![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন বিনোদন সাংবাদিক। দেশের একটি স্বনামধন্য দৈনিকে কাজ করছি..
এম এস রানা। সাংবাদিক, কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার ও অভিনেতা। কাজ করছেন কালের কণ্ঠ এর বিনোদন বিভাগের প্রধান হিসেবে।
প্রশ্ন: আপনি তো সাংবাদিকতার পাশাপাশি অভিনয় করছেন। কোনটিকে পেশা হিসেবে নেবেন?
রানা: আসলে দুটোই তো পেশা। একটি প্রধান অন্যগুলো পার্শ্বপেশা। সাংবাদিকতা আমার মূল পেশা, প্রধান পরিচয়। আমি কালের কণ্ঠের বিনোদন বিভাগের বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব পালন করছি।
প্রশ্ন: আর কী কী করছেন?
রানা: অভিনয় করছি। একক নাটক এবং বেশ কয়েকটি ধারাবাহিকে। সাংবাদিকতার পাশাপাশি আমি নিয়মিত নাটক লিখছি। আমার লেখা নাটকের তালিকায় রয়েছে গোলাম সোহরাব দোদুলের ৫২ পর্বের ধারাবাহিক ‘মামা ভাগ্নে’ নাটকটি বাংলাভিশনে প্রচার হয়েছে। এটিএন বাংলায় প্রচারিত হয়েছে হুমায়ুন ফরীদির পরিচালনায় আমার লেখা ২৬ পর্বের ‘ভাড়াবাড়ি বাড়াবাড়ি’, একই চ্যানেলে প্রচারিত হয়েছে আমার লেখা ২৬ পর্বের নাটক ‘ব্যাংককে খুন’।
এই নাটকটির নির্দেশনা দিয়েছে তাহের শিপন। এছাড়া ৫২ পর্ব করে আরো দুটি ধারাবহিক নাটক লিখছি। নাটক দুটির একটি তৈরি করবেন গোলাম কিবরিয়া, অন্যটি আশুতোষ সুজন। এছাড়া আমার লেখা টেলিছবি ও একক নাটকের তালিকাটিও কম নয়। আসছে ঈদে আমার লেখা একাধিক একক নাটক ও টেলিছবি প্রচারিত হওয়ার কথা রয়েছে।
প্রতি বছর একুশে বই মেলাতে আমার লেখা বই প্রকাশিত হয়। আমার লেখা উপন্যাসের তালিকায় রয়েছে ‘স্টেটমেন্ট’, ‘খবর’, মেঘকন্যা ও মেঘের কান্না’।
আসছে বই মেলায় আমার লেখা বারোটি গল্পের একটি কিশোর গল্পগ্রন্থ প্রকাশ হওয়ার কথা। আরো থাকছে একটি উপন্যাস ও একটি অতিপ্রাকৃতিক গল্পের বই।
প্রশ্ন: একই সঙ্গে এত কিছু করতে হিমশিম খেতে হয় না?
রানা : একটা বিষয় খেয়াল করবেন। আমি যে কাজগুলো করছি তার সবগুলোই মূলত লেখালেখি, শিল্পকর্ম। অভিনয়টাও একটা শিল্প। একটা বিষয় লক্ষ্যণীয়, অভিনেতা থেকে শুরু করে যে কোনো শিল্পী ভিন্ন কোনো কাজ করলে বাহবা পান, কিন্তু সাংবাদিকরা সাংবাদিকতার পাশাপাশি অন্য কাজ করলেই নানা কথা ওঠে। এটা আমাদের এক ধরনের মানসিক সংকীর্ণতা। কিন্তু ইতিহাস ঘাটলে দেখবেন কালজয়ী অনেক কাজই সাংবাদিকদের করা। মেধা এবং দক্ষতা থাকলে যে কেউ যে কোনো কাজ করতে পারে। নিয়ম মেনে করতে জানলে হিমশিম খাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। বেশিরভাগ ক্রিয়েটিভরাই দেখবেন একাধিক শিল্পকর্মে তাদের দক্ষতা প্রমাণ করেছেন। লিওনার্দো দি ভিঞ্চি থেকে শুরু করে এই তালিকায় অনেক মনীষীই আছেন।
প্রশ্ন: আমাদের দৈনিকগুলো দেশের বাইরের বিনোদনকে বেশি গুরুত্ব দেয়। আপনি কী মনে করেন?
