নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা বলিব সত্য বলিব

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।

তালপাতারসেপাই

লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।

তালপাতারসেপাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

সার্কের বড় গল্পটি লেখা হলো না

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:২৮

যেটুকু প্রাপ্তি- তার চেয়েও বড় প্রত্যাশার জন্ম দিয়ে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে গত ২৬-২৭ নভেম্বর হয়ে গেলো ১৮তম সার্ক শীর্ষ সম্মেলন। এ সম্মেলনের দৃশ্যমান প্রাপ্তির ঝুলিতে রয়েছে ৩৬ দফা কাঠমান্ডু ঘোষণা এবং সার্ক সম্মেলনের শেষ দিনে নানা নাটকীয়তার পর বড় চমক হিসেবে স্বাক্ষরিত দক্ষিণ এশিয়ায় বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতা বিষয়ক রূপরেখা চুক্তিটি। এবারের সার্ক সম্মেলনে রুটিন ওয়ার্কের বাইরে সামনে এগিয়ে চলার মাইলফলক কোনো পদক্ষেপ নেই বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, সম্মেলনটি এমনভাবে শেষ হয়েছে যেন সার্ক নিয়ে বড় গল্পটি লেখা হলো না।
বিশ্লেষকরা মনে করেন, এবারের সার্কে বড় ও যুগান্তকারী পদক্ষেপ না নিতে পারার নেপথ্যে রয়েছে সদস্য দেশগুলোর মধ্যে গভীর আস্থার সংকট। তাদের মতে, এবারের সার্ক সম্মেলনে আরো বড় পদক্ষেপ নেয়া যেত। আরো সাফল্যও অর্জন করা যেত। কিন্তু এর কিছুই হয়নি পারস্পরিক আস্থার অভাব ও অবিশ্বাসের দোলাচলে। প্রায় তিন দশক পার হলেও পারস্পরিক সম্পর্কের টানাপড়েনের কারণে সার্ক প্রত্যাশা পূরণ করতে বরাবরই ব্যর্থ হচ্ছে। এরপরও সার্কের কাছে এখনো প্রত্যাশা অনেক। এই সংস্থাটির এ পর্যন্ত নেয়া সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়ন করা গেলে এ অঞ্চলের দেড়শ কোটি জনগোষ্ঠীর ভাগ্য পাল্টে যাবে। এবারের সম্মেলনের মূল্যায়ন করতে গিয়ে সাবেক ক‚টনীতিক হুমায়ুন কবীর বলেন- আমি বলব, এবারের সার্ক সম্মেলন এমনভাবে শেষ হলো, যেন বড় গল্পটা লেখা হলো না। এই সম্মেলনে যে সাফল্য আমরা অর্জন করতে পারতাম তা করা যায়নি। এ সম্মেলনে আরো অনেক বড় পদক্ষেপ নেয়া যেত। কিন্তু তা না হওয়ায় এবারের সার্ক সম্মেলন শুধুই রুটিন ওয়ার্ক মনে হয়েছে।
অভিজ্ঞ এই সাবেক রাষ্ট্রদূত মনে করেন, এবারের সার্ক শীর্ষ সম্মেলনে সার্ক নেতৃত্বের কাছ থেকে কোনো লক্ষ্য (ভিশন) পাওয়া যায়নি। তাদের মধ্যে উদার মন-মানসিকতাও দেখা যায়নি। সবচেয়ে বড় ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, যে সব ইস্যুতে মতদ্বৈততা ছিল সেগুলো শীর্ষ সম্মেলনে না আনাই ভালো ছিল। সই হওয়া বিদ্যুৎ সহযোগিতা চুক্তিটি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটি এ অঞ্চলের বিদ্যুৎ সহযোগিতা নিশ্চিত করতে এটি একটি রূপরেখা চুক্তি। এই চুক্তি দ্রুত বাস্তবায়নের ওপর এর সুফল নির্ভর করছে।
এবারের সার্ক সম্মেলনে আশানুরূপ সাফল্য আসেনি বলে অভিমত প্রকাশ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদও। তিনি বলেন, এবারের সার্ক সম্মেলন ঘিরে আমাদের যে প্রত্যাশা ছিল, তাতে প্রাপ্তি শূন্যই বলা চলে। বিশেষ করে নরেন্দ্র মোদি সরকার ভারতের ক্ষমতায় আসার পর যে সব পদক্ষেপ নিয়েছিলেন, তাতে আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছিল। স্বভাবতই এবারের সার্ক সম্মেলনকে ঘিরে একটি বড় ধরনের প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু সম্মেলনে আমরা সেই নেতৃত্ব দেখতে পাইনি। বরং ভারত-পাকিস্তানের পুরোনো ও সংকীর্ণ তিক্ত সম্পর্ক যেন নতুন করে প্রকাশ পেল। শেষ দিনে দুদেশের শীর্ষ নেতার মধ্যে করমর্দন ও শুভেচ্ছা বিনিময়সহ আলাপ হলেও সার্ক সম্মেলনে প্রত্যাশার প্রতিফলন হয়নি।
