নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা বলিব সত্য বলিব

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।

তালপাতারসেপাই

লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।

তালপাতারসেপাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাস্তবতা বুঝলে বেগম জিয়াই হবেন উপকৃত, মানুষ পাবে নিষ্কৃতি

১৪ ই মার্চ, ২০১৫ ভোর ৬:৫২

একমুখী এক জোয়ারে মেশার সুযোগ বাঙালির কমই এসেছে। আবার এলেও এ সুযোগ সব সময় কাজে লাগানো যায়নি। কখনো কখনো একমুখী হলেও তা হারিয়ে গেছে ষড়যন্ত্রের চোরাবালিতে। ঐতিহাসিক তথ্যে দেখা যায়, বিশ্বে বিভিন্ন জাতির একমুখী হতে যত সময় লাগে, বাঙালির তত লাগে না। বাঙালি এক হয়ে যেতে পারে যে কোন উপলক্ষে যে কোন মুহূর্তে। আর একমুখী হয়ে গেলে বাঙালি নিশ্চিত জয় ছিনিয়ে আনে। ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে জয় ছিনিয়ে আনার ইতিহাসও বাঙালির রয়েছে। '৫২'র ভাষা আন্দোলন, '৬২'র শিক্ষা আন্দোলন, '৬৯'র গণঅভ্যুত্থান, '৭১'র মুক্তিযুদ্ধ, '৯০'র স্বৈরাচার পতন সেই ইতিহাসের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।

ইংরেজ দুর্গ গুঁড়িয়ে টাইগারদের কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠা হঠাৎ আলোর ঝলকানি দিয়েছে বাঙালিকে। দেশি-বিদেশি আহক্ষান, চাপ, হুমকি যেখানে ব্যর্থ, সেখানে একটি খেলা হঠাৎ স্বস্তি-সম্প্রীতি এনে দিয়েছে দেশে। উৎসবে মেতে ওঠা জনগণের মধ্যে কোন বিভেদ ছিল না। ছিল না বিপরীত গ্যালারির কোন অবস্থান। সবাই একই গ্যালারির। সবার কামনা অহিংস, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ। টানা দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে নিজ কার্যালয়ে অবস্থান গেড়ে বসা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াও এ গ্যালারিমুখী হয়েছেন। তবে তা মাত্র একদিনের জন্য। গত মঙ্গলবার ১২ ঘণ্টার জন্য হরতাল শিথিল করেছেন তিনি। বাস্তবতা উপলব্ধি করে হোক আর ভীত হয়ে বা জনমানুষের শক্তির প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়েই হোক তার এ হরতাল শিথিল করা প্রশংসিত হয়েছে। আবার কিছু প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। একুশে ফেব্রুয়ারির মতো ঐতিহাসিক দিনেও তিনি তার সহিংস কর্মসূচি প্রত্যাহার করেননি। এসএসসি পরীক্ষার্থীরা হয়ে আছে জিম্মি। বিশ্ব এজতেমা চলাকালে অবরোধ চলেছে। কিন্তু খেলার বিজয়ে আর পারলেন না, গ্যালারিতে এক হতেই হলো তাকে।

দুই মাসেরও বেশি ধরে চলছে অবরোধ, সঙ্গে হরতাল। পেট্রলবোমা-গুলিতে প্রাণ হারাচ্ছে মানুষ। এর মধ্যে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ক্রিকেট বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশ। মুহূর্তেই উধাও রাজনৈতিক হানাহানি, বিভেদ। সারাদেশের শহর-গ্রাম, পথপ্রান্তরে উল্লসিত জনতার বিজয় মিছিল। সারাদেশে আনন্দ মিছিল করতে কর্মী-সমর্থক আর দেশবাসীর প্রতি আহক্ষান জানালেন প্রধানমন্ত্রী। কিছুক্ষণ পর একই আহক্ষান জানিয়ে বিবৃতি দেয় বিএনপি। সঙ্গে হরতাল শিথিলের ঘোষণা। সবাই এক কাতারে। সবাই ঐক্যবদ্ধ। সবাই সেদিন একদল। নানা কারণে আত্মগোপনে থাকা বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরাও এ আনন্দ মিছিলে একাকার হয়। অন্যদিন তাদের জড়ো হতে বাধা দেয়া পুলিশও এই দিন ছিল নমনীয়। কিন্তু একদিন পরই আবার যথারীতি হরতাল, বোমাবাজি, সহিংসতা।

