নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা বলিব সত্য বলিব

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।

তালপাতারসেপাই

লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।

তালপাতারসেপাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

দেশের রাজনীতিতে বিপরীতমুখী দুই ধারা

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৭:৫০

বাংলাদেশের দৃশ্যমান বাস্তবতা দেখে মনে হয় দেশের জনগণ আজ সম্পূর্ণভাবে দুভাবে বিভক্ত। স্বাধীনতার পক্ষের ও বিপক্ষের শক্তি। দেশ স্বাধীন হওয়ার আগে অর্থাৎ পাকিস্তান আমলে যখন আজকের স্বাধীন বাংলাদেশ পূর্ব পাকিস্তান ছিল তখন থেকেই এই বিভক্তির সৃষ্টি পাকিস্তান নামক ধর্মরাষ্ট্রে যারা ধর্ম ও সাম্প্রদায়িকতাভিত্তিক রাজনৈতিক চর্চা করতেন বাঙালি জাতীয়তাবাদ বিরোধী ছিলেন এমনকি বাংলা ভাষায় কথা বলা যাদের অনেকের অভ্যাস ছিল না, পাকিস্তান থাকলেই ইসলাম থাকবে এই যাদের বিশ্বাস ছিল তারাই কিন্তু ১৯৭১ সালে দখলদার বাহিনীর সমর্র্থক হিসেবে সহযোগিতা করেছিলেন। অপরদিকে গণতান্ত্রিক অসাম্প্রদায়িক প্রগতিপন্থীরা এমনকি পাকিস্তান সৃষ্টির আগে থেকে প্রগতির ধারায় অগ্রসরমান হচ্ছিলেন তারা কখনো পাকিস্তানি স্বৈরাচার ও সাম্প্রদায়িকতার কাছে মাথানত করেননি। সুপ্ত বাঙালি জাতীয়তাবাদী চেতনায় তারা উদ্বুদ্ধ হয়েছিলেন। পাকিস্তানের নাগরিক হয়েও তারা একদিনের জন্য ভোলেননি যে বাংলা তাদের ভাষা, বাঙালি তাদের জাতীয়তাবাদ এবং বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে ধারণ করেই তারা তাদের অস্তিত্ব রক্ষা করতে পারেন। তারা কখনো পাকিস্তান নাগরিক হয়েও দখলদারদের শোষণমূলক রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হননি। মুষ্টিমেয় কিছু মুসলীম লীগ ও পাকিস্তানপন্থী ছাড়া পূর্ব পাকিস্তানের অধিকাংশ মানুষ বাঙালি জাতীয়তাবাদী চেতনায় বিশ্বাসী ছিলেন। যখনই বাঙালি জাতীয়তাবাদের সঙ্গে পাকিস্তানি জাতীয়তাবাদের সংঘাত অনিবার্য হয়েছে তখনই তারা বাঙালি জাতীয়তাবাদের পক্ষ অবলম্বন করেছেন। উর্দুকে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা হিসেবে ঘোষণা দিয়ে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালিদের প্রকৃত অর্থেই সতর্ক করেছিলেন। ভাষা আন্দোলনই হচ্ছে আমাদের জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের প্রথম সোপান। ওই আন্দোলনের পথ ধরেই আমরা স্বায়ত্তশাসন ও স্বাধিকারের পথে অগ্রসর হয়েছি। প্রতিক্রিয়াশীল ও মুসলীম লীগ ও অন্যান্য ডানপন্থী দল বাঙালি জাতীয়তাবাদের প্রতি আকৃষ্ট না হয়ে পাকিস্তানি শাসক-শোষকদের তাঁবেদারি করত। পাকিস্তান কেন্দ্রীয় সরকার কর্তৃক একচ্ছত্রভাবে পূর্ব পাকিস্তানকে শোষণ করায় বাঙালির আন্দোলন ক্রমাগত শক্তিশালী হতে থাকে। যত দিন যায় ততই বাঙালি বুঝতে পারে পাকিস্তান নামক রাষ্ট্রের অন্তর্ভুক্ত থেকে জাতীয় স্বার্থ সংরক্ষণ সম্ভব নয়। সে কারণেই ৬ দফা আন্দোলন, স্বায়ত্তশাসনের আন্দোলন, স্বাধীনতার আন্দোলনে রূপান্তর হয়। আর এই আন্দোলনের রূপকারই হচ্ছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানপন্থীরা অর্থাৎ মুসলীম লীগ, জামায়াতে ইসলাম ও অন্যান্য প্রতিক্রিয়াশীল সংগঠন দখলদার বাহিনীর পক্ষাবলম্বন করে। মার্চ মাসে গণহত্যার পরও তারা তাদের মত ও পথের কোনো পরিবর্তন করেনি। ৯ মাসের সশস্ত্র সংগ্রাম চলাকালে দখলদার বাহিনীর সম্পূরক শক্তি হিসেবে তারা কাজ করেছে। হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট, ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ এমন কোনো অপরাধ নেই যে তারা করেনি। এ দেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে তারা বাঙালি জাতীয়তাবাদী চেতনাকে ধ্বংস করতে চেয়েছে। সাধের পাকিস্তান রক্ষা করার জন্য তারা তাদের দেশের মা-বোনকে দখলদার বাহিনীর দস্যুদের হাতে তুলে দিয়েছে। প্রায় আড়াই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রম নষ্ট করা হয়েছে। ৯ মাস ধরে নিরীহ বাঙালিকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে।
পাকিস্তানপন্থী দলসমূহ এবং তার নেতারা এসব শুধু পর্যবেক্ষণই করেননি সক্রিয়ভাবে সহযোগিতা করেছেন। বিশেষ করে জামায়াতের নেতারা যারা আজকে মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডিত তারা নানা রকম উপবাহিনী সৃষ্টি করে দখলদার বাহিনীকে নিবিড় সহযোগিতা করেছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় তারা যে ভূমিকা পালন করেছে, মুক্তিযুদ্ধের পরাজয়ের পর তাদের এ দেশে থাকার কোনো নৈতিক অধিকার থাকা উচিত নয়। বস্তুত গোলাম আযম তো তার লোকজন নিয়ে পাকিস্তানে চলে গিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করার পর জিয়াউর রহমান তাদের দেশে ফিরিয়ে এনে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের যে সখ্য তার মূল উৎসই তো এখানে। স্বাধীন বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বঙ্গবন্ধু শুরু করেছিলেন। ১১ হাজার অপরাধী বন্দি ছিল। অনেকের বিচার হচ্ছিল বা পরে হতো। জিয়াই তো বিদ্যমান আইন বাতিল করে সব যুদ্ধাপরাধীকে মুক্ত করে দেন। ১৯৭৫-এ বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার নিষিদ্ধ করেন এবং তাদের নিরাপত্তার জন্য বিদেশে পাঠিয়ে দেন। জেনারেল জিয়া থেকে বেগম জিয়া প্রায় দেড় দশক বিএনপির শাসনামলে একই নীতি অবলম্বন করেছেন। বেগম জিয়া একধাপ এগিয়ে গিয়ে জামায়াতের সঙ্গে একই জোটে একীভূত হয়ে আজ পর্যন্ত আন্দোলন পরিচালনা করছেন। স্বাধীন বাংলাদেশে, স্বাধীনতা বিরোধীদের রাজনৈতিকভাবে পুনর্বাসিত করে, আর্থসামাজিক ও রাষ্ট্রীয়ভাবে যে শক্তিশালী করা হয় তারই কুফলের প্রতিফলন দেখা যায় আজকের রাজনীতিতে।
১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সালে নিষিদ্ধ সে দলটি ধর্মকে আশ্রয় করে অতি গোপনে মসজিদ ও মাদ্রাসায় অতি গোপনে প্রচার চালাতো তারা আজ প্রকাশ্য জঙ্গিবাদী তৎপরতার মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের রাজনীতি করছেন। যে সব যুদ্ধাপরাধীকে জিয়া মুক্ত করে দিয়েছিলেন যাদের সঙ্গে জিয়া ও বেগম জিয়ার সম্পর্ক, তারা আজ স্বাধীন বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় সত্তা ও চেতনাবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ বলতে কি বুঝিয়েছেন? অর্থাৎ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশ নয়, অর্থাৎ বাংলাদেশকে তারা জামায়াতী কায়দায় গড়ে তুলতে চায়। এটাতো বাংলাদেশের অস্তিত্বের প্রতি চ্যালেঞ্জ। অথচ এটা নিয়ে স্বাধীনতার সপক্ষের শক্তির বেশি একটা উদ্বিগ্ন হতে দেখা যায়নি। জামায়াতের সঙ্গে সহযোগী হয়ে, জামায়াতের ওপর নির্ভরশীল হয়ে, বিএনপি তো ভিন্নতর বাংলাদেশ গঠন প্রক্রিয়া সহযোগিতা করছে। বিএনপির অভ্যন্তরে মুক্তিযোদ্ধারা কি করে এটা মেনে নিতে পারেন। আর জিয়াউর রহমান যদি সত্যিকার অর্থে মুক্তিযোদ্ধা হয়ে থাকতেন তাহলে তিনি কি করে মুক্তিযুদ্ধের শক্রদের বরণ করে নিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের রাজনীতিকে পুনর্বাসন করলেন। সব নষ্টের মূল জিয়া। একদিক থেকে বলা হচ্ছে তিনি নাকি স্বাধীনতার ঘোষক। প্রথম সারির মুক্তিযোদ্ধা। যদি তাই হয়ে থাকেন তাহলে তিনি কী করে স্বাধীনতার শত্রুদের দেশ ফিরিয়ে আনলেন এবং এ দেশের রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত করলেন।
