নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা বলিব সত্য বলিব

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।

তালপাতারসেপাই

লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।

তালপাতারসেপাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

রহস্যময় এক নাম 'মওদুদ'

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:৪১



‘ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ’ এক রহস্যময় রাজনৈতিক চরিত্রের নাম। বাংলাদেশেররাজনীতির ইতিহাসে বিভিন্ন সময়ে আলোচিত-সমালোচিত হয়েছেন নানা বিতর্কিতভূমিকার কারণে। জীবনের অধিকাংশ সময়েই ছিলেন ক্ষমতাসীনদের সঙ্গী কখনোপ্রত্যক্ষভাবে, কখনো পরোক্ষভাবে। এটিই তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় ‘সাফল্য’! সময়ের পালাবদলে বর্তমানে বিএনপি’র সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণীফোরাম ‘স্থায়ী কমিটি’র সদস্য। এই দলে থেকেও বিভিন্ন সময়ে ক্রমাগত বিতর্কেরজন্ম দিয়ে যাচ্ছেন তিনি। সর্বশেষ গত ১৫ সেপ্টেম্বর ‘বাংলাদেশ: ইমারজেন্সিঅ্যান্ড দ্য আফটারম্যাথ: ২০০৭-২০০৮’ শিরোনামে বই প্রকাশ করে বিতর্ক সৃষ্টিকরেন বর্ণচোরা এই রাজনীতিক। এরপর থেকে পুরোপুরি আন্ডারগ্রাউন্ডেই চলেগিয়েছিলেন। গত দু’মাস ধরে আন্ডারগ্রাউন্ডেই ছিলেন। সভা-সেমিনার, এমনকি দলীয়অভ্যন্তরীণ কোনো কর্মকাণ্ডেও তাকে দেখা যায়নি। ফলে তিনি বিএনপিতে আছেনকি-না সেটাও বোঝা যাচ্ছিলো না। অবশেষে ১৩ নভেম্বর বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিতবিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে যোগ দিয়ে জানান দিলেন যে, এখনো তিনি বিএনপিতেইআছেন।

রাজনৈতিক ভাষ্যকারদের মতে, সদালাপী, সুদর্শন ও ঠাণ্ডা মেজাজের অধিকারীএই রাজনীতিবিদ। সংসদে যার উপস্থাপনা অত্যন্ত প্রাঞ্জল ও সাবলীল। লেখালেখিরক্ষেত্রে ঋজু ও ধারালো। কিন্তু মঞ্চের আড়ালে তিনি সীমাহীন রহস্যময়। তাই তাররাজনীতির রহস্য বুঝে উঠতে অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদকেও অনেক সময় গলদঘর্ম হতে দেখাযায়। বিএনপি নেতা-কর্মীদের একাংশের মতে, বর্ণচোরা রাজনীতির আঁধারে তিনি একনীরব ক্যান্সার ভাইরাস। বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের সময় দল ওমন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে ক্ষমতার স্বাদ নিলেও মওদুদ আহমদওই সরকারের সমালোচনা করেন সেখানে তার ‘বাংলাদেশ: ইমারজেন্সি অ্যান্ড দ্যআফটারম্যাথ: ২০০৭-২০০৮’ বইয়ে লিখেছেন, “জোট সরকারের ‘অপশাসন’ ও বিএনপিনেতাদের বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ, যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্তজামায়াতের সঙ্গে মিত্রতা, বিএনপি সরকারের কিছু মন্ত্রীর সম্পৃক্ততায়জঙ্গিবাদের উত্থান, তখনকার প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের সদস্যদের নামে ‘হাওয়াভবনের দুর্নীতি’ এবং ২০০৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের ‘বিতর্ক সমাধানেব্যর্থ হয়ে’ ইয়াজউদ্দিন আহম্মদকে দায়িত্ব দেয়ার কারণেই ২০০৮ সালেরনির্বাচনে বিএনপির কাছ থেকে জনগণ মুখ ফিরিয়ে আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েছে।”



এছাড়া ধর্মনিরপেক্ষতার পক্ষে-জঙ্গিবাদের বিপক্ষে শেখ হাসিনার অবস্থান, ডিজিটাল বাংলাদেশের পক্ষে পরিবর্তনের আহ্বান দেড় কোটি তরুণ ভোটারের দৃষ্টিআকর্ষণ করেছে। পাশাপাশি ৪০ টাকার পরিবর্তে ১০ টাকায় চাল দেওয়া, বিনা মূল্যেসার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি, প্রতিটি পরিবার থেকে একজনকে চাকরি দেওয়ারপ্রতিশ্রুতিও গ্রামাঞ্চলের সাধারণ মানুষকে টেনেছে। এসব ইতিবাচক ভোটেরপাশাপাশি বিএনপির নেতিবাচক ভোটও শেখ হাসিনার বিজয়কে এগিয়ে নিয়েছে বলে বইয়েউল্লেখ করেছেন মওদুদ।

