নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা বলিব সত্য বলিব

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।

তালপাতারসেপাই

লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।

তালপাতারসেপাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

জিয়াউর রহমান ৩২ নম্বরে মিলাদ পড়তে দেননি।

১৮ ই মে, ২০১৪ সকাল ৯:৩৩

স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ৩৩তম বর্ষপূর্তি দিবসে সর্বস্তরের মানুষের প্রাণঢালা ভালবাসা, শ্রদ্ধা আর শুভেচ্ছায় স্নাত হলেন শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা।



শেখ হাসিনা বলেন, দেশের মানুষের কল্যাণ করার জন্য আমি দেশে ফিরে এসেছিলাম। সারাজীবন দেশের মানুষের উন্নয়ন ও ভাগ্যের পরিবর্তনে সততার সঙ্গে কাজ করে যেতে চাই। বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে চলতে চাই। সততার সঙ্গে কাজ করছি বলেই সৃষ্টিকর্তা ছাড়া আর কারো কাছে মাথা নত করিনি এবং ভবিষ্যতেও করবো না। সাহস, সততা আর বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের কাজ করার নির্দেশ দেন তিনি।

পঁচাত্তরের নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর ১৯৮১ সালের ১৭ মে প্রথম বারের মত দেশে ফেরেন জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনা। বাবা-মা, ভাই-বোনসহ পরিবারের প্রায় সবাইকে হারিয়ে ছয় বছর দুঃসহ যন্ত্রণা নিয়ে তার প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন তিনি।

জীবনের কঠিনতম এই সময়ের কথা বলতে গিয়ে আবেগ-আপ্লুত শেখ হাসিনা বলেন, আজ আমি যত সহজে কথাগুলো বলছি, তখনকার পরিস্থিতিতে বিষয়গুলো মেনে নেয়া এত সহজ ছিল না। দূরে বসে জানা আর ফিরে এসে শূন্যতা দেখা খুবই কঠিন। তিনি বলেন, দেশের ওই ক্রান্তিকালীন সময়ে আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাকর্মীরাই তাকে এগিয়ে যাওয়ার সাহস যুগিয়েছিল।

ইতিহাসের করুণ ও বিপর্যস্ত সেই দিনগুলোর কথা স্মরণ করতে গিয়ে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন শেখ হাসিনা। তিনি দু'চোখের অশ্রু ধরে রাখতে পারেননি। কখনো বাষ্পরুদ্ধ কণ্ঠে কথা চালিয়ে যান শেখ হাসিনা। কথা থামিয়ে চোখের পানি মুছছিলেন ক্ষণে ক্ষণে। এ সময় উপস্থিত অনেককে কাঁদতে দেখা যায়। এক পর্যায়ে হু হু করে কেঁদে ফেলেন শেখ হাসিনা।



কাঁদতে কাঁদতেই তিনি বলেন, একদিন আব্বাকে স্বপ্নে দেখলাম। আমি আব্বাকে বলছি, আপনি কোথায়? আওয়ামী লীগ যদি ভেঙে যায়, আমরা দেশে ফিরতে পারবো না। আব্বা বললেন, চিন্তা করিস না। পার্টি ইউনাইটেড থাকবে। পিন পতন নিস্তবদ্ধতায় শেখ হাসিনার এক একটা কথা যেন কষ্টগাঁথা ছিল। শেখ হাসিনা বলেন, সে সময় শুধু একটাই চিন্তা ছিল। দেশে গণতান্ত্রিক ধারা ফিরিয়ে আনতে হবে। সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে।



শেখ হাসিনা বলেন, রাতে কারফিউ জারি করে দেশ চালাতেন জিয়াউর রহমান। জিয়াউর রহমান সে সময়ে ৩২ নম্বরে গিয়ে আমাকে বাবা-মা ও পরিবারের সদস্যদের জন্য মিলাদ পড়তে দেননি। তখন রাস্তায় ও লেকের পাড়ে বসে আমাকে পরিবারের সদস্যদের জন্য মিলাদ ও দোয়া পড়তে হয়েছে। তখন ওই বাড়ির দরজার সামনে বসে থাকতাম।



