নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা বলিব সত্য বলিব

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।

তালপাতারসেপাই

লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।

তালপাতারসেপাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

বঙ্গবন্ধুর বাকশালে জিয়াউর রহমান সদস্য হতে আবেদন করেছিলেন?

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:৩৬

বঙ্গবন্ধু সবাইকে নিয়ে বাকশাল কায়েম করেছিলেন। জিয়াউর রহমান সে দলের সদস্য হতে আবেদন করেছিলেন। বিষয়টি জানেন কি?



একান্ত মুহূর্তে জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমান এবং শহীদ জিয়াউর রহমান। (ছবির সময়কাল জানা নেই।) ফটো ক্রেডিটঃ Imran Hossain

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু সবাইকে নিয়ে বাকশাল কায়েম করেছিলেন। জিয়াউর রহমান সে দলের সদস্য হতে আবেদন করেছিলেন। আবেদনটি আমার কাছে আছে। দেখতে চাইলে সেটা আমি দেখাতে পারি।’ তিনি বলেন, বাকশাল ছিল একটি ক্ষণস্থায়ী প্রক্রিয়া।

জাতীয় সংসদের অধিবেশনে বিরোধী দলের সাংসদ মওদুদ আহমদকে উদ্দেশ করে তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘একদলীয় শাসন থেকে কি সামরিক স্বৈরশাসন ভালো? যাঁরা সামরিক স্বৈরশাসনের অধীনে কাজ করেন, তাঁদের মুখে গণতন্ত্রের কথা শোভা পায় না।’

১৯৭৫ সালে জিয়াউর রহমান উপসেনাপ্রধান হিসেবে থাকায় নিয়মানুযায়ী তিনি বাকশালের সদস্য হতে পারতেন না। কিন্তু তার সমসাময়িক কে. এম. শফিউল্লাহ, খালেদ মোশারফ প্রমুখ বাকশালের সদস্য হওয়ায় জিয়াও মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন বাকশালের সদস্য হওয়ার জন্য। বাকশালে যোগ দেওয়ার জন্য জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর কাছে আবেদন করেছিলেন। শুধু তাই নয়, বঙ্গবন্ধুর সাথে দেখা করেও তিনি বাকশালের সদস্য হওয়ার তীব্র আকাঙ্ক্ষা পোষণ করেন।

এই সত্যটা বিম্পির কোনো পুরোনো নেতাও অস্বীকার করতে গেলে তাকে দশবার ভাবতে হবে। ২০১০ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জিয়ার বাকশালে যোগ দেওয়ার আবেদনের কথা বললে একমাত্র মেজর হাফিজ প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বিরোধিতা করেন এবং রেডিও তেহরানকে দেওয়া বক্তব্যে জিয়ার বাকশালে যোগদানে আবেদনের কথা অস্বীকার করেন।

রেডিও তেহরানকে দেওয়া ওই সাক্ষাৎকারে মেজর হাফিজ বলেন, "১৯৭৩-৭৪ এই দুই বছর আমি জিয়াউর রহমানের পিএস ছিলাম। তখন বাকশালের সদর দপ্তর থেকে জিয়ার কাছে বাকশালে যোগ দেওয়ার জন্য একটি ফর্ম আসে। জিয়া আমার কাছে বুদ্ধি-পরামর্শ চান। আমি তাঁকে বলি, এই ভুল করবেন না। তখন জিয়া বাকশালে যোগ দেওয়ার ফর্মটি পেপার বাস্কেটে ছুঁড়ে মারেন।"

মেজর হাফিজ যে একটা ধ্রুব সত্যকে ধামাচাপা দেওয়ার অপচেষ্টা করেছেন সেটা রেডিও তেহরানকে দেওয়া মেজর হাফিজের বক্তব্য থেকেই প্রমাণিত। কারণ, বাকশাল গঠন করা হয়েছিল ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি। আর হাফিজ বলছেন ১৯৭৩-৭৪ সালের কথা। সুতরাং, মেজর হাফিজ যে মিথ্যা বলেছিলেন এটা প্রমাণ করার জন্য তার বক্তব্যই কি যথেষ্ট নয়?

মিথ্যা দিয়ে সত্য ঢাকা যায় না। ইতিহাস চাপা দিয়ে রাখার জিনিস নয়। ইতিহাস একদিন না একদিন প্রকাশিত হয়ই। সুতরাং, মিথ্যা বলার আগে সাবধান !! ইতিহাস কখনো প্রতারণা করে না।



জিয়ার লেখা একটা চিঠির ছবি : -



/////

জিয়া শুধু বাকশালের সদস্যই হতে চায় নি, তার উদ্দেশ্য আরোও গভীরে ছিল।

বাকশাল গঠন করায় বঙ্গবন্ধু সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছিল।

শুধু তাই নয়, জিয়া বাকশাল সরকার কর্তৃক নিযুক্ত প্রত্যেক জেলা গভর্নরকে অভিনন্দন জানিয়ে চিঠি লিখেছিল।


প্রমাণস্বরূপ আমি এখানে ১৯ জুলাই, ১৯৭৫ সালে পাবনার সদ্য নিযুক্ত জেলা গভর্নর অধ্যাপক আবু সায়ীদকে লেখা জিয়ার একটি চিঠি উপস্থাপন করছি।



