নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা বলিব সত্য বলিব

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।

তালপাতারসেপাই

লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।

তালপাতারসেপাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

সরকার কঠোর প্রতিরোধে জনতা কমছে নাশকতা

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:৪৭

সন্ত্রাস দমনে সরকারের কঠোর অবস্থান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাড়াশি অভিযান এবং জনতার প্রতিরোধের মুখে বিএনপি-জামায়াতসহ ২০ দলীয় জোটের ডাকা টানা অবরোধের নামে অরাজকতা সৃষ্টি, বাসে পেট্রলবোমা মেরে মানুষ হত্যাসহ ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড গত কয়েক দিনে অনেকটাই কমেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে এবং গণপিটুনীর আতঙ্কে ভাড়াটে বোমাবাজ কিংবা পিকেটাররা পিছু হটছে বলে মনে হচ্ছে আপাত দৃষ্টিতে। অন্যদিকে জনতা গতকালও ধরে দিয়েছে ৬ নাশকতাকারীকে।

৫ জানুয়ারি অবরোধ-হরতাল কর্মসূচি শুরুর পর থেকে প্রথম ১৬ দিনে সন্ত্রাসীরা ৩শ' গাড়িতে আগুন দেয়। কিন্তু সরকারের কঠোর অবস্থান ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাড়াশি অভিযানের মুখে এই ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড কমতে শুরু করে। গত ৭ দিনে ৩০টি গাড়িতে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। গাড়িতে পেট্রলবোমা নিক্ষেপের ঘটনাও কমে এসেছে। গত বৃহস্পতিবার যাত্রাবাড়ীতে একটি বাসে পেট্রলবোমা হামলায় প্রায় ৩১ জন অগি্নদগ্ধ হওয়ার মর্মান্তিক ঘটনার পরে সারাদেশে ও বিদেশি পত্রিকায় ঝড় তোলে। সব মহলের কঠোর অবস্থানের কারণে বাসে পেট্রলবোমা নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে গুটি কয়েক।

বিভিন্ন দেশ এই সহিংস রাজনীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। ফলে অনেকটাই স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি।

গত কিছুদিন ধরে প্রতিদিন ২০-২৫টি বাস ভাঙচুর এবং পেট্রলবোমা নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনা কমে গত ৪-৫ দিনে প্রতিদিন ৪-৫টি করে ঘটনা ঘটেছে। গতকাল রাজধানীর বাড্ডায় ১টি বাস, ঠাকুরগাঁওয়ে একটি পিকআপ ভ্যান, পাবনায় একটি ট্রাক, বগুড়ায় একটি ট্রাক, ত্রিশালে একটি বাসে পেট্রলবোমা নিক্ষেপে ও পেট্রল ঢেলে আগুন দেওয়া হয়। গত ৫ জানুয়ারি রাজধানীতে সরকার সমাবেশ করতে না দেয়ায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া হঠাৎ সারাদেশে অনির্দিষ্টকালের অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এরপরই অবরোধের নামে সারাদেশে শুরু হয় নির্বিচারে গাড়ি ভাঙচুর, পেট্রলবোমা মেরে গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়াসহ নানা নাশকতা কর্মকা-। কোথাও কোন মিছিল সমাবেশ না করেই অবরোধ সফল করতে বিএনপি-জামায়াত সতর্থিক ক্যাডাররা জ্বালাও পোড়াও শুরু করে দেশের সাধারণ মানুষকে চরম দুর্ভোগের মধ্যে নিক্ষেপ করে। অবরোধকারীদের ধ্বংসাত্মক কর্মকা-ে প্রতিদিনেই কোথাও না কোথাও সাধারণ নিরীহ মানুষকে জীবন দিতে হচ্ছে। সহায় সম্পদ এবং স্বজনদের হারিয়ে একের পর এক সর্বশান্ত হচ্ছে কর্মজীবি এবং সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ। বিভিন্ন মহল এ অবস্থা থেকে পরিত্রানের জন্য সরকারকে কঠোর হওয়ার দাবি জানায়। দাবি ওঠে সাধারণ মানুষকে নিরাপত্তা দেয়া সরকার সাংবিধানিক দায়িত্ব।

