নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা বলিব সত্য বলিব

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।

তালপাতারসেপাই

লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।

তালপাতারসেপাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

পালাচ্ছে জামায়াত।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ ভোর ৬:৩৭


মামলার ভারে কাবু বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর অনেক কেন্দ্রীয় নেতা গ্রেপ্তারের ভয়ে প্রকাশ্যে আসতে পারছেন না। অনেকে পাড়ি জমিয়েছেন বিদেশে। আত্মগোপনে থেকে টেলিফোন, ই-মেইল ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে সংগঠন চালাচ্ছেন তারা। পথিমধ্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের গাড়িবহরে হঠাৎ করে যোগ দিয়ে ২০ দলীয় জোটের কর্মসূচি পালন করছেন জামায়াতের শীর্ষস্থানীয় নেতারা। এরপর তারা কোথায় যাচ্ছেন, কেমন আছেনÑ তা জানেন না জামায়াতেরই বেশিরভাগ নেতা। সূত্র জানায়, গ্রেপ্তার এড়াতে অধিকাংশ জামায়াত নেতা নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে ভিন্ননামে বাসা ভাড়া নিয়ে আত্মগোপনে আছেন।
জামায়াতের এমন দুর্দিনে সঙ্গ দিতে পারছেন না দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ব্যারিস্টার রাজ্জাকের মতো বিজ্ঞ কৌঁসুলিও। গত বছর ১৭ ডিসেম্বর তিনি লন্ডন যাওয়ার পর আর ফেরেননি। বিমানবন্দর ত্যাগের পরদিন ব্যারিস্টার রাজ্জাকের বিরুদ্ধে রাজধানীর কলাবাগান থানায় ভাঙচুর ও বিস্ফোরক আইনে একটি মামলা হয়। পুলিশ সূত্র জানায়, দেশে ফিরলেই ওই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে। প্রবীণ এ আইনজীবী কবে ফিরবেন, তাও বলতে পারছে না জামায়াত। এদিকে মামলা পরিচালনাকারী কৌঁসুলির অনুপস্থিতিতে মনস্তাত্ত্বিক চাপে রয়েছে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বিপর্যস্ত দলটি। তেমনি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের মামলায় তার মতো দতার সঙ্গে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনে হিমশিম খাচ্ছেন অন্য আইনজীবীরা।
জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মতিউর রহমান আকন্দ আমাদের সময়কে বলেন, জামায়াতের রাজনীতি নিশ্চিহ্ন করতে সরকার বিভিন্নভাবে হয়রানিসহ মিথ্যা মামলা দিচ্ছে। এতে জামায়াত নেতারা প্রকাশ্যে কাজ করতে পারছেন না। তিনি বলেন, সরকারি হয়রানি-নির্যাতনের মধ্যেও জামায়াতের দলীয় কার্যক্রম চলছে। কোথাও নেতৃত্ব সংকট নেই।
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ২০১০ সালের ২৯ জুন দলীয় আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, নায়েবে আমির মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ও সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ গ্রেপ্তার হন। এরপর মকবুল আহমাদকে জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির ও এটিএম আজহারুল ইসলামকে ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেলের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ২০১১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর এটিএম আজহারুল ইসলাম গ্রেপ্তার হলে ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেলের দায়িত্ব পান ডা. শফিকুর রহমান। ২০১২ সালের ১২ ডিসেম্বর রাতে ডা. শফিকুর রহমানও গ্রেপ্তার হন। পরে ওই দায়িত্ব পান ঢাকা মহানগরী জামায়াতের আমির মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান। ২০১৩ সালের নভেম্বরে ডা. শফিকুর রহমান জামিনে মুক্ত হলে আবারও স্বপদে বহাল হন। তবে জামিনের পরপরই আত্মগোপন করেন তিনি। একই অবস্থা আমিরের বেলায়ও। ২০১১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাকরাইলে পুলিশের সঙ্গে জামায়াত-শিবিরের ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনার পর থেকেই ভারপ্রাপ্ত আমির আত্মগোপনে।
জামায়াত সূত্র জানায়, ২০১০ সালের পর হরতালে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, রাষ্ট্রপতি, সাবেক আইনমন্ত্রী শফিক আহমদের গাড়িবহরে হামলাসহ নানা ধরনের অভিযোগ এনে জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমিরের বিরুদ্ধে ২৪-২৫টি মামলা হয়। একইভাবে দলটির বর্তমান সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে ৩০-৩২টি। একটি মামলায় নেতারা জামিন পেলেও আরেকটি মামলায় জড়ানো হয় দলটির ওই দুই নেতাকে। এজন্য গ্রেপ্তার-হয়রানি এড়াতে শীর্ষ দুই নেতা জোটের ডাক ছাড়া কার্যত আত্মগোপনে রয়েছেন। মামলার ভারে প্রকাশ্যে আসছেন না দলের ঢাকা মহানগর আমির মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, নায়েবে আমির হামিদুর রহমান আযাদ ও সেক্রেটারি নূরুল ইসলাম বুলবুলও। এদিকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা মাথায় নিয়ে জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির মকবুল আহমাদ ২০১২ সাল থেকে ১৮ দল এবং ২০ দলীয় জোটের বেশ কয়েকটি মহাসমাবেশ মঞ্চে হাজির হয়েছেন। সমাবেশ শেষে আবার মুহূর্তের মধ্যে গায়েবও হয়ে যান।
জামায়াতের মামলা পরিচালনাকারী অ্যাডভোকেট কামাল উদ্দিন আমাদের সময়কে বলেন, জামায়াতের নেতাদের বিরুদ্ধে যেসব মামলা হয়েছে তার কোনও ভিত্তি নেই। একটি রাজনৈতিক দলের আমির ও সেক্রেটারি জেনারেল নিজে উপস্থিত হয়ে কীভাবে রাষ্ট্রপতি-আইনমন্ত্রীর গাড়িবহরে হামলা চালাতে পারেন? তিনি বলেন, সারাদেশে জামায়াতের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সরকার এভাবে মিথ্যা ও কাল্পনিক মামলা দায়ের করায় তারা প্রকাশ্যে নেই।
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় দলটির আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, নির্বাহী পরিষদের সদস্য মীর কাসেম আলীকে মৃত্যুদ- দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এছাড়া সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকর এবং চূড়ান্ত রায়ে নায়েবে আমির মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর যাবজ্জীবন কারাদ- হয়। ফাঁসির রায় কার্যকরের অপেক্ষায় রয়েছে সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল কামারুজ্জামানের।
ট্রাইব্যুনালে রায় ঘোষণার অপেক্ষায় আছে সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের মামলা। বিচারের শেষ পর্যায়ে রয়েছে আটক নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুস সুবহানের মামলা। দলের আরেক নায়েবে আমির অধ্যাপক নাজির আহমদ ইন্তেকাল করেছেন। দলটির ২১ সদস্যের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের মধ্যে আবু নাছের মো. আবদুজ জাহের বাদে সবাই আত্মগোপনে। প্রকাশ্যে থাকলেও ইসলামী ব্যাংক নিয়ে ব্যস্ত আছেন আবু নাছের মো. আবদুজ জাহের।
দুর্দিনে ঢাকা মহানগরীর সহকারী সেক্রেটারি ডা. শফিকুল ইসলাম মাসুদ ঝটিকা মিছিল ও গোপনে বৈঠক করে আসছিলেন। গত ৯ আগস্ট তিনিও গ্রেপ্তার হন। একই অবস্থা বন্দরনগরী চট্টগ্রামেও। এতে ঘরছাড়া হওয়ার পাশাপাশি আইনি সহায়তার ভরসাও হারিয়েছে জামায়াতের নেতাকর্মীরা।
সুত্র

