নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।
‘প্রথম আলো’ দেশের সবচাইতে বিক্রিত নাকি বিকৃত রূচির পত্রিকা?
সুশিল গন কহেনঃ প্রথম আলোর কুনু দুষ নাই!!!
প্রথম আলো কি কি করেছে? আর কি কি করেনি?
তথ্য, প্রমান সহ বিস্তারিত জানার অধিকার সকলের।
জানতে চান? তাহলে ক্লিক করুন এখানে। কিন্তু সাংবাদিকতা মানে কি তাই? না হলুদ সাংবাদিকতা কোন সাংবাদিকতা নয়।
সাংবাদিকতা সত্যিই একটি মহান দায়িত্ব। জনগণসম্পৃক্ত জাতীয় কর্তব্য পালন, লোকচৈতন্যের উদ্বোধন এবং নিঃস্বার্থ নির্ভীক চরিত্র ধারণ মনে হয় সত্যসন্ধানী এবং বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতারই নাম।
অন্যায়, অবিচারের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে গেলে নিজেকে সৎ ও যথার্থ পথে বলতে গেলে নানা প্রতিবন্ধকতা আপনাকে চ্যালেঞ্জ করবে, আপনি সাংবাদিকতার ভাষা ও কৌশলে তার মোকাবেলা করবেন। যাঁরা জেলা-উপজেলায় সাংবাদিকতা করছেন, জানি আপনাদের আজকের দিনে ও পরিস্থিতিতে ‘সত্যনিষ্ঠ’ হওয়াটা রাজধানীর চেয়ে অনেক বেশি ঝুঁকিপূর্ণ এবং কঠিন। বাস্তবে যে দুঃসময় ওই কাজে এসে পড়ে, তাতে তো অনেক সাহসী, সৎ সাংবাদিকদের জীবনও বিসর্জন করতে হয়েছে। ভবিষ্যতে হবে না, এ নিশ্চয়তা সরকার, কর্তৃপক্ষ বা কেউই দিতে পারে না। সুতরাং কৌশলে সংবাদ পরিবেশন করতে হবে যেমন, তেমনি নিজেকেও সতর্ক হতে হবে এবং সে ব্যাপারে পত্রিকা কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই পরিস্থিতি পূর্বাহ্নেই জানাতে হবে। পত্রিকা কর্তৃপক্ষ এবং সাংবাদিক ইউনিয়নকেই পরবর্তী যে কোনো পরিস্থিতির দায়িত্ব গ্রহণ করতে হবে।
আজ থেকে ৫৭ বছর আগে আমি যখন সাংবাদিকতায় প্রবেশ করেছিলাম, তখন পরিস্থিতি এতোটা অস্থির ছিল না। ছিল না উচ্ছৃঙ্খল। কিন্তু নানা সরকারি বাধা-নিষেধ, জামানত, তলব, গ্রেপ্তার ইত্যাদির সম্মুখীন তো হতেই হতো। তারপর, ধর্মঘট করে বেতন কাঠামো আদায় করতে হয়েছে। অনশন করে জীবন দিতেও হয়েছে। কিন্তু আজকাল মুক্তিযুদ্ধোত্তর বাংলাদেশে সংবাদপত্র যেভাবে প্রযুক্তিগত উন্নতি করেছে, সে তুলনায় কিন্তু জীবন নিরাপত্তা বা লেখার স্বাধীনতা বাড়েনি। বরং কমেছে। নিপীড়ন-নির্যাতন, অবমাননা বেড়েছে সীমাহীন। হত্যা-অপহরণ সাংবাদিক ক্ষেত্রেও একরে পর এক চলছে। অথচ কোনো বিহীত হচ্ছে না। এতো সাংবাদিক হত্যা যে হয়েছে, তার কোনো বিচার ও শাস্তি হতে দেখছি না। কেন এ অবিচার? পুলিশী দুর্ব্যবহার, অকারণে লাঠিচার্জ, ভোগান্তির মামলা দায়ের যেন নিত্য ব্যাপারে পরিণত হয়েছে। তার প্রধান কারণ সাংবাদিক অনৈক্য। যে ভাবেই হোক সাংবাদিকতার শুদ্ধ-সত্য নীতিমালায় আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। কেবল নেতৃত্বে নয়, তৃণমূল পর্য্যায়েও, যাঁরা মূলশক্তি সংগঠনের আমাদের কালে সাংবাদিক সমাজে একতা ছিল বলে আমরা দেশের যে কোনো গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছি দেশমাতৃকার মুক্তির কথা ভেবে। নিংশঙ্কচিত্তে অকল্পনীয়, বিশাল সমাবেশ, শোভাযাত্রা, ধর্মঘট এবং দাবি আদায় করতে পেরেছি।ৃএখন সেই পরিবেশ নেই। উপনিবেশিক অপশক্তির হাত থেকে লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে শত্রুমুক্ত স্বদেশ প্রতিষ্ঠা করেছি। কিন্তু কোনো দেশজ রাজনীতির দলীয় প্রভাব যেন সাংবাদিকতার ঐতিহ্যকে গ্রাস কিংবা নস্যাৎ করতে উদ্যত। এই খানেই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। আপস করবেন না কিন্তু দলীয় কিংবা তৎসংশ্লিষ্ট জটিল পরিস্থিতিতে দলমত নির্বিশেষে সাংবাদিকতার মহান ব্রত কি করে সমুন্নত রাখা যায়, তারই অঙ্গীকার করতে হবে। সতর্ক থাকতে হবে।
