নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং বর্তমান স্থানীয় সরকার এবং পল্লী উন্নয়নমন্ত্রী সম্প্রতি লন্ডনে এক সমাবেশে বলেছেন তারেক জিয়া বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে যে দুরভিসন্ধিমূলক মন্তব্য করেছেন, সেটা অবজ্ঞা করাই শ্রেয়। গাফ্ফার ভাইও একইভাবে লিখেছেন, লন্ডনে বসে অলস তারেক জিয়া স্বাধীনতার ৪০ বছর পর অসত্য একটি মন্তব্য করলো আর আমরা বাঙালিরা সেটা নিয়ে ঢালাও আলোচনা-সমালোচনা শুরু করে দিলাম। দুজনের উপদেশ শ্রদ্ধার সঙ্গে গ্রহণ করার সঙ্গে সঙ্গে এবং বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর যে অবদান, তা জানা সত্ত্বেও ব্রিটেনের পত্র-পত্রিকাগুলো আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামে বঙ্গবন্ধুর অবদানকে সেই সময় কিভাবে প্রকাশ করেছিল তা দেখার কৌতূহল সামলাতে পারলাম না। আর ইতিহাসের অন্য মাধ্যমগুলোর মতো ব্রিটেনের পত্র-পত্রিকাগুলোও সেই সময় দ্ব্যর্থহীনভাবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকেই বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি এবং ঘোষক হিসেবে প্রকাশ করেছিল। এর কয়েকটি খ-চিত্র আমাদের পাঠকদের জন্য তুলে ধরলাম।
টাইমস পত্রিকার ভাষ্য অনুযায়ী বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ’৭০-এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অবিভক্ত পাকিস্তানের একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার পরপরই বাঙালিদের স্বাধিকারের আন্দোলনটি পূর্ণাঙ্গ স্বায়ত্তশাসনের আন্দোলনে রূপ নেয়। পত্রিকাটির মতে ’৭০-এর সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয়ের পেছনে মূল কারণ ছিল বঙ্গবন্ধুর ছয়দফার প্রতি তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের পূর্ণ সমর্থন। সেই সময় পূর্ব পাকিস্তানের ১৬২টি আসনের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ বিজয়ী হয় ১৩২টি আসনে। আওয়ামী লীগের বিজয়ের সেই খবরে আরো উল্লেখ করা হয় যে, একক সংখ্যাগরিষ্ঠ আওয়ামী লীগ পাকিস্তান ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে পূর্ব পাকিস্তানের জন্য সর্বাধিক পরিমাণ স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত করার জন্য সংবিধান পরিবর্তনের চেষ্টা চালাবে। কেবলমাত্র প্রতিরক্ষা এবং বৈদেশিক মন্ত্রণালয় ব্যতীত রাষ্ট্রের অন্য সকল নিয়ন্ত্রণ পূর্ব পাকিস্তানের সরকারের হাতে ন্যস্ত হতে হবে (পিটার হ্যাজেলহার্স্ট, টাইমস, ৯ ডিসেম্বর ১৯৭০)। ’৭০-এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয় এবং জুলফিকার আলি ভুট্টো এবং ইয়াহিয়া খানের ক্ষমতা হস্তান্তরে গড়িমসি বঙ্গবন্ধুর স্বাধিকারের সেই আন্দোলনকে ধীরে ধীরে স্বাধীনতার আন্দোলনে রূপান্তরিত করছিল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানের ওপর টাইমস পত্রিকায় পিটার হ্যাজেলহার্স্টের ধারাবাহিক রিপোর্টগুলোতে সেই সত্যই পরিস্ফুটিত হয়ে উঠছিল।
