নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা বলিব সত্য বলিব

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।

তালপাতারসেপাই

লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।

তালপাতারসেপাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

বঙ্গবন্ধু হত্যার ফাঁসির পলাতক আসামি : কর্ণেল রাশেদের সম্পত্তি জব্দ

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৮:৫৬



বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলায় ফাঁসির দ-প্রাপ্ত পলাতক আসামি অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল এএম রাশেদ চৌধুরীর চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে অবস্থিত গ্রামের বাড়ির পৈতৃক সম্পত্তি জব্দ করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে গতকাল সকাল পৌনে ১১টার দিকে হাজীগঞ্জ উপজেলার ৬ নম্বর পূর্ব বড়কূল ইউনিয়নের সোনাইমুড়ি গ্রামে স্থানীয় প্রশাসন জব্দকৃত সম্পত্তিতে সাইনবোর্ড ও লাল পতাকা টাঙিয়ে দেয়। এই ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দারা একে অপরকে মিষ্টিমুখ করায়।

পৈতৃক মোট ৯ একর ২৫ শতাংশ জমির মধ্যে অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা রাশেদ চৌধুরীর প্রাপ্ত ১ একর ১৫ শতাংশ জমি জব্দ করা হয়েছে। এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসনা আফরোজ, হাজীগঞ্জ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. আ. হানিফ, হাজীগঞ্জ থানার ওসি মো. শাহ আলমসহ উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বঙ্গবন্ধু হত্যায় দ-িত সেনা কর্মকর্তা এএম রাশেদ চৌধুরীর সম্পত্তি জব্দের নির্দেশ পাওয়ার পর স্থানীয় প্রশাসন প্রথমদিকে রাশেদ চৌধুরীর পরিবারের সম্পদ সনাক্ত করে। এরপর গতকাল সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসনা আফরোজ পুলিশসহ রাশেদ চৌধুরীর বাড়িতে গিয়ে তার প্রাপ্ত সম্পত্তিতে লাল পতাকা ও সাইন বোর্ড টাঙিয়ে দেন।

রাশেদ চৌধুরীর পিতার নাম শিহাব উদ্দিন চৌধুরী। শিহাব চৌধুরী মুক্তিযুদ্ধের সময় মুসলিম লীগের সমর্থক ছিলেন। দেশ স্বাধীনের পর জামাতের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হন। মরহুম শিহাব উদ্দিন চৌধুরীর সম্পত্তির ওয়ারিশ হলেন রাশেদ চৌধুরীসহ আট ভাই ও এক বোন। টাস্কফোর্সের নির্দেশে সম্পত্তির বণ্টননামার ভিত্তিতে রাশেদ চৌধুরী প্রাপ্য জমি পৃথক করে তা ক্রোক ও বাজেয়াপ্ত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

রাশেদ চৌধুরীর বাবা মরহুম শিহাবউদ্দিনের সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের ইউপি সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক ও তৎকালীন আ'লীগ নেতা আ. লতিফ মাস্টারের একটি স্কুল নিয়ে বিরোধের জের ধরে রাশেদ বঙ্গবন্ধুকে হত্যার আগে ওই মাস্টারকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে হত্যা করে লাশ ফেনীর ছাগলনাইয়া ব্রিজের নিচে ফেলে রেখেছিল। সেই হত্যাকা-ের আজও বিচার পায়নি তার পরিবারের সদস্যরা।

হাজীগঞ্জ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. আ. হানেফ জানান, সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ কার্যকর করার পর তারা সেখানে পুলিশ মোতায়েন করেছেন। পুলিশের জিম্মায় এই সম্পত্তি থাকবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসনা আফরোজ সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, এই কাজটি করতে পারায় তারা অত্যন্ত খুশি। কারণ, আদালতের এই আদেশ কার্যকর করার মধ্য দিয়ে আইনগত একটি প্রক্রিয়া শেষ করার পাশাপাশি একটি নৈতিক দায়িত্বও পালন করা হলো।

বঙ্গবন্ধুর খুনি লেঃ কর্ণেল সুলতান শাহরিয়ার রশীদের মেয়ে শেহনাজ রশীদ ইয়াবা সহ আটক করা হয়ছিল!



মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:২০

নিজাম বলেছেন: সম্পত্তি দিয়ে কী হইবো, তারা কবে ধরা পড়বে?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.