নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।
পবিত্র রমজান মাস শুরু হতে আর এক মাসও হাতে নেই। তবে সময় যতো দ্রুত এগোচ্ছে তার চেয়ে বেশি দ্রুত বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। এমনিতেই সারা বছর ধরে নিত্যপণ্যের বাজার থাকে অস্থির। রমজান মাস এলে তা হয়ে যায় লাগাম ছাড়া। আর এই মূল্যবৃদ্ধির চাপে নাকাল হন সাধারণ মানুষ। রমজানে পণ্যের কৃত্রিম সংকট তৈরি করতে এখনই প্রস্তুতি নিয়েছে অসাধুু ব্যবসায়ীরা। গুদামজাত করার কারণে তেল, ছোলা, চিনিসহ অনেক নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে গেছে। এবার সরকারের পক্ষ থেকে একটু আগে ভাগেই এ সংকট মোকাবেলার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। রমজানে মানুষের দুর্ভোগ কমাতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন, বড় বড় আমদানিকারকরা একযোগে কাজ করার ঘোষণা দিয়েছে।
এসব উদ্যোগের অংশ হিসেবে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) পর্যাপ্ত পরিমাণ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এছাড়াও আজ মঙ্গলবার থেকে খোলা ট্রাকে পণ্য বিক্রি করবে সংস্থাটি। বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়ল আহমেদ যে কোনো মূল্যে নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণ করার ঘোষণাও দিয়েছেন।
টিসিবি সূত্রে জানা গেছে, ইতোমধ্যে পণ্য সংগ্রহ প্রক্রিয়া শেষে হয়েছে। রমজান মাসে পণ্যের সরবরাহ ও নিত্যপণ্যের দর সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে রাখতে এবার একটু আগেভাগেই কাজ শুরু করে দিয়েছে টিসিবি। এবারো তেল, চিনি, ডাল, ছোলা ও খেজুর আমদানি করছে সংস্থাটি।
টিসিবি জানায়, এ বছর ৩ হাজার টন তেল, দেড় হাজার টন ছোলা, ১৫০ টন খেজুর ও ২ থেকে ৩ হাজার টন মসুর ডাল আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। চিনি, ডাল ও তেলের পর্যাপ্ত মজুদ থাকলেও খেজুর ও ছোলা এখনো তাদের হাতে এসে পৌঁছেনি। তবে সংস্থাটি আশা করছে আগামী মাসের ১০ তারিখের মধ্যে পণ্য দুটি তাদের কাছে পৌঁছাবে। আর এটি চালান এলে রমজানের জন্য সব পণ্যের মজুদ থাকবে টিসিবির কাছে। তানজানিয়া থেকে দেড় হাজার টন ছোলা আমদানি করা হচ্ছে, যা দু-একদিনের মধ্যে সংস্থাটির কাছে পৌঁছাবে। আর ইরাক কিংবা সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ১৫০ টন
খেজুর আমদানি করা হচ্ছে, যা আগামী মাসের ৮ থেকে ১০ তারিখের মধ্যে হাতে পাবে টিসিবি।
রমজান মাসে কিছু কিছু নিত্যপণ্যের দর সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখতে প্রতি বছর খোলা বাজারে পণ্য বিক্রি কার্যক্রম পরিচালনা করে টিসিবি। টিসিবির নিজস্ব ৪টি বিক্রয় কেন্দ্রসহ রাজধানীর প্রায় ৩৫টি স্থানে ট্রাকে করে এই বিক্রি কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে থাকে। তাছাড়া বিভাগীয় ও জেলা শহরগুলোতেও টিসিবির খোলাবাজারে পণ্য বিক্রি কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে থাকে।
গত অর্থবছরে রমজান ও বাকি সময়ের জন্য দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে মন্ত্রণালয় ৫০ হাজার টন চিনি, ১৩ হাজার টন সয়াবিন তেল, ৮ হাজার টন পাম অয়েল, ১০ হাজার টন মসুর ডাল এবং ২ হাজার টন ছোলা সংগ্রহের নির্দেশ দেয়। তবে শুধু রমজান মাসকে সামনে রেখে ১৫ হাজার টন চিনি, ১০ হাজার টন ভোজ্য তেল, ১০ হাজার টন মসুর ডাল এবং ২ হাজার টন ছোলা মজুতের নির্দেশনা দেয়া হয়।
এদিকে আজ টিসিবির ট্রাক থেকে ক্রেতারা চিনি, সয়াবিন তেল (বোতলজাত), মসুর ডাল, ছোলা ও খেজুর এই পাঁচটি পণ্য কিনতে পারবেন। রাজধানীর ২৫টি স্থানসহ সারা দেশে ১৭৪টি ট্রাকে করে এসব পণ্য বিক্রি করা হবে।