দলীয় প্রধান খালেদা জিয়ার সমালোচনা করে মওদুদ লিখেছেন, ‘এক-এগারোর সময়খালেদা জিয়ার কাছে তার নিজের দুই সন্তান তারেক ও কোকোর ভাগ্যই ছিল সবচেয়েগুরুত্বপূর্ণ। তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করা ছাড়া কোনো আলোচনায় যেতেরাজি ছিলেন না খালেদা জিয়া। নানা রকম চাপেও অনড় ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন।সে সময়ে দেশের মানুষের নেত্রী, বিএনপি চেয়ারপারসন কিংবা একজনরাজনীতিবিদের চেয়েও একজন মা হিসেবে দুই সন্তানের মুক্তির বিষয়ে উদ্বিগ্নছিলেন তিনি।’

খালেদা জিয়া মওদুদের এই বক্তব্যের জবাবে বলেছেন, তিনি চাইলেওয়ান-ইলেভেনে দেশের বাইরে গিয়ে নিরাপদে থাকতে পারতেন। নিজের দুই ছেলেকেওনিয়ে যেতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা করেননি ‘গণতন্ত্রের স্বার্থে’।

বিএনপির দায়িত্বশীল একটি সূত্র বলছে, ব্যারিস্টার মওদুদের বিতর্কিত এসবকর্মকাণ্ডে দলের একটি বড় অংশের পাশাপাশি দলীয় প্রধান বেগম খালেদা জিয়াও চরমঅসন্তুষ্ট হয়েছেন। এমনকি বেগম জিয়ার কাছে মওদুদ আহমদকে দল থেকেবহিষ্কারেরও জোরালো দাবি জানিয়েছেন একাধিক সিনিয়র নেতা। তবে খালেদা জিয়া এ বিষয়ে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ না নিলেও পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্তদলের সকল কার্যক্রম থেকে মওদুদ আহমদকে বিরত রাখতে সকল অঙ্গ সংগঠন ও সহযোগীসংগঠনকে নির্দেশ দিয়েছিলেন বলে জানা যায়। এমনকি মওদুদ আহমদের নির্বাচনীএলাকায় বিএনপির পক্ষে বিকল্প প্রার্থী ঠিক করতেও নোয়াখালী জেলার অন্যান্যশীর্ষ নেতাদের নির্দেশ দিয়েছিলেন খালেদা জিয়া।

এ ব্যাপারে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদের কাছে জানতেচাইলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করে শীর্ষ নিউজকে বলেন, ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) এবিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত আমাদের জানাননি। আমি জানি না, তাই এ ব্যাপারেআগাম কিছুই বলা যাচ্ছে না।

এ ঘটনার পর ঢাকা মহানগর বিএনপির জরুরী বৈঠকে স্থায়ী কমিটির সদস্যব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের লেখা বইয়ের বিষয়টিও আলোচনায় উঠে আসে। বৈঠক সূত্রেজানা যায়, ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জাআব্বাস সাংগঠনিক আলোচনার পাশাপাশি মওদুদের বইয়ের বিষয়ে সবাইকে অবহিত করেন।দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানেরবিরুদ্ধে সকল প্রকার ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে আহ্বান জানান।

তবে বিএনপির একটি অংশ মনে করে, দলকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করে আগামীদিনের জন্য সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ারউচিত হবে এমন রাজনীতিবিদ সম্পর্কে ভবিষ্যতে সতর্ক থাকা। কারণ মওদুদওয়ান-ইলেভেনের সরকারের সময় দলের সঙ্গে বেঈমানি করেছে। এমনকি তার কারণেইখালেদা জিয়াকে ক্যান্টনমেন্টের বাড়িটি হারাতে হয়েছে।

জানা যায়, এক সময়ের তুখোড় ছাত্র নেতা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বঙ্গবন্ধুরহাত ধরেই রাজনীতিতে আসেন। পল্লী কবি জসিম উদ্দীনের জামাতা হিসাবেবঙ্গবন্ধু তাকে খুব স্নেহ করতেন। মওদুদ আহমদ ১৯৬৯ সালের আগরতলা ষড়যন্ত্রমামলায় বঙ্গবন্ধুর পক্ষে অন্যতম আইনজীবী হিসাবে কাজ করেন।



এছাড়াও তিনি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক। দেশ স্বাধীন হওয়ার পরআওয়ামী লীগ নেতা মওদুদ আহমদ ছিলেন বঙ্গবন্ধুর একজন বিশ্বস্ত সহচর। ১৯৭১সালের মুক্তিযুদ্ধে ব্যারিস্টার মওদুদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি১৯৭১-এ ইয়াহিয়া খান কর্তৃক আহুত গোলটেবিল বৈঠকে শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গেছিলেন। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর ব্যারিস্টারমওদুদ আহমদ আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করার চেষ্টা না করে নতুন পথে যাত্রা শুরুকরেন।

