নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।
২০০১ থেকে ২০০৬ সাল। বিএনপি-জামায়াত তখন ক্ষমতায়। কেমন ছিলো তখনকার অর্থনীতি?
একটা ছোট উদাহারণ দিলে উত্তরটা পাওয়া যাবে।ঐ পাঁচ বছর বিশ্ব অর্থনীতির অবস্থা ছিলো সম্পূর্ণ স্বাভাবিক। কোনো মন্দা ছিলোনা। উন্নয়নশীল দেশগুলো তরতর করে সামনে এগিয়ে যাচ্ছিলো তখন। পাশের দেশ ভারতের গড় প্রবৃদ্ধি ছিলো সাত শতাংশ। ভুটানের ছিলো ৬ শতাংশ।
বাংলাদেশের কতো ছিলো অনুমান করতে পারবেন?
স্থিতিশীল বিশ্ব অর্থনীতির সেই সময়েও বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির হার ছিলো মাত্র ৫ দশমিক ৪ শতাংশ!
এবার আসি সরকারের গত মেয়াদের সময় কেমন ছিলো অর্থনীতি, সে প্রসঙ্গে।
সবার নিশ্চয়ই মনে আছে কয়েক বছর আগে বিশ্ব অর্থনীতি স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ মন্দার মুখোমুখি হয়েছিল। উন্নত দেশগুলো সে মন্দা সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছিলো প্রায়। লাখ লাখ লোক বেকার হয়ে যাচ্ছিলো, হাজার হাজার কোম্পানি লোকসানের পড়েছিলো, বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো অনেক ব্যবসা-বানিজ্য।
উন্নত দেশগুলোর প্রবৃদ্ধির হার ছিলো তখন গড়ে প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ৬ শতাংশ।
সেই চ্যালেঞ্জিং পরিবেশেও বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি কতো ছিলো মনে আছে?
বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ছিলো তখন ৬ দশমিক ১৪ শতাংশ।
এটা একটা উদাহারণ মাত্র।
গত ৫ বছরে বাংলাদেশ নিজেদেরকে উদাহারণের যায়গায় নিয়ে যেতে পেরেছে। নোবেল বিজয়ী অমর্ত্য সেন অনেকবার বলেছেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে ভারতের চেয়েও দ্রুত গতিতে।অনেক বিশ্বনেতাই বলেছেন, বাংলাদেশ হতে যাচ্ছে পরবর্তী জাপান। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের উন্নয়ন নিয়ে বিষ্ময় প্রকাশ করে বলেছেন তিনি নিজের চোখে দেখতে চান কীভাবে বাংলাদেশ এসব করছে। এই ছয় বছরে বাংলাদেশের প্রতিদ্বন্দ্বী যেনো বাংলাদেশ নিজেই। গত আগস্টে বাংলাদেশ এক নতুন রেকর্ড গড়েছিলো। তখন বাংলাদেশ ব্যাংকে রক্ষিত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গিয়েছিলো।
আজ এক নতুন রেকর্ড স্পর্ষ করলো বাংলাদেশ। সহিংস রাজনীতির কারণে দেশের অর্থনীতির ক্ষতির মধ্যেও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন প্রথমবারের মতো দুই হাজার ৩০০ কোটি (২৩ বিলিয়ন) ডলার ছাড়িয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেক্স রিজার্ভ অ্যান্ড ট্রেজারি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের মহাব্যবস্থাপক কাজী ছাইদুর রহমান জানিয়েছেন এ তথ্য।
এই সরকার শুধু কথায় না, কাজে বিশ্বাস করে। শুধু বুলি আওড়ায় না, করে দেখায়। বাংলাদেশই পারে, বাংলাদেশই পারবে।
আমার সোনার ব্যাংলাদেশ এগিয়েই যাব;আবারো ঝাপ দিবে এ মন নির্ভয়। দেশ বিরোধীরা হুশিয়ার!
২| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:৫২
রাখালছেলে বলেছেন: কার পক্ষপাতিত্ব করলেন । দেশের না দলের ? দেশটা আমাদের দলটা আপনার । দেশটাকে যদিই ভালবাসেন তাহলে প্রমান দিন দয়া করে । বন্ধ করুন আপনাদের নোংরা রাজনীতি।
৩| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:৪৮
পালের গোদা বলেছেন: "কার পক্ষপাতিত্ব করলেন । দেশের না দলের ? দেশটা আমাদের দলটা আপনার। দেশটাকে যদিই ভালবাসেন তাহলে প্রমান দিন দয়া করে । বন্ধ করুন আপনাদের নোংরা রাজনীতি।"
যে দল দেশের ভালো করবে সেই দলের পক্ষপাতিত্ব করাই কি দেশের পক্ষপাতিত্ব করা নয়? আবার দেশের লাভেও অখুশী হওয়া কারন সেটা আপনার সমর্থিত দলের পক্ষে যায় না, সেটা কার পক্ষপাতিত্ব করা? দেশের না দলের? আমি যে দলকে সমর্থন করিনা সেই দলও যদি দেশের কোন লাভ বয়ে আনে, আমি সেটাকে অন্তত ভালো বলব, আর সেটাকেই বলে দেশের পক্ষপাতিত্ব করা।
৪| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৩
ভাঙ্গা হৃদয় বলেছেন: এত উন্নতি দেখলেন তাহলে জীবন যাত্রার মানের কোন উন্নতি চোখে পরে না কেন। রিজার্ভ ধুইয়া আমি পানি খাব না যদি না আমার খাবার পানি বিশুদ্ধ হয়। যে দেশে জীবনের কোন দাম নাই ঐ দেশে রিজার্ভ শুধু উপরের লেভেল এর জন্য আমাদের জন্য না।
৫| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:০৯
নিষ্কর্মা বলেছেন: আসুন কল্পনা করি দেশের সব কল-কারখানা রাষ্ট্রায়ত্ব করা হয়েছে, যেটা কি না ১৫তম সংবিধান সংশোধনি অনুযায়ী সরকারের জন্য ফরজ কাজ। যেটা করা হয়েছিল ১৯৭৩-৭৫ সালে। তাহলে কি মনে করেন আজ বাঙলাদেশ ব্যাংক এই মেইল ফলক ছুঁতে পারত। কিছু মনে নিয়েন না, ছোট্ট একটা উদাহরণ দিলাম মাত্র!
তা না হলে মেনে নিতে হবে ১৯৭৬-৭৭ সালে গৃহীত বিরাষ্ট্রীয়করণ পদ্ধতি এবং ১৯৯১-১৯৯৫ মেয়াদে নেওয়া মুক্ত বাজার অর্থনীতির সুফল এখন পাওয়া যাচ্ছে। মনে রাখবেন, কেউ ভুল করতে পারে, কিন্তু কেউ সঠিক কাজ করলে তাকেও কিছু প্রাপ্য দিতে হয়।
দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, তার প্রমাণ আমাদের অর্থনীতির এই উল্লম্ফন। এতে শুধু কোণ একক দলের অবদান নেই, একক কোন সরকারের অবদান নাই। এতে আমাদের জনগণের অবদান সবচেয়ে বেশি। জনগণ অবদান রাখতে পারে এমন কার্যকর গণতান্ত্রিক সরকার আমাদের দরকার।
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:৪৪
প্রামানিক বলেছেন: ভাল খবর। ধন্যবাদ