![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কবিতা ব্যক্তিগত মত নয়, বেদনাঘাত বা আনন্দৌন্মুখতা হতে যে উচ্চারণ বেরিয়ে আসে তাই কবিতা। -কাহলিল জিব্রান
ফুংসুক ওায়ংরু বা সোনুম ওয়াংসুক;অনুপ্রেরণা, আদর্শ, আবেগ আর ভালোভাসার প্রতিশব্দ
***********মেহেদী হাসান তামিম
ফুংসুখ ওয়াংরু'র কথা মনে আছে! ভারতের তুমুল আলোড়ন সৃষ্টিকারী আলোচিত ও দর্শকপ্রিয় 'থ্রি ইডিয়টস' মুভিতে আমির খান যে চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তার নাম।
জানি বেশীরভাগই বলবেন ' 'ফুংসুক ওয়াংরুকে ' মনে না রাখার কোন কারন আছে কি! কিন্তু যদি বলি সোনুম ওয়াংসুক! অনেকেই জানেন, আবার অনেকেই জানেন না যে ওই মুভিটি বাস্তব ঘটনা থেকেই চিত্রিত এবং সেই চরিত্রটিও বাস্তব জীবনের একজন রক্তমাংসের সত্যিকার মানুষ আর তিনিই হলেন এই সোনুম ওয়াংসুক।
জম্মু ও কাস্মীরের শীত আর বরফে আচ্ছাদিত শহর লাদাখ। সালটা ১৯৬৬। সে বছরেও লাদাখে প্রচুর তুষারপাত হয়েছে, তাপমাত্রাও সেখানকার স্বাভাবিক গড় মাত্র মাইনাস ২০ ডিগ্রী। এমনিতেই লাদাখের মূল ভূমি থেকে আরো প্রায় ৭০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত গ্রাম তার উপরে শীতের তীব্রতা। পশুপাখিরাও ভয়ে থাকে সেখানে বসতি গড়তে মানুষ তো পরের কথা। খাবারের কথা বাদই দেওয়া হলো তৃষ্ণা নিবারণের জন্য পানিটার অভাবও লাদাখ জুড়ে নিদারুন। সেই গ্রামে হয়তবা নিরুপায় হয়ে অথবা প্রকৃতির বিরুদ্ধে অভিমান ঘোষণা করে ৫টি পরিবার একসাথে বসবাস করা শুরু করল। সেই ১৯৬৬ সালের সেপ্টেম্বরের ১ তারিখে হয়ত তার প্রতিবেশী, বাবা মা কেউই জানত না একটু পরে তাদের ঘরে যে সন্তানটি জন্ম নিতে যাচ্ছে সে অদূর ভবিষ্যতে সেলুলয়েডের নয় বরং প্রতিকূলতা আর প্রতিবেগে ভরা মানব ইতিহাসের একজন চিরসত্য, যুগান্তকারী পরিবর্তনের নায়ক, সোনুম ওয়ানচুক।
জন্মের পর থেকে নয় বছর পর্যন্ত ওয়াংচুকের শিক্ষাগুরু ছিল পাহাড়, বরফ আর গর্ভধারিণী মাতা। পরে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াশোনা করে আবার সেই পাহাড়ের বুকেই ফেরা। ইচ্ছে করলেই ওয়াংচুক কোন বাঘা রাজনীতিবিদ এমনকি মন্ত্রী-টন্ত্রী অথবা ষড়যন্ত্রী যেকোন কিছুই হতে পারতেন। কারন এ উপমহাদেশে যে সন্তানের বাবা একজন দক্ষ রাজনৈতিক নেতা আবার কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রী তার জন্য তো সেসব " হো যাও" আর 'হয়ে যাবে' এর মতোই জলবৎ তরলং ব্যাপার। কিন্তু যে ছেলের মনটা সবসময় ডুকরে কেঁদে উঠে তার পাহাড় সহোদরদের জন্য সে তো আর আয়েশ মোহতে আবেশিত হবার কথা নয়। ইঞ্জিনিয়ারি পাশ করার পরই '৮৬ সালে আবার লাদাখে ফেরা। কারণ ওয়াংচুক জানত সেই পর্বতোদরে তার মতো যারা জন্মেছে তাদের