নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।
মির্জা আব্বাস বলেছেন, পূর্বের কমিটির ব্যর্থতা ও দলীয় বিশ্বাসঘাতকদের কারণে ২৯ ডিসেম্বরের আন্দোলন ব্যর্থ হয়েছিল। এবার ঢাকা মহানগর কমিটি সুসংগঠিত হচ্ছে। আসন্ন আন্দোলনও সফল হবে বলেন।
রোববার রাজধানীর শাহজাহানপুরের নিজ বাসভবনে যায়যায়দিনকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি কথা বলেন কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া ও সর্বশেষ অবস্থা নিয়ে।
আলোচনার শুরুতেই মির্জা আব্বাস বলেন, বিগত আন্দোলনের ব্যর্থতার জন্যই ঢাকা মহানগরে নতুন কমিটি করা হয়েছে। আর গত বছরের ২৯ ডিসেম্বরের আন্দোলন ব্যর্থ হওয়ার কারণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সরকার নিজেদের স্বার্থে এই আন্দোলন ব্যর্থ হোক তা চেয়েছে। কিন্তু পেছন থেকে ষড়যন্ত্র করেছে তাদের দলের ও আন্তর্জাতিক বিশ্বাসঘাতকরা। দলীয় বিশ্বাসঘাতকরা আন্দোলনের কৌশল আগে থেকেই ফাঁস করে দিয়েছিলেন। পাশাপাশি ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে ৮টি জোনে মহানগরকে ভাগ করে আন্দোলনের বিভ্রান্তিকর সংবাদ পরিবেশনও করা হয়েছিল।
কবে নাগাদ ঢাকা মহানগর কমিটি ঘোষণা করা সম্ভব হবে জানতে চাইলে জবাবে মির্জা আব্বাস বলেন, শিগগিরই নগরীর ১০০টি ওয়ার্ডের কমিটি ঘোষণা করা হবে। তবে নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে এখনই সুনির্দিষ্টভাবে দিন-তারিখ বলা যাবে না।
কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া সম্পর্কে মির্জা আব্বাস বলেন, স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় গঠিত হচ্ছে নগরীর ওয়ার্ড কমিটিগুলো। বাহ্যিকভাবে সম্মেলন হচ্ছে না মনে হলেও আসলে সম্মেলনের মাধ্যমেই গঠিত হচ্ছে কমিটি। সম্মেলনের ধরন পরিবর্তন হয়েছে মাত্র। কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে স্থানীয় পর্যায়ের সবার মতামত নিয়ে কমিটি গঠন করা হচ্ছে।
পকেট কমিটি গঠনের অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যত স্বচ্ছভাবে কমিটি গঠন করা হোক না কেন কেউ না কেউ অসন্তুষ্ট হবে। তারাই সংবাদমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে এই অভিযোগের বিষয়টি সামনে আনছেন। আর কমিটি ঘোষণা হওয়ার পরও গুটি কয়েক নেতাকর্মী পকেট কমিটির অভিযোগ আনতে পারেন। এজন্য কোনো প্রক্রিয়াই থেমে থাকবে না।
প্রশ্ন : সংবাদমাধ্যমে আপনিই স্বীকার করেছেন মাত্র ৪ জন নেতার সঙ্গে আলোচনা করে কমিটি গঠন করছেন, ৫২ নেতার আহ্বায়ক কমিটিতে অন্যদের কোনো ভূমিকা নেই কেন?
উত্তর : সংবাদমাধ্যমে এমন কোনো কথা বলেননি। সংবাদমাধ্যম হয়তো ভুল করে এমন সংবাদ পরিবেশন করেছে। সবার সঙ্গে আলোচনা করে কমিটি গঠন করা হচ্ছে।
প্রশ্ন : মহানগরকে ভেঙে দুই ভাগে বিভক্ত করে কমিটি গঠন করবেন কিনা?
উত্তর : এমন কোনো ইচ্ছে নেই। ঢাকা মহানগরকে বিভক্ত করার বিপক্ষে বিএনপি। সিটি করপোরেশনকে সরকার দুই ভাগে ভাগ করেছে। সুযোগ পেলে এটিকে আবার এক করা হবে।
প্রশ্ন : ঢাকা মহানগরের পূর্ণাঙ্গ কমিটির নেতৃত্বে আসার ইচ্ছে আছে কিনা?
উত্তর : এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। সময় সব বলে দেবে। এক্ষেত্রে দলের চাহিদা এবং তার শারীরিক অবস্থা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্ন : সদস্য সচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেলের সঙ্গে সমস্যার সমাধান হয়েছে?
