নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা বলিব সত্য বলিব

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।

তালপাতারসেপাই

লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।

তালপাতারসেপাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

ব্রিটিশ আইনজীবী মি. রবার্ট গিবসনের বয়ান

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:১৮


মি. রবার্টসন নামে কে একজন আইনজীবী বয়ান করেছেন ১৭ ফেব্রুয়ারিতে, অবশ্য লন্ডনে বসে। ১৮ ফেব্রুয়ারি যুদ্ধাপরাধী জামায়াত নেতা আবদুস সুবহানের মামলার রায় ঘোষণা হবে জানার পরই এই বয়ান এসেছে। অবশ্য প্রত্যেকবার রায়ের আগে ইংল্যান্ড থেকে সেখানকার একজন আইনজীবী বক্তব্য রাখেন। এর আগে কাজটি করেছেন মি. টবি ক্যাডমেন। তা তারা বলতে পারেন। বিলেতে আসল বুদ্ধিজীবী যেমন রয়েছেন, তেমনি ভাড়াটিয়া বুদ্ধিজীবীও পাওয়া যায়। পাকিস্তানের জাতির পিতা জিন্নাহর জীবনী লেখা হয়েছে ব্রিটিশ লেখক ভাড়া করে। তার নাম গৎ. ইৎধাবৎষু ঘরপযড়ষংড়হ। বিশ শতকের প্রখ্যাত ঐতিহাসিক গৎ. অৎহড়ষফ ঞড়ুহনবব পাকিস্তানের সামরিক শাসক স্বঘোষিত ফিল্ড মার্শাল আইয়ুব খানের বুনিয়াদি গণতন্ত্রের সাফাই গেয়েছিলেন। আইয়ুবের এই গণতন্ত্র যে কোনো গণতন্ত্র নয় সেটা ইংল্যান্ডবাসী টয়েনবি সাহেব জানতেন। গণতন্ত্রের আদর্শ ক্ষেত্র তো আমরা ইংল্যান্ডকে মনে করি। এ তথ্য সবার জানা যে জামায়াতে ইসলামী বিপুল অর্থের মালিক। বৈদেশিক মুদ্রাতেও বহু অর্থ রয়েছে। যা তারা উদার হস্তে ব্যয় করেছে। টবি ক্যাডমেন ও মি. রবার্টসন যে প্রচুর অর্থ পেয়েছেন জামায়াতের কাছ থেকে, তা তাদের কথাবার্তা ও আচরণে বোঝা যায়। মি. রবার্টসন প্রসঙ্গে আসা যাক। তিনি যদি রায়ের পর মৃত্যুদণ্ড দেয়ার বিরুদ্ধে কথা বলতেন, তাহলে বলা যেত যে পেশার প্রতি তার নিষ্ঠা ও আন্তরিকতা রয়েছে। কেননা মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ইইউ তো এই আহ্বান জানিয়ে আসছে যে, মৃত্যুদণ্ড রহিত করা হোক। কিন্তু রবার্টসন মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে বক্তব্য নিয়ে এসেছেন। এ ভাষা তো জামায়াতে ইসলামীর। তারা মুক্তিযোদ্ধাদের স্বীকার করে না।
রবার্টসন বলেছেন যে, মুক্তিযোদ্ধাদের ভেতর যারা অপরাধী রয়েছেন, তাদের বাদ দিয়ে বিচারকার্য চালানো হয়েছে। শুধু জামায়াতিদের বিচার করা হচ্ছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে। তাদের আত্মত্যাগে দেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে। তারা জাতির গর্ব। তাদের আত্মত্যাগ স্মরণ করে স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ করার জন্য বিচার করতে হবে, এ রকম কথা পৃথিবীতে বোধহয় মি. রবার্টসন প্রথম বলেছেন। বিলাতের আইন ডিগ্রির প্রতি আমাদের সবার শ্রদ্ধাবোধ ছিল। বিলেত থেকে ব্যারিস্টার ডিগ্রি নিয়ে আসা প্রায় সব সাবেক ব্রিটিশ উপনিবেশবাসীর একটা স্বপ্ন থাকে। মি. রবার্টসনের বক্তব্যের পর একটা বড় ধাক্কা খেতে হলো। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সামান্যতম ধারণা মি. রবার্টসনের নেই। তাকে পরামর্শ দেব যে, সে সময় কয়েকজন পাকিস্তানি সেনা কর্মকর্তা যারা এ যুদ্ধে জড়িত ছিলেন তাদের লেখা বই পড়ে নেবেন। আমি ভারত বা বাংলাদেশের কোনো লেখকের লেখা পড়তে বলব না। যাহোক তাহলে ব্রিটিশ আইনজীবীর বুদ্ধি খুলে যাবে।
