নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।
হরতাল ডেকে এবারো রাজপথে শক্তি দেখাতে পারেনি বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট। কয়েকটি ঝটিকা মিছিল ও ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো ছাড়া পিকেটারদের আর কোনো তৎপরতার খবর পাওয়া যায়নি। তবে রাজধানীর মালিবাগে আবুল হোটেলের কাছে জামায়াত ও আওয়ামী লীগ কর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অন্তত ৫ জন আহত হয়েছে, ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পল্লবী সুপার মার্কেটের সামনে যুবদল ও পুলিশের সংঘর্ষে একজন গুলিবিদ্ধ ও তিন পুলিশ সদস্যসহ চারজন আহত হয়েছে।
এদিকে, নোয়াখালীতে পিকেটারের ছোড়া ইটের আঘাতে ঢাকার এক স্কুল শিক্ষিকার মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।
প্রতি হরতালের মতো এবারো রাজপথে না নেমে দলীয় কার্যালয় পাহাড়া দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ সিনিয়র কয়েকজন নেতা। দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ ব্রিফিংয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল তাদের তৎপরতা। রাজপথে না নেমে এবারও আত্মগোপনে ছিলেন ২০ দলের অন্য সিনিয়র নেতারা।
গাজীপুরে ২০ দলীয় জোটের সমাবেশ স্থলে ১৪৪ ধারা জারির প্রতিবাদে এবং আটক নেতাদের মুক্তির দাবিতে গতকাল সোমবার সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটটি।
এ হরতালে রাজধানীতে ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচল করতে দেখা না গেলেও চলছে গণপরিবহন। রাজধানীর বিভিন্ন স্পটে ছিল অফিস ও কর্মমুখী মানুষের ভিড়। এ সময় তাদের গণপরিবহনে করে নির্দিষ্ট গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে। তবে তা স্বাভাবিকের তুলনায় কম। এছাড়া রাজধানীর কয়েকটি এলাকায় সংঘর্ষ ও ককটেল বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। সহিংসতা ঠেকাতে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন ছিল। পুলিশ, আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ান সদস্যদের পাশাপাশি র্যাব সদস্যরা বিভিন্ন স্থানে টহল দিয়েছে।
নয়াপল্টন বিএনপি কার্যালয় : নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে সন্দেহজনকভাবে ১১ জনকে আটক করেছে পুলিশ। সকাল থেকে দুপুর পৌনে একটার মধ্যে তাদের আটক করা হয়। সকাল থেকেই পুলিশ বিএনপি অফিস অবরুদ্ধ করে রাখে।
গেণ্ডারিয়া : পুরান ঢাকার গেণ্ডারিয়া থানার দয়াগঞ্জের বটতলা মোড়ে হরতাল সমর্থকরা ৭/৮টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। সকাল ৭টার দিকে হরতালের সমর্থনে পিকেটাররা একটি ঝটিকা মিছিল বের করে। এ সময় তারা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ আসার আগেই মিছিলকারীরা সটকে পড়ে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার মোড়ে ৫/৬টি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতেও কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
মালিবাগ : রাজধানীর মালিবাগের আবুল হোটেলের সামনে জামায়াত-শিবির ও আওয়ামী লীগের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে আহত হয়েছে অন্তত পাঁচজন। এ ঘটনায় আটক করা হয়েছে জামায়াত-শিবিরের দুই কর্মীকে।
খিলগাঁও : খিলগাঁও তালতলায় হরতালের সমর্থনে একটি মিছিল থেকে দুই জামায়াত কর্মীকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতরা হলেন শাহজালাল খান এবং আনোয়ার হোসেন। এছাড়া খিলগাঁওয়ের গোড়ানে হরতালের সমর্থনে রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ
করেছে ঢাকা মহানগর জামায়াতের পূর্ব শাখা।
পল্লবী : পল্লবী সুপার মার্কেটের সামনে যুবদল ও পুলিশের সংঘর্ষে তিন পুলিশ সদস্যসহ চারজন আহত হয়েছে। আহত তিন পুলিশ সদস্যকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সকাল সোয়া ৮টার দিকে এই সংঘর্ষ হয়।
সেগুনবাগিচা : সেগুনবাগিচায় কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে ছাত্রদল কর্মীরা। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। বারডেমের গলিতে ১০-১২ জন ছাত্রদল কর্মী মিছিল শেষে ৩-৪টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে চলে যায়।