যাদের কারণে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশ বিপন্ন হতে পারে। আসলে স্বাধীনতা বিরোধীরা মহান মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল তারা এখনো সেই বিরোধিতার প্রক্রিয়ায় লিপ্ত রয়েছে। ১৯৭১ সালে পরাজয় বরণ করলেও তারা সে পরাজয়কে মেনে নেয়নি। গোলাম আযমসহ জামায়াতের কোনো নেতা ভুল করেছেন বলে আজো ক্ষমা প্রার্থনা করেননি। বরং তারা তাদের দর্শন বাস্তবায়নের জন্য পাকিস্তার রক্ষার জন্য যে সংগ্রাম করেছিলেন আজো তা পুনরুদ্ধার করার চেষ্টা করছেন।
পাকিস্তান আমলে তারা যতটুকু সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদে তৎপর ছিলেন তার থেকে শতগুণে জঙ্গিবাদী তৎপরতা বৃদ্ধি করেছেন। সে জন্যই তো বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা। যারা বলেন বাংদেশের গণতন্ত্র বিপন্ন। বিএনপি-জামায়াত গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছে। তাদের কাছে প্রশ্ন এটা কি প্রমাণ করে জামায়াত ও প্রতিক্রিয়াশীল শক্তিকে নিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার সম্ভব? বেগম জিয়া এটাই বলে আসছেন। দিনের আলোকে অন্ধকার হিসেবে পরিচিতি ঘটানোই তার লক্ষ্য। ১৯৭৫-এর প্রতিবিপ্লবের পর প্রতিবিপ্লবীরা বিভিন্ন সময় কৌশল পরিবর্তন করলেও মূল লক্ষ্য থেকে কখনো সরে যায়নি। আপস করেনি। মীমাংসা করেনি। মহামান্য আদালত কর্তৃক অভিযুক্ত হয়েও নিজেদের দোষ স্বীকার করেননি। তাই মানবতা বিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় যখন একে একে প্রকাশ পাচ্ছে তখন তারা জঙ্গিবাদী তৎপরতার মাধ্যমে তা মোকাবেলা করতে চাচ্ছে। কেননা যুক্তিতর্ক ঐতিহাসিক বাস্তবতা মেনে নিয়ে তারা কখনো তাদের অপরাধ স্বীকার করবে না। এটাই জঙ্গিবাদ তত্ত্ব।
জামায়াত এই তত্ত্ব থেকে বিন্দুমাত্র সরে দাঁড়ায়নি। জেনেশুনে বিএনপির নেতারা মিথ্যাচার করছেন। যাদের মধ্যে ডজনকে ডজন ব্যারিস্টার রয়েছেন, বুদ্ধিজীবী রয়েছেন, মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন, তারা বেগম জিয়ার নির্দেশ ক্রমেই জামায়াত থেকে গাঁটছড়া হতে পারেনি, পারবেও না।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক মনিরুজ্জামান মিঞা ও বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দিন আহম্মদের মতো বুদ্ধিজীবীরা জামায়াতের জঙ্গিবাদী তৎপরতা সম্পর্কে অবহিত। কিন্তু বেগম জিয়ার প্রভাবমুক্ত হয়ে সত্য কথা বলার সাহস তাদের নেই। প্রতিবিপ্লবীরা প্রতিবিপ্লবের ধারায় অগ্রসর হচ্ছে এবং স্বাধীনতার সপক্ষের শক্তি স্বাধীনতার ধারায় অগ্রসরমান। এই বিপরীতমুখী দুই শক্তির সমন্বয় সাধন সম্পর্কে যারা কথাবার্তা বলে থাকেন বাংলাদেশের জন্ম ইতিহাস তাদের বিস্মৃতির অতল গহŸরে হারিয়ে গেছে।