এদিকে এবারের সার্ক ঘোষণায় বলা হয়েছে, বিদ্যুৎ সহযোগিতা চুক্তির মধ্য দিয়ে এ অঞ্চলের দেশগুলোর বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ ও সঞ্চালনের পথ সুগম হলো। আর সার্ক আঞ্চলিক রেল সহযোগিতা চুক্তি এবং সার্ক পণ্য ও যাত্রীবাহী মোটরযান চলাচল চুক্তি হওয়ার লক্ষ্যে আগামী তিন মাসের মধ্যে সার্কভুক্ত দেশগুলোর পরিবহন মন্ত্রীদের আলোচনা করার সিদ্ধান্ত হয়েছে সম্মেলনে। তাই আয়োজক ও অংশগ্রহণকারীরা এ সম্মেলনকে সফল দাবি করছেন।
সার্ক সম্মেলন শেষে দেশে ফিরে এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, সার্কের দেশগুলোর মধ্যে সমন্বয় খুব একটা সোজা বিষয় নয়। ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর বহুদিন লেগেছে এ সমন্বয় ঘটাতে। আগামী বছর সার্ক প্রতিষ্ঠার তিন দশক পূর্ণ হতে যাচ্ছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে এবারের সার্ক শীর্ষ সম্মেলন ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন চড়াই উৎরাই পার হয়ে সার্ক বর্তমান অবস্থায় পৌঁছেছে। সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রয়াস চলছে। আমরা মনে করি, যে চুক্তিটি হলো এবং বাকি চুক্তি দুটি সার্ককে অনেক এগিয়ে নিয়ে যাবে। এবারের সার্কে নতুন বিষয় উঠে এসেছে। ফলে বাংলাদেশ মনে করে, এবারের সম্মেলন সার্কের অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
তিনি আরো বলেন, প্রতি দুবছর অন্তর সার্ক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠান, সার্ক পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের সভা প্রতি বছর এবং সার্ক পররাষ্ট্র সচিবদের সভা বছরে অন্তত একবার করে অনুষ্ঠান, সার্ক মহাপরিচালক বা যুগ্ম সচিবদের নিয়ে গঠিত প্রোগাম কমিটিকে চার্টার বডিতে উন্নীত করাসহ এবারের বৈঠকে শীর্ষ নেতৃবৃন্দ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এগুলো অবশ্যই সফলতা।
এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, এবারের সার্ক সম্মেলনে বাংলাদেশের জন্য অনেক বড় প্রাপ্তির জায়গাও রয়েছে। সার্ক অঞ্চলের সবচেয়ে বড় দেশ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফলপ্রসূ বৈঠকে দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকা বহুল প্রত্যাশিত ও অমীমাংসিত ইস্যু তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষর ও স্থল সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নের অগ্রগতির আশ্বাস মিলেছে। একইসঙ্গে প্রায় সবগুলো দেশের সঙ্গেই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে দেশগুলোর সঙ্গে পারস্পরিক সম্পর্কের আরও অগ্রগতি, পরস্পরের সহযোগিতায় জনগণের উন্নয়নকে এগিয়ে নেয়া এবং এই অঞ্চলে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার বিষয়গুলোকে বাংলাদেশের জন্য বড় সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এছাড়া সমাপনী অনুষ্ঠানে নেপালের প্রধানমন্ত্রী সুশীল কৈরালা বলেন, কোনো সন্দেহ নেই যে, সার্ক সম্মেলন সফল হয়েছে। আরও যে সব অনিষ্পন্ন ইস্যু আছে, সেগুলো সমঝোতা আর আলাপ আলোচনার মাধ্যমেই নিষ্পত্তি হবে।