নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।
সাধারণত সুন্দরী ও আকর্ষণীয় নারীদের ছবি ব্যবহার করে ভুয়া ফেসবুক আইডি খোলে ছাত্র শিবিরের কর্মীরা। সেই আইডি থেকে প্রতিনিয়ত নানাজনের কাছে বন্ধুত্বের আবেদন (ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট) জানায় তারা। এরপর তাদের প্রোফাইল থেকে শিবিরের বিভিন্ন পেইজ ও ব্লগের পোস্ট শেয়ার করে থাকে। আর জামায়াতে ইসলামের এমন প্রচারণার জন্য ২০১০ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ইসলামী ছাত্র শিবিরের অন্তত ৫০ জন সক্রিয় কর্মীকে বিদেশ থেকে প্রযুক্তির ওপর বিশেষ প্রশিক্ষণ দিয়ে নিয়ে এসেছে।
বাঁশেরকেল্লা নামক ফেসবুক পেইজের অ্যাডমিন শিবির নেতা এম জিয়াউদ্দিন ফাহাদকে জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য জানতে পেরেছে গোয়েন্দারা। রবিবার ছিল তার আট দিনের রিমান্ডের দ্বিতীয় দিন।
মূলত শতাধিক ব্লগ ও ফেসবুক পেজের মাধ্যমে দেশব্যাপী প্রোপাগান্ডা ছড়ানোর জন্যই জামায়াত এ কাজটি করেছে বলে জানিয়েছে গোয়েন্দারা।
প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিবিরের এসব কর্মীরা প্রত্যেকে বেশ কয়েকটি ই-মেইল অ্যাকাউন্ট ও ফেসবুক আইডি ব্যবহার করে একাধিক ফেসবুক পেইজ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। এসব পেইজ দিয়ে তারা প্রোপাগান্ডা ছড়ানোসহ সরকারবিরোধী নানা রকম জঙ্গি হামলায় উস্কানি দিয়ে থাকে।
গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়, ফাহাদের ফেসবুক স্ট্যাটাস পর্যালোচনা করে বেশ কয়েকটি প্রোফাইল শনাক্ত করা হয়েছে যেগুলো থেকে সন্ত্রাসী হামলায় ইন্ধন যোগানো হয়। গোয়েন্দারা এ মুহূর্তে ওইসব আইডির মালিক এবং উস্কানিদাতাদের অবস্থান খুঁজে বের করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
২০১৩ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় দিতে শুরু করার পর থেকেই ছাত্র শিবিরের অনলাইন তৎপরতা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে গেছে। রায়ে শিবিরের বেশ কয়েকজন উচ্চ পর্যায়ের নেতা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে সহযোগিতা, হত্যা, লুট ও ধর্ষণসহ নানারকম অপরাধের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়ে শাস্তি পেয়েছে।
২০১৩ সালে জামায়াতের জ্যেষ্ঠ নেতা আব্দুল কাদের মোল্লা ও দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনাল রায় দেওয়ার পর থেকেই কয়েকটি ফেসবুক পেইজের মাধ্যমে ছাত্র শিবিরের সমর্থকদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, রাষ্ট্রীয় সম্পদ ও স্বাধীনতার পক্ষের মানুষদের ওপর হামলা করার উস্কানি দেওয়া হয়েছে।
পেইজগুলো থেকে প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, ব্লগার এবং যুদ্ধ অপরাধের সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য ও ফটোশপের মাধ্যমে তৈরি করা বিভিন্ন ভুয়া ছবির মাধ্যমে প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে তাদের হত্যার উস্কানি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া মৌলবাদী দল হেফাজতে ইসলামের সমর্থন দিয়ে সরকার ধর্মপ্রাণ নিরীহ মুসলমানদের ওপর অন্যায় অত্যাচার চালাচ্ছে বলেও মিথ্যা বানোয়াট প্রচারণা চালিয়েছে।
গোয়েন্দাদের ধারণা, সাধারণ মুসলমানদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টির মধ্যমে দেশে একটা অরাজকতা সৃষ্টিই ছিলো তাদের মূল লক্ষ্য।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরুর পর থেকেই ২০ দলীয় জোটের প্রধান শরিক দল জামায়াতের গ্রহণযোগ্যতা দেশে ও বিদেশে দ্রুতহারে কমতে থাকে। এছাড়া ২০১৩ সালে দেশের সংবিধান পরিপন্থী হওয়ায় দলটির নিবন্ধন বাতিল ঘোষণা করেছে হাইকোর্ট।
ডিবি পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘অন্তত ৫০ জন প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ জামায়াত-শিবির পরিচালিত পেইজগুলোর প্রশাসনিক কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে বলে আমরা জানতে পেরেছি’।
তিনি আরও বলেন, ‘প্রথমে আমরা ২০১০ সালে বিষয়টি জানতে পারি। ওই সময়ে জেনেছিলাম ৩০ জন ছাত্র শিবির কর্মী বিদেশ থেকে প্রযুক্তির ওপর আধুনিক প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। শিবিরের একটি বড় অংশ এ মুহূর্তে সাইবার অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ত। আমরা তাদের একটি তালিকা তৈরি করছি এবং শিগগিরই তাদের গ্রেফতারে অভিযান শুরু করবো।’
সূত্র : বাংলা ট্রিবিউন
২| ১৭ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:৪৭
মাঈনুদ্দিন বলেছেন: ৭১ এর কাজ এখন অন্যভাবে চালাচ্ছে। যাদের রক্তে দোষ আছে তারাতো এই রকমই করবে। নিপাত যাক সকল শিবির বাচ্চা।
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:০৮
সোজা সাপটা বলেছেন: অনেক পুরান কেচ্ছা। নতুন কিছু বানাইয়া দেয়া উচিৎ নাহলে পাবলিক খাইবোনা। আমি ব্যক্তিগতভাবে তাদের কাছে থেকে দেখার সুযোগ পেয়েছি । এইসব বললে লোকজন যা বোঝার তাই বুঝবে। বরং তাদের আসল সমস্যা তুলে ধরুন কাজে দিবে।
মওদুদ কিংবা
ব্যানা হূদার মন্ত্রনালয়ে খুজলে প্রতিটি পাতায় পাতায় দূর্নীতি পাওয়া যেতো কিন্তু তাদেরকে পুলিশে ধরে নিয়ে যায় ঘরে মদের বোতল রাখার দায়ে। ভাই আসল যায়গায় হাত দেন ময়না পাখী কাহিনী লোকে খায়না।