বাংলাদেশের বিদ্যমান রাজনৈতিক দ্ব›দ্ব একেবারেই আদর্শিক। বিশ্বের কোথাও আদর্শিক রাজনৈতিক প্রশ্নের বিরোধ সমঝোতার মাধ্যমে মীমাংসিত হয়েছে বলে কেউ বলতে পারবে না। এক সময়ের পুঁজিবাদের সঙ্গে সাম্রাজ্যবাদের বিশ্বের সবচেয়ে বড় সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র সোভিয়েত রাশার অবস্থান ছিল। কিন্তু সমঝোতা হয়নি। বাংলাদেশ বলতে যদি কোনো রাজনৈতিক দর্শন বোঝায়, বাংলা ভাষা সাহিত্য-সংস্কৃতি তথা বাঙালির মননশীলতায় যদি কোনো দর্শন থেকে থাকে তা পরিবর্জন করে ক্ষমতাকেন্দ্রিক রাজনীতির সমঝোতা প্রতিষ্ঠা হবে এরূপ সম্ভাবনা বিরল। বরং পারস্পরিক সহাবস্থানে কতটুকু কার্যকর করা যায় সে দিকে দৃষ্টি দেয়া যেতে পারে। পূর্বশর্ত হিসেবে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ দর্শননির্ভর রাজনীতি অবশ্যই পরিহার করতে হবে। গণতন্ত্রের পরিভাষা শুধু ব্যবহার করলেই হবে না। গণতন্ত্রের নীতি পরিশীলিত হতে হবে।
অনেকেই মনে করেন বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিদ্যমান দুটি গোষ্ঠী নেহাত বিপদে জড়িয়ে পড়েছে। বাস্তবতা তা নয়। সংঘাত যদি উভয় পক্ষের বর্তমান বাস্তবতা হয়ে থাকে তা অবশ্যই রাজনৈতিক দর্শনভিত্তিক। অনেকে আছেন মুক্তিযুদ্ধের কথা বললে এমন সব বাগাড়ম্বর করেন। যার সঙ্গে প্রকৃত চেতনার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। মূল্যবোধ তো সামগ্রিকভাবে পরিবর্জিত করেছে। তাহলে স্বাধীন বাংলাদেশের অস্তিত্বটা কোথায়? বাংলাদেশ বলতে কি আমরা সাম্প্রদায়িকতা, জঙ্গিবাদ সন্ত্রাসী তৎপরতাকে বুঝবো? স্বাধীন বাংলাদেশ কি একটা ধর্মরাষ্ট্রে পরিণত হবে? রাষ্ট্রের ভেতর ধর্ম আছে, থাকবে। কোনো দিন তা কোনো সংকটের সৃষ্টি করেনি। বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীরা একই রাষ্ট্রে বসবাস করে আসছে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের এমন উদাহরণ আছে। একটা রাষ্ট্রে বিশেষ ধর্মকে সুযোগ দিতে হবে এটাতো আদি ইসলামকালেও ঘটেনি। এটা এখন কেন ঘটানোর চেষ্টা করা হচ্ছে? বাংলাদেশের জনগণ সম্মিলিতভাবে মুক্তির সংগ্রাম করেছেন। হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবাই অংশ নিয়েছেন। সবাইকে চরম মূল্য দিতে হয়েছে। সবারই সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ এখানে সম্প্রদায়গত বিভেদের কোনো স্থান নেই। ধর্মীয় স্বাধীনতা আছে কিন্তু ধর্মীয় কুসংস্কারকে বাদ দিয়ে বাঙালি বলতে হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান সবাইকে বুঝায়। রাষ্ট্র সত্তায় সবাই বিশ্বাসী। কোনো বিশেষ গোষ্ঠীর অন্য গোষ্ঠীর ওপর আধিপত্য গ্রহণযোগ্য নয়। আমাদের ১৯৭২-এর সংবিধান তা নিশ্চিত করেছে। প্রতিবিপ্লবীরা প্রতিবিপ্লবের ধারা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার যতই চেষ্টা করুন না কেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে চলছে। বঙ্গবন্ধু যে পথের দিকনির্দেশনা দিয়েছে তার থেকে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি একচুলও নড়বে না। রাষ্ট্র পরিচলনার ক্ষেত্রে বিশেষ সমঝোতা হলেও হতে পারে। কিন্তু রাজনৈতিক দর্শনের ক্ষেত্রে কোনো প্রকার পরিবর্জন-পরিবর্ধন সম্ভব নয়। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব যে দর্শন ভিত্তিতে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছেন- যা ১৯৭২-এর সংবিধানে স্থান পেয়েছে তা পুনরুদ্ধার করে স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে সুনিশ্চিত করা সম্ভব। Click This Link

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৭:৫৫

খেলাঘর বলেছেন:


ভালো লাগেনি

২| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:১১

পরিশেষের অপেক্ষায় বলেছেন: দারুন

৩| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:০৮

নিলু বলেছেন: ভালো আছেন চালিয়ে যান

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.