নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা বলিব সত্য বলিব

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।

তালপাতারসেপাই

লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।

তালপাতারসেপাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

বকশীবাজারে বিএনপির পরিকল্পনা ব্যর্থ - টার্গেট গাজীপুর - জামায়াতের নেতা-কর্মীদের ছুটি বাতিল

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:৩৭

বিএনপির কেন্দ্রীয় পর্যায় থেকে নির্দেশনা ছিলো গতকাল বুধবার ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসার আশপাশে লক্ষাধিক নেতা-কর্মীর উপস্থিতি ঘটাতে হবে। পরবর্তীতে এ উপস্থিতিকে মহাসমাবেশে রূপ দেয়ার পরিকল্পনা ছিলো। গোয়েন্দা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকা বিশেষ আদালত-৩ এ বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া গতকাল হাজিরা দিতে যান। এ উপলক্ষে নেতা-কর্মীদের উপস্থিতি ও তাদের দিয়ে মহাসমাবেশ করানোর পরিকল্পনা ছিল।

দ্বিতীয় টার্গেট আগামী শনিবার গাজীপুরে বেগম জিয়ার সমাবেশকে ঘিরে। নেতা-কর্মীদের উপস্থিতিতে সমাবেশ যেনো মহাসমাবেশে রূপান্তর হয়। আগামী ৫ জানুয়ারিকে সামনে রেখে সরকারবিরোধী আন্দোলন কর্মসূচির পাশাপাশি মাঠ গরম করার টার্গেট নিয়েছে বিএনপি। নেতা-কর্মীদের কম উপস্থিতির কারণে গতকাল আলিয়া মাদ্রাসার টার্গেট ব্যর্থ হয়েছে। বিএনপির অংগ সংগঠনের নেতা-কর্মীদের রাজধানী ও আশপাশের সকল ওয়ার্ড থেকে বেলা ১১টার সময় উপস্থিত থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছিলো। বেগম জিয়া গতকাল সময়মতো আদালতে উপস্থিত হলেও পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী নেতা-কর্মীদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো ছিল না। নেতা-কর্মীরা বলেছেন, পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী নেতা-কর্মীদের উপস্থিত করাতে পারিনি। এটা এক ধরনের ব্যর্থতা। আমাদের টার্গেট মতো নেতা-কর্মী হয়নি। ঘটনাস্থলে উপস্থিত গোয়েন্দা কর্মকর্তারা একই তথ্য দেন। বিএনপির নেতা-কর্মীদের তথ্যানুযায়ী গতকাল নেতা-কর্মীদের উপস্থিতি ছিল প্রায় দশ হাজার। তবে মহানগর পুলিশ ও গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের তথ্যানুযায়ী গতকাল বিএনপি নেতা-কর্মীদের উপস্থিতি ছিল মাত্র কয়েক হাজার। গতকাল বিভিন্ন স্থান থেকে বিএনপির নেতা-কর্মীরা ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসার আশপাশে ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে জড়ো হতে থাকে। পুলিশসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর শক্ত অবস্থার কারণে ঐসকল স্থানে নেতা-কর্মীরা দাঁড়ানোরও সুযোগ পায়নি। এখন দ্বিতীয় টার্গেট আগামী শনিবার গাজীপুরে বেগম খালেদা জিয়ার সমাবেশ। এই সমাবেশে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী নেতা-কর্মীদের উপস্থিত ঘটাতে না পারলে বিএনপির আগামীদিনের মাঠ গরমের আন্দোলন ব্যর্থ হতে পারে বলে অনেকেই মন্তব্য করেছেন। এদিকে জামায়াতও বেঁকে বসে আছে। বিগত দিনে আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করে মাঠে বিএনপির নেতা-কর্মীদের উপস্থিতি চোখেপড়ার মতো ছিল না। জামায়াত মাঠে ময়দানে থেকে কর্মসূচি পালনের চেষ্টা করেছিলো। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথেও তাদের বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষ হয়েছে। এই অভিজ্ঞতার আলোকে এবার বিএনপির নেতা-কর্মীরা আগে মাঠে নামবে এবং বিষয়টি নিশ্চিত হলে কেবল জামায়াত তাদের সাথে আন্দোলনের কর্মসূচিতে থাকবে। একারণে আলিয়া মাদ্রাসায় উপস্থিতি ও পরবর্তীতে গাজীপুরের সমাবেশে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী উপস্থিতি জামায়াত টেস্ট কেস হিসেবে দেখছে। এদিকে গাজীপুরে বিএনপির সমাবেশকে ঘিরে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের বর্তমান আন্দোলন কর্মসূচি নিয়ে যে কোন সময় বৈঠক হতে পারে।

জামায়াতের নেতা-কর্মীদের ছুটি বাতিল, ঢাকায় উপস্থিত থাকার নির্দেশ

জামায়াত ও এর অংগ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা দলীয় আদর্শ ও শৃঙ্খলা কঠোরভাবে পালন করে থাকে। দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের অনুমতি সাপেক্ষে ছুটিতে যান। যেকোন কার্যক্রম নেতারা অবহিত থাকেন। যেসকল নেতা-কর্মী ছুটিতে রয়েছেন ইতিমধ্যে কেন্দ্র থেকে তাদের ছুটি বাতিল করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে এবং তাদের ঢাকায় উপস্থিত থাকতেও বলা হয়েছে। এই নির্দেশনা পেয়ে নেতা-কর্মীরা ঢাকায় উপস্থিত হতে শুরু করেছেন। বিভিন্ন সূত্র এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গাজীপুরে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের বিক্ষোভ অব্যাহত