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৭:৪৭

সরদার হারুন বলেছেন: তিনটি প্রাণীর শেষ নেই এক- তেলা পোকা,দু'ই-শয়তান,তিন- মানুষ । এদের শেষ করা যায়না । জামাত হয়তো দু'ই নম্বরে আছে । তাই শেষ হবেনা ।

৭১, সালে তারা নির্মুল হয়েছিল কিন্তু আজ একটি দল । তাদের সাহায্য করছে
মুক্তিযোদ্ধার একটি অংশ তাই তারা মরেনি। এ জন্য যারা ক্ষমতায় আছে তারাও কম বেশী দায়ি ।

পরাজিত শক্তি সব সময় প্রতিপক্ষের একটি অংশের ঘারে প্রথমে চেপে বসে পরে
তাদের শেষ করে অন্য অংশের ঘার মটকাতে চেষ্টা করে। জামাতও তাই তাদের করছে । মৃত্যু নেই ।

২| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:০৩

কলাবাগান১ বলেছেন: "পরাজিত শক্তি সব সময় প্রতিপক্ষের একটি অংশের ঘাড়ে প্রথমে চেপে বসে পরে তাদের শেষ করে অন্য অংশের ঘাড় মটকাতে চেষ্টা করে। জামাতও তাই করছে । মৃত্যু নেই "

৩| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:১৮

সরদার হারুন বলেছেন: ভাই কলাবাগান,আপনি নিজের মতামত না দিয়ে আমার লেখা তুলে দিলেন কেন ? বুঝলাম না ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.