কান্নাজড়িত কণ্ঠে শেখ হাসিনা বলেন, যেদিন দেশে ফিরি সেদিন লাখো মানুষের ঢল ছিলো, তাদের ভালোবাসা ছিলো। কিন্তু ছিলো না সেই ভালোবাসার মানুষগুলো, যাদের ভালোবাসাই সবচেয়ে বেশি প্রত্যাশিত। তিনি বলেন, সবাইকে রেখে দেশ ছেড়েছিলাম কিন্তু ফিরে এসে দেখি কেউ নেই।

সেদিনটার কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, আমি চিন্তাও করিনি কোথায় থাকবো, কোথায় উঠবো। দু'টো সুটকেস হাতে নিয়ে ফিরে এসেছিলাম। যখন বাংলাদেশ থেকে যাই, তখন মা-বাবা ভাই সব ছিলো। রাসেল বিদায় দিতে এয়ারপোর্টে গিয়েছিলো। লাখো মানুষের ভালবাসা পেলাম। কিন্তু আমার ভালোবাসার মানুষগুলোকে পেলাম না। পেলাম বনানী কবরস্থানে সারি সারি কবর। এই পরিস্থিতি আমার জন্য বড়ই কঠিন ছিলো।



শেখ হাসিনা বলেন, সততাই সর্বোত্কৃষ্ট শক্তি। আল্লাহ যখন মানুষকে কোন কাজ দিয়ে দুনিয়ায় পাঠান তখন সেটি শেষ না হওয়া পর্যন্ত তিনিই তাকে সাহায্য করে থাকেন।

তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট থেকে ৮৬ সালের নির্বাচনের আগ পর্যন্ত প্রতি রাত ১১টা থেকে ভোর ছয়টা পর্যন্ত কারফিউ থাকতো। যে দেশে রাতে কারফিউ দিয়ে দেশ চালায় সে দেশে গণতন্ত্র থাকে কি করে?

যারা বলেন জিয়া দেশে গণতন্ত্র এনেছে তাদের কাছে আমার এটাই প্রশ্ন। তিনি বলেন, সামরিক শাসন আর গণতন্ত্রহীনতার মধ্য দিয়ে পার করা এই সময়টাতে বাংলাদেশে স্বাধীনতা বিরোধীরা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, সে সময় সেনাবাহিনীতে মুক্তিযোদ্ধা অফিসারদের একের পর এক হত্যা করা হয়। জিয়াউর রহমান একসঙ্গে সেনাপ্রধান ও রাষ্ট্র প্রধানের ভূমিকায় থেকে এসব হত্যাকাণ্ড ঘটান। ১৮ থেকে ১৯ বার সেনাবাহিনীতে ক্যু হয়েছিল।



পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারের হত্যার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে শেখ হাসিনা আরো বলেন, মাত্র ১৫ দিন আগে দেশ ছেড়ে গিয়েছিলাম। ভাগ্যের এই বিপর্যয় ঘটবে ভাবতে পারিনি। সবাইকে ছেড়ে গেলাম। একদিন দেখি নিঃস্ব। কোথায় যাবো, কি করবো জানি না।

ভারতের শেখ হাসিনা ইন্দিরা গান্ধী এবং যুগোস্লাভিয়ার মার্শাল টিটো আমাদের সব দায়িত্ব নেন। জার্মানি থেকে ভারতের আসার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, তখনো ভাবিনি সব হারিয়েছি। কেউ বলছে, মা বেঁচে আছে। শুনি, রাসেল বেঁচে আছে।



ভারতে এসে ইন্দিরা গান্ধীর কাছে সব জানতে পারলাম।



জার্মানিতে তত্কালীন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন রশিদ চৌধুরী সরকারি কর্মকর্তা হওয়া সত্ত্বেও সাহায্য করলেন।



