নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শঙ্কাপ্রেম

মেহেদী হাসান তামিম

কবিতা ব্যক্তিগত মত নয়, বেদনাঘাত বা আনন্দৌন্মুখতা হতে যে উচ্চারণ বেরিয়ে আসে তাই কবিতা। -কাহলিল জিব্রান

মেহেদী হাসান তামিম › বিস্তারিত পোস্টঃ

♥ উহ্ আহ্ বাহ্ ♥ -----------মেহেদী হাসান তামিম

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:২৩



♥ উহ্ আহ্ বাহ্ ♥

আকাশের মনকালো চমকালো বৃথা আলো, মেঘের পতনে হৃদবিহনে, গহীনে
বরিষধারা বহে শিরীষের বনে রে, কাঁচামাটির ঘরেতে
বালির দামে মিলে যশোগান, ভবেতে আসি ভাবে -" মুই কি হনু!" আহা রে
বংশনাম জন্মস্থানে পরিচয় তাদের, ভাবেতে বাঁচেনা, ওরা কারা হে!
কানকষে মলে তোরা চড়া তারে, আচ্ছামতো দে ডলা, ইচ্ছেমতো চড়া রে ।

জাগে ভুল, হয় ভুল যত ভুলেতে, বিঁধে হুল মনে যে
মারে ওরা ঝাঁকেঝাঁকে মানুষে, ভুলে ভরা এ তরী তে
ওরে ভোলা দেনা দোলা, শুলে চরা, দুষ্টুখিদে ভরা মাতারিকে
কার যাবে গর্দান! জানে কেউ! জানে না রে
বাঁচে শুধু শরীরে, প্রাণে তারা মরে , দেখে যা ও হরি রে!
যার যায় সে-ই জানে, বাঁচাবি যে
বল্ তুই কাহারে, কাহারে ও কাহারে?

পেলেই মওকা বাজায়ে ধামাকা অর্থখোঁজে খামাকা খামাকা
না কর ধ্বংস ওরে বাঁচার এ সুন্দরী দিনগুলোকে
মারে তুরি, সারে ভোজ ভুঁড়ি, আছে যত তাতারী, আহা রে!
আছে তবু কেউ হেথা পেটফাঁকা, না পায় খোঁজ বহুকাল আহারে!

সবে মিলে মার্ বান,ভয়ে হবে টানটান, আছে যত বীচিবড় রাজা যে,
দে টান,দে ওরে খিঁচে, বাজা তুই দুন্দুভি বাজারে
হ তোরা হুশিয়ার, কান পাত্ যে যাহার, -
ওই শোন্ শিঙ্গা তে শেষগান উঠে বুঝি বেজে রে।

দামী গাড়ী সুরসুরি, সাদা ঘোড়া তারি নাকি, টানাটানা চোখ নারী
ওরা কভু মরে নারে , করে সব ধবধব ঝিকমিক চিকমিক
গাড়ীর স্যাম্পু ঘোড়ার কাজল যত ফেণিল ছিলছিল পিচ্ছিল
চুলে নয়রে রামভোদাই লাগা জায়গামতো, ধরে তার পদেতে
লাগে যদি আধো বেশী, কষে জোরে হেইয়া হেইয়াহো লাগারে
লা লালা লা গুনগুন, গাও গান ওগো সোনা টুনটুন
( আহা রে গাধা যে ) বাজে বেশ তোর গলা! শেষ নাকি সে সাধা রে!
বাহ্বা মারহাবা, তালি লাগা তালে
ঝোলে তাল গাছেতে , মন ঘুরে সোনাগাছিতে
ঝোলা সব মধু ভরা, না জানি মধু কত মিঠা যে!

মার্বেল খেলা নাই, গেল সবে একসাথে গেল কৈ
কাঁথা নেই শীতরাতে, কোথা গেল পিরিতের কথা সই!
গোলগোল যত গোল, গোলমালে গেলতো হারায়ে, কালের ভীড়েতে
দেখা মিলে সে মার্বেল ঘরবাড়ী দালান কোঠাতে
উঠানে বিছানে তারা ও সেই তাঁহারাই আছে যে,
বড় ভার অফিসার হয় সে কোটাতে, দিবি নাকি ওরে ভরেরে !

মনে তানে ধনে তনু মনু ধেনু ভোলে, দোলে খুশী খুশিতে,
আঃ! উহ্! সিৎকার সৎকার চিৎকার ধিক্কার ন্যায্য অধিকার
আসে জল জিহ্বাতে বাহারে, আহ্ তার রুপ ভরা বাহ্ রে!

