নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।
সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা আন্দোলনে নামক সংগঠনের পক্ষে সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অব.) মো. আখতারুজ্জামান বলেছেন, ৮টি এনজিও বেআইনিভাবে দেশের ৫টি স্থানে সেনানিবাসসহ স্থাপনা নির্মাণে ভূমি অধিগ্রহণের যে অভিযোগ করেছে তা সঠিক নয়।
সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের হল রুমে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে এনজিওদের অপ্রপচারের প্রতিবাদ জানিয়ে করা এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
দেশের ৫টি এলাকায় সেনানিবাসের জন্য জমি অধিগ্রহণ নিয়ে ৮টি এনজিও যে প্রশ্ন তুলেছে তা রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব ও অস্থিত্বের জন্য চ্যালেঞ্জ এমন মন্তব্য করে আখতারুজ্জামান বলেন, কোনো এনজিও সেনাবাহিনীর সম্পর্কে কথা বলার অধিকার রাখে না। সম্প্রতি এসব এনজিও কোনো পরিসংখ্যান ছাড়াই এমন বক্তব্য দিয়েছে।
'সেনাবাহিনী যা চায় তাই তাদের দিতে হবে' টিআইবির নির্বাহী পরিচালকের এমন বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, এমন বক্তব্য সেনাবাহিনীর জন্য অসম্মাজনক ও সেনাবাহিনীর কর্মদক্ষতার প্রতি হীনমন্যতার বহিঃপ্রকাশ।
তিনি বলেন, জমি অধিগ্রহণের সঙ্গে প্রতিরক্ষা নীতির বিষয়ে এনজিওরা যে প্রশ্ন তুলেছেন তা তারা তুলতে পারে না। কারণ সশস্ত্র বাহিনীর অস্তিত্ব ও নীতির বিষয়ে সংবিধানে উল্লেখ আছে।
‘রাজধানীর একটি বড় অংশ সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে’ সুলতানা কামালের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে আখতারুজ্জামান বলেন, রাজধানীতে সেনাবাহিনী থাকলে গণতন্ত্রের কি সমস্যা? বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের রাজধানীতে সেনাবাহিনী রয়েছে।
তিনি বলেন, বেলা-বাপাসহ এনজিওরা কৃষি জমি রক্ষার নামে দেশের শিল্পায়নকে বাধাগ্রস্ত করছে। এনজিওরা শিখাচ্ছে, দেশে শিল্পের দরকার নেই। আমরা কৃষি নিয়ে ব্যস্ত থাকবো।
৮টি এনজিও একত্রিত হয়ে সেনাবাহিনীর মতো একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলতে পারে কিনা তা খতিয়ে দেখতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানও তিনি।
©somewhere in net ltd.