়ে বিতর্ক তুলছে বলে অভিযোগ করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, তারা (বিএনপি) এখন ফর্মুলা পাল্টেছে, এতোদিন বলেছেন জিয়া স্বাধীনতার ঘোষক, এখন বলছেন প্রথম রাষ্ট্রপতি। বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান, প্রথম উপরাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ। শেখ হাসিনা বলেন, কিছু অর্বাচীন উদ্দেশ্যমূলকভাবে ইতিহাস বিকৃত করছে। তারা মানুষকে বিভ্রান্ত করতে চায়। পঁচাত্তরের পর থেকেই এ ধারা শুরু করে তারা। এরা একাত্তরে পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে চায়। তাই তারা ইতিহাসকে বিকৃত করেছে, কখনো ঘোষণা স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে, কখনো অন্যভাবে। সত্য একদিন প্রকাশিত হবেই, এবং তা হচ্ছে।
শেখ হাসিনা প্রশ্ন রেখে বলেন, কেউ স্বাধীনতার ঘোষণা দিলে ইয়াহিয়া খান তাকে গ্রেপ্তার করলো না কেন? ইয়াহিয়া তো বঙ্গবন্ধুকেই গ্রেপ্তার করলো। ইয়াহিয়া বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্তানের শত্রু হিসেবে ঘোষণা করে। আর তো কারো নাম নেয়নি। জিয়া আসলে নামেই মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশ স্বাধীনের পর বঙ্গবন্ধু জিয়াকে প্রমোশন দিয়ে মেজর জেনারেল করেছেন। অথচ সে-ই গাদ্দারি করলো, মুনাফেকি করলো। পঁচাত্তরের পর অবৈধ উপায়ে জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে শাহ আজিজুর রহমানকে প্রধানমন্ত্রী বানালো, মওলানা মান্নান খানকে মন্ত্রী বানালো, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পুনর্বাসন করেছে। জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষক হলে কিভাবে তিনি স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিকে ক্ষমতায় বসান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, অগণতান্ত্রিক সরকার আনার ষড়যন্ত্রকারীরা এখনো সক্রিয়। অনির্বাচিত কাউকে ক্ষমতায় আনতেই একটি চিহ্নিত গোষ্ঠী উপজেলার নির্বাচন নিয়ে উদ্দেশ্যমূলকভাবে সহিংসতার সংবাদ প্রচার করছে বলেও প্রধানমন্ত্রী মন্তব্য করেন। গণতন্ত্রের ধারা যে কোনো মূল্যে বজায় রাখার তাগিদ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, যখন গণতন্ত্র থাকে না, অগণতান্ত্রিক কেউ ক্ষমতায় থাকে। তখন ওনাদের দাম বেড়ে যায়। ওনারা নিজেদের ব্যক্তি স্বার্থে গণতন্ত্র ধ্বংস করতে চান। শেখ হাসিনা বলেন, এখনো শেষ হয়নি। তারা পিছিয়ে যায়নি। তাদের ষড়যন্ত্র এখনো চলছে। এই বিতর্ক নিয়ে এদেশের ইতিহাসবিদরাও সঠিক ইতিহাস জানার তাগিদ দিচ্ছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেছেন, ‘আমরা স্বাধীনতার এতো বছর পরও মহান স্বাধীনতাযুদ্ধের একক কোনো ইতিহাস পাইনি। যার ফলে যে সরকারই আসে তারা তাদের মতো করে মুক্তিযুদ্ধকে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করে।’ তিনি বলেন, ‘আমি বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হয়েছিলাম একটি শর্তে যে আমাকে স্বাধীনতার প্রকৃত ইতিহাস বইটি প্রকাশের সুযোগ দিতে হবে। আমি এ শর্তে মহাপরিচালক হয়েছিলাম এবং একটি প্রকল্প অনুমোদনের জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু যেখানে তিন মাসের মধ্যে প্রকল্প অনুমোদন হওয়ার কথা সেখানে আমাকে জবাব দেয়া হলো প্রায় আড়াই বছর পর। সে সময়ে আমার যাওয়ার সময় চলে এলো। আমি আর সে কাজটি করতে পারিনি। সেই থেকে স্বাধীনতার প্রকৃত ইতিহাসটি আর করা হলো না। তবে আমি কখনো সময়-সুযোগ পেলে ওই বইটি প্রকাশ করবো। মানুষ স্বাধীনতার প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে।’ তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে প্রথম রাষ্ট্রপতি কে এ নিয়ে বিএনপির বিতর্ক সৃষ্টির কোনো সুযোগ নেই। তারা এতো বছরে যার বিষয়ে কোনো কথা বলতে পারেনি, তারা এখন কিভাবে তা প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করবে। এটা করলে তারা রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে যাবে। তাই বলবো, বিএনপির এ বিষয়ে আর কথা বাড়ানোই ঠিক না।’
বিষয়টি খুব স্পষ্ট, তারেক রহমান-খালেদা জিয়া নতুন করে ঘোলা জলে মাছ শিকার করতে চাইছেন। কিন্তু এটি সফল হবার নয়। কারণ এই প্রজন্ম ইন্টারনেটে সার্চ করে অনেক তথ্যই জানতে পারছে, যা সত্যনির্ভর। রয়েছে বিদেশের আর্কাইভে সংরক্ষিত তথ্য-তত্ত্বও। বিএনপি যতোই মিথ্যা অপপ্রচার চালাবে- ততোই তারা গ্রহণযোগ্যতা হারাবে। কারণ দেশের মানুষ অন্ধ বিশ্বাসে কিছুই করেন না। কিছুই না পেরে এখন এভাবে অপপ্রচার চালিয়ে তারা পার পেয়ে যাবে? রাজনীতিতে সচল থাকতে পারবে?
সুত্র
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:৩৭
তালপাতারসেপাই বলেছেন: চুননি
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:১৫
ডাক্তার আমি বলেছেন: তারেক চুরা বলছে মানা যায়, খালেদা জিয়ার বিষয়টা বুঝলাম না।