বঙ্গবন্ধু সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কামাল হোসেনের নিষ্ক্রিয়তায় বিস্ময় প্রকাশ করে শেখ হাসিনা বলেন, আব্বার ফরেন মিনিস্টার ওই সময় দেশের বাইরে ছিলেন। ১৬ তারিখ (১৬ আগস্ট ১৯৭৫) তার সঙ্গে দেখা হলো। একটা স্টেটমেইন্ট দিতে বললাম। কিন্তু তিনি দিলেন না। তিনি বলেন, বাবার মন্ত্রীদের কাছ থেকে সহযোগিতা পাইনি। একটা প্রেস কনফারেন্স করেনি, খোঁজও নেয়নি।

শেখ হাসিনা বলেন, আমি সবসময় একটা বিষয়েই জোর দিয়েছি, আমার জন্য দেশের ও দলের যেনো কোনও ক্ষতি না হয়। আমার কারণে যেনো দলের নেতা-কর্মীদের হেয় হতে না হয়। তিনি বলেন, আমি বাবা বঙ্গবন্ধুর কাছ থেকে শিখেছি দেশ ও দেশের মানুষকে কিভাবে ভালোবাসতে হয়। মা ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, বাবা যখন জেলে থাকতেন তখন মাকেই দেখেছি দল সামলাতে। তার কাছ থেকেও আমি রাজনীতির শিক্ষা পেয়েছি।

সুত্র

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই মে, ২০১৪ সকাল ১০:০৯

ইনফা_অল বলেছেন: বংগবন্ধু কে যখন খুন করা হয় তখন খন্দকার মোস্তাক (যিনি মুজিব সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ছিলেন) ছিলেন তখন ক্ষমতায়। আর সেন প্রধান ছিলেন খন্দকার কে এম শফিউল্লাহ-যিনি আওয়ামী লীগ সরকারের পরিকল্পনা মন্ত্রী ছিলেন।

লেখক ইতিহাস বড়ই নিষ্ঠুর। শুধু কপি পেস্ট এর উপর নির্ভর করবেন না। একটু লেখা পড়া করে লিখুন।

১৮ ই মে, ২০১৪ সকাল ১০:২৩

তালপাতারসেপাই বলেছেন: খোন্দকার মোশতাক ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু সরকারের বাণিজ্যমন্ত্রী ছিলেন। আজীবন মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা-সিআইএর বিশ্বস্ত সেবাদাস-অনুচর এই মোশতাক ছিলেন ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মুজিবনগর সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

আপনি একটু নোট নিন, মুজিব সরকারের ও মুজিবনগর সরকার এক নয়।

ইতিহাস বড়ই নিষ্ঠুর। জামায়াতের তথ্যের উপর নির্ভর করবেন না। একটু সঠিক ইতিহাস লেখা পড়া করে নিন। B-))

১৮ ই মে, ২০১৪ সকাল ১০:৪১

তালপাতারসেপাই বলেছেন: লন্ডনে বাংলানিউজকে দেওয়া এক এক্সক্লুসিভ স্মৃতিচারণে বঙ্গবন্ধু তনয়া শেখ রেহানাঃ

প্রেস কনফারেন্স করার অনুরোধ রাখলেন না ড. কামাল : শেখ রেহেনা জানান, ড. কামাল হোসেন ওই সময় জার্মানিতে আসেন। তিনিও খুব কান্নাকাটি করছিলেন। বঙ্গবন্ধু সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে তিনি তখন দেশের বাইরে সফরে ছিলেন। ঢাকার পরিস্থিতি নিয়ে তার কাছেও সঠিক কোনো খবর নেই।
ড. কামাল হোসেনকে একটি প্রেস কনফারেন্স আয়োজনের অনুরোধ জানিয়েছিলেন স্মরণ করে বঙ্গবন্ধু তনয়া বলেন, কামাল হোসেন সাহেবকে বললাম- চাচা আপনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী, একটি প্রেস কনফারেন্স করে বিশ্ব মিডিয়াকে প্রকৃত অবস্থা একটু বলুন। আমাদের কূটনৈতিক মিশনগুলোকে ডিফেন্ড করতে অনুরোধ করুন। কিন্তু তিনি আমার অনুরোধের গুরুত্ব দিলেন না। হয়তো ছোট মানুষ হিসেবে এই অনুরোধের কোনো গুরুত্ব নেই বলেই তিনি ভেবেছিলেন। তবে ওই সময় যদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী কামাল হোসেন একটি প্রেস কনফারেন্স করতেন তখন পরিস্থিতি হয়তো