মনে রাখতে হবে, এ দেশটা আমাদের। রক্তোৎপল বাংলাদেশ। বিপুল রক্ত খরচে যে দেশকে আমরা পাকিস্তানি দখলদারদের হাত থেকে মুক্ত করেছি তাকে গড়ে তোলার দায়িত্বও আমাদের। তাই যারাই এর বিরোধিতা অতীতে করেছে, এখনো করছে, মনে রাখতে হবে, তারা এদেশের নয়। ওদের কপট সাংবাদিকতাকে প্রতিহত করে মুক্ত স্বদেশ গড়ার কাজে আপসহীন থাকতে হবে আমাদের। এ অভিযাত্রায় যারা বিরোধী তারাই বাংলার অভ্যুদয় ও মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে ছিল। সেই বিরোধী এবং হত্যাকারী সাম্প্রদায়িক অপশক্তি, যাদের যুদ্ধপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, তাদের আজ দেরিতে হলেও তো বিচার শুরু হয়েছে। এ বিচার শেষ করে শাস্তি কার্যকর করতেই হবে, না হলে এদের উপস্থিতি দেশের প্রগতিকে স্তব্ধ করে দিতে উদ্যত। এখানে জনমত গঠন করার দায়িত্ব আমাদের।
যুদ্ধপরাধীদের শাস্তি না হলে বিশৃঙ্খলা, সন্ত্রাস, সাম্প্রদায়িক উন্মত্ততা, ধর্মান্ধতা, অসত্য, কপটতা দূর করা যেমন সম্ভব হবে না। তেমনি মানুষের জীবনে স্বস্তি ফিরে আসবে না। ঘুষ, দুর্নীতি, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, হত্যা, ধর্ষণ, ভূমিদস্যুতা, সকল সামাজিক সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক অনাচার প্রতিহত করা যাবে না। তেল গ্যাস বিদ্যুৎ বন্দর নিয়ে যে চক্রান্ত চলছে বিদেশী অগ্রাসীদের সঙ্গে এবং জনজীবন বিপন্ন করে তোলা হচ্ছে, তা প্রতিরোধ করা যাবে না।
সাংবাদিক হিসেবে আমারা তো গর্ব করতে পারি যে দেশের সকল প্রতিরোধ আন্দোলনে আমাদের গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা ও অবদান ছিল। পাকিস্তানের কালে এই সাংবাদিক সমাজই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। জনগণকে সংগঠিত ও জনমত গঠন করতে। পূর্ব বাংলার ভাষা আন্দোলন থেকে মহান মুক্তিযুদ্ধ তক্, সাংবাদিক সমাজের অকপট অংশগ্রহণ যে ঐতিহ্য সৃষ্টি করেছে, আমরা সবাই সেই উত্তরাধিকারের অংশীদার। সুতরাং সত্য ও ন্যায়বিচারের সাংবাদিকতা প্রতিষ্ঠা করাই আমাদের যেমন কাম্য তেমনি স্বদেশ প্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে নিজ মাতৃভূমিকে রক্ষার দায়িত্বও আমাদের। আমরা সাংবাদিক সমাজ সদাসর্বদাই সোচ্চার ছিলাম স্বদেশ মুক্তির লড়াইয়ে, যারা বিরোধী ছিল মুক্তিযুদ্ধ এবং বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে মনে রাখতে হবে তারা আমাদের চিরশত্রু। কখনই কোনোভাবে বন্ধু হতে পারে না। কোনো মতলববাজির রাজনীতিতে যেন জাড়িয়ে না পড়ি।
জেলা-উপজেলায় যে সব আঞ্চলিক সমস্যা রয়েছে, তা যতো বাধাই আসুক তাকে উপেক্ষা করে সতর্ক সাংবাদিকতার মাধ্যমে জনগণ ও সরকারকে জানাতেই হবে। সেই সঙ্গে মনে রাখতে হবে, থাকতে হবে আমাদের সকলকেই সতর্ক প্রহরীর মতোন, যেন পরাশক্তির সাম্রাজ্য লোভী চক্রান্ত ও আগ্রাসী থাবা প্রিয়তম স্বাধীনতা ও স্বদেশ ভূমিকে পরোক্ষ দখল করতে না পারে।
সকলকে আবারো সতর্ক থেকে বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার নিঃশঙ্ক চিত্ত নিয়ে, সাহসে বলীয়ান হয়ে গড়ে ওঠা ও ক্ষুরধার লেখনী চর্চার আহ্বান জানাচ্ছি। আসুন আমরা ঐক্যবদ্ধ হই দেশী অপশক্তি এবং বিদেশী পরাশক্তির বিরুদ্ধে, তবেই নিরাপদ হবে স্বদেশ। সুত্র
২৫ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৬
তালপাতারসেপাই বলেছেন: প্রথম আলোতে অশ্লীল ছবি ছেপেনা?