বাংলাদেশ-ভারত যৌথবাহিনী সরাসরি যুদ্ধে নামার আগে আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে গেরিলাযুদ্ধে লিপ্ত ছিল। কিছু কিছু ক্ষেত্রে সম্মুখযুদ্ধে অকাতরে তারা তাদের বুকের রক্ত ঢেলে দিয়েছে। পাকবাহিনী ও তাদের দোসরদের অত্যাচারে মুক্তিযোদ্ধারা সব সময় সাধারণ মানুষের মাঝে আত্মগোপন করে থেকেছেন। তাদের একটাই লক্ষ্য মাতৃভূমিকে শত্রুমুক্ত করা। অতএব অন্য কোনো অপরাধে লিপ্ত হওয়ার প্রশ্ন আসেনি। এ কথা সত্য যে, সীমান্তে ভারতের অভ্যন্তরে বেশ কিছু যুব অভ্যর্থনা কেন্দ্র স্থাপিত হয়েছিল। এসব কেন্দ্র থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকাভুক্ত করে অভিযানে পাঠানো হতো। মুজিবনগর সরকারের অর্থ সংকট ছিল।
১৯৭১-এ ভারতের অর্থনৈতিক সংকটও কম প্রকট ছিল না। যে কারণে প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল সাহায্য পেয়েছে। এর ফলে এসব যুব অভ্যর্থনা কেন্দ্রে অর্থ সংকট প্রবল ছিল। পশ্চিমবঙ্গের তৎকালীন পশ্চিম দিনাজপুর জেলার কুরমাইল যুব অভ্যর্থনা কেন্দ্রে আমি বেশ কিছুদিন ছিলাম। এমন দিনও গেছে শুধু পেঁয়াজ-মরিচ দিয়ে ভাত খেতে হয়েছে। তবুও ছেলেদের চোখ মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়ার জন্য জ্বলজ্বল করে জ্বলছিল। হযরত আলী নামে সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার একজন মুক্তিযোদ্ধা যুদ্ধের প্রথমদিকে পাকবাহিনীর হাতে ধরা পড়ে। অত্যাচার আর নির্যাতনে মারা গিয়েছে ভেবে পাক আর্মি তাকে বগুড়ার শেরপুর ভাগাড়ে ফেলে যায়। একজন গ্রামবাসীর সেখানে আবির্ভাব হয়। তিনি নিয়ে যান এবং আল্লাহর কৃপায় সে সেরে ওঠে। কিন্তু এতে সে দমেনি। আবার যুদ্ধে যায় এবং গাজী হয়ে ফিরে এসেছে। এরাই হলো মুক্তিযোদ্ধা। আমি মেঘালয়ের মারংটিলা যুব অভ্যর্থনা কেন্দ্রে কয়েক সপ্তাহ ছিলাম। টিলার ওপর পানির কষ্ট তাই ছেলেরা একবেলা রান্না করত আর একবেলা চিঁড়া মুড়ি খেয়ে কাটাত। আইনজীবী সাহেব আমরা কারো ভূমি জয় করিনি। যৌথবাহিনীর সাহায্যে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি উদ্ধার করেছি।
আমাদের মা-বোনদের পাকবাহিনীর বাঙ্কার থেকে উদ্ধার করেছি। মুশকিল হয় ভাড়াটিয়া বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে। নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বোসের নাতনি শর্মিলা বোস নাকি বাংলাদেশে এসে পাকবাহিনীর ধর্ষণের কোনো কেস পাননি। আমি ব্রিটিশ আইনজীবীকে অনুরোধ করব মেজর সিদ্দিক সালেক এবং মেজর জেনারেল খাদেম রাজার বই পড়তে। বই দুটো ইংরেজিতে লেখা। অতএব মি. রবার্টসনের বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয় সেখানে পাকবাহিনীর