যেটুকু প্রাপ্তি- তার চেয়েও বড় প্রত্যাশার জন্ম দিয়ে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে গত ২৬-২৭ নভেম্বর হয়ে গেলো ১৮তম সার্ক শীর্ষ সম্মেলন। এ সম্মেলনের দৃশ্যমান প্রাপ্তির ঝুলিতে রয়েছে ৩৬ দফা কাঠমান্ডু ঘোষণা এবং সার্ক সম্মেলনের শেষ দিনে নানা নাটকীয়তার পর বড় চমক হিসেবে স্বাক্ষরিত দক্ষিণ এশিয়ায় বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতা বিষয়ক রূপরেখা চুক্তিটি। এবারের সার্ক সম্মেলনে রুটিন ওয়ার্কের বাইরে সামনে এগিয়ে চলার মাইলফলক কোনো পদক্ষেপ নেই বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, সম্মেলনটি এমনভাবে শেষ হয়েছে যেন সার্ক নিয়ে বড় গল্পটি লেখা হলো না।
বিশ্লেষকরা মনে করেন, এবারের সার্কে বড় ও যুগান্তকারী পদক্ষেপ না নিতে পারার নেপথ্যে রয়েছে সদস্য দেশগুলোর মধ্যে গভীর আস্থার সংকট। তাদের মতে, এবারের সার্ক সম্মেলনে আরো বড় পদক্ষেপ নেয়া যেত। আরো সাফল্যও অর্জন করা যেত। কিন্তু এর কিছুই হয়নি পারস্পরিক আস্থার অভাব ও অবিশ্বাসের দোলাচলে। প্রায় তিন দশক পার হলেও পারস্পরিক সম্পর্কের টানাপড়েনের কারণে সার্ক প্রত্যাশা পূরণ করতে বরাবরই ব্যর্থ হচ্ছে। এরপরও সার্কের কাছে এখনো প্রত্যাশা অনেক। এই সংস্থাটির এ পর্যন্ত নেয়া সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়ন করা গেলে এ অঞ্চলের দেড়শ কোটি জনগোষ্ঠীর ভাগ্য পাল্টে যাবে। এবারের সম্মেলনের মূল্যায়ন করতে গিয়ে সাবেক কুটনীতিক হুমায়ুন কবীর বলেন- আমি বলব, এবারের সার্ক সম্মেলন এমনভাবে শেষ হলো, যেন বড় গল্পটা লেখা হলো না। এই সম্মেলনে যে সাফল্য আমরা অর্জন করতে পারতাম তা করা যায়নি। এ সম্মেলনে আরো অনেক বড় পদক্ষেপ নেয়া যেত। কিন্তু তা না হওয়ায় এবারের সার্ক সম্মেলন শুধুই রুটিন ওয়ার্ক মনে হয়েছে।
অভিজ্ঞ এই সাবেক রাষ্ট্রদূত মনে করেন, এবারের সার্ক শীর্ষ সম্মেলনে সার্ক নেতৃত্বের কাছ থেকে কোনো লক্ষ্য (ভিশন) পাওয়া যায়নি। তাদের মধ্যে উদার মন-মানসিকতাও দেখা যায়নি। সবচেয়ে বড় ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, যে সব ইস্যুতে মতদ্বৈততা ছিল সেগুলো শীর্ষ সম্মেলনে না আনাই ভালো ছিল। সই হওয়া বিদ্যুৎ সহযোগিতা চুক্তিটি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটি এ অঞ্চলের বিদ্যুৎ সহযোগিতা নিশ্চিত করতে এটি একটি রূপরেখা চুক্তি। এই চুক্তি দ্রুত বাস্তবায়নের ওপর এর সুফল নির্ভর করছে।এবারের সার্ক সম্মেলনে আশানুরূপ সাফল্য আসেনি বলে অভিমত প্রকাশ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদও। তিনি বলেন, এবারের সার্ক সম্মেলন ঘিরে আমাদের যে প্রত্যাশা ছিল, তাতে প্রাপ্তি শূন্যই বলা চলে। বিশেষ করে নরেন্দ্র মোদি সরকার ভারতের ক্ষমতায় আসার পর যে সব পদক্ষেপ নিয়েছিলেন, তাতে আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছিল। স্বভাবতই এবারের সার্ক সম্মেলনকে ঘিরে একটি বড় ধরনের প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু সম্মেলনে আমরা সেই নেতৃত্ব দেখতে পাইনি। বরং ভারত-পাকিস্তানের পুরোনো ও সংকীর্ণ তিক্ত সম্পর্ক যেন নতুন করে প্রকাশ পেল। শেষ দিনে দুদেশের শীর্ষ নেতার মধ্যে করমর্দন ও শুভেচ্ছা বিনিময়সহ আলাপ হলেও সার্ক সম্মেলনে প্রত্যাশার প্রতিফলন হয়নি।