একাত্তরের মার্চ মাসে লন্ডন থেকে প্রকাশিত টাইমস পত্রিকাটি বাংলাদেশের স্বাধীনতার ওপর প্রায় প্রতিদিনই সংবাদ প্রকাশ করে আসছিল এবং প্রতিটি সংবাদেই বাংলাদেশ স্বাধিকার এবং স্বাধীনতার প্রতি বঙ্গবন্ধুর যে আপোসহীন অবস্থান, তা পরিষ্কারভাবে প্রকাশ পেতো। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ টাইমস সংখ্যায় প্রকাশিত হয় টাইমস-এর সেই সময়ের ঢাকায় অবস্থানকারী বিশেষ প্রতিনিধি পল মার্টিনের প্রেরিত “বেঙ্গলিজ আউট ফর ইন্ডিপেন্ডেন্স বাই এনি মিনস” শিরোনামের সংবাদটি। যার শুরুতেই বলা হয়, ‘ঢাকা ইউনিভার্সিটির মাঠে বিপ্লবী কতিপয় সংগঠনের পরিচালনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের অস্ত্র পরিচালনার প্রশিক্ষণ চলছে। পূর্ব পাকিস্তানের গ্রামে গ্রামে “স্বেচ্ছাসেবী” সদস্যদের মুক্তিবাহিনী গঠিত হচ্ছে যাদের ভবিষ্যৎ কাজ হবে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা।’ একই সংবাদের তৃতীয় পরিচ্ছেদে উল্লেখ করা হয়, ‘সত্যিকার অর্থে, গত তিন সপ্তাহ যাবৎ পূর্ব পাকিস্তান বা বাংলাদেশে (জনগণের ভাষায়) এক ধরনের স্বাধীনতা উপভোগ করছে। দেশটির জনগণ এবং পাকিস্তান ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ দল আওয়ামী লীগের নেতা শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার সহযোগীরাই বর্তমানে প্রদেশটির প্রশাসন নিয়ন্ত্রণ করছেন। আইন বিভাগের রয়েছে তার সিদ্ধান্তের প্রতি পূর্ণাঙ্গ সমর্থন, তার নির্দেশ মোতাবেক অফিস-আদালত রয়েছে বন্ধ; ব্যাংকগুলো পরিচালিত হচ্ছে কঠোর ট্রায়াল-এন্ড-এরর কাঠামো মোতাবেক; এমনকি প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানও প্রদেশটিতে তার সফরের পূর্বে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য শেখ মুজিবুর রহমানের নিশ্চয়তার প্রয়োজন বোধ করছেন।’
‘যদিও শেখ মুজিবুর রহমান “স্বাধীনতা” শব্দটি সাবধানতার সঙ্গে পরিহার করে আসছেন, তবে তিনি ঘরোয়া সভায় অথবা জনসমাবেশে এর পরিবর্তে ‘জনগণের মুক্তি’ শব্দটি ব্যবহার করে থাকেন, সে যাই হোক, গত কয়েক সপ্তাহের ঘটনাবলী দেশটিকে দৃঢ়ভাবে স্বাধীনতার দিকে নিয়ে যাচ্ছে, যার আর ব্যতিক্রম সম্ভব নয়। যদিও শেখ মুজিবুর রহমানের আন্দোলন ছিল মুখ্যত পাকিস্তানের দুই অংশের মধ্যকার ভারসাম্য নিশ্চিত করা, সত্যিকার অর্থে আজকের বাংলাদেশ তার আন্দোলনেরই ফসল।’ এরপর ২৭ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতার ওপর বেশ কয়েকটি সংবাদ ও নিবন্ধ প্রকাশিত হয়। সেই তারিখের টাইমস-এর ‘ওয়ার ক্লাউডস ওভার পাকিস্তান’ সম্পাদকীয়টির শুরুতেই বলা হয়, ‘পূর্ব পাকিস্তানে গতকাল মারাত্মক সহিংসতা এবং চরম রাজনৈতিক সংকটে পতিত হয়েছে। প্রদেশটির বাঙালি জাতীয়তাবাদের অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানি হামলার মোকাবেলায় দেশটির সর্বসাধারণকে বীরের ন্যায় প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন এবং দেশটির স্বাধীনতার ঘোষণা প্রদান করেছেন। ’একই তারিখে প্রকাশিত হয় ‘প্রেসিডেন্ট সেইজ ট্রেইটরস মাস্ট বি পানিশড’ শিরোনমে আরো একটি সংবাদ। বলাবাহুল্য এ সংবাদে প্রেসিডেন্ট বলতে বোঝানো হয়েছিল পাকিস্তানের সেই সময়ের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান এবং ট্রেইটর বলতে আমাদের জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে। ২৬ মার্চ তারিখের দিল্লির উদ্ধৃতি দিয়ে সংবাদটির শুরুতেই বলা হয়, ‘ইস্ট পাকিস্তান সীমান্ত থেকে খবর পাওয়া একটি রেডিও ঘোষণা অনুযায়ী, শেখ মুজিবুর রহমান আজ ইস্ট পাকিস্তানকে সার্বভৌম, স্বাধীন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন।’
