নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।
(পূর্ব প্রকাশের পর)
জনকণ্ঠে একই কলামে আবুল খায়ের আরও লিখেছেন, ‘১৯৬৮-৬৯-এ আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা নামে খ্যাত ‘রাষ্ট্র বনাম শেখ মুজিব ও অন্যান্যদের মামলা’য় পাকিস্তান সামরিক সরকারের কৌঁসুলি কর্নেল মুস্তাফিজুর রহমানের সহকারী ছিলেন। কথিত আছে বঙ্গবন্ধুর কাছ থেকে সামরিক সরকারের পক্ষে কথা আদায়ে এই দু’জন বঙ্গবন্ধুকে জেরা ও নির্যাতন করেন (সূত্র : জেনারেল জিয়ার রাজনীতি, আবীর আহাদ)।’ (উল্লেখ্য, ওই কর্নেল মুস্তাফিজকে জিয়া করেছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। আর শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী ও খুনী আব্দুল আলিমকে রেলমন্ত্রী)। সে যাই হোক বা যেমন করেই হোক তিনি মুক্তিযোদ্ধার লেবাস পরেছিলেন যে পাকিস্তানী চক্রান্তের কৌশল হিসেবে তা ’৭৫ পরবর্তীতে দিনের মতো পরিষ্কার হয়েছে। খুলে গেল তার মুখোশ, ফেলে দিলেন জয়বাংলা, ফিরে গেলেন জিন্দাবাদে। অনেকেই বলেন, জিয়াকে বঙ্গবন্ধু বীরউত্তম খেতাব দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর খুনি ডালিমও বীরউত্তম খেতাবপ্রাপ্ত। এদের খেতাব দেয়ার পেছনে মূল উদ্যোক্তা ছিল জে. ওসমানী; যিনি মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক এবং সাধারণ মুক্তিযোদ্ধারা বঞ্চিত হয়েছে পুরস্কার থেকে। আর পুরস্কৃত হয়েছেন তাদের অনেকেই পাকিস্তানী গুপ্তচর। ইতোপূর্বে একটি লেখায় আমি দাবি জানিয়েছি-যারা জয় বাংলা বর্জন করেছে তাদের খেতাব বাতিল করতে হবে।
দীর্ঘ ৪৩ বছর পরে তার পুত্র এবং স্ত্রী যখন দাবি করেন যে জিয়া প্রথম রাষ্ট্রপতি অর্থাৎ ’৭৫ পরবর্তীতে জিয়া রাষ্ট্রপতি পদ দখল করার আগে এদেশ স্বাধীন ছিল না বলেই তারা এই ধৃষ্টতা দেখাতে সাহস পাচ্ছে।
বঙ্গবন্ধু জাতির জনক এবং ঘোষক। তাঁর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের ধারাবাহিকতায় ২৬ মার্চ বন্দী হওয়ার পূর্বে যে চূড়ান্ত ঘোষণা দেন তা প্রতিষ্ঠিত সত্য, দালিলিক তথ্য দ্বারা প্রমাণিত সারাবিশ্বে প্রচারিত ঘোষণাটি ছিল এরূপ:
This may be my last message from today Bangladesh is independent. I call upon the people of Bangladesh where ever you are might be and with whatever you have, to resist the army of occupation to the last. Your fight must go until the last solder of the Pakistan Army is expelled from the soil of Bangladesh and final victory is achieved.