চিঠিতে লেখা ছিল-



"প্রিয় অধ্যাপক সায়ীদ,



পাবনা জেলার গভর্ণর নিযুক্ত হওয়ায় আমার আন্তরিক অভিনন্দন গ্রহণ করুন।



দোয়া করি যাতে দেশের বৃহত্তর স্বার্থে আপনার কর্মক্ষমতাকে উৎসর্গ করার জন্য আল্লাহ আপনাকে সাহস ও শক্তিদান করেন।

আন্তরিকতার সহিত



জিয়া"



মন্তব্য ২১ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:০৪

নিয়ামুল ইসলাম বলেছেন: এখন দেখবেন সব চোদানিগুলা নাই হয়ে যাবে। কিছু বলতেও পারবেনা

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৯:২০

তালপাতারসেপাই বলেছেন: নিয়ামুল ইসলাম বলেছেন: এখন দেখবেন সব চোদানিগুলা নাই হয়ে যাবে। কিছু বলতেও পারবেনা

২| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:০৫

একজন সময় জ্ঞানহীন বলেছেন: ধন্যবাদ, লেখাটির জন্য, নতুন কিছু জানলাম!
ইতিহাস কখনো প্রতারণা করে না :) পেলাছ

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৯:২০

তালপাতারসেপাই বলেছেন: একজন সময় জ্ঞানহীন বলেছেন: ধন্যবাদ, লেখাটির জন্য, নতুন কিছু জানলাম!
ইতিহাস কখনো প্রতারণা করে না :) পেলাছ

৩| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:৩৩

রোকসানা লেইস বলেছেন: জানলাম জানার শেষ নাই

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৯:২১

তালপাতারসেপাই বলেছেন: সহমত!

৪| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:৩৯

গুগলরকস বলেছেন: নিয়ামুল ইসলাম বলেছেন: এখন দেখবেন সব চোদানিগুলা নাই হয়ে যাবে। কিছু বলতেও পারবেনা =p~ =p~ =p~

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৯:২১

তালপাতারসেপাই বলেছেন: সহমত!

৫| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:৪৩

সীমানা ছাড়িয়ে বলেছেন: হুম, বুঝলাম।

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৯:২২

তালপাতারসেপাই বলেছেন: কি বুঝলেন?

৬| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ ভোর ৬:৫২

সীমাহীন ভালবাসা বলেছেন: আপনারা যদি ব্লগে ফেসবুকে এভাবে নতুন ইতিহাস উন্মোচন করেন তবে এজাতির ভবিষ্যৎ শেষ! কারন বর্তমানে পাঠ্যবই গুলি তো ইতিহাস বিকৃত হয়ে গোবল হয়ে গেছে আর অনলাইনে চলছে মগজ ধোলাই,যে যে দলের মগজ ধোলাই দিয়ে বিভ্রান্ত করতে পারে!জাতির ছেলেরা পারে বটে :P

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৯:৩৫

তালপাতারসেপাই বলেছেন: তাই মনে হচ্ছে আপনার?

৭| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৮:২৮

মেমননীয় বলেছেন: আবেদন কে কে করে নাই?

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৯:২৩

তালপাতারসেপাই বলেছেন: টারেক গিয়া !

৮| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৯:৪৪

টি-ভাইরাস বলেছেন: বাংলাদেশের ইতিহাস এমন একটা প্যাঁচের ইতিহাস হয়ে গেছে যে এইটার উপরে একটা পুরা Phd করার পরেও সেটা শেষ হবে কি না সন্দেহ আছে

৯| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৪

ইছামতির তী্রে বলেছেন: আরে এত দেখছি দেশী লোক!! ভাই আমি অধ্যাপক আবু সায়ীদের কথা বলছি।

১০| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:০৬

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: চমত্‍কার ঐতিহাসিক তথ্য ! জানা ছিল না । ধন্যবাদ ।

১১| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৯:৫৮

মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: জানার আছে অনেক কিছু!

১২| ২৫ শে মে, ২০১৪ সকাল ৯:৫৭

াহো বলেছেন: চমৎকার

১৩| ০৬ ই জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩১

মাসূদ রানা বলেছেন: হাহাহাহা ........... জাতির বীরদের নিয়ে মিথ্যা গল্প করে বেড়ানো বিকৃত মানসিকতার লক্ষণ ..... প্রকৃতপক্ষে .... শেখ মজিবর তত্কালীন সকল উচ্চপদস্থ রাজনৈতিক কর্মকর্তা, সামরিক কর্মকর্তাদের বলপূর্বক বাকশালে ঢুকাতে চেয়েছিল ...... আর জিয়াউর রহমানের প্রতি ছিল তার ( মজিবরের ) অন্যরকম লুলুপ দৃষ্টি ..... এসব চিঠি লেখা লেখি .... বাকশালে ঢুকার আবেদন .... এসন মজিবরের চাপেই হয়েছিল ......

আল্লাহ পাক সবাইকে উত্তম বুঝ দান করুন .....

১৪| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৫৯

মিতক্ষরা বলেছেন: শেখ মুজিব পাকিস্তানী পাসপোর্ট নিয়ে বাংলাদেশে ফেরত আসা, জিয়ার বাকশালে যোগ দেয়া - এসবই প্রমান করে জাতি হিসেবে আমরা সম্পূর্ন দেউলিয়া।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.