নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা বলিব সত্য বলিব

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।

তালপাতারসেপাই

লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।

তালপাতারসেপাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

আবারও অস্ত্র কেড়ে নিয়ে পুলিশ পেটাল শিবির

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:৫৬


রাজশাহী মহানগরীতে আবারও পুলিশের ওপর হামলা করেছে ছাত্রশিবির। গতকাল সকাল ১০টার দিকে নগরীর শালবাগান আলিফ লাম মীম ভাটার সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় শিবির কর্মীরা লাঠি ছাড়াও পুলিশের শটগান কেড়ে নিয়ে দুই কনস্টেবলকে বেধড়ক পিটিয়েছে। আহত কনস্টেবল শফিকুল ইসলাম ও আমজাদ হোসেনকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর আগে ২০১২ ও ২০১৩ সালে একইভাবে পুলিশকে পিটিয়েছিল ছাত্রশিবির।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গতকাল সকাল ১০টার দিকে অবরোধ ও হরতালের সমর্থনে শালবাগান এলাকার আলিফ লাম মীম ভাটার সামনের সড়কে মিছিল বের করে ছাত্রশিবির। তারা রাস্তায় পেট্রল ঢেলে আগুন দিয়ে বিক্ষোভ করে। এ সময় বিজিবি সদর দফতরের সামনে থেকে শাহ মখদুম থানার দিকে যাচ্ছিল পুলিশের একটি পিকআপ। শিবিরের অবরোধ দেখে পুলিশ গাড়ি ঘুরিয়ে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করে। তবে তার আগেই শিবিরের কর্মীরা পুলিশের পিকআপটি ধাওয়া করে ঘিরে ভাঙচুর করে। এ সময় পুলিশ কনস্টেবল শফিকুল ও আমজাদ পিকআপ থেকে নামার সঙ্গে সঙ্গে শিবির কর্মীরা তাদের ওপর চড়াও হয়। তারা লাঠি ছাড়াও পুলিশ কনস্টেবলদের শটগান কেড়ে নিয়ে তাদের রাস্তায় ফেলে সেই শটগান দিয়ে বেধড়ক মারধর করে। তাদের ওই অবস্থায় রেখে পুলিশের পিকআপটি পিছু হটে। খবর পেয়ে টহলরত বিজিবি তাত্ক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে গেলে শিবির কর্মীরা পালিয়ে যায়। পরে আহত কনস্টেবল শফিকুল ও আমজাদকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তবে রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র এসি ইফতেখারুল আলম দাবি করেছেন, শিবির কর্মীদের ছোড়া ইট ও ককটেলের স্প্লিন্টারে পুলিশ কনস্টেবল শফিকুল ইসলাম ও আমজাদ হোসেন রাস্তায় পড়ে যান। এ সময় তারা ওই দুই পুলিশ কনস্টেবলের মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করে এবং কিল-ঘুষি মারে। এ ছাড়া পুলিশের শটগান কেড়ে নিয়ে শিবির কর্মীরা অপর এক কনস্টেবলকে পেটায়। খবর পেয়ে বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে ধাওয়া দিলে শিবিরের নেতা-কর্মীরা শটগান ফেলে দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে বিজিবি সদস্যরা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। এসি ইফতেখারুল জানান, শিবিরের হামলায় পুলিশের চার সদস্য আহত হয়েছেন। অন্য দু’জন হলেন শাহ মখদুম থানার এসআই জাহাঙ্গীর হোসেন ও কনস্টেবল জামাল উদ্দিন। তাদের প্রাথমিক চিকিত্সা দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনার পর পুলিশ ছয়জনকে আটক করেছে।
রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগের সিএ ডা. সমীর কুমার দাস জানান, আহত দুই পুলিশ কনস্টেবল এখন আশঙ্কামুক্ত। উল্লেখ্য, এর আগে ২০১২ সালের ৬ নভেম্বর নগরের সাহেববাজার জিরো পয়েন্ট এলাকায় পুলিশের বন্দুক কেড়ে নিয়ে শিবির কর্মীরা পুলিশকে পিটিয়ে বন্দুক ভেঙে ফেলে। এরপর ২০১৩ সালের ১ এপ্রিল নগরীর শালবাগান এলাকায় অস্ত্র কেড়ে নিয়ে পুলিশের এসআই জাহাঙ্গীর হোসেনকে পিটিয়ে জখম করে শিবির কর্মীরা।
সুত্র

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:০৫

সাঈফ শেরিফ বলেছেন: ছাত্র লীগের অস্ত্রও আছে, পুলিশও আছে ।শিবিরের অস্ত্রও নেই, পুলিশও নেই । কী করবে বলেন? কিছু দিন আগে সংবাদ পেলাম কার যেন হাত কামড়েও দিয়েছে শিবির। মগবাজারের ফান্ডে আকাল, অস্ত্র কেনার পয়সা পাচ্ছেনা।

২| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:০৭

নীল আকাশ ২০১৪ বলেছেন: অস্ত্র কেড়ে নিয়ে পুলিশ পেটালে তো একটা অসামান্য বীরত্ব দেখানো হল। ছাত্রলীগের কুকুরদের মত গ্রেফতার করা নিরস্ত্র মানুষকে পেটায় না।

ছাত্রলীগ আসলে কুকুরের জাতও না, তাঁর চেয়েও নীচের কিছু একটা।

৩| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:২৩

কলাবাগান১ বলেছেন: ১৯৭১ এর রাজাকারদের উত্তরসুরীরা এখন ব্লগিং এ মন দিয়েছে তাই এমন ভয়ংকর কাজের জন্য আবার বাহবা ও দিচ্ছে উপরের দুই যোগ্য পতাকাবাহী

৪| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:২৪

কিবর বলেছেন: এখন থেকেই সতর্ক থাকুন, ক্ষমতায় গেলে ওরা যে কি করবে। জানেন তো ঢিল মারলে পাটকেলটি খেতে হয়?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.