নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা বলিব সত্য বলিব

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।

তালপাতারসেপাই

লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।

তালপাতারসেপাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

নিবন্ধন রক্ষায় জামায়াতের গা বাঁচানো আন্দোলন

১৫ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ১০:১৭

সরকারবিরোধী আন্দোলনে আগের মতো শক্তিক্ষয় করছে না জামায়াত। চলমান টানা হরতাল-অবরোধে গ্রেপ্তারের তালিকাও বিএনপির চেয়ে সুবিধাজনক অবস্থায় আছে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা। গণমাধ্যমে রুটিনমাফিক বিবৃতি পাঠানো ছাড়া প্রকাশ্যে কী অপ্রকাশ্যে থেকেও কোনো ধরনের কর্মসূচি দেখা যাচ্ছে না দলটির। অথচ আড়াই মাস আগেও জামায়াত ২০-দলীয় জোটের প্রধান শরিক বিএনপিকে কঠোর আন্দোলনে যেতে অনুরোধ জানিয়েছিল। তারা নিজেরাই এখন নামকাওয়াস্তে আন্দোলনে সময় পার করছে।
পর্যবেক্ষক মহলের ধারণা, মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে দলের শীর্ষ নেতারা দ-িত। ’৭১-এর ভূমিকা নিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে আইন সংশোধনের মাধ্যমে সরকারের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ নেওয়া হয়। এজন্য প্রচলিত আইনে সংশোধন আনার কথা বলা হচ্ছে। আইনের সংশোধনী প্রস্তাব পাস হলেই নিবন্ধন বাতিল হতে পারে এমন আশঙ্কাতেই গা বাঁচানোর আন্দোলন করে জোটকে খুশি করছে জামায়াত।
তবে জামায়াত বলছে, দলীয় শীর্ষ নেতারা কারাগারে থাকা সত্ত্বেও জোট ঘোষিত চলমান আন্দোলনে প্রতিদিনই দেশের কোথায়ও না কোথায়ও তাদের নেতাকর্মী গ্রেপ্তার-নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। পুলিশ ও সরকারদলীয় লোকজনের হামলায় অনেকে পঙ্গুত্ববরণ করেছেন। তারা বলছেন, ট্রাইব্যুনালের ‘সাজানো’ রায়ে জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের ‘হত্যা’য় ফাঁসি কার্যকরসহ অনেককে সাজা দেওয়া হয়েছে। জামায়াতের ওপর এর চেয়ে বড় ধরনের খড়্গ কী হতে পারে।
জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান সম্প্রতি গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে বলেন, সরকারের প্রতিহিংসাপরায়ণ রাজনীতি দেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে উপনীত করেছে। মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। দেশে প্রশাসন ব্যবস্থা বলতে কিছু নেই। ২০-দলীয় জোট ঘোষিত গণঅবরোধ, হরতাল, গণমিছিলসহ সব কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে পালন করে চলমান গণআন্দোলনকে তীব্র থেকে তীব্রতর করার মাধ্যমে সরকারের পতন নিশ্চিত করার আহ্বান জানান তিনি।
সূত্র জানায়, গত ৫ জানুয়ারির আগেকার জোটের বৈঠকগুলোয় বিএনপির নেতাকর্মীরা মাঠে নামছে না বলে অভিযোগ ছিল জামায়াতের। ওই সময় জামায়াতের বক্তব্য ছিল, বিএনপি মাঠে নামলেই তারা সর্বশক্তি দেখাবে। এছাড়া শিবিরের মতো তরুণ নেতৃত্ব বিশেষ করে ছাত্রদলকে মাঠে রাখার মত দেয় জামায়াত নেতারা। এমনকি ছাত্রদল-শিবিরের সমন্বয়ে সর্বদলীয় ছাত্রঐক্য গঠনের প্রস্তাবও আসে জামায়াতের পক্ষ থেকে। ওইসব প্রস্তাবের মধ্যে সর্বদলীয় ছাত্রঐক্য গঠন ছাড়া সর্বোচ্চ শক্তি নিয়ে মাঠে নামে বিএনপি ও তাদের অঙ্গসংগঠনগুলো। কিন্তু হাল ছেড়েছে জামায়াত।
নজিরবিহীন সরকারবিরোধী আন্দোলনে গা-ছাড়া ভাব দেখানোর কারণে জামায়াতের ওপর জোটবন্ধু বিএনপির হাইকমান্ডও নাখোশ বলে অভিযোগ রয়েছে। মাহমুদুর রহমান মান্না ও সাদেক হোসেন খোকার মধ্যকার কথোপকথন গণমাধ্যমে প্রচার হওয়ার পর বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের যোগাযোগও বন্ধ। মাঠে গুঞ্জন রয়েছে, মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে শীর্ষ নেতারা কারাগারে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় সারির নেতা আত্মগোপনে থাকায় চতুর্থ শ্রেণির অর্থাৎ সাবেক শিবির নেতারাই নিবন্ধন রক্ষায় সরকারের সঙ্গে ভেতরে ভেতরে যোগাযোগ রাখছে।
যে কারণে ’৭১ সালে দল হিসেবে জামায়াতের অপরাধের বিচারের কথা চললেও এতদিনেও তার অগ্রগতি নেই। এ নিয়ে তদন্ত সংস্থা প্রতিবেদন দাখিল করে। কিন্তু মন্ত্রিসভার একাধিক বৈঠক হলেও বিষয়টি আলোচনায় আসেনি। আন্দোলন থেকে অনেকটা দূরে থাকায় সারা দেশে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের আটক-গ্রেপ্তারও কমে গেছে। রাজধানী ঢাকাতেও একই অবস্থা।
ঢাকা মহানগর পুলিশ সূত্র জানায়, নাশকতামূলক কর্মকা-ে জড়িত থাকার অভিযোগে গতকাল পর্যন্ত ১২ দিনে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ১৪০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর মধ্যে ১০৪ জন বিএনপির, জামায়াত-শিবিরের ৩৬ জন। অথচ ৫ জানুয়ারির আগেকার আন্দোলনে জামায়াত-শিবিরের লোকজনই তুলনামূলক বেশি গ্রেপ্তার হয়।
সুত্র

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.