১৮ ই মে, ২০১৪ সকাল ১০:৪৩

তালপাতারসেপাই বলেছেন: স্মৃতিচারণে বঙ্গবন্ধু তনয়া শেখ রেহানা

২| ১৮ ই মে, ২০১৪ সকাল ১০:৩৮

একে৪৭ বলেছেন: দুজনকেই বলছি, অাপনারা ছিলেন তখন? নিজের চোখে দেখেছেন?? দুজন দুই রকম বই দেখে তর্কে এসেছেন, কি করে নিশ্চিত হলেন যে অাপনার বইতেই সঠিক ইতিহাস লিখা হয়েছে???
এসব বাদ দেন ভাই। ইতিহাস ইতিহাসের যায়গাতেই থাক। অামরা যেহেতু দেখিনাই, ওই তর্কে অামরা না যাই। বেহুদা না জেনে ভালকে মন্দ অার মন্দকে ভাল বানানোর চেষ্টা না করি।
অার হ্যাঁ, যদি রাজনিতীবিদ হয়ে থাকেন, তবে চালিয়ে যান, ওর সাথে অাবার অাপনাদের স্বার্থ/পকেট জরিত কিনা!!!!!

১৮ ই মে, ২০১৪ সকাল ১০:৪৭

তালপাতারসেপাই বলেছেন: ইনফা_অল বিভ্রান্তি মুলক তথ্য বানাচ্ছেন। কোন বইয়ে নাই "বংগবন্ধু কে যখন খুন করা হয় তখন খন্দকার মোস্তাক (যিনি মুজিব সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ছিলেন) ছিলেন তখন ক্ষমতায়। "

দুইটাই ডাহা মিছা কথা।
বংগবন্ধু কে যখন খুন করা হয় তখন খন্দকার মোস্তাকঃ
মুজিব সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ছিলেন না, তখন ক্ষমতায়ও ছিলেননা।

৩| ১৮ ই মে, ২০১৪ সকাল ১১:০৯

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: রাজনীতি করতে হলে মাঠে নেমে পড়ুন না ভাই? হুদায় আপনারা কেন কাদা ছোড়ছুড়ি করতাছেন? ব্লগে এসব ভাল লাগে না যদিও আমি নবাগত।

১৮ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৩

তালপাতারসেপাই বলেছেন: কাদা ছোড়ছুড়ির কি দেখলেন? নাম নিয়েছেন দেশ প্রেমিক বাঙালী , কিন্তু বাংলাদেশের ইটিহাস জানতে অনিহা?
জামায়তের সোনার বাংলা নাতো আপনি?
আপনি নতুন? ব্লগ লিখেছেন: ৮ মাস ৬ দিন। সক্ষম হলে এই সময়ে গর্ভের স্নতান পূর্ণতা পায়।

