নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।
এই তাবেদার সরকার দ্বারা তিস্তায় পানি আনা সম্ভব নয় : মির্জা ফখরুল
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই তাবেদার সরকারের দ্বারা তিস্তায় পানি আনা সম্ভব হবে না। তাই সরকারের পতন ঘটিয়ে নতুন সরকার গঠন করতে হবে। তাহলে তিস্তায় পানি আনা সম্ভব হবে।
কিন্তু তিনিই বলে ছিলেন, লংমার্চ ভারত বা সরকারের বিরুদ্ধে নয়। মাথা নষ্ট তাবেদার নওকর কতকিনা বলে..
কিন্তু তিস্তায় এখন ৩০০৬ কিউসেক পানি। আর তা বইছে ল্যাংরা মারছের আগেই।
তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে আবার বেড়েছে পানিপ্রবাহ। ৮৩০ কিউসেক থেকে এক রাতের ব্যবধানে গতকাল মঙ্গলবার হঠাৎ পানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০০৬ কিউসেকে। চলতি মৌসুমে পানিপ্রবাহ কমা-বাড়ার ঘটনা এটাই প্রথম নয়। তবে এদিনের প্রবাহে উল্লম্ফনটা বাড়া-কমার খেলায় নতুন রেকর্ড।
ভারতের সিকিম থেকে পশ্চিমবঙ্গ হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করা অন্যতম প্রধান নদী তিস্তা। এই নদীকে কেন্দ্র করে বৃহত্তর রংপুর, দিনাজপুর ও বগুড়া জেলার অনাবাদি জমি সেচের আওতায় আনতে নেওয়া হয়েছিল তিস্তা ব্যারাজ সেচ প্রকল্প। সুফলও মিলেছিল। কৃষকরা তিস্তার পানি সেচকাজে ব্যবহার করে বছরে দুটি ফসল ঘরে তোলার সুযোগ পাচ্ছিলেন।
চলতি সেচ মৌসুমে সেই তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে পানিপ্রবাহ নেমে আসে প্রায় শূন্যের কোঠায়। ন্যায্য হিস্যা থেকে বাংলাদেশকে বঞ্চিত করে ভারত একতরফা পানি প্রত্যাহার করে নেওয়ায় তিস্তায় দেখা দেয় স্মরণকালের পানিশূন্যতা। এর প্রভাবে উত্তরের নীলফামারী, রংপুর ও দিনাজপুর জেলার ১২টি উপজেলার বোরো চাষিরা চরম বেকায়দায় পড়ে যান। ফসলশূন্যতার শঙ্কায় চাষিদের মধ্যে পানির জন্য হাহাকার ওঠে। শুরু হয় হৈচৈ। বিভিন্ন রাজনৈতিক-সামাজিক সংগঠন পানির নায্য হিস্যার দাবিতে শুরু করে লংমার্চ। চলছে সমাবেশসহ নানা আন্দোলন।
পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার সকালে রাজধানী ঢাকা থেকে তিস্তা অভিমুখে শুরু হয়েছে বিএনপির পূর্বঘোষিত লংমার্চ। তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্ট ডালিয়ার হেলিপ্যাডে আজ বুধবার সকাল ১১টায় সমাবেশের মধ্যদিয়ে সমাপ্তি হবে সেই কর্মসূচির। আর এমনই অবস্থায় সবাইকে অবাক করে দিয়ে ব্যারাজ পয়েন্টে এখন অথৈই পানি।
চলতি সেচ মৌসুমের শুরু থেকেই তিস্তায় পানিপ্রবাহ নিয়ে কমা-বাড়ার খেলা চলছে। ভারত একতরফা পানি প্রত্যাহার করে নেওয়ায় পানিশূন্য তিস্তায় ঘুঘু চড়ার অবস্থা। এমনই অবস্থায় গত ১৩ এপ্রিল হঠাৎ বেড়ে যায় পানিপ্রবাহ। তিস্তা ব্যারাজের এক শ কিলোমিটার উজানে প্রতিবেশী দেশ ভারতের গজলডোবা ব্যারাজের গেট নিংড়ে ভাটিতে থাকা বাংলাদেশের দিকে সামান্য পানি গড়াতে থাকে। একসময় এই পানি গড়িয়ে চলে আসে তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে। এরপর সেই পানি ঘুরে ঢুকে পড়ে দীর্ঘদিন ধরে শুকনো পড়ে থাকা সেচ খালে। আর এতে বোরো মৌসুমের শেষদিকে এসে কিছুটা হলেও হাসি ফোটে সেচ খালের আওতায় থাকা চাষিদের মুখে। কিন্তু কৃষকের মুখের ওই হাসি স্থায়ী হয়নি। মলিন হতে থাকে তাঁদের মুখ। গত ১৯ তারিখের পর কমতে থাকে পানিপ্রবাহ। আবার যে কে সেই। পানিশূন্যতায় তিস্তায় কেবলই ধু-ধু চর। এমন পানি কমা-বাড়ার খেলায় মঙ্গলবার সকালে অথৈ পানিতে ভরপুর তিস্তা সেচ খাল।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবর রহমান বলেন, ‘১৩ এপ্রিল থেকে পানি বাড়লেও গত সোমবার পানির পরিমাণ ছিল ৮৩০ কিউসেক। সেখানে ভারতের গজলডোবা ব্যারাজের গেট পেরিয়ে মঙ্গলবার নদীতে পানি এসে পৌঁছেছে ৩০০৬ কিউসেক।’