ক্রেতারা এক কেজি চিনি ৩৯ টাকায়, ৬৫ টাকায় মসুর ডাল, ৪৪ টাকায় ছোলা এবং ৭০ টাকায় খেজুর কিনতে পারবেন। এক লিটার কিংবা দুই লিটারের বোতলজাত তেল কিনলে দাম পাড়বে ১০৭ টাকা করে এবং পাঁচ লিটারের বোতল কিনলে পড়বে ১০৬ টাকা।
টিসিবির তথ্য কর্মকর্তা হুমায়ূন কবির জানান, জাতীয় প্রেসক্লাব, সচিবালয় গেইট, ফকিরাপুল বাজার ও আইডিয়াল স্কুলের আশপাশে, শান্তিনগর বাজার, মতিঝিলের শাপলা চত্বর, দৈনিক বাংলা মোড়, শাহজাহানপুর বাজার, বাসাবো বাজার, যাত্রাবাড়ী মোড়, কাপ্তান বাজার, লালবাগের ইসলামবাগ কাঁচাবাজার, ছাপড়া মসজিদ ও পলাশী বাজার, নিউমার্কেট কাঁচাবাজার, জিগাতলা কাঁচাবাজার, খামারবাড়ীর সামনে, মহাখালী কাঁচাবাজার, রামপুরা বাজার, বনশ্রী বাজার, আগারগাঁও, শেওড়াপাড়া, মিরপুর-১০ গোলচত্বর, কচুখেত বাজার, মোহাম্মদপুর টাউন হল মার্কেট, মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট, আবদুল্লাহপুর বাজারে ট্রাকে করে পণ্য বিক্রি করবে টিসিবি।
ঢাকার বাইরে চট্টগ্রামে ১০টি, অন্যান্য বিভাগীয় শহরে পাঁচটি করে এবং বাকি জেলা সদরে দুটি করে ট্রাক টিসিবির পণ্য বিক্রি করবে।
রমজানে টিসিবির শক্তিশালী ভূমিকার পাশাপাশি বেসরকারি খাতে বড় বড় আমদানিকারকদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য নিয়ে সরবাহকারী, উৎপাদনকারী ও ২৭ সদস্যের পরামর্শক কমিটির সঙ্গে বাজার নিয়ন্ত্রণ রাখতে বৈঠক করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
দেশের বড় এসব গ্রুপের চেয়ারম্যানদের সঙ্গে বৈঠক শেষে গতকাল বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য নিয়ে সরবাহকারী, উৎপাদনকারী, ২৭ সদস্যের পরামর্শক কমিটিসহ বড় বড় ব্যবসায়ীদের নিয়ে সভা করেছি। কয়েকটি বড় ব্যবসায়ী গ্রুপের চেয়ারম্যানদের নিয়ে বৈঠক করেছি। তারা বলেছেন শুধু রমজান মাসে নয়, সারা বছরই নিত্যপণ্যের দাম সাধারণের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখবেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, রমজানে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে সরবারহ করা হবে। স্টক প্রয়োজনের থেকেও বেশি আছে, দাম বাড়ার কোনো কারণ নেই। রোজায় যে কোনো মূল্যে বাজার নিয়ন্ত্রণ করবোই।
তিনি বলেন, আমদানিকারক ও সরবরাহকারীদের প্রতি অনুরোধ বাংলাদেশের মানুষের চাহিদা খুব কম। রমজানে যেন নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস তারা ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে কিনতে পারে। রমজানে নিত্যপণ্যের কৃত্রিম সংকট ঠেকাতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশকে (টিসিবি) সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রী। এছাড়া নিত্যপণ্য সরবারহে কোনো ধরনের সমস্যা যাতে না হয় সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদেরও নির্দেশনা দেন তিনি।
মন্ত্রী জানান, আমদানির সময় ১৫ শতাংশ ভ্যাট এবং ৪ শতাংশ এডভান্সড ট্রেড ভ্যাট দুবারে না নিয়ে একসঙ্গে নেয়ার দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য হাজি মোঃ সেলিম, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মাহবুব আহমদ ছাড়াও কয়েকটি ব্যবসায়ী গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং সরবরাহকারীরা গতকালের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও রমজানে প্রতিবারের মতো ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই বাজার মনিটর করবে।
সুত্র
২| ১০ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৫:১৩
ঢাকাবাসী বলেছেন: মূল্যবৃদ্ধি ঠেকানো কোন ইচ্ছা সরকারের আছে নাকি? ব্যাবসায়ীদের কাছ থেকে চাদা নিতে হবেনা ছা.লী, যু.লী., স্বে. লী আম্লী সবার!
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১০:৪৫
রাহাত লতিফ তৌসিফ বলেছেন: এসব হাবিজাবি কথা বার্তা তো প্রতি রমজানেই শুনতে পাই, লাভ কি? যেই লাউ সেই কদু। মূল্য বৃদ্ধি তো ঠেকানো যায় না।