রানা: আমি একমত নই। দৈনিকগুলোর নিয়মিত আয়োজনের একটা অংশ থাকে দেশের বাইরের বিনোদন। গ্লোবালাইজেশনের যুগে একজন মানুষ যখন ঘরে বসে স্যাটেলাইট কিংবা ইন্টারনেটের সুবাদে সারা বিশ্বের খবরাখবর রাখছেন সেখানে দৈনিক পত্রিকাতেও তারা এর আপডেট দেখতে চান।
প্রশ্ন: বিনোদন পাতায় পুরুষের চেয়ে নারীকে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয় কেন?
রানা: ব্যাপারটি পুরোপুরি ঠিক নয়। কেউ কেউ দেয় সবাই নয়। পুরুষ শাসিত সমাজ ব্যবস্থায় এ ধরনের বৈষম্য আগে থেকেই ছিল।
প্রশ্ন: অভিযোগ রয়েছে বিনোদন সংবাদ কাট পেস্ট করে তৈরি করা। এই অভিযোগ কিভাবে খণ্ডাবেন?
রানা: কালের কণ্ঠসহ প্রধান জাতীয় দৈনিকগুলোর সংবাদ দেখলেই বুঝতে পারবেন অভিযোগটা সত্যি নয়, কাজেই খণ্ডানোর কিছু নেই। তবে অনেকেই আছেন যারা ধার করা সংবাদ দিয়ে নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিতে ভালোবাসেন, তাই বলে কিন্তু সাংবাদিকতাকে দোষারোপ করা ঠিক হবে না।
প্রশ্ন: বিনোদন সাংবাদিকতার সমস্যাগুলো কী কী?
রানা: দরিদ্র দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা আর অর্থনৈতিক নানা টানাপোড়নের কারণে বিনোদন সাংবাদিকতাসহ অন্য অনেক বিষয়ই প্রধান সংবাদ হয়ে ওঠে না। অথচ একটি দেশের প্রধান পরিচয় সে দেশের সংস্কৃতি, বিনোদন। ফলে এই বিষয়ে সাংবাদিকতা করতে শিক্ষিত শ্রেনী আগ্রহী হয়নি। এখন অবশ্য সেই সমস্যা কাটিয়ে ওঠা গেছে।
প্রশ্ন: আমাদের বিনোদন জগৎ তো অনেক বড় হয়েছে। শুধু বিনোদন নিয়ে কি একটি দৈনিক হতে পারে?
রানা: অবশ্যই পারে।
প্রশ্ন: কত পৃষ্ঠার হতে পারে বলে মনে করেন?
রানা: আর দশটা পত্রিকার মতোই সিরিয়াস। বিনোদনের নানা বিষয় নিয়ে সংবাদ, সম্পাদকীয়, ফিচারসহ নানা আয়োজন থাকা উচিৎ। পৃষ্ঠা সংখ্যা অবশ্যই আটের বেশি নয়। কারণ, এর চেয়ে বেশি পৃষ্ঠার প্রধান দৈনিকগুলো অনেক বেশি বাজেট নিয়েও আমাদের দেশে সারভাইভ করতে হিমশিম খাচ্ছে। কারণ আমাদের দেশের বিজ্ঞাপন মার্কেট এখনো অনেক বেশি প্রসারিত নয়।
প্রশ্ন: নতুন দৈনিক বিনোদন অনলাইন পত্রিকা মিডিয়া ভাইব্রেশনকে কিভাবে দেখতে চান?
রানা: বিনোদন জগতের স্বার্থে সোচ্চার, কিন্তু ব্যক্তি স্বার্থের উর্দ্ধে সিনসিয়ার একটি সাংবাদ মাধ্যম হিসেবে। যেখানে বিনোদন জগতের সব শ্রেনী পেশার মানুষের সংবাদ, প্রতিবেদনসহ নানা ধরনের আয়োজন থাকবে। বিনোদন জগতের এগিয়ে চলায় যার ভূমিকা থাকবে অনবদ্য।
দু:খের বিষয় রানা ভাইয়ের কপালে জুটেছিল মিমোর মত একটা ডাইনি। অবশেষে মিমোর সাথে রানার সংসার ভাঙ্গলো...
©somewhere in net ltd.