একটা স্কুলে যেতে হলেও কত কণ্টকময় বন্ধুর পথ পারি দিতে হয়। একজন তরুণ স্বপ্নচারী ব্যাক্তি মাইনাস ২০ ডিগ্রী সেলসিয়াস গড় তাপমাত্রার এলাকায় শীতের প্রকোপে তো স্বপ্নজাল তৈরী বন্ধ করতে পারে না। ওয়াংচুককে শীত না যতটা কাবু করতে পেরেছিল, তার থেকে ঢের বেশী কাবু হতো যখন দেখত লাদাখের ছোটছোট ছেলেমেয়েরা ক্রোশের পর ক্রোশ মাইল পায়ে হেঁটে, পাহাড় পর্বত, খানা-খন্দ, বরফ-পানি মারিয়ে শেষমেষ একটা স্কুলে পৌঁছে যেতে পারে ঠিকই কিন্তু সেখানে গিয়ে তারা অন্ধের হাতী দেখার মতো, ধারেকাছের সমজাতীয় কোন বস্তু না চেনা, না দেখার পরেও অনর্গল আওরে চলেছে,
B ফর bus
F ফর fan
T ফর train
একে শরীরময় জোব্বা কাপড়ের ভার, কাঁধে পাহাড়সমান পাঠ্যপুস্তকে ভরা ওজনময় ব্যাগ তার উপরে অজানা বস্তুকে গলঃধকরণের মতো ইস্পাতকঠিন পড়াশোনা। সে পড়াশোনা যে এলাকার, জাতির, রাষ্ট্রের বা পৃথিবীর জন্য আদৌ কোন মঙ্গলজনক কিছু বয়ে আনবেনা সেটা দৃড়ভাবে বিশ্বাস করতেন ওয়াংচুক। তার নিজেকেই যে সেরকমের অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে পারি দিতে হয়েছে। তিনি অনুভব করলেন বাচ্চারা মায়ের ভাষায় যদি পড়াশোনা না শিখতে পারে, তবে ইংরেজী আর উর্দুতে যা কিছুই পড়ানো শিখানো হোক এবং বাস্তবের সাথে যে পড়াশোনার বিন্দুমাত্র সংস্রব নেই সে সব পড়ালেখা তাদের কাছে অজানা পদার্থবিদ্যার কোন জটিল সমীকরণের মত হিব্রু ভাষাই হয়ে থাকবে জীবনভর, হয়েছিল তাই। সারা ভারতবর্ষে সকল রাজ্যের মধ্যে মেট্রিক সার্টিফিকেট পরীক্ষায় ফেল করার হারের দিক দিয়ে সেখানকার হার কৌতুকময় ভাবে বেশী। সেখানে যে ফেলের হার বছরের পর বছর শতভাগ, কখনো কিছুটা এর উন্নয়ন ঘটলে তা হতো ৯৫ ভাগ ফেল। এইরকম বিভীষিকাময় সময়ে ওয়াংচুক উপযাজক হয়ে স্থানীয় সরকারের সাথে মিলে শুরু করলেন পাঠ্যপুস্তক অনুবাদ করার প্রজেক্ট। দারুণ ভাবে কাজ করল মাতৃভাষায় রচিত পাঠ্য পুস্তকে। প্রতিবছর পাসের হার বাড়ার সাথে সাথে অবিশ্বাস্যভাবে বাড়ল সাক্ষরতার হারও। ভারতের যে রাজ্যগুলো একসময় লাদাখের থেকে অনেক এগিয়ে ছিল তারাই ২০১৫ সালে দাঁড়িয়ে লাদাখের অনেক পিছিয়ে পড়ে গেল। যেখানে অন্যান্য রাজ্যগুলোর গড় সাক্ষরতার হার ৭০ শতাংশের আরো নীচে, ভাবা যায় লাদাখে এখন তা ৭৫ শতাংশ। যে লাদাখ শিক্ষা বোর্ডকে একসময় ফেল্টু, The University of Failures বলে হাসাহাসি হত সেখানে এখন মেট্রিক পাসের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৮০ শতাংশের কাছাকাছি। একজন মানুষ, মাত্র একজন মানুষের সৎ চিন্তা এবং তার বাস্তবিক প্রয়োগ পুরো একটা জনপদে যে আমূল পরিবর্তন এনে দিতে সক্ষম তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ সোনুম ওয়াংসুক।