৪| ১৮ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১:২৫

াহো বলেছেন:
শেখ হাসিনাকে ৩২ নম্বরের বাড়িতে মিলাদ পর্যন্ত পড়তে দেওয়া হয়নি। যাঁরা দেননি, তাঁরাই এখন কত রকম বিশুদ্ধ গণতন্ত্রের কথা বলে যাচ্ছেন। তাই বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে এ দেশে গবেষণার সবিশেষ প্রয়োজন রয়েছে। পৃথিবীর একমাত্র নেতা শেখ মুজিবুর রহমান যার নাম-নিশানা মুছে ফেলার জন্য সব রকম অপচেষ্টা চালানো হয়েছে। বিবিসি টেলিভিশিনের দূরপ্রাচ্য সংবাদদাতা ব্রায়ান ব্যারনকে ১৯৭৫ সালের আগস্টের তৃতীয় সপ্তাহে কয়েক দিন তৎকালীন হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আটকে রাখা হয়েছিল। তিনি পরবর্তী সময়ে তাঁর সংবাদ বিবরণীতে উল্লেখ করেছিলেন, 'শেখ মুজিব সরকারিভাবে বাংলাদেশের ইতিহাসে ও জনসাধারণের হদয়ে উচ্চতম আসনে প্রতিষ্ঠিত-পুনঃ প্রতিষ্ঠিত হবেন। এটা শুধু সময়ের ব্যাপার। এটা যখন ঘটবে, তখন নিঃসন্দেহে তাঁর বুলেট-বিক্ষত বাসগৃহ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্মারকচিহ্ন এবং তাঁর কবরস্থান পুণ্যতীর্থে পরিণত হবে।' (দি লিসনার, লন্ডন, ২৮ আগস্ট, ১৯৭৫)।

Click This Link

৫| ১৮ ই মে, ২০১৪ দুপুর ২:৪২

ভুয়া প্রেমিক বলেছেন: মানুষ তখন মিষ্টিমুখ করতে ব্যস্ত ছিল। মিলাদ পরার লোক ছিল না। ৭৫ এর পট পরিবর্তনে বাংলার মানুষ এতো খুশি ছিল যে সবাই নিজ নিজ এলাকায় মিলাদ দিচ্ছিল। কুত্তালীগ, লাল বাহিনী রক্ষী বাহিনীর অত্যাচার থেকে রক্ষা পেয়ে বাংলার মানুষ হাফ ছেড়ে বেচেছিল।

১৯ শে মে, ২০১৪ সকাল ৭:৫১

তালপাতারসেপাই বলেছেন: বাংলার মানুষ? না পাকিস্থানের দালাল গোষ্ঠি?

৬| ১৮ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৬

াহো বলেছেন:
১)
মুজিব রাষ্টনায়ক হিসেবে ব্যর্থ ছিলেন বলে যারা গ্যাজান শুধু তাদের জন্যে এই পোষ্ট,
আপনাকে এমন একটা দেশের প্রধানমন্ত্রী বানিয়ে দেয়া হল,
১। যে দেশী মাত্র যুদ্ধ বিধ্বস্থ- বিশ্ব ব্যাংকের রিপোর্ট অনুযায়ী,
ক) ৬০ লাখ ঘরবাড়ি মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে ( ৬০ লক্ষ x ৫ জনের পরিবার= ৩ কোটি মানুষের আবাসস্থল)
খ) ২৪ লাখ কৃষক পরিবারের কাছে জমি চাষের মতো গরু বা উপকরণও নেই
গ) পরিবহনব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, পুল-কালভার্টের চিহ্নও নেই এবং অভ্যন্তরীণ নৌ-যোগাযোগেও অনেক বাধাবিঘ্ন।
ঘ) লক্ষ মুক্তিযোদ্ধা আর হাজার দালালের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র অসংখ্য উপদল, বিপ্লবী
ঙ) দেশে পুলিশ, সেনা বা কোন আইন শৃঙ্খলা বাহিনী নেই।
চ) ফেরত আসা কোটি শরনার্থী
ছ) খাদ্যের ফাকা গুদাম, ব্যাংকে কোন রিজার্ভ নেই, যারা সরকারী চাকুরী করে তাদের বেতন দেবার মতো কোন তহবির আপনার হাতে নেই। (যুদ্ধের শেষদিকে পাকিস্তানি মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো কার্যত প্রতিটি ব্যবসা ক্ষেত্রই পাকিস্তানিদের দখলে ছিল তাদের সব অর্থ-সম্পদ পশ্চিম পাকিস্তানে পাচার করে দেয়। যুদ্ধ শেষে চট্টগ্রামে পাকিস্তান বিমানের অ্যাকাউন্টে মাত্র ১১৭ রুপি জমা পাওয়া গিয়েছিল। পাকিস্তান সেনাবাহিনী ব্যাংক নোট ও কয়েনগুলো ধ্বংস করে দেয়। ফলে সাধারণ মানুষ নগদ টাকার প্রকট সংকটে পড়ে। রাস্তা থেকে প্রাইভেটকারগুলো তুলে নেওয়া হয়, গাড়ির ডিলারদের কাছে থাকা গাড়িগুলো নিয়ে নেওয়া হয় এবং এগুলো নৌবন্দর বন্ধ হওয়ার আগমুহূর্তে পশ্চিম পাকিস্তানে পাচার করে দেওয়া হয়।)
জ) মুদ্রা ছাপানোর মতো পর্যাপ্ত স্বর্ণ বা বিদেশী মুদ্রার তহবিল নেই।
ঝ) সামগ্রিক শিল্প উত্পাদন ব্যবস্থা শুণ্য
ঞ) নৌবন্দরে মাইন, বিমান বন্দর ধ্বংশপ্রাপ্ত

