নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা বলিব সত্য বলিব

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।

তালপাতারসেপাই

লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।

তালপাতারসেপাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিজিতদের আস্ফালন এখনো!

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:০৩

দেখতে দেখতে ৪৩টি বছর পার হয়ে গেল। ডিসেম্বরের ৩ তারিখে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ শুরু হলে মুক্তিযুদ্ধের গতিপ্রকৃতিরও ব্যাপক পরিবর্তন হতে থাকে। মুক্তি ও মিত্রবাহিনীর যৌথ আক্রমণে একদিকে যেমন প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন অঞ্চল শত্রুমুক্ত হওয়ার খবর আসতে থাকে, অপরদিকে চট্টগ্রাম বন্দর অভিমুখে আমেরিকার সপ্তম নৌবহরের যাত্রা মুক্তিযোদ্ধাদের বিচলিত করে তোলে। তবে ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয়ের আগেই ১৪ তারিখের মধ্যে ৮ নং সেক্টরের যশোর ক্যান্টনমেন্টসহ ঝিনাইদহ, মাগুড়া ও ফরিদপুর অঞ্চল হানাদার মুক্ত হয়। ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ সাল। মুক্তাঞ্চলের ভারতীয় অস্থায়ী সেনা ক্যাম্পে রাতের খাওয়ার দাওয়াত পাই। সন্ধ্যার পর পরই কমান্ডারসহ আমরা ১২ জন মুক্তিযোদ্ধা ভারতীয় অস্থায়ী সেনা ক্যাম্পে হাজির হলাম। তখন ভারতীয় সৈন্যদের খুব উৎফুল্ল দেখাচ্ছিল। তাঁবুর পাশে খোলা জায়গায় আমাদের খাওয়ার ব্যবস্থা করা হলো। টিনের প্লেটে সুগন্ধী পোলাও আর মাংস সেদিনের আয়োজন। পরিমাণে এতই বেশি যে, দেখেই খাওয়ার কথা ভুলে যাচ্ছিলাম। ওস্তাদ রুহুল আমিনের ধমকে সবাই খাওয়া শুরু করলাম। এত স্বাদের পোলাও মাংস জীবনে আজ অবধি আর কখনো খেয়েছি বলে মনে পড়ে না। হয়তো আট মাসের জীবন বাঁচানোর খাদ্য তালিকার বিপরীতে আমৃত্যু সেই পোলাও মাংস স্মৃতি হয়েই থাকবে। স্মৃতি হয়ে থাকবে আরো একটি কারণে, এত স্বাদের খাওয়া আমরা সেদিন শেষ করতে পারিনি। সন্ধ্যা ৭টা ৫৫ মিনিটে আকাশ বাণীর খবরে ঢাকায় মুক্তি ও মিত্রবাহিনীর কাছে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর আত্মসমর্পণের খবর প্রচারিত হলো। আনন্দে সামনের খাবার ফেলে উঠে দাঁড়াতেই শিখ ও অন্যান্য অবাঙালি ভারতীয় সৈন্যরা এসে জড়িয়ে ধরল। অর্ধেক খাওয়া প্লেটগুলো হাতে ধরিয়ে দিয়ে বলল এগুলো নিয়ে যাও, পরে খেয়ে নিও। তখন মনে হলো মানুষের কণ্ঠে নয়, আকাশ বাতাস সর্বত্রই শুনছি কেবল জয় বাংলা ধ্বনি। ঊর্ধ্বশ্বাসে দৌড়ে বেরিয়ে এলাম সেনা ক্যাম্প থেকে। খাবারের প্লেট কোথায় ছুড়ে ফেলেছিলাম মনে নেই। গায়ের জামা, পরনের লুঙ্গি, ঘাড়ের চাদর খুলে ফেলে কনকনে শীতের রাতে উদোম গায়ে হাফ প্যান্ট পরা আমরা সবাই। গাছের ডালে, বেয়োনেটের মাথায় সেসব জড়িয়ে তৈরি করা মশাল জ্বলছে সবার হাতে। কে যেন বদনায় করে খানিকটা কেরোসিন ঢেলে দিয়ে গেল মশালের মাথায়। মশাল হাতে আমরা কেবলই দৌড়াচ্ছি আর দৌড়াচ্ছি। মাঠ পেরিয়ে গ্রাম, গ্রাম পেরিয়ে মাঠ, কত দূর- কত পথ আজ আর মনে নেই। কারো কথা