নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।
বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলের অবরোধ-হরতালে পেট্রলবোমায় একের পর এক পুড়ে মারা যাচ্ছে মানুষ। এ অবস্থায় পেট্রলবোমা হামলা ঠেকাতে বিভিন্ন মহল থেকে নতুন আইন করার দাবি উঠছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সরকারি এক তথ্য বিবরণীতে বলা হয়েছে, সন্ত্রাসবিরোধী আইনেই (২০০৯) পেট্রলবোমা ছুড়ে মানুষ হত্যাকারীর সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রয়েছে।
ওই আইনে এসব সন্ত্রাসী কার্যক্রমে কোনো ব্যক্তি ও সংগঠনের সহযোগিতা প্রদানও কঠোর শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে বিবেচিত। এ ছাড়া সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সংবাদ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় উসকানিমূলকভাবে প্রচারের জন্যও যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, তদুপরি অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করারও বিধান রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট আইনের উল্লেখযোগ্য কয়েকটি ধারা এবং শাস্তির বিধান ‘বিএনপি-জামায়াতের তথাকথিত অবরোধ-হরতালের’ নামে চলমান সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রেক্ষাপটে দেশের জনগণের জ্ঞাতার্থে মিডিয়ায় প্রচারের জন্য তথ্য বিবরণীতে আহ্বান জানানো হয়।
তথ্য বিবরণীতে তুলে ধরা সন্ত্রাসবিরোধী আইন- ২০০৯-এর বিভিন্ন ধারা-উপধারাগুলো হলো :
ক) কোনো ব্যক্তি পেট্রল বা অন্য কোনো দাহ্য পদার্থ বা কোনো অস্ত্র সন্ত্রাসী কার্যে ব্যবহার করলে বা এ উদ্দেশ্যে নিজ দখলে রাখলে ইহার শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও তদুপরি অর্থদণ্ড [ধারা-৬ (২)(উ)]।
খ) কোনো ব্যক্তি পেট্রল বা অন্য কোনো দাহ্য পদার্থ ব্যবহার করে কোনো ব্যক্তিকে পুড়িয়ে হত্যা অথবা গুরুতর জখম করলে বা চেষ্টা করলে ইহার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড ও তদুপরি অর্থদণ্ড [ধারা-৬(২)(অ)]।
গ) কোনো ব্যক্তি পেট্রল বা অন্য কোনো দাহ্য পদার্থ ব্যবহার করে কোনো ব্যক্তিকে পুড়িয়ে হত্যা অথবা গুরুতর জখম করার ষড়যন্ত্র বা সহায়তা বা প্ররোচিত করলে ইহার শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও তদুপরি অর্থদণ্ড [ধারা-৬(২)(আ)]।
ঘ) কোনো ব্যক্তি বা সংগঠন উক্তরূপ সন্ত্রাসী কার্যে আর্থিকভাবে সহায়তা করলে ইহার শাস্তি ২০ বৎসরের কারাদণ্ড ও তদুপরি অর্থদণ্ড [ধারা-৭(৩)(৪)]।
ঙ) কোনো ব্যক্তি বা সংগঠন পেট্রলবোমা বহনকারী বা প্রস্তুতকারী বা প্রয়োগকারী কোনো অপরাধীকে আশ্রয় প্রদান করলে ইহার শাস্তি ৫ বৎসরের কারাদণ্ড ও তদুপরি অর্থদণ্ড [ধারা-১৪(১)(ক)]।
চ) পেট্রলবোমা বা কোনো দাহ্য পদার্থ দ্বারা মানুষ পুড়িয়ে হত্যা বা যানবাহনে অগ্নিসংযোগকারী কোনো সন্ত্রাসী কার্যক্রমে উসকানিমূলক সহায়তা প্রদানের নিমিত্ত যদি কোনো ইলেকট্রনিক বা প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রচার করেন তাহলে ইহার শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও তদুপরি অর্থদণ্ড [ধারা-১৩]।
- See more at: Click This Link
২| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:৪৮
গাঁও গেরামের মানুষ বলেছেন: যে আইনেই মৃত্যুদন্ড থাকুক না কেন, সেটা আদলতের মধ্য দিয়েই হয়, এটাই রীতি। পুলিশ বা বিজিবি দিয়ে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে রাতের আঁধারে গুলি করে মারলে সেটা যেকোন মাপকাঠিতেই বেআইনী। একটা অন্যায়কে প্রতিহত করতে আরেকটা অন্যায় কখনোই গ্রহন নয়।
৩| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:৪৮
রাজীব নুর বলেছেন: হরতাল অবরোধে আর কেউ প্রেট্রোল বোমায় মারা যাবে না। আমি আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে দিব আজ।
জুম’আর দিনে এমন একটি সময় আছে, যখন বান্দা আল্লাহর কাছে যা চায়, তা-ই তাকে দেওয়া হয়। আর এ সময়টি হল জুম’আর দিন আসরের পর থেকে মাগরিব পর্যন্ত।
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:৪০
সাফি আব্দুল্লাহ বলেছেন: ধন্যবাদ তথ্যটির জন্য। তবে এ আইন প্রয়োগ হচ্ছে না বা এটা প্রয়োগ করা যাবে না। কারণ পুলিশ কোন দিন অপরাধীদের ধরতে পারবে না। আর এর বিচারও হবে না। অসহায় মানুষগুলি তাদের জীবন হারাবে। তাদের পরিবার গুলি অসহায় হয়ে পড়ছে। ২০১৩ সালের এসব হত্যা কান্ডের কোন বিচার সরকার করতে পারেনি। পারবেও না। তাই এখন দাবী উঠেছে যে যারা পেট্রোল বোমা বা নশকাতায় নিহত বা আহত হবে তাদের সরকার থেকে ২৫ লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণ দিবে এবং সরকার সেই ক্ষতিপূরণের অর্থ হরতাল-অবরোধ আহবানকারী দল বা ব্যাক্তির কাছ থেকে আদায় করে নিবে। এতে দেশে আর কোন দিন হরতাল অবরোধ হবে না। যারা হত্যা বা আহত হবে তাদের পরিবার অন্তত অন্ধকার ভবিষ্যত থেকে রেহাই পাবে।