উত্তর : সোহেলের সঙ্গে তার কখনো কোনো দ্বন্দ্ব বা সমস্যা ছিল না। তবে সিটি রাজনীতির ধরন ভিন্ন হওয়ায় এই পদে সোহেলের সহযোগিতা যথেষ্ট হবে না বলে মনে করছেন তিনি এবং বিষয়টি দলের সর্বোচ্চ পর্যায়ে জানানোও হয়েছে। এজন্য অনেকে সোহেলের সঙ্গে তার দ্বন্দ্ব বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছেন।
প্রশ্ন : সদস্য সচিব হিসেবে সোহেলের বর্তমান কর্মকা- আপনার প্রত্যাশা পূরণ করছে কিনা?
উত্তর : সোহেল রাজনীতি করার ছেলে। ছাত্র রাজনীতি করেছে। একদিন সে জাতীয় নেতাও হবে। তার পক্ষে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব। আস্তে আস্তে সিটি রাজনীতির ধরন সম্পর্কে সে অবগত হচ্ছে। যেদিন সম্মিলিতভাবে এই কমিটি সফল হবে, সেদিন যে যার পদ থেকে সফল হবে।
প্রশ্ন: ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণার পর যে প্রতিক্রিয়া দেখা হয় ঢাকা মহানগরের বেলায়ও এমন হবে অনেকের ধারণা। আপনার কি মত?
উত্তর : তেমন কোনো ঘটনা ঘটবে না এটা নিশ্চিত। কারণ এখানে সুযোগ্যদের কেউ বাদ পড়বে না। আর সবার মত নিয়েই কমিটি গঠিত হচ্ছে।
প্রশ্ন: কমিটি গঠনে কোনো প্রতিবন্ধকতা আছে কি?
উত্তর : অনেক প্রতিবন্ধকতা আছে। বিগত কমিটির অনেক প্রভাবশালীই চাচ্ছে না সুষ্ঠুভাবে কমিটি গঠন করে সফল হন। তাই নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। এছাড়া কিছু কিছু স্থানে বিরোধ রয়েছে। সব প্রতিবন্ধকতা জয় করে কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বেশি বিরোধপূর্ণ এলাকা কাজ নিজেই করছেন। বেশি সমস্যা হচ্ছে মিরপুর, মোহাম্মদপুর, ডেমরা, যাত্রাবাড়ী, উত্তরা এবং পুরান ঢাকার কয়েকটি স্থানে। এসব এলাকার ত্যাগী নেতারা চাচ্ছেন না ১/১১-এর বিশ্বাসঘাতকরা নেতৃত্বে আসুন। আর ১/১১ বিতর্কিতরা চাচ্ছেন নেতৃত্বে থাকতে। তাই কাউকে বাদ দিয়ে নয়, সবাইকে রেখে কমিটি গঠন করতে একটু সমস্যা তো হচ্ছেই।
প্রশ্ন : ১/১১ বিতর্কিতদের কমিটিতে রাখার বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে কিনা?
উত্তর : অবশ্যই তাদের পদ দেয়া হলেও বিকল্প পদের ধারাবাহিকতা রাখা হচ্ছে। কারণ বিতর্কিতদের ব্যাপারে সতর্ক হয়ে পথচলা রাজনীতির কৌশলের একটি অংশ।
প্রশ্ন : অনেক বিশিষ্টজনের মত হচ্ছে তারেক রহমানের সাম্প্রতিক সময়ের বক্তব্য দলের জন্য ক্ষতি হচ্ছে। আপনার কি মত?
উত্তর : তারেক রহমান লন্ডনে লেখাপড়া করছেন। বিভিন্ন ইতিহাসবিদদের বই পড়ে তথ্য-উপাত্ত নিয়ে বক্তব্য রাখছেন, যা জাতির উপকারই হচ্ছে। এখানে দলের ক্ষতি হওয়ার কোনো কারণ নেই।
প্রশ্ন : মধ্যবর্তী নির্বাচনের প্রধান দাবি কবে নাগাদ আদায় করতে পারবেন?
উত্তর : তা সুনির্দিষ্টভাবে বলতে পারবেন না। তবে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় তো বলেছে মার্চ নাগাদ।
প্রশ্ন : দলের মহাসচিব হতে চান এমন আলোচনা আছে বিভিন্ন মহলে। আপনি কি বলেন?
উত্তর: এমন কথা কোথাও বলেননি। এখন পর্যন্ত আগ্রহও প্রকাশ করেননি।
সুত্র
২| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:২৭
ডার্ক ম্যান বলেছেন: যে দলটির জন্ম অবৈধ ভাবে ক্যান্টনমেন্টের ভিতরে সামরিক বাহিনীর সহায়তায় তাদের পক্ষে কখনো গণআন্দোলন সম্ভব নয়। আর বিএনপির জন্ম হয়েছিলো তৎকালীন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর বিশ্বাসঘাতকদের সহায়তায়।
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:২০
খেলাঘর বলেছেন:
চোর ডাকাত কিসের আন্দোলন করছে?