বঙ্গবন্ধুর উল্লেখিত ঘোষণা সমগ্র দেশে ইপিআর ওয়ারলেস এবং টিএনটির মাধ্যমে প্রচারিত হয় ২৬ মার্চের প্রথম প্রহর থেকেই; যা দেশের সর্বত্র পৌঁছেছিল। চট্টগ্রামে এই তথ্য পৌঁছে রাত ১২টা নাগাদ এবং তা সূত্রে সে রাতেই লিফলেট বিতরণ এবং মাইকে মাইকিং বঙ্গবন্ধুর ঘোষণার বাণী প্রচার করা হয়। ২৬ মার্চ দুপুর পৌনে ২টায় চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগ জেলা সম্পাদক এম এ হান্নান চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্র (যা বন্ধ ছিল তা খুলে) স্বকণ্ঠে এই ঘোষণা প্রদান করেন কালুরঘাট ট্রান্সমিটিং সেন্টার থেকে।
এছাড়া উল্লেখ্য, ৩ মার্চ পল্টন ময়দানে বিশাল সমাবেশে ছাত্রনেতৃবৃন্দ (নূরে আলম সিদ্দিকী, শাজাহান সিরাজ, আব্দুল কুদ্দুস মাখন, আসম রব এবং অন্যান্য) যে স্বাধীনতার ইস্তেহার পাঠ করেন তাতে বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশের সর্বাধিনায়ক হিসেবে উল্লেখ রয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য দেশের প্রতিষ্ঠাতা প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহম্মেদের গঠিত মুজিব নগর সরকার ১০/৪/১৯৭১ তারিখে সরকার গঠন এবং শপথ গ্রহণকালে ২৬/৩/৭১ থেকে কার্যকর যে আনুষ্ঠানিক ‘স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র’ দলিলটি বিধিবদ্ধ করেন তাতে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে,
‘‘... যেহেতু এরূপ বিশ্বাসঘাতক (পাকিস্তানের) আচরণের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের সাড়ে ৭ কোটি মানুষের অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণের আইনানুগ অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ১৯৭১ সনের ২৬শে মার্চ ঢাকায় যথাযথভাবে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং বাংলাদেশের মর্যাদা ও অখ-তা রক্ষার জন্য বাংলাদেশের জনগণের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান”
...সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্ররূপে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠা ঘোষণা করিলাম এবং তদ্বারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক ইতিপূর্বে ঘোষিত স্বাধীনতা দৃঢ়ভাবে সমর্থন ও অনুমোদন করিলাম, এবং
এতদ্বারা দৃঢ়ভাবে ঘোষণা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিতেছি যে, সংবিধান প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপতি থাকিবেন এবং সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রজাতন্ত্রের উপ-রাষ্ট্রপতি থাকিবেন, এবং ...
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের চতুর্থ তফসিল অনুচ্ছেদ ১৫০ ক্রান্তিকালীন ও অস্থায়ী বিধানাবলী অংশের উপ অনুচ্ছেদ ৩(১) সংবিধানের উৎস হিসাবে স্বীকৃত এবং সংবিধান প্রণেতা গণপরিষদ কর্তৃক অনুমোদিত যা পরবর্তীতে কেউ বর্জন বা পরিমার্জন করেননি।
এর ফলে স্বাধীনতার ঘোষক বিষয়টি মীমাংসিত। বঙ্গবন্ধু ব্যতীত অন্য কাউকে স্বাধীনতার ঘোষক বলা অসাংবিধানিক এবং রাষ্ট্রদ্রোহ। কিন্তু এই অংশটি ৩১/১২/১৯৯৮ এবং ৩০/৫/২০০০ তারিখে সংশোধিত সংবিধানের পৃষ্ঠা ১৮২ অথবা ৯০ তে সংবিধানের সঙ্গেই সংযুক্ত ছিল। কিন্তু বিগত ২০০৪ সালে জামায়াত-বিএনপি জোট সরকার সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৫০(৩) সংবিধানের উৎস হিসেবে “স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র উল্লেখ রেখেই উক্ত পৃষ্ঠাটি বাদ দিয়ে পুনর্মুদ্রণ করে সংবিধানের অঙ্গচ্ছেদ ঘটিয়েছে যা রাষ্ট্রদ্রোহ। কিন্তু সর্বোচ্চ আদালত তা বাতিল এবং জিয়ার শাসনকালের অবৈধ ঘোষণা এবং জিয়াকে ঠাণ্ডা মাথার খুনি হিসাবে শনাক্ত করা হয়েছে। ২০১১ সালে কোর্ট এর আদেশে এবং সংসদে সংশোধিত সংবিধানে এসব দলিল ৭ মার্চের ভাষণ এখন সংবিধানের অংশ।’’
উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, জামায়াত-জোট সরকারের আইনমন্ত্রী এবং এখনও বিএনপির শীর্ষ নেতা মওদুদ আহমেদ ১৯৮৩ সালে ইধহমষধফবংয ঊৎধ ড়ভ ঝযবরশয গঁলরনঁৎ জধযসধহ গ্রন্থে উক্ত ঘোষণাপত্রটি সংযোজনী হিসেবে মুদ্রিত রয়েছে। উক্ত গ্রন্থে বিস্তারিত তথ্য রয়েছে বঙ্গবন্ধু ১০ জানুয়ারি দেশে ফেরার পরে কিভাবে রাষ্ট্রপতি থেকে বৈধভাবে প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু ১১ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহম্মেদের বাড়িতে এক বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেন যে, তিনি পার্লামেন্টারি ফর্মে দেশ চালাতে অঙ্গীকারবদ্ধ। সুতরাং ১০ জানুয়ারি স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র সংশোধন প্রয়োজন। এই মর্মে প্রথমে তিনি বিচারপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েমকে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দিলেন এবং তার কাছে রাষ্ট্রপতি শপথ গ্রহণ করে পরে পদত্যাগ করে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। একই সঙ্গে বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরীকে রাষ্ট্রপতি নিয়োগ দেয়া হয় এবং তিনি প্রধান বিচারপতির কাছে শপথ গ্রহণ করেন। পরে রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধুকে ১২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দেন এবং শপথ পরান। অন্যান্য মন্ত্রীও একইভাবে নিয়োগ এবং রাষ্ট্রপতির কাছে শপথ নেন। এসব কিছুই আইনসম্মতভাবে প্রজ্ঞাপন গ্যাজেট নোটিফিকেশন ইত্যাদি যথাযথভাবে পালিত হয়েছে।
এতদসত্ত্বেও জিয়াকে যারা স্বাধীনতার ঘোষক এবং সর্বশেষ ২৬/৩/১৪ তারিখে প্রথম রাষ্ট্রপতি দাবি করেন তাদের অবগতির জন্য জিয়ার মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণে এবং বেতার কেন্দ্রে গমনের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরা নাগরিক দায়বদ্ধতা।
মেজর জিয়া ২৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর পক্ষে চট্টগ্রামে বেতার ভাষণ দেন। কিন্তু পরবর্তীতে বিশেষ করে ১৯৯১ সালে বিএনপি নির্বাচনী ইস্তেহারে তারিখটি ২৭-এর বদলে ২৬ দাবি করে। এখনও তাই চলছে বরং জঘন্য মাত্রায়। একধাপ এগিয়ে রাষ্ট্রপতি বানিয়ে। শুধু তাই নয়, ১৯৭৬ সালের ২৬ মার্চ সাপ্তাহিক বিচিত্রায় সম্পাদকীয় লিখেছিল এভাবে, “১৯৭১ সনে ২৬শে মার্চ মেজর জিয়া বাংলাদেশের যে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন জাতি তার ষষ্ঠবার্ষিকী পালন করছেন।” এখান থেকে ইতিহাস বিকৃতি শুরু। সেই সূত্রে প্রথম আলোর ১৯-০১-২০০৪ সংখ্যায় প্রথম পৃষ্ঠায় “আজ প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৬৮ তম জন্মবার্ষিকী” শিরোনামে নিজস্ব প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে তিনি “১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে এবং সেক্টর কমান্ডার হিসেবে বীরত্বের সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে বীরউত্তম খেতাবে ভূষিত হন।” কিন্তু সত্য হচ্ছে যে, সেক্টর কমান্ডারের জন্য কোন খেতাব দেয়া হয়নি। আর সব সেক্টর কমান্ডার (১১জন) সহ ৫৯ সেনা কর্মকর্তা/সৈনিক, ৮জন পাইলট এবং ৫জন সিভিলিয়ানসহ মোট ৭২ জনকে বীরউত্তম খেতাব দেয়া হয়।