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে তিস্তার পানি কমতে কমতে একেবারে তলানিতে গিয়ে ঠেকে। একপর্যায়ে তা হয়ে দাঁড়ায় ৪৫০ থেকে ৫০০ কিউসেকে। যেখানে এই সময়টাতে নদীতে স্বাভাবিকভাবে গড়ে পাঁচ হাজার থেকে ছয় হাজার কিউসেক পানি থাকার কথা। তবে গত ১৩ এপ্রিল থেকে ব্যারাজ পয়েন্টে পানি বাড়তে থাকে। একপর্যায়ে পানির পরিমাণ দেড় হাজার কিউসেক পর্যন্ত ওঠে। এই অবস্থা চলে ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত। কিন্তু গত সোমবার থেকে আবার কমতে থাকে তিস্তার পানি। সেখানে গত রবিবার ৬৮৮ ও সোমবার পানিপ্রবাহ ছিল ৮৩০ কিউসেক। গতকাল মঙ্গলবার ওই পয়েন্টে আকস্মিক পানি বেড়ে দাঁড়ায় ৩০০৬ কিউসেক।
হঠাৎই পানিপ্রবাহ বাড়তে থাকা প্রসঙ্গে স্থানীয়দের মন্তব্য, তিস্তার পানির নায্য হিস্যার দাবিতে সোচ্চার বিভিন্ন সংগঠনের আন্দোলনের মুখেই ভারত কিছুটা পানি ছেড়েছে। আর দেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপির লংমার্চকে কেন্দ্র করে হয়তো ভারত বেশি পরিমাণে পানি ছেড়েছে।
স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড অবশ্য স্থানীয়দের এমন মন্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছে। তারা বলছে, ‘সম্ভবত ইচ্ছে করেই প্রতিবেশী দেশটি পানি ছাড়েনি। উজানে জোয়ার বা বৃষ্টির কারণে পানির জোগান বেড়ে যাওয়ায় কিছু পরিমাণ পানি ছেড়েছে।’
সেচ খালনির্ভর অনেক চাষি মনে করেন, যখন খুব বেশি প্রয়োজন ছিল তখন পাওয়া যায়নি পানি। একেবারে শেষ সময়ে পর্যাপ্ত পাওয়া পানি তাঁদের তেমন একটা উপকারে আসবে না। রামনগর ইউনিয়নের দোলাপাড়া গ্রামের কৃষক তোফায়েল হোসেন বলেন, ‘জমিতে এবার সেচ দেওয়ার জন্য আমরা হাহাকার করেছি। কিন্তু খালে পানি পাইনি বললেই চলে। শেষ সময়ে পর্যাপ্ত পানি উপকারে এলেও তাতে ক্ষতি পোষানো সম্ভব হবে না।’
আবার নীলফামারী জেলা সদরের রামনগর ইউনিয়নের বিষমুড়ি গ্রামের রফিকুল ইসলাম সাত দিন পর জমিতে সেচের পানি পেয়ে অনেকটাই আনন্দিত। তিনি বলেন, ‘পানির অভাবে প্রায় মরতে বসেছিল ধানক্ষেত। এবারে যে পানি পেয়েছি তা দিয়ে অনেকটাই চাহিদা পূরণ হয়েছে আমার।’
এদিকে পর্যাপ্ত পানি পেয়ে নতুন করে বোরো আবাদের প্রস্তুতি নিচ্ছেন ইটাখোলা ইউনিয়নের হিমাগারপাড়ার কৃষক আবুবক্কর ছিদ্দিক (৩৫)। তিনি বলেন, ‘আগে প্রস্তুতি নিয়েও জমিতে ধানের চারা লাগাতে পারিনি। দেরিতে হলেও চারা সংগ্রহ করে ধান আবাদ করে বোরো আবাদের ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করব।’
কতখানি চশমখোর হলে তিনিই বলতে পারেন, তিস্তায় পানি লং মার্চের প্রাথমিক সফলতা
এ পা চাটা কথা সর্বস্য লক্তাকে আল্লাহ হেদায়েত করুক হায়া দেখ।
২| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৩
কানা দাজ্জাল বলেছেন: ভাই, জুতা দেখায়া যদি পানি পাওয়া যায় তাহলে মুখে জুতার বারি না দেয়াটাই কি ভদ্রতার পরিচয় নয়? এই ফখরুল সাহেবকে কোন এঙ্গেল থেকে আপনার অভদ্র বা বাক্যবাগীশ বলছেন? তোফা, আমু, ইনু, কামু, হানু, ওবাদ- এদেরকে তো তাহলে চাপাবাজি আর জোচ্চুরির ম্যডেলটা দিতে হয়, তাই না?
৩| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৪
কর্পোরেট ভালোবাসা বলেছেন: আপনে তো আরেক চাপাবাজ তা বোঝাই যাচ্ছে , পোষ্টে মাইনাস
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:৩০
ইঁদুর চিকার মারামারি, নষ্ট করে বসত বাড়ি বলেছেন: হাবীব ভাইয়ের গন্ধ পাচ্ছি আপনার পোষ্টে!! আপনি হাবীব ভাইয়ের মাল্টি নাতো!!