শুনিনি, কাউকে কিছু বলিনি, দেহের সব শক্তি দিয়ে শুধু জয় বাংলা ধ্বনি উচ্চারণ করা ছাড়া। এভাবেই মধ্য রাতের পর আট মাসের ক্লান্তি আর অর্ধেক রাতের আনন্দ নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। পরদিন ঘুম থেকে জেগে গত রাতের আনন্দ কিছুটা ধূসর হতে লাগল। অনেক পরিচিত মুখ মনের বিশাল আঙিনায় ভিড় করতে লাগল। তাদের অনেকেই শহীদ হয়েছেন, বেঁচে থাকলেও অনেকের সঙ্গে হয়তো এ জীবনে আর দেখাও হবে না। তবে নিশ্চিত হলাম যে, ৩০ লাখ জীবনের একটি নাম হয়েছে শহীদ, দুই লাখ মা-বোনের ইজ্জতের মূল্যমান বীরাঙ্গনা, এক কোটি মানুষের নাম হয়েছে উদ্বাস্তু বা শরণার্থী। অর্থ-সম্পদ আর শস্যবিহীন মাঠের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যার এক কথায় প্রকাশ স্বাধীনতা।
স্বাধীনতা যুদ্ধে দুটি পক্ষ ছিল যাদের একপক্ষ বিজয়ী আর একপক্ষ বিজিত হয়েছিল। ৩০ লাখ শহীদের রক্তে কেনা আমাদের বিজয়। ৯ মাসের ক্লান্তি, সম্পদ-সম্ভ্রমহানি এবং সব কষ্ট ভুলে যাওয়ার অন্যতম উপলক্ষ আমাদের বিজয় দিবস। বিজয়ী সেই তারা এখন কেমন আছে বিগত চার দশকের পরিসংখ্যান ঘাঁটলেই অপরাধ বোধ আরো বেশি কষ্ট দেয়। ধ্রæব সত্য এই যে, বিজয়ী আর বিজিতের সহাবস্থান সম্পূর্ণই অসম্ভব। সশস্ত্র যুদ্ধ কোনো ফ্রেন্ডলি ম্যাচ নয়। ১৯৭৫-এ পরাজিতরা পরাজয়ের প্রতিশোধ সফলভাবে সম্পন্ন করার পর তাদের প্রতিহিংসার রাজনীতি এ দেশে অনিবার্য হয়ে পড়ে। ফলে জীবাণু অস্ত্রের চেয়েও ভয়াবহ সব ধর্মের ধর্মভীরু নাগরিকদের মধ্যে ধর্মান্ধতার ভাইরাস ছড়ানোর অপচেষ্টা শুরু হয়। সৃষ্টি হয় দুটি ধারার রাজনৈতিক মতবাদ। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ধরে রাখতে পুনর্বাসিত করা হয় পরাজিতদের। ইতিহাসের জঘন্যতম মানবতা লঙ্ঘনকারী এ দেশীয় রাজাকার আলবদররা বিজয়ের কৃতিত্ব দাবি করার সাহস পায়। এটি আমাদের লজ্জা নাকি পরাভবতা, অক্ষমতা নাকি নীরবতা, স্মরণ নাকি ভুলে যাওয়া বুঝতে হলে আর কত সময়ের প্রয়োজন! যারা পরাজিত যুদ্ধাপরাধীদের কাছে মাথা নত করে তাদের চিনতে কেন বারবার আমাদের ভুল হয়? যারা জন্মেই দেখেছে স্বাধীন জাতি, মুক্ত স্বদেশ তারা কি এখনো ইতিহাসের সবটুকু জানে? নষ্ট রাজনীতি আর পরাজিত শত্রুদের পুনরুত্থান, পুনর্বাসনের কারণে আজো বিজয়ের গৌরব শ্রীহীন, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস আহত-অঙ্গহীন। যুদ্ধদিনের নয় মাসে পিতা স্বচক্ষে দেখেছে পুত্র হত্যা, স্বামী দেখেছে স্ত্রীর ওপর পাশবিক নির্যাতন, বোন দেখেছে ভাইয়ের মৃত্যু, মা দেখেছে পুত্রের মরণযন্ত্রণা। নরপশুদের অট্টহাসিতে কেঁপে উঠেছে খোদার আরশ। তবু উত্তর প্রজন্মের জন্য বিজয় ছাড়া সে দিন অন্য কিছুই ভাবতে পারেনি বাঙালি। নতুন প্রজন্মের কাছে এসব কি কেবলই রূপকথা হয়ে থাকবে! মুক্তিযুদ্ধে যারা শহীদ হয়েছেন তারা ইতিহাস, যারা বেঁচে আছেন তারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান এ কথাটি মিথ্যা হবে যদি বিজিতের নিশান এ দেশে উড্ডীন থাকে। আমাদের ব্যর্থতা অবশ্যই জবাবদিহিমূলক; ৩০ লাখ শহীদের জীবনের বাটখারায় পরিমাপযোগ্য। বৈষম্যহীন