২৫-২৭ মার্চ মেজর জিয়া কোথায় কি করছিলেন? কখন, কিভাবে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে অবস্থান এবং বেতার কেন্দ্রে গমন, ইতিহাসের এসব প্রাসঙ্গিক তথ্যসমূহ লিপিবদ্ধ রয়েছে জিয়া লিখিত দুটি প্রবন্ধে
(ক) সেদিন চট্টগ্রামে যেমন করে স্বাধীনতার লড়াই শুরু হয়েছিল- দৈনিক বাংলা ২৫/২৬ মার্চ ১৯৭২ (স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র: নবম খ- পৃঃ+৪০-৪৫)।
(খ) একটি জাতীয় জন্ম-সাপ্তাহিক বিচিত্রা ২২ মার্চ, ১৯৭৪।
জিয়ার এসব প্রবন্ধে ‘বঙ্গবন্ধু আমাদের জাতির জনক’ এবং ‘৭ মার্চের ভাষণ গ্রীন সিগন্যাল’ বলে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে।
মেজর জিয়া ছাড়াও তার তৎকালীন সহকর্মী ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট লে. জে. মীর শওকত আলী বীরউত্তম, লে. শমশের মবিন চৌধুরী, ব্রিগেডিয়ার হারুন আহম্মদ চৌধুরী, মেজর এনাম, মেজর রফিক-উল-ইসলাম বীরউত্তম, মে. জেনারেল সুবিদ আলী ভূঁইয়া প্রমুখ ৮ সেনা কর্মকর্তার লিখিত বক্তব্য রয়েছে জেনারেল জিয়া কর্তৃক ১৯৭৭ সালে নিযুক্ত তথ্য মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প দ্বারা সংকলিত ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ দলিল (মোট ১৬) নবম খ-ের’ পৃঃ ৪০-১২৭ পৃষ্ঠায়।
মেজর জিয়ার ইউনিট ছিল চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্টের ৫ মাইল দূরে ষোলশহর টিসিবি গুদাম, বর্তমানে শপিং কমপ্লেক্স। সংশ্লিষ্ট দলিলসমূহে বর্ণিত তথ্যাদিতে দেখে যায় যে ২৫ তারিখ সন্ধ্যা থেকে বাঙালীরা বিশেষ করে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের সড়ক ও জনপথে বেরিকেড এবং সোয়াত জাহাজ থেকে অস্ত্র খালাসের যে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছিল তার বিরুদ্ধে মেজর ইউনিটের অবস্থান ছিল। জিয়ার ভাষায় “২৫ মার্চ (’৭১) রাত সাড়ে এগারটায় সোয়াত জাহাজ থেকে অস্ত্র খালাসের জন্য ষোলশহর ইউনিট থেকে বন্দরে রওনা হন। কিন্তু আগ্রাবাদে (প্রকৃত স্থান পাঠানপুটল ১১ তলা সাধারণ বীমা ভবন) রাস্তার বেরিকেড সরিয়ে সরিয়ে যেতে তার দেরি হচ্ছিল। এক পর্যায়ে তার সৈনিকসহ ট্রাক থেমে পড়ে”। আওয়ামী লীগ নেতা ডা. জাফর “বঙ্গবন্ধু ঘোষিত স্বাধীনতা রক্ষার জন্য বাঙালী সৈনিকদের আহ্বান জানালে ডিউটি অফিসার ক্যাপ্টেন খালেকুজ্জামান তাকে আগ্রাবাদ থেকে ইউনিটে ফেরত আসতে বাধ্য করে। এরপর জিয়ার ভাষায় “শুরু হলো বিদ্রোহ। রাত তখন দুটো” (২৬ মার্চ)। ইউনিটে এসে জিয়া কি করেন তা বিধৃত রয়েছে লে. (অব.) শমশের মবিন চৌধুরীর (অবসরপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব এবং বর্তমানে ম্যাডাম খালেদার উপদেষ্টা) ভাষায় (নবম দলিল খ- পৃঃ ৫৯)ঃ- “মেজর জিয়াউর রহমানের নির্দেশে সবাইকে এক জায়গায় একত্রিত করা হলো। মেজর জিয়াউর রহমান টেবিলের উপর উঠে বক্তৃতা করলেন। তিনি বললেন, “আজ থেকে আমি অষ্টম বেঙ্গলের কমান্ডিং অফিসার। আমি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ গ্রহণের সংকল্প ঘোষণা করলাম। এবং আমার নির্দেশেই সব কিছু চলবে। আপনারা সবাই আমার সঙ্গে থাকবেন। এখন এখানে থাকা আমাদের জন্য নিরাপদ নয়। আমরা সবাই কালুরঘাটের দিকে যাবো। যেখানে গিয়ে আমরা রিঅরগানাইজ করবো”।
(চলবে) সত্র
©somewhere in net ltd.