নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা বলিব সত্য বলিব

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।

তালপাতারসেপাই

লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।

তালপাতারসেপাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

হেফাজতের দখলে রেলের জমি!! তাও মাননীয় যোগাযোগমন্ত্রীর অনুমতিক্রমে?

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৮:০০



হাটহাজারী রেলস্টেশনের পেছনে ২ দশমিক ৬৪ একরজুড়ে একটি পুকুর। এর সামনে একটি সাইনবোর্ড। তাতে লেখা—

‘মাননীয় যোগাযোগমন্ত্রীর অনুমতিক্রমে এই জমির দখলদার মালিক দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসা।’

পুকুরটির মালিক বাংলাদেশ রেলওয়ে। আর দখল নেওয়া মাদ্রাসাটির মহাপরিচালক হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী।

সাইনবোর্ড বসানোর পর হাটহাজারী মাদ্রাসার নামে পুকুরটির পাড়ে তৈরি করা হয়েছে একাধিক কাঁচাঘর। সেগুলোর ভাড়াও আদায় করে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া হাটহাজারী রেলস্টেশনের আশপাশে রেলওয়ের ১ দশমিক ৮৪ একর কৃষিজমি রয়েছে। স্টেশনের উত্তর-পশ্চিম পাশে রেলওয়ের জায়গায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের একটি চিতাও আছে। ওই পুরো জমির সীমানা এলাকায় হেফাজতের উত্সস্থল হাটহাজারী মাদ্রাসার নামে ৫শ খুঁটি দিয়ে দখল করা হয়েছে। প্রতিটি খুঁটিতে লেখা— ‘এই জমির মালিক হাটহাজারী বড় মাদ্রাসা।’ এ ছাড়া হাটহাজারী রেলস্টেশন-পার্শ্ববর্তী রেলওয়ের জায়গায় গরু-ছাগলের হাট ইজারা দেওয়া হয়েছে মাদ্রাসাটির পক্ষ থেকে। এর কানাকড়িও পায় না সরকার।

হেফাজতে ইসলামের আমির শাহ আহমদ শফীর পক্ষে এ জমিদখল ও মামলার বিষয় দেখভাল করছেন মাদ্রাসাটির বাংলা বিভাগের শিক্ষক জাহিদ হোসেন। তিনি আমাদের সময়কে এ প্রসঙ্গে বলেন, রেলওয়ের কাছে আমরা এসব জায়গা ইজারা নেওয়ার জন্য আবেদন করেছিলাম। তারা দেয়নি। পরবর্তী সময়ে আমরা মামলা করেছি। মামলাটি নিয়ে এখন আমরা রেলের সঙ্গে একপ্রকার সমঝোতায় পৌঁছেছি। রেলওয়ে যদি আমাদের এসব জায়গা ইজারা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়, তবে আমরা মামলা প্রত্যাহার করে নেব।

সাইনবোর্ড দিয়ে পুকুর দখল করা সম্পর্কে তিনি বলেন, সাবেক মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনের সঙ্গে কথা বলে পুকুরটি আমরা দখল করেছি। বর্তমান রেলমন্ত্রীও বিষয়টি জানেন। তিনি পুকুরটি আমাদের দিয়ে দিতে সম্মত হয়েছেন। কাগজপত্র সব ঠিক হয়ে গেছে। এখন কেবল তার স্বাক্ষর বাকি।

তবে পূর্বাঞ্চলীয় রেলওয়ের বিভাগীয় প্রধান ভূ-সম্পদ কর্মকর্তা কামরুল আমিন বলেন, এভাবে কাউকে রেলওয়ের জমি দেওয়ার সুযোগ নেই। আমরা হাটহাজারী মাদ্রাসাকে কোনও জমি ইজারা দিইনি। শাহ আহমদ শফী বাদি হয়ে আমাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। মামলাটি বিচারাধীন।

রেলওয়েসূত্র জানায়, হাটহাজারী রেলস্টেশন-সংলগ্ন রেলওয়ের পুকুর ও আশপাশের কৃষিজমির ইজারা নিতে বিভিন্ন সময় আবেদন করেন হেফাজতের আমির ও হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালক আল্লামা শাহ আহমদ শফী। কিন্তু ২০১২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি রেল মন্ত্রণালয়ের ভূমি শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব আশরাফুজ্জামান লিখিতভাবে জানিয়ে দেন, শাহ আহমদ শফীর আবেদন বিবেচনা করার সুযোগ নেই।

রেল মন্ত্রণালয়ের ওই সিদ্ধান্তের পর ২০১৩ সালের ৩ সেপ্টেম্বর ৭ জনকে আসামি করে ও এসব জমির ওপর স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চেয়ে হাটহাজারী সহকারী জজ আদালতে মামলা করা হয়। মামলার আসামিরা হলেন— রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা, প্রধান ভূ-সম্পদ কর্মকর্তা, মহাব্যবস্থাপক, সাবেক কর্মচারী আবুল কালাম, শাহ আলম, মুসা মিয়া ও মাহবুবুল আলম তালুকদার।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, যেসব জমি বর্তমানে হাটহাজারী মাদ্রাসার দখলে, সেসব জমির নিয়মিত ফি রেলওয়েকে পরিশোধ করা হচ্ছে বলে শাহ আহমদ শফী দাবি করেছেন। মামলার এজাহারে কৃষিজমি ইজারা পাওয়ার আবেদনের কথা বলা হয়েছে। আবার তা নিজেদের দখলে আছে বলেও দাবি করা হয়েছে। তবে রেলওয়ের পক্ষ থেকে আদালতে লিখিতভাবে জানানো হয়, জমি ইজারা না-দেওয়ায় ফি পরিশোধের কোনও সুযোগ নেই।

রেলওয়েসূত্রে জানা যায়, বর্তমানে রেল কর্তৃপক্ষ আইন করে কৃষিজমি স্থায়ী কিংবা অস্থায়ী ইজারা দেওয়া পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে কোনও ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান আইনগতভাবে এ জমি ইজারা পাবে না। সুত্র

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.