এ প্রেক্ষাপটে সাধারণ মানুষের জানমাল রক্ষার তাগিদে সরকার সন্ত্রাস-সহিংসতা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহন করে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে চরম ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। এরপরই সারাদেশে একযোগে শুরু হয় যৌথবাহিনী সাড়াশি অভিযান। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সন্ত্রাসীদের পাকড়াও করতে একের পর এক পুরস্কার ঘোষণা করে। প্রথমে র‌্যাব, তারপর পুলিশ মহাপরিদর্শক এবং সবশেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ বোমা হামলা, বাসে অগি্নসংযোগ এবং ভাংচুরের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের ধরিয়ে দেয়ার জন্য ১০ হাজার থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত পুরস্কার দেয়ার ঘোষণা দেয়।

একই সঙ্গে পুলিশ সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে প্রতিরোধে সোচ্চার হওয়ার লক্ষ্যে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালায়। এসব ব্যবস্থার প্রেক্ষাপেট ইতোমধ্যে প্রায় গ্রেফতার করার অভিযান জোরদার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গত ২৩ দিনে গ্রেফতার করা হয়েছে প্রায় ৭ হাজার জনকে। গতকাল সারাদেশে গ্রেফতার করা হয়েছে প্রায় ৫শ'জনকে।

অবরোধ-হরতাল কর্মসূচি থেকে ২০ দলীয় জোট পিছু না হটলেও সাধারণ মানুষ অবরোধের নামে এভাবে পেট্রলবোমা মেরে, গাড়ি ভাঙচুর ও অগি্নসংযোগ করে মানুষ হত্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদমুখর হয়ে উঠেছে। এর ফলে সন্ত্রাস-সহিংসতার মাত্রা অনেক কমেছে বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

র?্যাবের মহাপরিচালক বেনজির আহমেদ সংবাদকে বলেন, বিগত ৫ জানুয়ারি পর থেকে দেশে একটি গোষ্ঠীর প্ররোচনায় শান্তি প্রিয় মানুষকে পেট্রলবোমা ছুড়ে হত্যা করা হচ্ছে। যাত্রাবাড়িতে বাসে পেট্রেলবোমা ছুড়ে আগুন ধরিয়ে ৩১ জনকে দগ্ধ করা হয়েছে। দুর্বৃত্তরা শিশুদের হত্যা করছে। নারীসহ সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষকে আক্রান্ত করছে। গুটি কয়েক অপরাধীর কারণে দেশের ১৬ কোটি মানুষ জিম্মি থাকতে পারে না। তিনি বলেন, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এসব অপকর্ম দমনে ব্যর্থ নয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনের পর এখন আগের চেয়ে ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ড এবং নাশকতা কমে আসছে। শিগগিরই পরিস্থিতির আরো উন্নতি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এদিকে নাশকতা ঠেকাতে রাজধানীতে ২০ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন-রাজধানীতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে ২০ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ছয়টা থেকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে টহল দিতে শুরু করেছে। এটি চলবে বুধবার সকাল ছয়টা পর্যন্ত। বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মহসিন রেজা বলেন, বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের অবরোধ কর্মসূচির শুরু থেকে রাজধানীর বিভিন্ন স্পর্শকাতর ও গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় বিজিবি টহল দিয়ে আসছে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:৫৮

নিলু বলেছেন: ভালো , লিখে যান

২| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:৩২

কানাই স্যার বলেছেন: কি লিথলেন এটা। আরো কত ভাল লেখা আপনার পড়ি। এটা তো কোন পত্রিকার সম্পাদকীয় টাইপ লেখা। নিজের মন মেশানো রাজনৈতিক লেখা চাই ভাই। ভাল থাকেবেন গুরু।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.