নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদ-প্রাপ্ত জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল কামারুজ্জামান রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইবেন না। কারণ দলের ভবিষ্যৎ চিন্তা করেই তিনি যেন রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা না চান সে ব্যাপারে দলীয় সিদ্ধান্ত রয়েছে। বিষয়টি শুধু এককভাবে কামারুজ্জামানের ক্ষেত্রেই নয়, মানবতাবিরোধী অপরাধে বিচারাধীন জামায়াতের অন্য নেতাদের ক্ষেত্রেও একই সিদ্ধান্ত অনুসরণের নির্দেশনা রয়েছে। কামারুজ্জামানের পরিবারের সদস্য, আইনজীবী ও দলের শীর্ষ নেতারা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জামায়াত সূত্র জানায়, দ-িত নেতারা কেউ যেন প্রাণভিক্ষা না চান সে ব্যাপারে জামায়াতের কঠিন সিদ্ধান্ত রয়েছে। কারণ হিসেবে নেতারা বলছেন, রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা বা মার্সি পিটিশন করলে আসামিকে অবশ্যই তার অপরাধ স্বীকার করে আদালতের রায় মেনে নিতে হবে। এতে প্রমাণিত হবে দন্ডিত জামায়াত নেতাদের ব্যাপারে আদালতের রায় সঠিক ছিল। তাহলে দোষ না করে থাকলেও মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে জামায়াত নেতাদের নৃশংসতা ও বিরোধিতার বিষয়টিও তাদের পক্ষ থেকেই প্রমাণিত হবে। যার কলঙ্ক আজীবন বয়ে বেড়াতে হবে জামায়াত-শিবিরের পরবর্তী প্রজন্মকে। এ সুযোগ দিতে নারাজ জামায়াত।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের এক সদস্য যায়যায়দিনকে বলেন, দলের যেসব নেতার বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদন্ডের শাস্তি দেয়া হয়েছে তারা সবাই নির্দোষ। সরকার কোনো নেতার বিরুদ্ধেই সুস্পষ্ট কোনো অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি। কিন্তু মৃত্যুদন্ড শাস্তি হওয়ার পরই কিছু মিডিয়া রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাওয়ার বিষয়টি সামনে নিয়ে আসে। আবার সরকারও মাঝে-মধ্যে এ নিয়ে মুলা ঝুলায়। এর পেছনের কারণ হিসেবে জামায়াতের এ নেতা বলেন, জামায়াতের নেতারা যদি কেউ প্রাণভিক্ষা চেয়েও বসেন, তাহলে সরকার এটা নিয়ে খেলবে। প্রাণভিক্ষা চাইতে হলে যেহেতু আগেই তার বিরুদ্ধে আদালতের দেয়া রায়কে সঠিক বলে মেনে নিতে হবে এবং অপরাধ স্বীকার করে নিতে হবে_ তাতেই দলীয় নেতাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো সঠিক বলেই চাউর করবে সরকার। কিন্তু পরে সরকার ঠিকই বিভিন্ন সংগঠনের মাধ্যমে আন্দোলন সৃষ্টি করে আবার জনগণের চাওয়া পাওয়ার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার ঠুনকো অজুহাত দেখিয়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করবে। সুতরাং দন্ডিত নেতাদের কারোই প্রাণভিক্ষা চাওয়ার প্রশ্নই আসে না।
এদিকে কামারুজ্জামান যে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইবেন না তার পরিবারের সদস্যদের কথায়ও স্পষ্ট হয়েছে। এ ব্যাপারে কামারুজ্জামানের বড় ছেলে হাসান ইকবাল ওয়ামী বলেন, সরকারের আচরণে মনে হচ্ছে আইনের তোয়াক্কা না করেই তার বাবাকে ফাঁসিতে ঝোলানো হবে। তাই তার বাবা রাষ্ট্রপতির কাছে কোনোভাবেই প্রাণভিক্ষা চাইবেন না। কারণ রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা বা মার্সি পিটিশন চাইলে আসামিকে অবশ্যই তার অপরাধ স্বীকার করে আদালতের রায়কে মেনে নিতে হবে। যা তার বাবা কখনোই করবেন না।
সুত্র
২| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১১:১৯
মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: @নীল আকাশ ২০১৪ - মহান...মহৎ...ভাল ভাল
৩| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৭
মেহেদী_বিএনসিসি বলেছেন: স্মার্ট ভিখারীরা আজকাল আগে থেকেই পার্টি দেখেই যদি ধরতে পারে তার ভিক্ষা পাওনের কোন চাঞ্চই নাই......তাইলে সে আর সেই পার্টির কাছে ভিক্ষাই চায়না......।
ভিক্ষা না পাইলেও এক্সট্রা একখান ভাব লওনের সুযোগ কে হারাতে চায়.....
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১০:৪১
নীল আকাশ ২০১৪ বলেছেন: যে ব্যক্তি দলীয় সিদ্ধান্তকে নিজের জীবনের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ মনে করে, সে ব্যক্তি অবশ্যই মহৎ হৃদয়ের অধিকারী। তার দলও মহান দল কারণ এরকম নেতা সেরকম একটি দল থেকে উঠে এসেছে।