নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা বলিব সত্য বলিব

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।

তালপাতারসেপাই

লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।

তালপাতারসেপাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

কূটনৈতিক এলাকা থেকে রাজনৈতিক কার্যালয় সরিয়ে নিন

০৩ রা মার্চ, ২০১৫ সকাল ৮:৩৮


রাজধানীর অভিজাত এলাকা গুলশান, বনানী ও বারিধারায় বিভিন্ন দেশের দূতাবাস এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার অফিস থাকায় সাধারণভাবে এ এলাকাকে কূটনৈতিক জোন বলা হয়। স্পর্শকাতর এ এলাকায় গড়ে উঠেছে রাজনৈতিক দলের অফিস ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের কার্যালয়। আবাসিক এলাকায় অনাবাসিক প্রতিষ্ঠান করতে হলে সিটি কর্পোরেশন, পরিবেশ অধিদফতর ও ফায়ার সার্ভিসের ছাড়পত্রের দরকার হয়। ক্ষেত্রবিশেষে রাজউকের অনুমতির প্রয়োজন হয়। রাজনৈতিক দলের অফিস প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রেও এ অনুমতির প্রয়োজন। কিন্তু এসব নিয়ম লঙ্ঘন করেই স্পর্শকাতর এলাকায় গড়ে উঠেছে একের পর এক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। গড়ে উঠেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অফিস। এর ফলে দেশের সবচেয়ে স্পর্শকাতর এ এলাকার নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়ছে। গুলশান, বনানী ও বারিধারায় বাড়ি নির্মাণে অনুমতি নেয়া হয়েছে আবাসিক ভবন হিসেবে। অফিস বা বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে কোনো ভবন নির্মাণ করা হয়নি। আবাসিক এলাকায় রাজনৈতিক দলের অফিস আরো বেশি বেমানান। কারণ রাজনৈতিক দলের অফিসকে কেন্দ্র করে সভা-সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের মচ্ছব লেগে থাকে। যে দেশে রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি পালনে পেট্রলবোমার যথেচ্ছ ব্যবহার হয়, সে দেশের কূটনৈতিক জোনে রাজনৈতিক দলের অফিস থাকা কূটনীতিকদের জন্য নিরাপত্তার হুমকি। কূটনৈতিক জোনে রাজনৈতিক দলের অফিস থাকায় সহিংস রাজনীতির চর্চা থেকে এ এলাকাকে নিরাপদ রাখা কঠিন হয়ে পড়ছে। বিশেষ করে বিএনপি-জামায়াত জোটের কর্মসূচি গুলশানের একটি ভবন থেকে পরিচালিত হচ্ছে। এ কর্মসূচির বিরুদ্ধে যারা, তারাও অবরোধের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে আসছেন স্পর্শকাতর এলাকায়। শুধু বিএনপি নয়, জাতীয় পার্টি, জাকের পার্টিসহ বিভিন্ন দলের অফিস রয়েছে স্পর্শকাতর কূটনৈতিক জোনে। কখনো কখনো তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে এলাকায় অচলাবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে।

২০ দলীয় জোটের ডাকা অনির্দিষ্টকালের অবরোধ চলাকালে গুলশানে সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী রিয়াজ রহমানের ওপর হামলা, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা সাবিহ উদ্দিনের গাড়িতে অগ্নিসংযোগ, প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভীর বাসভবন, কানাডিয়ান দূতাবাস ও বনানীতে আইনমন্ত্রীর বাসার সামনে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। কূটনৈতিক পাড়া ও ভিআইপি এলাকায় এ ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনায় বিভিন্ন মহলে নিরাপত্তার বিষয়টি প্রশ্নের মুখে পড়েছে। কূটনৈতিক জোনে রাজনৈতিক কার্যালয় থাকায় শান্তি বিনষ্ট হচ্ছে। বিএনপির কার্যালয় থাকার কারণে গুলশান মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ গত এক মাস ধরে বন্ধ। এতে ছাত্রছাত্রীদের লেখাপড়া বিঘিœত হচ্ছে। তাদের শিক্ষা জীবন হুমকির মুখে পড়েছে। এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ চায় এলাকার সাধারণ মানুষ।

কূটনৈতিক এলাকার নিরাপত্তার স্বার্থে সেখানকার সব রাজনৈতিক কার্যালয় সরিয়ে নেয়া জরুরি। আবাসিক এলাকায় বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান এবং রাজনৈতিক দলের অফিস প্রতিষ্ঠা আবাসিক বৈশিষ্ট্যের ছন্দপতন ঘটায়। গুলশান, বনানী ও বারিধারা যেহেতু স্পর্শকাতর কূটনৈতিক জোনের অংশ; সেহেতু এ এলাকায় অফিস এবং রাজনৈতিক দলের অফিস স্থাপন কতটা যৌক্তিক তা ভাবতে হবে। কূটনীতিকদের নিরাপত্তার স্বার্থে এ ব্যাপারে নজর দেয়া সরকারের কর্তব্য বলেই বিবেচিত
হওয়া উচিত।
সুত্র

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.