এদিকে এবারের সার্ক ঘোষণায় বলা হয়েছে, বিদ্যুৎ সহযোগিতা চুক্তির মধ্য দিয়ে এ অঞ্চলের দেশগুলোর বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ ও সঞ্চালনের পথ সুগম হলো। আর সার্ক আঞ্চলিক রেল সহযোগিতা চুক্তি এবং সার্ক পণ্য ও যাত্রীবাহী মোটরযান চলাচল চুক্তি হওয়ার লক্ষ্যে আগামী তিন মাসের মধ্যে সার্কভুক্ত দেশগুলোর পরিবহন মন্ত্রীদের আলোচনা করার সিদ্ধান্ত হয়েছে সম্মেলনে। তাই আয়োজক ও অংশগ্রহণকারীরা এ সম্মেলনকে সফল দাবি করছেন।
সার্ক সম্মেলন শেষে দেশে ফিরে এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, সার্কের দেশগুলোর মধ্যে সমন্বয় খুব একটা সোজা বিষয় নয়। ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর বহুদিন লেগেছে এ সমন্বয় ঘটাতে। আগামী বছর সার্ক প্রতিষ্ঠার তিন দশক পূর্ণ হতে যাচ্ছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে এবারের সার্ক শীর্ষ সম্মেলন ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন চড়াই উৎরাই পার হয়ে সার্ক বর্তমান অবস্থায় পৌঁছেছে। সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রয়াস চলছে। আমরা মনে করি, যে চুক্তিটি হলো এবং বাকি চুক্তি দুটি সার্ককে অনেক এগিয়ে নিয়ে যাবে। এবারের সার্কে নতুন বিষয় উঠে এসেছে। ফলে বাংলাদেশ মনে করে, এবারের সম্মেলন সার্কের অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
তিনি আরো বলেন, প্রতি দুবছর অন্তর সার্ক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠান, সার্ক পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের সভা প্রতি বছর এবং সার্ক পররাষ্ট্র সচিবদের সভা বছরে অন্তত একবার করে অনুষ্ঠান, সার্ক মহাপরিচালক বা যুগ্ম সচিবদের নিয়ে গঠিত প্রোগাম কমিটিকে চার্টার বডিতে উন্নীত করাসহ এবারের বৈঠকে শীর্ষ নেতৃবৃন্দ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এগুলো অবশ্যই সফলতা।
এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, এবারের সার্ক সম্মেলনে বাংলাদেশের জন্য অনেক বড় প্রাপ্তির জায়গাও রয়েছে। সার্ক অঞ্চলের সবচেয়ে বড় দেশ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফলপ্রসূ বৈঠকে দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকা বহুল প্রত্যাশিত ও অমীমাংসিত ইস্যু তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষর ও স্থল সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নের অগ্রগতির আশ্বাস মিলেছে। একইসঙ্গে প্রায় সবগুলো দেশের সঙ্গেই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে দেশগুলোর সঙ্গে পারস্পরিক সম্পর্কের আরও অগ্রগতি, পরস্পরের সহযোগিতায় জনগণের উন্নয়নকে এগিয়ে নেয়া এবং এই অঞ্চলে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার বিষয়গুলোকে বাংলাদেশের জন্য বড় সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এছাড়া সমাপনী অনুষ্ঠানে নেপালের প্রধানমন্ত্রী সুশীল কৈরালা বলেন, কোনো সন্দেহ নেই যে, সার্ক সম্মেলন সফল হয়েছে। আরও যে সব অনিষ্পন্ন ইস্যু আছে, সেগুলো সমঝোতা আর আলাপ আলোচনার মাধ্যমেই নিষ্পত্তি হবে।
সুত্র

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.