নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।
তথ্যপ্রযুক্তি আমাদের যোগাযোগ আর উপলব্ধিকে প্রতিনিয়ত এক ধাপ থেকে অন্য ধাপে নিয়ে যাচ্ছে, ভালো আর মন্দ দুদিকেই। প্রতি মুহ‚র্তে আমাদের ছবি বা কথা ওয়েবে পোস্ট করছি এবং তার মাধ্যমে নিজেদের অজান্তেই রেখে যাচ্ছি আমাদের ছাপ। তাই আমরা এখন ভার্চুয়ালি অমর বলা যেতে পারে। কাগজ আর বিশেষ কোনো পণ্য নয় আমাদের কাছে। আমরা ৯০% খবর এখন অনলাইনে পাই। আমরা যখন মিটিংয়ে যাই সঙ্গে থাকে একটি ট্যাবলেট। সে আমাদের একের পর এক তথ্য দেয় আর আমরা সেটা শ্রোতাদের কাছে পৌঁছে দেই। এক কথায় আমরা তথ্যপ্রযুক্তি বিপ্লবের এমন এক পর্যায়ে আছি যেখানে প্রতি পদক্ষেপে তথ্যপ্রযুক্তির কৌশল নিয়ে ভাবতে হয়।
তথ্য প্রযুক্তির সফল প্রয়োগ ঘটিয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে এ খাতে বিশেষজ্ঞ জ্ঞানসম্পন্ন যোগ্য নেতৃত্বের কোনো বিকল্প নেই। একটি উদাহরণ দেয়া যেতে পারে। রাজধানীতে আনুমানিক আট লাখ রিকশাচালক আছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি জরিপে উঠে এসেছে, ৭৬% রিকশাচালক সপ্তাহে গড়ে ১০০০ করে টাকা পরিবারের কাছে পাঠান মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে। বাকি ২৪% রিকশাচালকও সমপরিমাণ অভ্যন্তরীণ লেনদেন করেন। এ হিসাবে প্রতি সপ্তাহে মোট লেনদেনের পরিমাণ প্রায় আশি কোটি টাকা! মাসে ৩২০ কোটি আর বছরে ৩২০১ কোটি টাকা এবং এই অঙ্ক ক্রমবর্ধমান। এ রকম একটি বিস্ময়কর ডাটা ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণার আগ পর্যন্ত আমাদের ডাটাবেজের বাইরেই ছিল। মোবাইল হচ্ছে বর্তমান ডিজিটাল জগতের গেটওয়ে। এই বাস্তবতা জয় উপলব্ধি করেছিলেন ঠিক সময়ে। সে কারণে আজ এই তথ্যটি আমাদের সামনে এসেছে যা আমাদের অর্থনীতির জন্য একটি মাইলফলক। এমন একটি দিনে বালাদেশের জাতীয় একটি দৈনিকে এই জরিপটা উঠে এসেছে যেদিন সজীব ওয়াজেদ জয় প্রধানমন্ত্রীর অবৈতনিক তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা- এই মর্মে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। অবৈতনিককে অন্য অর্থে স্বেচ্ছাসেবী বলা যায়। বাংলাদেশে স্বেচ্ছায় জীবনদানকারী সহজে পাওয়া যায় কিন্তু স্বেচ্ছাসেবী দেশসেবক? জয়কে কেন আমাদের দরকার? যে পারে সে করে, আর যে সবার চেয়ে বেশি পারে সে স্বেচ্ছাসেবী হয়।
জয়ের সময়টা হচ্ছে তরুণ প্রজন্মের। জেনারেশন ওয়াই (ণ)। যাদের ব্যক্তিগত যোগাযোগের কৌশল পূর্ববর্তী প্রজন্মের (ঢ) চেয়ে ভিন্ন। নতুন প্রজন্ম মুখোমুখি আলাপের চেয়ে ডিজিটাল মেকানিজমে অনেক বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। ডিজিটাল যুগে, নিজেকে অন্যদের কাছ থেকে আড়াল করার কোনো সুযোগ নেই। তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে আমাদের কেমন নেতৃত্ব চাই? এমন একজন নেতা যিনি এই প্রজন্মের চ্যালেঞ্জ নেয়ার যোগ্যতা রাখেন, তার বিশ্বাসযোগ্যতা হতে হবে প্রশ্নাতীত, তাকে জনগণকে প্রতিনিয়ত অবহিত করতে হবে তিনি কি করতে যাচ্ছেন এবং কেন করতে যাচ্ছেন। তাকে ভুল স্বীকার করার মানসিকতা থাকতে হবে এবং ভুল শুধরে সামনে এগোনোর প্রত্যয় থাকতে হবে। সর্বোপরি তাকে সামনে সংলাপে বসার সময় থাকতে হবে। জয় সব জায়গায় তার সফল পদচারণা রেখেছেন।