ধোলাইখাল : ধোলাইখাল ও কাঠেরপুল এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও রাস্তায় আগুন জ্বালিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবির। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শিবিরকর্মীরা মিছিল শেষে রাস্তায় টায়ারে আগুন দেয়। এ সময় তিনজনকে আটক করা হয়েছে।
এদিকে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের হরতালকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন স্থানে যানবাহনে অগ্নিসংযোগ ও নাশকতার জন্য সরকারকে দায়ী করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমদ।
নয়া পল্টনে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, গত ৫ জানুয়ারির পূর্বাপর ঘটনার মতো সরকার আবারো পুরনো নোংরা খেলায় মেতে উঠেছে। সরকার তার এজেন্টদের দিয়ে যাত্রীবাহী বাসসহ যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করিয়ে এর দোষ বিরোধীদের ওপর চাপাতে চায়।
হরতালের আগে গত রোববার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি ও শহীদ মিনার এলাকায় বোমায় আহত হন দুইজন। আর কাজীপাড়ায় অটোরিকশায় দেয়া আগুনে আরো তিনজন দগ্ধ হন। এছাড়া পল্টনে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একটি বাস পুড়িয়ে দেয়া হয়; গাজী ভবনের সামনের সড়কে বোমাবাজিও হয়। হরতালে সকালে সোমবার মিরপুরের পল্লবীতে গাড়ি ভাঙচুরের চেষ্টা করে হরতালকারীরা। নোয়াখালীতে পিকেটারদের ঢিলের আঘাতে নিহত হন ঢাকার এক স্কুল শিক্ষিকা।
এতে বিএনপি বা শরিকদের দায় অস্বীকার করে রিজভী বলেন, আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, এসব নাশকতার কাজ সরকারই করাচ্ছে।
এদিকে হরতালের মধ্যে ভোর থেকেই নয়া পল্টনের বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘিরে রাখে। দলীয় কার্যালয়ে কোনো নেতাকর্মীকে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি।
সকাল পৌনে ৯টার দিকে মো. কাওসার ও রওশন নামে দুইজন কর্মী প্রধান ফটক দিয়ে কার্যালয়ে ঢোকার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের ধরে প্রিজন ভ্যানে করে পল্টন মডেল থানায় নিয়ে যায়।
সাঁজোয়া যান, জলকামানের গাড়ি ও প্রিজনভ্যান নিয়ে বিপুলসংখ্যক পুলিশ নয়া পল্টনে বিএনপি অফিসের আশপাশে অবস্থান করছে। এই এলাকার দোকানপাটও সকাল থেকে খোলেনি। নয়া পল্টন সড়কে যানবাহন চলতে দেখা গেলেও তা সংখ্যায় কম।
যুগ্ম মহাসচিব রিজভী ও অর্থনীতিবিষয়ক সম্পাদক আবদুস সালাম রাতে দলীয় কার্যালয়েই অবস্থান করেন। ভোরে কার্যালয়ে যান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপি নেতাকর্মীদের কোনো তৎপরতা ওই এলাকায় দেখা না গেলেও সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ছাত্রলীগ কর্মীরা ১০/১২টি মোটরসাইকেলে করে স্লোগান দিতে দিতে নয়া পল্টন সড়ক দিয়ে কাকরাইলের দিকে চলে যায়।
রিজভী বলেন, সরকার আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পদে পদে বাধা দিচ্ছে। সারা দেশে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আমাদের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করছে। মীরপুরের পল্লবীতে যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের মিছিলে পুলিশ গুলি করেছে। এতে স্বেচ্ছাসেবক দলের স্বপন নামে একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। সিলেটে শান্তিপূর্ণ মিছিল থেকে মহানগর আহ্বায়ক ডা. শাহরিয়ারকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে নিয়ে গেছে। এভাবে সারা দেশে সরকার ত্রাস সৃষ্টি করছে।
সরকার ‘পুরনো কৌশলেই’ বিএনপির ওপর দমন পীড়ন চালাচ্ছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, এভাবে ‘একদলীয় শাসন কায়েমের চেষ্টা’ জনগণ মেনে নেবে না।
দলের সিনিয়র নেতাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দেখা যাচ্ছে না কেন? এমন প্রশ্নে রিজভী বলেন, কেন্দ্রীয় নেতাদের যে সব স্থানে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে, তারা সেখানেই আছেন। কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আছেন। নেতারা নিষ্ক্রিয় এটা ঠিক নয় বলে দাবি করেন তিনি।
২| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:১৫
নীল আকাশ ২০১৪ বলেছেন: পোস্টে সহমত, কিন্তু পেইড ব্লগার হবার কারণে কোন মতামত দিলাম না।
তবে সামনে পেলে গণধোলাই মিস হবেনা
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:৩৮
খেলাঘর বলেছেন:
খালেদা জিয়ার ২ বছর জেল হবে; আগামী ভোটে উনি নেই।