গত ৬ জানুয়ারি থেকে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের ডাকা টানা অবরোধ আর দফায় দফায় হরতালে মানুষ আতঙ্কিত। গোটা দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত। যদিও রাজধানী ঢাকার স্বাভাবিক কর্মজীবনে হরতাল ও অবরোধের কোন প্রভাব নেই। ভয়কে জয় করেই মানুষ রাস্তায় নামছে। সাম্প্রতিক সংঘাত-সহিংসতার ঘটনাবলীতে স্পষ্ট রাজনৈতিক সংকট বলতে বাংলাদেশে কিছু নেই। যেটি চলছে এটি ক্ষমতানীতির সংকট। রাজনীতির প্রধান দুটি শক্তির ক্ষমতার লড়াই। এই দুটি দলই ক্ষমতায় থাকতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। গৌরবের মনে করে ক্ষমতায় থাকতে পারাকেই। ক্ষমতার বাইরে গেলেই নিজেদের নিঃস্ব ভাবে তারা। তবে ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টা বা ধরে রাখার এ আয়োজনকে ঘিরে দেশে তৈরি হয়ে গেছে দুটি গ্যালারি। একটি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের, আরেকটি বিপক্ষের। ৫৬ হাজার বর্গমাইলের সবুজ গালিচাটিকে ঘিরে একটি গ্যালারিকে বিভক্ত করা হচ্ছে ক্ষমতার চোরাবালিতে। সেখানে মাথা গজিয়ে উঠেছে স্বাধীনতাবিরোধী চক্র। বিএনপির ওপর ভর করে গর্জে ওঠা এ চক্রের থাবায় ক্ষত-বিক্ষত গোটা দেশ। সাম্প্রতিক সময়ে তাদের সবুজ গ্যালারিকে দুমড়ে মুচড়ে শেষ করে ফেলার অপতৎপরতা স্পষ্ট। বিএনপি চেয়ারপারসন তার কার্যালয়ে বসে দেশকে উত্তাপে রাখার যাবতীয় চেষ্টায় ব্যস্ত। তিনি সচেষ্ট একে রাজনৈতিক সংকট নামে চালাতে। জনগণ এর নিষ্ঠুর শিকার। মাঠের কৃষক, কারখানার শ্রমিক আর শিল্পের উদ্যোক্তা থেকে শুরু করে খেলোয়াড় সবাই এই যাতনা থেকে মুক্তি চায়। বোমাবাজি-সন্ত্রাসের ভয়ের তাড়ার মধ্যেও সবাই কাজে নেমে পড়েছেন। বেগম জিয়া এ বাস্তবতা একদিনের জন্য না বুঝে স্থায়ীভাবে বুঝলে নিজে উপকৃত হবেন। মানুষও রেহাই পাবে।

শোনা যাচ্ছে টানা দুই মাসেরও বেশি সময়ের আন্দোলনে কার্যকর কোন ফল না পাওয়ায় সংকট মুক্তির পথ খুঁজছে বিএনপি। দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এ লক্ষ্যে নেতাকর্মীদের নতুন দিকনির্দেশনার পাশাপাশি সরকারের উদ্দেশ্যেও নতুন কিছু বার্তা দেবেন। শীঘ্রই তিনি নিজের ও দলের অবস্থান স্পষ্ট করবেন। খবরটির সত্যতাই কামনা করছি। অন্তত হালের জগদ্দল পাথরের অবস্থান থেকে তার নিজের মুক্তির একটা ব্যবস্থা তো হবে। লাগাতার অবরোধ-হরতালে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা স্থবির হয়ে পড়লেও সংলাপের ব্যাপারে সরকারের সায় না দেয়া বিএনপি নেতাকর্মীদের স্তম্ভিত করে দিয়েছে। বিশেষ করে ঢাকাসহ কিছু স্থানে হরতাল প্রায় অকার্যকর হয়ে পড়ায় বিএনপি নেতাদের পাশাপাশি শুভাকাঙ্ক্ষি হিসেবে পরিচিত বুদ্ধিজীবীরা এ বিষয়ে বিএনপিকে বিকল্প কিছু চিন্তা করে বের করার পরামর্শ দিয়েছেন। বিএনপির একাধিক নেতা অফ দ্য রেকর্ডে বলেছেন, পরিস্থিতি নতুন করে মূল্যায়ন করা উচিত।
- See more at: Click This Link

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ৭:১৬

জ্বিনল্যান্ডের জ্বিন বলেছেন: এই ২ দলের কারনেই দেশের এই অবস্থা। এবার এস.এস .সির রেজাল্ট ও খারাপ হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.