প্রথম আলোতে কুসংস্কারের জায়গা নাই?
অধর্মের যায়গা আছে!
বাংলাদেশ বিরোধিতার যায়গা আছে!
নবি রাসুলের অসন্মানকারীর যায়গা আছে!
২| ২৫ শে মে, ২০১৪ সকাল ৯:২৪
ভুয়া প্রেমিক বলেছেন: বিএনপির নামে যখন অপপ্রচার চালানোর জন্য ফটোশপ করে প্রথম আলো নানারকম মিথ্যা ভুয়া নিউজ/ছবি ছাপতো তখন তো আপনারা আহ্লাদে আটখানা হয়ে যেতেন।
আমারদেশ-দিনকাল-সংগ্রামের নিউজ রেফারেন্স দিলে আপনাদের চলতো না, প্রথম আলুর রেফারেন্স লাগতো, এখন আবার চুলকায় কেন? নিজেরটায় পারা পরেছে বলে?
২৫ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৭
তালপাতারসেপাই বলেছেন: দেখান কবে কোঁথায় >>>> ভুয়া প্রেমিক বলেছেন: বিএনপির নামে যখন অপপ্রচার চালানোর জন্য ফটোশপ করে প্রথম আলো নানারকম মিথ্যা ভুয়া নিউজ/ছবি ছাপতো তখন তো আপনারা আহ্লাদে আটখানা হয়ে যেতেন।
৩| ২৫ শে মে, ২০১৪ সকাল ১০:২১
অর্ফিয়াস বলেছেন: এত কষ্ট করে এত সময় নিয়ে আপনি প্রথম আলোর খুত কেন বের করলেন। আপনার পোষ্ট পড়ার পর থেকে সেটাই ভাবছি। মানুষ পরিশ্রম করে কোন জিনিষ করে কোন লাভের জন্য। আপনার কি লাভ হল ভাই বলবেন কি?
এই যে এত কিছু করেন আপনারা পারবেন কি প্রথম আলোর পাঠক কমাতে? পারবেন না। এসব না করে পারলে এমন মানের একটা পত্রিকা বের করে দেখান।
২৫ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১২:৪০
তালপাতারসেপাই বলেছেন: মায়ের জন্য শাড়ি কিনেছেন? কত লাভ করেছেন ওখানে?
৪| ২৫ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৩:০১
জনসাধারণের মধ্যে একটি মলিন পট্টবস্ত্র বলেছেন:
আপনি যে ভাবেই বলুন না কেন প্রথম আলোর সংবাদের বিশ্বস্ততা মানুষের কাছে এখন আছে। যেদিন থাকবে না সেদিন মানুষ নিজেরাই ছেড়ে দিবে পড়া আপনার প্রচারণা ছাড়াই। প্রথম আলোর ছবিতে অশ্লীলতা খুঁজে পেলেন। কোন পত্রিকার বিনোদন পাতায় তা নেই? সানি লিয়ন কে নিয়ে প্রত্তেক পত্রিকার সংবাদ করা নিয়ে বিপক্ষতার কোন পোস্ট আপনার ব্লগে খুঁজে পেলামনাতো। ধরলে সবার ধরুন না হয় চুপ থাকুন। না হয় ব্যাপারটা হিংসা পরায়ণ বলে মনে হয়। কু পক্ষে না লড়ে সু পক্ষে লড়ুন।
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে মে, ২০১৪ সকাল ৯:১৭
ইমরান হক সজীব বলেছেন: ছবিটা এদিট না করে দিলে বলা হত কি অশ্লীল ছবি ছেপেছে! হাহা ।
এই সব নিম্ম অপ প্রচার করে লাভ নাই, প্রথম আলো পড়ি প্রথম আলোই পড়বো ।
প্রথম আলোতে কুসংস্কারের জাইগা নাই ।