আমাদের গাজীপুর প্রতিনিধি জানান, গাজীপুরে ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজ মাঠে আগামী ২৭ ডিসেম্বর বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার জনসভাকে ঘিরে স্থানীয় বিএনপি ও ছাত্রলীগ-যুবলীগের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। গতকাল জনসভাস্থল কলেজ মাঠসহ আশেপাশে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সকালে কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ, যুবলীগ এবং যুবদল পৃথক পৃথকভাবে মিছিল বের করলে সংঘর্ষ এড়াতে পুলিশ কলেজ মাঠের নিয়ন্ত্রণ নেয়।

এদিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে জেলা শহরে যুবলীগ-ছাত্রলীগ মিছিল সমাবেশ করেছে। যে কোন ত্যাগের বিনিময়ে বিএনপি সমাবেশ করতে দৃঢপ্রতিজ্ঞ জানিয়ে দলীয় জেলা কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে।

মঙ্গলবার রাতে ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজ মাঠ এলাকায় বিএনপির লাগানো ব্যানার ফ্যাস্টুন ভাংচুর করে তাতে আগুন লাগিয়ে দেয় ছাত্রলীগ ও যুবলীগ কর্মীরা। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এদিকে ওই রাতেই কলেজ মাঠের পূর্বপাশে ছোট সামিয়ানা টানিয়ে তাতে বিক্ষোভ সামাবেশের ব্যানার লাগিয়ে দিয়েছে ছাত্রলীগ। অবশ্য গাজীপুর মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম দীপ ওই ঘটনার ছাত্রলীগ যুবলীগের কোন কর্মী জড়িত নয় বলে জানান।

গতকাল সকালে ছাত্রদলের কর্মীরা কলেজ ক্যাম্পাসে মিছিল করে শহীদ মিনারের পাদদেশে জড়ো হয়ে সভা করতে গেলে পুলিশ বাধা দেয়। অপরদিকে ছাত্রলীগ এবং যুবলীগের কর্মীরা কলেজ ক্যাম্পাসে মিছিল ও সভা করে।

জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র সহসভাপতি মনিরুল ইসলাম মনির জানান, আমরা মিছিল করে সমাবেশ করতে গেলে পুলিশ আমাদের বাঁধা দেয় এবং ধাওয়া করে সরিয়ে দেয়। এর কিছুক্ষণ পরই পুলিশের উপস্থিতিতে ছাত্রলীগ এবং যুবলীগের কর্মীরা কলেজ ক্যাম্পাসে মিছিল ও সভা করে।

এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ পিপিএম জানান, আগামী ২৭ ডিসেম্বর ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজে সভা নিয়ে যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে আমরা বিষয়গুলো দেখছি। দু’পক্ষেরই আবেদন আসছে, আবেদনগুলো আমরা দেখছি। তবে দু’পক্ষ যদি জনসভার নামে আরাজকতা-বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করতে চায়, তাহলে আমরা কাউকে ছাড় দেব না। অলরেডি দু’পক্ষই কলেজ মাঠে ঢুকে ছিল, মিছিল করতে চেষ্টা করেছিল আমরা দু’পক্ষকেই বুঝিয়ে মাঠ থেকে বের করে দিয়েছি। যতক্ষণ পর্যন্ত কোন সলিউশন না হবে, অনুমতি না দেয়া হবে ততক্ষণ কলেজ মাঠে কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারবে না। আশা করি এ বিষয়ে আর কোন ঝামেলা হবে না। কলেজ মাঠ পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

২৭ ডিসেম্বরের অনুষ্ঠিতব্য খালেদা জিয়ার জনসভা নিয়ে গতকাল সংবাদ সম্মেলন করেছে বিএনপি। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্রিগেডিয়ার (অব:) আ.স.ম হান্নান শাহ, দলের চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র অধ্যাপক এমএ মান্নান, সাবেক এমপি হাসান উদ্দিন সরকার, জেলা বিএনপির সভাপতি একেএম ফজলুল হক মিলন, সাধারণ সম্পাদক কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুল, যুগ্ম সম্পাদক ডা: মাজহারুল আলম প্রমুখ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে আ.স.ম হান্নান শাহ বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে এবং নিয়মতান্ত্রিকভাবে আমরা ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজ মাঠে আগামী ২৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য জনসভার জন্য কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু সরকার দলীয় একটি সংগঠন ওই সভা প্রতিহতের হুমকি দিচ্ছে। পায়ে পারা দিয়ে ঝগড়ার পরিস্থিতির চেষ্টা করছে। পরিকল্পিতভাবে সংঘাতের দিকে নেয়া হচ্ছে। যারা শান্তিপূর্ণভাবে সভা করতে চাচ্ছে তাদের কথা না শুনে বিশৃঙ্খলাকারীদের সাথে আঁতাত করছে পুলিশ প্রশাসন।

সুত্র

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:০৭

আহলান বলেছেন: নিউজটা গতকাল পেপারে আসলে বুঝা যেতো আমাদের গুয়েন্দারা কত পারে .... ;)

ছোটকালে একটি রচনা এমন ভাবে মুখস্ত করতাম যা দিয়ে ১০টি রচনা লেখা যেতো ..... এগুলো হলো সেই ফরমেটেড নিউজ , সব ঘটনা ঘটার পরেই এমন কাহিনী রচিত হয় , নতুন কিছু না।

গোয়েন্দারা যদি আগে থেকেই জানবে বিএনপি সমাবেশ করতে চাচ্ছে তবে পুলিশ কেনো শুরুতেই জড়ো হতে বাধা দেয়নি, ছাত্রলীগের নেতৃত্বে কেনো হামলা করা হলো? ছাত্রলীগ কি প্রশাসনের অংশ নাকি? গার্বেজ নিউজ ...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.