এবং তাদের নেতা জেনারেল নিয়াজীর লাম্পট্যের চিত্র তুলে ধরে হয়েছে। পরের দেশ জয় করলে কি অবস্থা হয় সেটা পরাজয়ের পর ইতালি এবং জার্মানির নারীরা বুঝেছিলেন। এ সম্পর্কে আর লিখতে চাই না। খুব খারাপ লাগে নারী জাতি অর্থাৎ মায়ের জাতের অবমাননা এবং লাঞ্ছনার কথা শুনতে। বিলেতের আইনজীবী বোধহয় একটা তথ্যে বিভ্রান্ত হয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছেন। সেটা হলো অবাঙালি হত্যাকাণ্ড। এরকম কথা আমাদের একজন প্রবীণ বাঙালি সাংবাদিকও জোর দিয়ে বলে থাকেন। তিনি আবার ভাষাসৈনিক। কিন্তু বিষয়টিকে খণ্ডিতভাবে দেখলে চলবে না।
পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকরা সম্ভবত ব্রিটিশ শাসকদের অনুপ্রেরণায় অনুপ্রাণিত হয়ে উরারফব ধহফ জঁষব চড়ষরপু গ্রহণ করেছিল। তারা অবাঙালিদের বিশেষ কিছু সুযোগ-সুবিধা দিয়ে বাঙালিদের থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করেছে। তৎকালীন রেল বিভাগে অবাঙালিদের সংখ্যাধিক্য ছিল। তারা রেলপথে বাঙালিদের সঙ্গে অত্যন্ত দুর্ব্যবহার করত এটা শুধু আমার মতো প্রবীণরাই ভালো বলতে পারবেন। নিজের অভিজ্ঞতার কথা বলি একবার ট্রেনে একটু ফাঁকা জায়গা দেখে বসেছিলাম। সেখানে এক অবাঙালি বসেছিল তা জানতাম না। ফিরে এসে যেভাবে আমাকে উঠিয়ে দিয়েছিল যে বাকি পথ আমি লজ্জায় মাথা নিচু করে থেকেছি। ঘটনাটি ঘটেছিল নাটোর সান্তাহার রুটে। এখানে বলা দরকার যে, আমি শীর্ণকায় ব্যক্তি। জীবনে কারো সঙ্গে হাতাহাতি করার সৌভাগ্য বা দুর্ভাগ্য হয়নি। মুক্তিযুদ্ধের নয় মাস ঢাকার মিরপুর এবং মোহাম্মদপুরের বেশিরভাগ বাঙালি সে এলাকায় থাকতে পারেনি। সৈয়দপুরের এমসিএ ড. জিকরুল হককে ছয় টুকরো করা হয়েছিল। যেহেতু আওয়ামী লীগ ছয় দফা দাবি তুলেছিল।
সৈয়দপুরে আমার খালাতো ভাই রেলওয়ের ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। তিনি শ্মশ্রæমণ্ডিত এবং তবলিগ জামায়াত করতেন। তার ধারণা ছিল কথিত ইসলাম রক্ষাকারীরা কিছু করবে না। তাকে জীবন্ত বয়লারের আগুনে নিক্ষেপ করা হয়েছিল। ব্যক্তিগত ক্রোধে উন্মাদ হয়ে কিছু ঘটনা ঘটতে পারে। যেটার বিচার-বিশ্লেষণ করতে হলে সব দিক দেখতে হবে। কিন্তু বাংলাদেশ সরকারের নির্দেশ ছিল তাদের নিরাপত্তা প্রদান করা। যে কারণে মিরপুর মুক্ত হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধের দেড় মাস পরে। সেখানে আমাদের সিনিয়র পুলিশ ও সামরিক কর্মকর্তারা প্রাণ দিয়েছেন। নিহত হয়েছেন প্রখ্যাত বুদ্ধিজীবী জহির রায়হান। পাবনা জেলার ঈশ্বরদী অবাঙালিদের একটি বড় ঘাঁটি ছিল। স্বাধীনতার কয়েক সপ্তাহ পর চিহ্নিত অপরাধী গ্রেপ্তার এবং অস্ত্র উদ্ধারের জন্য পাবনা জেলা প্রশাসন তৎকালীন এডিসি জনাব আব্দুল হাকিমের নেতৃত্বে একটি টিম পাঠানো হয়।