সমাজব্যবস্থা এবং অর্থনৈতিক সমতার ভিত্তিতে সব মানুষের মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিত করাই ছিল বিজয়ের মূল লক্ষ্য। দীর্ঘ চার দশক পরও ভিন্ন ভিন্ন বিশেষ অর্থে কৃষক, শ্রমিক, দিনমজুর, বাস্তুহারা, বেকার, নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত, উচ্চবিত্ত, মালিক-মহাজন, ঘুষখোর, শিল্পপতি, লুটেরা ইত্যাদি নামে বাঙালি জাতির ভিন্ন ভিন্ন পরিচয় কাম্য নয়। যুদ্ধকালীন ৯ মাসের সততা, সৌহার্দ্য, স্বশাসনের ধারা আমরা ধরে রাখতে পারিনি। পোড়ামাটিতে শূন্য গোলা ভরেছি আমরা শস্যের সঙ্গে কাঁকর মিশিয়ে। স্বাধীনতার শত্রুরা মিশে গেছে দেশপ্রেমিক জনতার কাতারে, চেতন ঘরে চোরের মতো অলক্ষ্যের দুর্বলতায়। পাকিস্তানি প্রেতাত্মারা এখনো আমাদের অনেকের কাঁধে বসে জঙ্গিবাদের বিউটি পার্লার পরিচালনা করে যাচ্ছে। বাংলা পাকিস্তানিদের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে দেশটাকে ধর্মান্ধদের ভাগাড়ে পরিণত করতে চাইছে। স্বাধীনতা বিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের হাতে শুধু জাতীয় পতাকা তুলে দিয়ে অপমানই নয়, ’৭১-এর গণহত্যায় কুখ্যাত পাকিস্তানি জেনারেল জানজুয়ার মৃত্যুতে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর শোকবার্তা, আদালত কর্তৃক প্রমাণিত যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লা ও গোলাম আযমকে পাকিস্তানিদের নিজেদের লোক বলে প্রকাশ করা বিজিত নিশান প্রদর্শন করারই শামিল। তাদের ওই ঔদ্ধত্য প্রকাশে সাহস ও সহযোগিতা করছে এ দেশের একটি রাজনৈতিক দল।
পলাশী যুদ্ধে মীর মদন, মোহনলালের সঙ্গে ফরাসি বীর সিনফ্রে যেমন আমাদের গৌরবের ইতিহাস তেমনি আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে মিত্র শক্তি, বিশ্ব জনমতের পাশাপাশি সরকারি সিদ্ধান্তের বিপরীতে আমেরিকার যে সিনেটের বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধকে সমর্থন দিয়েছিলেন, ‘বাংলাদেশ বাংলাদেশ’ কনসার্ট গেয়ে যে শিল্পী এবং কবি-সাহিত্যিকরা বংলাদেশের পক্ষে বিশ্ববিবেক জাগ্রত করেছিলেন, অর্থ দিয়ে খাদ্য দিয়ে অস্ত্র দিয়ে সোভিয়েত রাশিয়াসহ পশ্চিম আফ্রিকার যেসব দেশ আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছিল ইতোমধ্যে তাদের সম্মানিত করে আমরা দায়মুক্ত হয়েছি, কৃতজ্ঞ জাতিতে পরিণত হয়েছি। তবে বিজিত শক্তির আস্ফালন ও সহাবস্থানের কারণে কলঙ্কমুক্ত হতে পারিনি আজো।
১৯৭১ সালের ৭ মার্চ মহান নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর অলিখিত নির্দেশ পেয়েই প্রকাশ্যে আমরা সারা দেশে পাকিস্তানি পতাকা পুড়িয়ে দিয়েছিলাম। দুর্ভাগ্য ১৯৭৫-এ জাতির পিতাকে হত্যা করে সেই তারা এবং তাদের এ দেশীয় দোসররা স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকার মধ্যে বিজিত নিশানের জলছাপ এঁকে দিল। বাঙালি জাতীয়তাবাদ বিকৃত করে, জাতীয়তাবাদের চার স্তম্ভের একটিকে ধ্বংস করে পরাজয়ের প্রতিশোধ গ্রহণ করতে তারা কালবিলম্ব করেনি। আমরা কেন স্বাধীনতা যুদ্ধে পরাজিতদের বিজিত