আহাজারি ধ্বজাধারী ভাঙা যত ধ্বজতে
চারিপাশ ভরা রে, দে ওরে পুরোটা ভরিয়ে
কাঁচের বোতল টিনের বোতল, খেল হবে খতম
একদা হবি কতল, প্লাস্টিক যত গত রে, গতরে
লাল পানি, নীল গোলাপী বিলেতি রঙিন দারু, আছে কেরুও
সাথেই আছে আড্ডায় নামীদামী পোস্ত পেস্তা ও গোমস্তা
চাঁচাছোলা, ফালিফালি কচি শসা পোড় খাওয়া মাংস, কাজু রে
লাগে নেশা অমানিশা, নিশিরাতে নিশা ও নিশাকে
ভাগে নিশা আহ্ নেশা, নিয়ে সব ভাগে সে আছে যা পকেটে।

মরিমরি হায় মরি, ধরাকে তারা করে সরা রে,
খাবি বাবা খা তুই, খাবি ধরা রামধরা
চাস যদি খেতে একাএকা খা তুই ধরা হে।

হুরের পাগল হুরের ছাগল, মিহি সুরে ডাকো ম্যাহ্ ম্যাহ্
ওরে তুই নে লুটে আছে যত মজা হে
যাবে জুটে মজা সব যদি যাস মাজারে, জোর বাড়া মাজা তে
চাস যদি শুতে তুই কামনায় ভরা সে মজা তে
খাও ঘুষ নাই হুশ, মার ঢুঁস আছে যা মরা কে
মরা শব শুধুযে, মরারাই ঘুরেফিরে বারেবারে মরে রে।

সিঁড়ির সাধ সাধ্যে অতি, রাতে রতি বাড়ে ক্ষতি শরীরে
ভাগাড়েতে হাসাহাসি ঠাসাঠাসি পাশাপাশি ঘোরে মাছি মিছেমিছি
হাতে হাত, ঠোঁটে ঠোঁট, জিবে জিব, বুকে বুক, নাকে নাক
আরো কিছু পিষে মরে, ঘষে জোড়ে, জোরে যশে উড়েরে।

গুরুনাম পেন্নামে দিনশুরু, পেট পূজা ভোজনে
যায় কেনা আস্থার ভাজন সারা দিনমান ভজনে
বাজাবিই যদি তুই অসুর সেই বিণ
মিলিবেই মিলিবে যত পুকুর ডোবা চাস ঋণ
করবি যদি পুকুর কেন, সাগরচুরি কর রে তুই
শুধিবি চিন্তা! বাবারে শুধিসনে ইচ্ছে তোর হয় যেদিন।

খেলাপী তারা সবে, থলে হাতে ছেঁড়াফাটা
তালি মারা নিয়ে হাজিরে বগলেতে বাজিয়ে
ওরে বাবা, এরা সব দেখি হাজী হে
আছে কেউ ডাকে তবু নচ্ছার হতচ্ছাড়া, পাজী সে!
সে যে ভারি খাপখোলা ফুলতোলা মনভোলা তরবারি
চোরের আম্মু রাঁধে স্বাদেভরা মনকাড়া ভারি সে তরকারি
আছে যত হাতকড়া, থাকে পড়ে মরীচিকা, মরিচায় ধরে তারে ।

তোর সব বাণী মিছে খানদানী
বিপণী বিতান যত বিস্তারে বিস্তরে
ভেজালে মারে তোকে সাথে তোর ছানাপোণারে
ভরে দে বিষই শুধু তার পেয়ালাতে
ঠেশেই ধরে এক চিপে বানা তাকে বাঁজা রে
ঘূর্ণাবর্তে মায়ার মর্ত্য, ঘুরে পিছু মায়াডোর কিছু ঘোরেতে
যত দেখ মিছিরি সব তারি মিছে যে
ঘরে পালে ধরে বুকে সুন্দরি মাসি অসি পিসিরে।

করে বেশী গলাবাজি, নিজেকে বিকোতে রাজী
হায় কপাল! সে যেন কেচ্ছার গোপাল
কি বলিস! কপাল তোর লিখা নেই পাজিতে!
খুঁজিস লটারী, নাম্বার তুই চাস পেতে বাম্পার
চোখ বুজে খুঁজ আরো, খুঁজেখুঁজে হয়রানি
আছে পিছে তোর হা-ভাতে রাণী।
হাত থেকে খুল চুড়ি, কপালকে
খুঁজ শুধু তোরই পাঁজরে।

আইলো যে, আইলো হে, ওই বুঝি অাইছে, খাইছে রে
পায়ে ধর ডরা তুই, কেঁদেকেটে নাকেমুখে ভাসারে
ওই আসে সব ভুতে বিদ্ঘুটে কালাাকালা
একসাথে মিলমিশে কাঁধেকাঁধ যেন মৃত্যুভেলা
ভাসবে নিয়েই তোকে বুঝবি এবার ঠেলা
পালা তুই জান নিয়ে, ভোঁ ছুটে
মটকাবে চটকাবে সটকাবে, দেখবি তুই ভূতখেলা।

প্রচ্ছদ শিল্পী - ধ্রুব এষ
#tamimbooks
Re - Constructed
25.10.17

জন্মদিন
সন্ধ্যে যখন শেষ
৮.১৬ মিনিট
০৩/১০/১৭

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:১৯

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:

অনেক সুন্দর লিখেছেন+++




শুভ ব্লগিং.......


কবিতা/গল্প নিয়ে ব্লগ লিখতে থাকুন।


শুভ কমনা রইল,ভাই।

২| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:৩৭

মেহেদী হাসান তামিম বলেছেন: ধন্যবাদ অশেষ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.