‘প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া ঢাকা থেকে ৫৬ মাইল দূরবর্তী আগরতলায় শ্রুত সংবাদের ওপর ভিত্তি করে এই সংবাদ প্রকাশ করে। পিটিআই জানায় যে রেডিও ঘোষণাটি বঙ্গবন্ধু কর্তৃক ঘোষিত হয়নি, বরং সেটা অশনাক্ত একজন ব্যক্তি কর্তৃক ঘোষিত হয়।’ সংবাদটিতে আরো বলা হয়, শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি অনুগত বাহিনী মারাত্মক সংঘর্ষের পর পশ্চিম পাকিস্তানি বাহিনীকে পিছু হটতে বাধ্য করে এবং রেডিও পাকিস্তানের চট্টগ্রাম কেন্দ্র দখল করে নেয়।’ সংবাদটিতে এরপর উল্লেখ করা হয় যে, ‘রেডিও ঘোষণাটিতে ‘স্বাধীন বাংলাদেশের সকল নাগরিককে, শেষ শত্রু সৈন্যটি শেষ না হওয়া পর্যন্ত স্বাধীনতার আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। ঘোষণায় শেখ মুজিবুর রহমানকে “স্বাধীন বাংলাদেশের জনগণের একমাত্র নেতা” হিসেবে ঘোষণা করা হয় এবং “বর্বর পশ্চিম পাকিস্তানি স্বৈরনায়কদের” হাত থেকে বাংলাদেশকে রক্ষা করার জন্য তার নির্দেশ মেনে চলার জন্য দৃঢ় আহ্বান জানানো হয়।’
একই দিনে টাইম পত্রিকায় বঙ্গবন্ধুর ওপর প্রকাশিত হয় আরো একটি নিবন্ধ, যেখানে উনি যে একজন কতো বড় মাপের নেতা, তা নিবন্ধকার পল মার্টিন তার লেখায় তুলে ধরেন। “দি মেকিং অব এ মার্টার” শিরোনামের প্রবন্ধটি শুরুতেই তিনি উল্লেখ করেন যে, ‘পূর্ব পাকিস্তানের নেতা শেখ মুজিবুর রহমান, পাকিস্তানে সেনা জান্তার বিরুদ্ধে যিনি তার জাতিকে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের নির্দেশ দিয়েছেন, প্রতিটি মানুষের কাছে তার পরিচিতি আজ প্রতিরোধের প্রতীক হিসেবে। আজ, বাঙালি জাতির আন্দোলনের নেতৃত্বের এক চরম সন্ধিক্ষণে তার দলকে ভোট প্রদানকারী ৯৬% জনগণের চাইতে, আজ আরো অনেক বেশি সংখ্যক বাংলাদেশী তার ডাকে সাড়া দিবেন।’
পল মার্টিন বলেন, ‘আমার সঙ্গে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তাচ্ছিল্যের সঙ্গে তিনি বলেন, “আসতে দাও পাক সেনাদের। নিয়ে যাক আমাকে কারাগারে। আপনি নিজেই দেখছেন, আমার কোনো দেহরক্ষী নাই। তাদের সবার কাছেই অস্ত্র। তারা আমাকে হত্যা করতে পারে। সত্যি কথা বলতে তারা আমার পরিবারের সবাইকেও হত্যা করতে পারে। কিন্তু তাদের সবাইকে জানিয়ে দিন যে ৭.৮ কোটি মানুষের চেতনাকে তারা হত্যা করতে পারবে না। আমার জনগণ আমার পেছনে রয়েছে এবং তাদের অধিকার আদায়ের জন্য তারা মরতেও প্রস্তুত। বন্দুক কখনই বাংলার মানুষকে স্তব্ধ করতে পারবে না।”
নিবন্ধটিতে পল মার্টিন বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক উত্থানের বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, ‘মিশনারি স্কুলে শিক্ষা শেষ করে শেখ মুজিবুর রহমান দেশ বিভাগের অল্প কিছুদিন আগে কলকাতা ইসলামিয়া কলেজ থেকে গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেন। তার সক্রিয় রাজনীতি শুরু হয় যখন তিনি অল ইন্ডিয়া মুসলিম স্টুডেন্টস ফেডারেশন, যা পরে মুসলিম লীগ হিসেবে পরিচিত লাভ করে, তার কাউন্সেল নির্বাচিত হন। যাই হোক, দেশ ভাগের পর তিনি মুসলিম লীগ থেকে সরে আসেন এবং বাংলা ভাষা আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অপরাধে সেই সময়ের ক্ষমতাসীন মুসলিম লীগ কর্তৃক কারাবন্দী হন। পাকিস্তানের পরবর্তী শাসকদের হাতে তাকে চার চারবার কারাদ- ভোগ করতে হয়।’