২। আপনার সমর্থিত দলের সবচেয়ে শক্তিশালী উইংটি ভেঙে দিয়ে আপনার বিপক্ষে তাদের ববহার করা হবে

২। এবং আপনার বিপক্ষে শক্তিশালী একটি গোষ্টি যাদের অন্য একটি দেশ সবরকম সাহায্য করছে, এরা আপনাকে খুন পর্যন্ত করতে পারে।

এখন আপনি বলেন আপনি কি করবেন। কোন বালটা ফেলবেন।

মুজিব ব্যর্থ এই কথা কওনের আগে এইটা নিয়া ভাবেন আর চিন্তা কইরেন এরপর দুই দুইটা সামরিক শাসন দেশটারে দখল কইরা লুইটা পুইটা নিছে (সেই সামরিক শাসনের সময়ে সারা দুনিয়া কইতো বাংলাদেশ তলা বিহীন ঝুড়ির দেশ। যা ঢালবা সব গায়েব।) তারপরেও আমরা আজকের এই জায়গায় আছি।

মুজিব দেশটার ভিত্তি গড়ে দিয়ে গেছেন। এমন শক্ত ভিত্তি যে তারেকের মতো শতো চোরার লুটপাটের পরও এটা একটা সম্ভাবনাময় দেশ হিসাবেই বিশ্বের মানচিত্রে দাড়িয়েছে। রাস্তা-ঘাট, পুল-ব্রিজ, নৌ-বিমান বন্দর, সরকারী প্রশাসন, পুলিস-বিডিআর-সেনা, বিচার বিভাগ সহ এই দেশটার যাকিছু আছে সব মুজিবের সরকার বানাইয়া রাইখা গেছে।
----------------------------------------------------------------
২)
শেখ মুজিবুর রহমান : বন্দি থেকে বাদশা / টাইম সাময়িকী ১২ জানুয়ারি ১৯৭২-----------------------গত মার্চে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর পর বিশ্বব্যাংকের পরিদর্শকদের একটি বিশেষ টিম কিছু শহর প্রদক্ষিণ করে বলেছিলেন, ওগুলোকে দেখতে ভুতুড়ে নগরী মনে হয়। এরপর থেকে যুদ্ধ শেষ হওয়া পর্যন্ত এহেন ধ্বংসলীলার ক্ষান্তি নেই। ৬০ লাখ ঘরবাড়ি মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং ২৪ লাখ কৃষক পরিবারের কাছে জমি চাষের মতো গরু বা উপকরণও নেই। পরিবহনব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, পুল-কালভার্টের চিহ্নও নেই এবং অভ্যন্তরীণ নৌ-যোগাযোগেও অনেক বাধাবিঘ্ন। এক মাস আগে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আত্মসমর্পণ পর্যন্ত দেশের ওপর নির্বিচার বলাৎকার চলেছে। যুদ্ধের শেষদিকে পাকিস্তানি মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো (কার্যত প্রতিটি ব্যবসা ক্ষেত্রই পাকিস্তানিদের দখলে ছিল) তাদের সব অর্থ-সম্পদ পশ্চিম পাকিস্তানে পাচার করে দেয়। যুদ্ধ শেষে চট্টগ্রামে পাকিস্তান বিমানের অ্যাকাউন্টে মাত্র ১১৭ রুপি জমা পাওয়া গিয়েছিল। পাকিস্তান সেনাবাহিনী ব্যাংক নোট ও কয়েনগুলো ধ্বংস করে দেয়। ফলে সাধারণ মানুষ নগদ টাকার প্রকট সংকটে পড়ে। রাস্তা থেকে প্রাইভেটকারগুলো তুলে নেওয়া হয়, গাড়ির ডিলারদের কাছে থাকা গাড়িগুলো নিয়ে নেওয়া হয় এবং এগুলো নৌবন্দর বন্ধ হওয়ার আগমুহূর্তে পশ্চিম পাকিস্তানে পাচার করে দেওয়া হয়।