অবৈধ ডাউনলোড, ডিজিটাল চিটিং, অন্যদের উপকরণ কাট এন্ড পেস্ট করে নিজের বলে চালিয়ে দেয়া হয়তো সাময়িক সোজা কিন্তু এসব কর্মকাণ্ড সঠিকও নয় এবং তা স্বীকৃতও নয়। কিছু মানুষ এখনো এনালগ রেকর্ড করে তারপর তা হার্ড ড্রাইভে ট্রান্সফার করে আর কিছু মানুষ সরাসরি ডিজিটাল ফরমেটকেই বেছে নেয়। এনালগকে কোনো সুযোগই দেয় না। জয় এরকমই একজন প্রযুক্তিবিদ। আরো দুপ্রকার জনগোষ্ঠী আছে। এক গ্রুপ সাইবার আক্রমণের শিকার এবং তারা জানে সাইবার এটাক কী, আরেক গ্রুপ সাইবার ক্রাইমের শিকার কিন্তু সাইবার এটাক কী তারা জানে না। যতদিন আমরা না জানব এই সাইবার পীড়ন কী, ততদিন সাইবার অপরাধীদের দ্বারা আক্রান্তদের সংখ্যা বাড়তেই থাকবে। সাইবার সন্ত্রাসীরা অদৃশ্য মুখোশ পরে সারাক্ষণ ছোবল দেয়ায় নেশায় অনলাইনে ছষে বেড়ায়। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের ভয়ঙ্কর ক্ষতিসাধন করার জন্য তার দৈহিক উপস্থিতির কোনো প্রয়োজন নেই। জয় আমাদের এই উৎপীড়নকারীদের হাত থেকে বাঁচাবে, এই আস্থা আমাদের।
ডিজিটাল এই সময়ে মানবীয় সম্পর্ক একটি সম্মানজনক পর্যায়ে অবস্থান করছে এবং এর প্রয়োজনীয়তা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে যদিও তাতে কিছু বিশৃঙ্খলতা বিদ্যমান। কিন্তু তাতে কি? আমরা প্রযুক্তি দিয়েই তা শৃঙ্খলে আনব। টেক্সিং, ইমেইল, পোস্টিং সবকিছুই হাতের কাছে ঠিক আমরা যেমনটি চাই। আমরা এখন প্রতি মুহ‚র্তে ভাবনাগুলো মনের মতো এডিট করি, যা দরকার নেই তা ডিলিট করি। ছবি, কণ্ঠ, দৃষ্টি, দেহ নিজের মতো করে ঘষামাজা করছি আবার তা ওয়েবে ছড়িয়ে দিচ্ছি। কমও না, বেশিও না ঠিক যতটুকু দরকার ততটুকু। এই দরকার আর পরিমাণটুকুই জয় আমাদের শিখিয়ে দেবে, আমাদের প্রত্যাশা। ডিজিটাল প্রযুক্তি আবার উন্মাদও হতে পারে যদি আমরা একেবারেই অলস হয়ে যাই। তথ্যপ্রযুক্তি ছবি আঁকে না, গান করে না আর কবিতাও লেখে না। আমরা যা বলব সে তাই করবে। আমরা অনেকেই জানি না তথ্যপ্রযুক্তির এই নতুন ভাষা। জয় আমাদের সেই ভাষা শেখাবে এখন। ইন্টারনেট যোগাযোগে বিপ্লব আনলেও আগের প্রজন্মের সঙ্গে নতুন জেনারেশনের একটি গ্যাপ সৃষ্টি হয়েছে। ফলে একটি সাময়িক নিঃসঙ্গতাও সমাজ আর পরিবারকে আক্রান্ত করেছে। এই গ্যাপ পূরণে জয় সফল হলে ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডে জয় নিজেকে বিশ্বের সম্মানীত স্থানে অধিষ্টিত করতে পারবে এটা আমাদের বিশ্বাস।
সভ্যতার কিরন দুভাবে ছড়ায়। জয় স্বআলোকিত। আর তার প্রতিফলিত আলোয় আমরা আলোকিত হব। বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের মন ফুলের মতো, জয়ের পরশে তা সঠিক সময়েই সৌরভ ছড়াবে।
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৫৯
আজকের বাকের ভাই বলেছেন: অনেক কথাইতো বললেন, তা "মোবাইল হচ্ছে বর্তমান ডিজিটাল জগতের গেটওয়ে। এই বাস্তবতা জয় উপলব্ধি করেছিলেন ঠিক সময়ে।" এখানে জয়ের ভূমিকা কী?
জয়কে চেনার আগে থেকে আমি মোবাইল চিনি। দেশের সবচেয়ে নামী সংবাদপত্র প্রথম-আলো, অথচ নির্বাচনের আগে এই প্রথম-আলো ও ডেইলি সানসহ আরো কিছু পত্রিকার জরিপ ও সংবাদকে কিভাবে বা কী কারণে করা হয় এ নিয়ে কথা তুলেছিলেন।
একজন প্রযুক্তি-বিদ হিসাবে জয়কে ভাল ধরা যেতেই পারে, কিন্তু রাজনীতিতে তিনি এখনো শিশু।