প্রবন্ধটিতে এরপর উল্লেখ করা হয় যে, ‘যে ঘটনাটি শেখ মুজিবুর রহমানকে রাজনীতির শীর্ষে নিয়ে যায় এবং যা তাকে পরবর্তীতে পূর্ব পাকিস্তানের অবিসংবাদিত নেতায় পরিণত করে, তাহলো ১৯৬৬ সালে আইয়ুব খান জান্তা কর্তৃক পাকিস্তানের নিরাপত্তা আইনের অধীনে তাকে আটক। কারাগারে ২১ মাস অতিবাহিত করার পর শেখ মুজিবুর রহমানকে সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেয়া হয় এবং তাকে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার প্রধান আসামি হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয় যে তিনি সামরিক বাহিনীর কতিপয় সদস্যের সঙ্গে একত্রিত হয়ে পূর্ব পাকিস্তানের স্বাধীনতার ষড়যন্ত্র করছিলেন।’ ‘শেখ মুজিবুরের গ্রেপ্তার এবং বিচার চলাকালে সারা পূর্ব পাকিস্তানজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ ঘটতে দেখা যায়, যা প্রায় এক বছর ধরে চলতে থাকে। এই সময় তিনি বাঙালি জাতীয়তাবাদের মূল কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হন। এখানে উল্লেখযোগ্য যে এই মামলার অসমাপ্ত পরিণতি এবং ফলস্বরূপ শেখ মুজিবুর রহমানের মুক্তিই আইয়ুব সরকারের পতন ডেকে আনে এবং ইয়াহিয়া সরকারকে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করে।’ বঙ্গবন্ধুরই একটি উদ্ধৃতি দিয়ে পল মার্টিন তার নিবন্ধটি শেষ করেন, যা হলো, “আমি একজন আশাবাদী। আমি সবচেয়ে ভালোটা আশা করি, কিন্তু আমি সবসময়ই সবচেয়ে খারাপের জন্য প্রস্তুত থাকি।”
অত্যন্ত দুঃখের বিষয় পাকিস্তানি বাহিনী তাকে হত্যা করার ধৃষ্টতা না দেখালেও তারই একক নেতৃত্ব এবং দিকনির্দেশনায় স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের মাত্র চার বছরের মাথায় কতিপয় সেনা সদস্যের হাতে তাকে সপরিবারে নিহত হতে হয়। সেই নির্মম হত্যাকা- থেকে যে ব্যক্তিটিকে সর্বাধিক সুবিধাভোগী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়ে থাকে, বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে সম্প্রতি করা দুরভিসন্ধিমূলক মন্তব্যগুলো তারই জ্যেষ্ঠ পুত্রের, যিনি নিজে দুর্নীতি মামলার কারণে দেশে গ্রেপ্তার এড়াতে ব্রিটেনের আশ্রয়াধীন রয়েছেন। ব্রিটেনের একটি স্থানীয় সাপ্তাহিকের মতে তারেক জিয়া যে হলটিতে তার সাম্প্রতিক সমাবেশটি করেছিলেন, তার ভাড়া পরিশোধেও কার্ড জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে বর্তমােেন যুক্তরাজ্য বিএনপির একজন শীর্ষস্থানীয় নেতাকে বহিষ্কারের ঘটনাও জানিয়েছে পত্রিকাটি। সে যাই হোক, আমি যুক্তরাজ্য বিএনপির অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মন্তব্য করতে ইচ্ছুক নই। আমি শুধু চাইবো দেশে এবং বিদেশে অবস্থানরত সকল বাংলাদেশী একটি মন্তব্য গ্রহণ করার আগে তার পেছনে কোনো দুরভিসন্ধি রয়েছে কিনা তা জানার চেষ্টা করবেন এবং সত্য গ্রহণের মাধ্যমে নিজের স্বকীয়তা অক্ষুণœ রাখবেন।
(দি টাইমস পত্রিকার এই সবগুলো সংখ্যার কাগজ-সংস্করণ ব্রিটিশ লাইব্রেরির আর্কাইভে সংরক্ষিত রয়েছে। এর পাশাপাশি টাইমস ডিজিটাল আর্কাইভ ১৭৮৫ সাল থেকে ২০০৬ পর্যন্ত টাইমস পত্রিকার প্রতিটি সংস্করণ ইলেকক্ট্রনিক মাধ্যমে সংরক্ষণ করে আসছে।)
সুত্র
২| ০৫ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৭
রওনক বলেছেন: ঘটনার ১ দিন আগেই খবর প্রকাশ!!!!
৩| ১১ ই মে, ২০১৪ রাত ৯:২৩
াহো বলেছেন: ২৭ মার্চ 1971
টাইমস (লন্ডন )
স্বাধীনতার জন্য সশস্ত্র যুদ্ধ(মুজিব স্বাধীনতার ঘোষণা)
শেখ মুজিবকে বিশেষ নিবন্ধ,
সম্পাদকীয় বাংলাদেশ পরিস্থিতি
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৬
রওনক বলেছেন: ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ টাইমস সংখ্যায় প্রকাশিত হয় টাইমস-এর সেই সময়ের ঢাকায় অবস্থানকারী বিশেষ প্রতিনিধি পল মার্টিনের প্রেরিত “বেঙ্গলিজ আউট ফর ইন্ডিপেন্ডেন্স বাই এনি মিনস”!!!!
বাহ!! টাইমস তো ভাল ভবিষ্যতবানী করতে পারে!!!