বাংলাদেশের বিদেশি মুদ্রা অর্জনের প্রধান উৎস পাট আনা-নেওয়া করা অভ্যন্তরীণ নৌ-যোগাযোগ প্রতিষ্ঠার আগপর্যন্ত সম্ভব হয়ে ওঠেনি। ধ্বংসপ্রাপ্ত চা বাগানগুলো আবার উৎপাদনে যেতে পারছিল না। এগুলোর উৎপাদিত অপেক্ষাকৃত নিম্নমানের চা বাজার ছিল মূলত পশ্চিম পাকিস্তান। এখন তাদের জন্য নতুন বাজার খুঁজে বের করা বাধ্যতামূলক হয়ে গিয়েছিল। বাংলাদেশের নতুন মুদ্রা ছাপানোরও দরকার হয় এবং তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ ছিল এই টাকা ছাপানোর জন্য প্রয়োজনীয় স্বর্ণের জোগান নিশ্চিত করা। ঢাকার এক ব্যাংক কর্মকর্তা বললেন, 'আমাদের বৈদেশিক মুদ্রা প্রয়োজন।' এর অর্থ হলো বিদেশি মুদ্রা অর্জনকারী ও মিলে মজুদ হয়ে থাকা পাটের রফতানিকে সম্ভব করে তোলা জরুরি। ভারতীয় রুপির বিনিময় বা পূর্ব ইউরোপীয় মেশিনারির জন্য এ নগদ বিদেশি মুদ্রা দরকার তা কিন্তু নয়। বিদেশি সাহায্য, খাদ্য ত্রাণ ও যাতায়াত ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠা, এসবই একসঙ্গে প্রয়োজন। একইসঙ্গে আমদানি হ্রাসও প্রয়োজন।


----------------------------------------------------------------

৩)
শেখ মুজিব হত্যা করার পর, কারফিউ পুরো দেশ




৭| ১৯ শে মে, ২০১৪ রাত ১:৫০

ইনফা_অল বলেছেন: খন্দকার মোস্তাক বানিজ্যমন্ত্রী না পররাষ্ট্র সেটা বড় কথা নয় সে ছিল বংগবন্ধু সরকারের মন্ত্রী এবং আওয়ামী থুক্কু বাকশালের মন্ত্রী। মানে কাছের লোক আর খন্দকার কে এম শফিউল্লাহ- সম্পর্কে তো কিছু বললেন না। :)

১৯ শে মে, ২০১৪ সকাল ৭:৫৪

তালপাতারসেপাই বলেছেন: সবার কথা একসাথে বলা প্রাসঙ্গিক নয় ।
খেতে বসে ভাত, লবণ,তরকারি পানি কি এক সাথে প্লেটে নিয়ে খান?
:D

৮| ১৯ শে মে, ২০১৪ রাত ১:৫২

ইনফা_অল বলেছেন: তাহলের জিয়া মিলাদ পড়তে দিলেন না কথাটা মিথ্যা হয়ে গেল না। আর মিলাদ পড়াটা কি ইসলামে জায়েজ?

১৯ শে মে, ২০১৪ সকাল ৭:৫৬

তালপাতারসেপাই বলেছেন: সত্য কি করে মিথ্যা হল?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.