নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা বলিব সত্য বলিব

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।

তালপাতারসেপাই

লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।

তালপাতারসেপাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

গৌরব-কথা : ফ্রান্সে বঙ্গবন্ধু স্কয়ার

২০ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:১৭



ফ্রান্সে বঙ্গবন্ধু স্কয়ার। অনেকেই এ খবরটি শুনে যেমন আনন্দিত হবেন, ঠিক তেমনি বিস্মিতও হবেন। আনন্দের কারণ বাংলাদেশের স্থপতিকে নিয়ে উন্নত দেশের বুকে স্কয়ার। ষাটের দশক বা তার কিছু আগে থেকে বাংলাদেশি বাঙালিরা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে জীবীকার তাগিদে পাড়ি জমিয়েছেন। উল্লেখযোগ্য একটি অংশ রয়ে গেছেন, তার পর থেকে, মিশে গেছেন সেসব দেশের সংস্কৃতি আর বেশভূষায়। অনেকে খেই হারিয়ে ভুলে গেছেন নিজ সংস্কৃতি আর হারিয়ে ফেলেছেন নিজ দেশের প্রতি মায়া। কিন্তু সত্যিকার দেশপ্রেমী নাগরিক পৃথিবীর যে প্রান্তেই থাকুন না কেন, তার নিজ দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য আর সংস্কৃতির সুনাম তিনি ঠিকই কুড়িয়ে আনবেন। আর ঠিক তেমনি একজন দেশপ্রেমিক বাংলাদেশি নাগরিক বিশিষ্ট ব্যবসায়ী কাজী এনায়েত উল্লাহ। ব্যক্তিগত উদ্যোগে ফ্রান্সের পর্যটন নগরী পারে ল্য মনিয়াল-এ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য স্থাপনের জন্য দীর্ঘদিন যাবত্ এ স্বপ্নের বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন তিনি। রাজধানী প্যারিস থেকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এ শহরে বাংলাদেশের তথা বাংলাদেশি জনগণের সংগ্রামী ইতিহাসের স্মৃতিচিহ্ন নিজ হাতে আঁকছেন এই দেশপ্রেমের শিল্পকার। “নিছক দেশের প্রতি ভালবাসা, দেশের ইতিহাসকে আগামী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে স্থায়ীভাবে প্রজন্মের স্মৃতিতে রাখার জন্যই জাতির জনকের ভাস্কর্য স্থাপনের চেষ্টা করছি এবং বাস্তবায়নের দ্বারপ্রান্তে”- বললেন প্রজেক্টের বাস্তবায়নকারী এই সাহসী পুরুষ। তিনি আরও বলেন, “এটি কোন রাজনৈতিক ইস্যু নয়, দেশের ইতিহাস ও ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার জন্যই ২০১১ সালের প্রথম দিকে পারে লূ মনিয়ালের সিটি মেয়র জঁ মার্ক নেমকে বাংলাদেশের ইতিহাস ঐতিহ্য শিল্প সংস্কৃতি এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক জীবনী তুলে ধরে বঙ্গবন্ধুর নামে একটি সড়ক কিংবা স্কয়ারের নামকরণের জন্য প্রস্তাব করি।

জাতির জনকের দেশপ্রেম ও বাংলাদেশের জন্মকথা শুনে মেয়র জঁ মার্ক নেম বিষয়টি আমলে নেন ও সিটি কাউন্সিলে বিষয়টি উত্থাপন করলে বঙ্গবন্ধু স্কয়ার স্থাপন বিলটি সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়।” পরবর্তীতে এ বিষয়টি ২০১১ সালের ২০ ডিসেম্বর ফ্রান্স পার্লামেন্টে মেয়র জঁ মার্ক নেম সম্মেলন কক্ষে বঙ্গবন্ধু স্কয়ারের উদ্যোক্তা কাজী এনায়েত উল্লাহকে সাথে নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি প্রকাশ করেন। যার স্মারক নং ৩৬০-সিএবিএম।

তিনি গত ফেব্রুয়ারি মাসে ফরাসী সাংবাদিক ফিলিপ আলফনসি কে সাথে নিয়ে ঢাকায় যান। এ সময় তার প্রযোজিত বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ের ভিডিও ফুটেজ নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র ‘একটি পতাকার জন্ম’ জাতীয় জাদুঘরে প্রদর্শন করেন। সেই সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাত্ হয়। তখন কাজী এনায়েত উল্লাহ প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানী উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী ও সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরের সাথে বঙ্গবন্ধু স্কয়ারের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। এরই প্রেক্ষিতে ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী ও আসাদুজ্জামান নূর বিষয়টিতে বিশেষ আগ্রহ প্রকাশ করে সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।

সংস্কৃতি, ইতিহাস ও ঐতিহ্যের দিক থেকে ধনী জাতির জন্য পৃথিবীর বুকে নেতৃত্ব দেয়া চিরদিনই সহজ ছিল। তার প্রমাণ যেমন রোমান, গ্রীক আর ইংরেজরা রেখে গেছে বহু আগে। তেমনি উন্নত ঐতিহ্যের জাতি হিসেবে আমাদের গৌরবের চিহ্ন ইউরোপে আঁকতে পারলে তা নিঃসন্দেহে আমাদেরও আনন্দ। ফ্রান্সের মতো দেশে বঙ্গবন্ধুর নামে ভাস্কর্য স্থাপিত হওয়ার বিষয়টি অবশ্যই গৌরবের। এ রকম একটি কাজ বাস্তবায়ন করা প্রতিটি বাংলাদেশির জন্যই স্বপ্নের মতো। সেই স্বপ্নের বাস্তবায়নে আমাদের যে কারো যোগ দিতে ইচ্ছে করবে। নিঃসন্দেহে এর সিংহভাগ কাজী এনায়েত উল্লাহ একাই করে ফেলেছেন।

একটি জাতির শান্তি ও সমৃদ্ধি বাস করে একতা, উদারতা ও ন্যায়-পরায়ণতার মাঝে। কাজী এনায়েত উল্লাহ যেমন কোন রাজনৈতিক দলের হয়ে নয়, নিজ উদ্যোগে এ প্রকল্প চালিয়ে যাচ্ছেন; আমাদেরও উচিত এ প্রকল্পটিকে আমাদের একতার প্রতীক হিসেবে মূল্যায়ন করা।

কাজী এনায়েত উল্লাহ একাধারে ফ্রান্স বাংলাদেশ চেম্বার অফ ইকোনমির সভাপতি, বাংলাদেশ বিজনেস কনসাল্টিং এর চেয়ারম্যান এবং অল ইউরোপিয়ান বাংলাদেশ এসোসিয়েশনের (আয়েবার) মহাসচিব।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:৫৭

এমএম মিন্টু বলেছেন: অসাধারন লেখা হয়েছে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.