১৯৭৭-৭৯ সালে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সরকারের মন্ত্রী ও উপদেষ্টা হনব্যারিস্টার মওদুদ। ১৯৭৯ সালে তিনি প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং তাকেউপ-প্রধানমন্ত্রী করা হয়। পরে জিয়াউর রহমান বিএনপি গঠন করলে তিনি বিএনপিতেযোগ দেন। কিন্তু ৮১ সালে জিয়াউর রহমানের সঙ্গে তার ও বিএনপি নেতা জামালউদ্দীনের দ্বন্দ্ব শুরু হলে বিএনপির কিছু নেতাকর্মী নিয়ে তিনি বিএনপি (মওদুদ) নামে পৃথক দল গঠন করেন। ওই বছরের মে মাসেই বিএনপির প্রতিষ্ঠাতাজিয়াউর রহমান নিহত হন। এক বছরের ব্যবধানে ক্ষমতায় আসেন তৎকালীন সেনা প্রধানএরশাদ। ভোল পাল্টিয়ে স্বৈরশাসক এরশাদের গড়া জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন সুযোগসন্ধানী মওদুদ। ৮৫ সালে এরশাদের পাতানো নির্বাচনে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যবনে যান তিনি। সরকারের মন্ত্রীত্ব নিয়ে হয়ে যান ক্ষমতার অংশীদার। এর একবছরপর ১৯৮৬ সালে তাকে উপ-প্রধানমন্ত্রী করেন এরশাদ। ১৯৮৮ সালে স্বৈরাচারীসরকারের প্রধানমন্ত্রীও হন তিনি।

এরপর আবারো ভাগ্য খোলে ক্ষমতার বরপুত্র মওদুদের। ১৯৮৯ সালে মওদুদকেভাইস-প্রেসিডেন্ট করেন প্রেসিডেন্ট এরশাদ। ৯০ এর গণঅভ্যুত্থানে এরশাদসরকারের পতনের পূর্বমুহূর্ত পর্যন্ত ওই সরকারের ভাইস প্রেসিডেন্টের পদেছিলেন ক্ষমতালোভী মওদুদ। ক্ষমতাচ্যুত হলে প্রেসিডেন্ট এরশাদের মতো মওদুদকেওকারাবাস করতে হয়।



জাতীয় পার্টির মনোনয়ন নিয়ে রংপুরে এরশাদের ছেড়ে দেওয়া আসনে ১৯৯১-এউপনির্বাচনে মওদুদ আহমেদ আবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। জেল থেকে বেরিয়েমওদুদ আহমদ আবার আওয়ামী লীগ বা বিএনপিতে ঢোকার চেষ্টা করেন। কিন্তু তখনইসক্ষম হননি। জাপায় থেকে তৎকালীন বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগকেসঙ্গে নিয়ে আন্দোলন করেন। ৯৬ সালে বিএনপি বিরোধী দলে গেলে এক পর্যায়ে তিনিএই দলে ঢোকার সুযোগ পান। ২০০১ সালে নোয়াখালী থেকে বিএনপির টিকেটে এমপিনির্বাচিত হন। মন্ত্রীত্বও পান। চারদলীয় জোট সরকারের পুরো পাঁচ বছরআইনমন্ত্রী পদে ছিলেন। ওই সময় বিচারপতিদের বয়স বাড়িয়ে কেএম হাসানকেতত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান করার পরিকল্পনায় তিনি ছিলেন মূলপরিকল্পনাকারী। যার জের আজকের এই রাজনৈতিক সঙ্কট। ২০০৮ সালের নির্বাচনেহেরে যান মওদুদ। পরবর্তীতে খালেদা জিয়া তার বগুড়ার নির্বাচনী আসন থেকেমওদুদকে পাস করিয়ে সংসদে নিয়ে আসেন।

ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ জিয়াউর রহমান ও এরশাদ সরকারের শাসনামলে শিল্প, পরিকল্পনা, আইন-বিচার ও সংসদ, বিদ্যুৎ, পানি, সড়ক ও রেল যোগাযোগ, টেলিগ্রামও টেলিফোনসহ গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন। মওদুদ আহমদবিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের আইন মন্ত্রীর গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনকরেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেইমওদুদ আহমদকে নিয়ে তার দল বিএনপিতে নানা গুঞ্জন শুরু হয়েছে। ফলে দলেরমধ্যেই এক ধরনের নীরব দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকেও তাপ্রকাশ পায়। এমনকি এ কথাও শোনা যায়, সরকারি দলের পৃষ্ঠপোষকতায় মওদুদ আহমদতৃণমূল বিএনপি নামে নতুন দল গঠন করতে যাচ্ছেন। যদিও তথ্যটি তেমননির্ভরযোগ্য হয়ে উঠতে পারেনি। তবে রাজনৈতিক সংকটের এই চরম মুহূর্তেবিতর্কিত বই প্রকাশের ঘটনায় সেই সম্ভাবনাই মনে করিযে দিচ্ছে সবাইকে।

সুত্র

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:০৪

নিজাম বলেছেন: সুবিধাবাদী দ্যা গ্রেট

২| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৬

এ কে এম রেজাউল করিম বলেছেন: এ হোল নো-খা-ই-ল্লা হোলা, মৌদুদ !!!

৩| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:০৭

রক্ত পলাশী বলেছেন: ওনার কোনোই দোষ নাই !! উনিতো সবসময় সরকারী দল করেন.... কিন্তু এইবার একটু গননায় ভুল হইয়া গেছে........!!! তাই মাইনকা চিপায়.....!! ;) ;)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.