নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।
ছবিঃ সালাহউদ্দিনের আশ্রয়দাতা ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংকের ডিএমডি হাসনাত
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদ ‘নিখোঁজ’ হবার ঘটনায় আলোচনায় আসা ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ হাবিব হাসনাতের আকস্মিকভাবে বিদেশ চলে যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। ব্যাংকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে তিনি এক মাসের ছুটিতে আছেন। কিন্তু হঠাৎ করে তিনি ছুটি নিলেন কেন তার কোনো ব্যাখ্যা মেলেনি।
গত সোমবার ব্যাংকে তার কার্যালয়ে ফোন করে তার অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে ফোন রিসিভ করে ওপ্রান্ত থেকে বলা হয় ‘স্যার এক মাসের ছুটিতে গেছেন।’ তবে ব্যাংকের উচ্চ পর্যায়ের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, রেমিট্যান্স সংক্রান্ত কাজে তিনি দেশের বাইরে রয়েছেন। ফিরবেন এক মাস পর।
বিভিন্ন গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, নিখোঁজ হওয়ার আগ পর্যন্ত ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ডিএমডি হাবিব হাসনাতের উত্তরার একটি ফ্ল্যাটে থেকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতেন সালাহউদ্দিন আহমেদ। অভিযোগ রয়েছে, এর আগে সালাহউদ্দিন ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলমের গুলশানের বাসভবনে দীর্ঘদিন ধরে আত্মগোপনে থেকে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলের পক্ষে রাজনৈতিক বিবৃতি দিতেন।
জানা যায়, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যানের বাসভবনে তল্লাশিও চালিয়েছে। কিন্তু সেখানে সালাহউদ্দিন আহমেদকে পাওয়া যায়নি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ধারণা তাদের তল্লাশি অভিযানের আগেই সালাহউদ্দিনকে সরিয়ে নেয়া হয়। সর্বশেষ উত্তরায় ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ডিএমডি হাসনাত হাবিবের বাসায় তাকে আশ্রয় দেয়া হয়। তবে এ ব্যাপারে এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যানের অফিসে ফোন করে তার কোনো বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
সালাহউদ্দিন আহমেদের স্ত্রী সাবেক সংসদ সদস্য হাসিনা আহমেদ বলেছেন, বাসার মালিক হাবিব হাসনাত, তার স্ত্রীর নাম সুমনা। তারা তাদের আত্মীয় না হলেও অনেক ঘনিষ্ঠ। গত মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে সালাহউদ্দিনকে গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে হাত-পা বেঁধে ওই বাসা থেকে তুলে নেয়ার পর হাবিব ও তার স্ত্রী সুমনা ভয়ে পরদিন সকালে দুবাই চলে যান। সেখান থেকে পরদিন তারা চলে গেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। দুবাই থেকে হাবিব হাসনাত মোবাইল ফোনে কল করে সালাহউদ্দিনকে তুলে নিয়ে যাওয়ার খবর তাকে জানান। হাসিনা বলেন, হাবিব দম্পতি সবসময় ওই বাসায় থাকতেন না। ঢাকায় তাদের আরো বাড়ি রয়েছে।
অন্যদিকে পুলিশ বলছে, উত্তরার যে বাসা থেকে সালাহউদ্দিন আহমেদকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে তুলে নেয়া হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে আদৌ তিনি ওই বাসায় ছিলেন এমন প্রমাণই নেই পুলিশের কাছে। বাসার কেয়ারটেকার আক্কাস আলী বলেছেন, তিনি এই নামের কাউকে কখনো ওই বাসায় কোনোদিন দেখেননি। এমনকি পুলিশ পরিচয়ে কেউ ওই বাসা থেকে কাউকে তুলেও নেয়নি। উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ এ নিয়ে কয়েকবার তার সঙ্গে কথা বলেছেন। গত রোববারও পুলিশ তাকে থানায় নিয়ে কথা বলেছেন।
উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেছেন, উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরের ১৩/বি সড়কের ৪৯/বি নম্বর ভবনটি তিনতলা। ভবনের নিচতলার পশ্চিমপাশে গ্যারেজ, পূর্বপাশে ক্যাটবেরি চকলেটের গোডাউন, দোতলার পশ্চিম পাশে ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংকের ডিএমডি, পূর্বপাশে শিক্ষিকা সুকান্তা করিম থাকেন। তৃতীয় তলায় থাকেন নেসলে বাংলাদেশের এক কর্মকর্তা। বাসার কেয়ারটেকার আক্কাস আলীসহ বাসিন্দাদের কারো কাছে সালাহউদ্দিন আহমেদ ওই বাসায় থাকতেন এমন কোনো তথ্য মেলেনি।
এদিকে ডিএমডি হাবিব হাসনাতের অবস্থান বা ছুটি নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য ব্যাংকের পক্ষ থেকে পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ ওয়াসিক মোহাম্মদ আলী ফোন ধরেননি। গত সোমবার ডিএমডির কার্যালয়ে ফোন করলে ফোনের ওপাশ থেকে অফিস সহকারীর পরিচয় দিয়ে তার ছুটিতে যাওয়ার বিষয়টি জানানো হয়।
সুত্র
২| ১৮ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৯
বিলোয় বলেছেন: হাম্বাদের নৈতিক অধঃপতন চরম পর্যায়ে, সরকারী গুম খুনকে এরা হাসি ঠাট্টার উপকরণ বানিয়েছে
©somewhere in net ltd.
১| ১৮ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:৫৭
হামিদ আহসান বলেছেন: রাজনীতি করাও দেখি এখন ভয়ঙ্কর ব্যাপার ....