নিশান পুড়িয়ে নিঃশেষ করতে পারছি না? সুযোগ পেলেই তারা কেন আস্তিনের ভেতর থেকে সেটি প্রদর্শন করার অপচেষ্টা সফল করতে পারছে? আমরা মনে করি দেরিতে হলেও আমাদের নতুন প্রজন্ম সত্য উপলব্ধি করতে সক্ষম হয়েছে। দেশ জাতি ও জনগণের কাক্সিক্ষত উন্নতির প্রতিবন্ধকতা চিহ্নিত করে মৌলবাদ, সন্ত্রাসবাদ, যুদ্ধাপরাধী ও স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে তাদের সমর্থন ব্যক্ত করেছে। দীর্ঘদিনের রাষ্ট্রীয় অক্ষমতাকে সক্ষম করতে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের পক্ষে সর্বাত্মক অবস্থান গ্রহণ করেছে। তবু মনে রাখতে হবে স্বাধীনতার শত্রুরাও প্রজন্ম উৎপাদনে যথেষ্ট সক্রিয় আছে। নতুন প্রজন্মের দায়িত্ব শহীদদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা, জীবিত মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান দেখানো, বীরাঙ্গনা নারীদের জন্মভূমি জননীর মতো ভালোবাসা। ত্যাগের স্বীকৃতি এবং যথাযথ স্মরণ ছাড়া বিজয়ের আনন্দ কখনই পূর্ণ হবে না। ৩০ লাখ শহীদের সঙ্গে মিত্রবাহিনীর যে ১৮ হাজার সৈনিক আত্মাহুতি দিয়েছিলেন তারা ছাড়াও ভারতের মহান নেতা ইন্দিরা গান্ধী, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী জয়প্রকাশ নারায়ণ, ডাচ-অস্ট্রেলিয়ান কমান্ডো ওডারল্যান্ড (বীরপ্রতীক), সিনেটর এডওয়ার্ড কেনেডি, ডেইলি টেলিগ্রাফের সাংবাদিক সায়মন ড্রিং, ‘যশোর রোড’ এর কবি অ্যালেন গিন্সবার্গ, শিল্পী পণ্ডিত রবিশঙ্কর ও জর্জ হ্যারিসন, ‘মুক্তির গানের’ চিত্রগ্রাহক লেয়ার লেভিন, টরেন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের জোসেফ ও’কনেল, লন্ডনের পল-কনেট দম্পতিসহ ব্যক্তিগতভাবে যেসব বিদেশী বন্ধু আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে কোনো না কোনোভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন তাদের স্মৃতি সংরক্ষণের জন্য দৃশ্যমান কৃতজ্ঞতা স্মারকের বেদিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের মহত্ত্ব প্রকাশের সুযোগ সৃষ্টি করা উচিত। স্মৃতির বেদিতে ফুলের শ্রদ্ধা তাদেরও প্রাপ্য। পরাজিত হলে বাঙালি জাতির যেমন কোনো অস্তিত্ব থাকত না, মুক্তিযোদ্ধাদের সমূলে নিশ্চিহ্ন করা হতো কিংবা বিতাড়িত করা হতো দেশ থেকে, সেই সত্য মেনে নিয়ে যত দ্রুত সম্ভব বিজিত শক্তির গুপ্তনিশান পুড়িয়ে ছারখার করতে হবে। রাজনৈতিকভাবে নিষিদ্ধ করে জামাত-শিবির ও তাদের দোসরকে বাংলা থেকে বিতাড়িত করতে হবে। এ জন্য নতুন প্রজন্মকে যথাযথভাবে প্রস্তুত করতে না পারলে জাতি আবারো দুর্যোগকবলিত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা মোটেই অমূলক নয়।
সুত্র

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:৫৫

নিলু বলেছেন: লিখে যান

২| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:১৮

নীল আকাশ ২০১৪ বলেছেন: আমি সামুতে একটা নতুন নিক খুলব। তালপাতার সেপাই তো কোন মন্তব্যের জবাব দেয়না, তার হয়ে আমি জবাব দেব।

বিনা পয়সায়

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.