জনাব হাকিম পরে রাষ্ট্রদূত হয়েছিলেন এবং বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টাও হয়েছিলেন। আমি ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে সে টিমে ছিলাম। অকস্মাৎ অবাঙালি নারী ও শিশুদের শিল্ড বানিয়ে আমাদের ওপর গুলি চালাতে লাগল অবাঙালি দুষ্কৃতকারীরা। হাকিম সাহেবসহ আমরা দৌড়ে রেললাইনের অপর পাড়ে গিয়ে শুয়ে পড়ি এবং শিশু ও নারীরা গুলিতে মারা যাবে এ কারণে আমরা গুলির নির্দেশ দিতে পারিনি। প্রবীণ সেই সময়ের সাংবাদিক জনাব হাকিমের কাছ থেকে ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে পারেন। আবার ফিরে আসি লন্ডনের আইনজীবীর প্রসঙ্গে। তিনি বলেছেন যে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন হয়নি। বিচারের সার্বজনীন গ্রহণযোগ্যতা বলে একটা কথা আছে। আন্তর্জাতিক মান বলতে ওনারা কি বোঝেন। বিচারকার্যটি যে আইনে চলছে সেটি প্রণীত হয়েছে স্বাধীন-সার্বভৌম সাংসদের দ্বারা। সময় দ্বারা বারিত হওয়ায় তো কথা নয়। ১৮৬০ সালে প্রণীত দণ্ডবিধি তো এখনো বাংলাদেশে চলছে। বিচারের ভাষা অভিযুক্তদের বোধগম্য হতে হবে। বিচার চলছে উন্মুক্ত কোর্টে সেখানে প্রচার মাধ্যমসহ সবার প্রবেশাধিকার রয়েছে। অভিযোগকারী এবং বিচারক সম্পূর্ণ আলাদা এবং স্বতন্ত্র।
অভিযুক্ত ব্যক্তিদের সম্পূর্ণ আত্মরক্ষার সুযোগ দেয়া হয়েছে এবং তা যথাযথ প্রয়োগ করা হচ্ছে। সর্বোপরি রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগও রয়েছে। নুরেমবার্গ ট্রায়াল কিন্তু কোনো আপিলের সুযোগ ছিল না। বলা হয়ে থাকে যে কাদের মোল্লার রায় প্রভাবিত হয়েছিল গণজাগরণ মঞ্চের প্রতিবাদে। গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলন ছিল শান্তিপূর্ণ। অগ্নিসংযোগ তো দূরের কথা একটি ঢিলও ছোড়া হয়নি। বিস্মিত হই যখন অতিশিক্ষিত লোকও এই কথাটি ভুলে যান। এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, ট্রাইব্যুনাল তার মতো করে রায় দিয়ে আসছেন। যেখানে বেশিরভাগ মানুষ ধারণা করেছিল যে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসি হবে। তা দেয়া হয়নি। তাকে আমৃত্যু জেল দেয়া হয়েছে। আজ রবার্টসনের দেশসহ সব পশ্চিমা দেশই মানবাধিকার ও ন্যায়বিচারের আন্তর্জাতিক মানদণ্ড নিয়ে বড়ই উদ্বিগ্ন। ইরাকের সাবেক প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনকে ঈদের দিন ফাঁসি দেয়া হলো। এতে কতটা মানবিকতা প্রতিফলিত হয়েছে। ১৯৭১-এ যদি পশ্চিমাদের এসব বোধ যদি জাগরুক থাকত, তাহলে পাকিস্তানিরা গণহত্যা সংগঠিত করতে পারত না। আগে এসব বোধ থাকলে দক্ষিণ আফ্রিকার মহান নেতা তথা বিশ্বের মহান নেতা নেলসন ম্যান্ডেলাকে কি এত নির্যাতন করা হত যা একজন মানুষের পশুর সঙ্গে এরকম আচরণ করতেও হাত কাঁপত। যাহোক আনন্দের কথা যাদের মানবিকতা এবং মানবাধিকার বিষয়ে বিলম্বে হলেও বোধোদয় হয়েছে।
মি. রবার্টসন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে তথ্যহীন, ভিত্তিহীন অভিযোগ এনে ৩০ লাখ শহীদের প্রতি অশ্রদ্ধা দেখিয়েছেন। গোটা বিশ্বের শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের অবমাননা করেছেন। আপনার নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়া উচিত।সুত্র

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.