ভাবুনতো মরুভূমিতে ভীষণ গরমের মধ্যে ভ্রমন করছেন আপনি, হঠাৎ পিপাসা পেল, কোমরে ঝোলানে ফ্লাক্সটিতে একবিন্দু পানি নেই, চারিদিকে তাকালেন, কোথায় একফোটা পানি নেই। সে মুহুর্তে আপনি খুঁজে পেলেন বিশাল এক টিলা শুধুমাত্র পানির আকালের সময় ব্যবহার করা হবে বলেই তৈরী করে রাখা হয়েছে। অথবা ভাবুন আপনার সন্তানটি স্কুলে যেতে পারছেনা বলে হাউমাউ মাতমে কান্না শুরু করে দিয়েছে। যে আমরা স্কুল কবে ছুটি হবে, কবে মামার বাড়ী যাব তার জন্য রীতিমত অপেক্ষার প্রহর খুব সততার সাথে গুনে চলতাম, সেখানে লাদাখের ছেলেমেয়েরা স্কুল ছুটি দিলেই কেঁদে উঠে, মন হয়ে পড়ে বিষন্ন। ছুটি হওয়া মানেই মনে করে তাদেরকে বিশাল কোন অপরাধে বিশাল বড় শাস্তি প্রদান করা হয়েছে। তারা অধীর প্রতীক্ষায় প্রহর গুনে কবে স্কুল খুলবে।
এই স্কুলটি একটি দেশের রাষ্ট্রব্যবস্থার মতো এবং তাদের রয়েছে নিজস্ব একটি প্রশাসন আর সে প্রসাশনও চালায় সে স্কুলের ছাত্র ছাত্রীদের মধ্য থেকে নির্বাচিত এক পর্ষদ। এ স্কুলের প্রতিটি কাজ এর ছাত্রছাত্রীরাই নিজহাতে করে। শিক্ষা প্রদান, রান্নাবান্না, খেলাধুলা এমনকি তারা তাদের বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরতে, কেন কাজ ভালো লাগল না তা প্রতিবাদ জানাতে, বিনোদন সহ সবকিছুর জন্য তৈরী করেছে নিজস্ব সংবাদপত্র, নিজস্ব কমিউনিটি রেডিও, নিজস্ব সংসদ। এখানে ছাত্রছাত্রীদের ওজনদার পাঠ্যপুস্তক বোঝাই ব্যাগ গাধার মতো কাঁধে নিয়ে ছুটতে হয়না। এখানে প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীর রয়েছে স্বতন্ত্রতা। যার যেটা ভালো লাগছে সে তাই করছে। তবে প্রত্যেকটি কাজ হাতেকলমে। কেউ জুডো শিখছে, কেউ স্কি করছে, কেউ বিজ্ঞানের বিভিন্ন গবেষণা করছে, প্রজেক্ট করছে, গান নাচ শিখছে। এমনকি নিজেদের খাবার নিজেরাই চাষ করে উৎপাদন করে বরফাচ্ছন্ন মৃত সেই পাহাড়ি ঢালে।সেগুলোর উদ্বৃত্ত বাজারে বিক্রি করছে আর স্কুলের জন্য গড়ে তুলছে বড় আকারের আপদকালীন ফান্ড। আবার বছর শেষে সবাই মিলে ঘুরতে বেরিয়ে পড়ছে দেশকে চিনতে, দেশের মানুষকে জানতে। এই ভ্রমন থেকে অর্জন করার চেষ্টা করছে অর্থনীতি, ভূগোল, জীববিজ্ঞান, নৃবিজ্ঞানের বাস্তবিক জ্ঞান।
পাঠ্যপুস্তকের ন্যুনতম একটা পড়াশোনা তো আছেই সেটাও তারা করে বেশ আগ্রহের সাথেই, কারণ তাদের সে ক্লাসগুলিও যে নেয় তাদের স্কুলের প্রিয় কোন বড়ভাই বা বোন। কোথাও কোন ক্লান্তি নেই, অনিচ্ছা নেই, নেই হাহুতাস। আমরা এই আধুনিক জ্ঞান বিজ্ঞানের সময়ে দাঁড়িয়ে হয়ত দূর ভবিষ্যতে কল্পনায় ভাবি এ ধরনের স্কুল। কিন্তু সোনুম ওয়াংচুক দূরের কোন গ্রহের মানুষ নয় যে হঠাৎ করে এসময়ে সময়ের অনেক আগে চলে এসেছে। সেও আমাদের মতোই রক্ত মাংসেই গড়া। কিন্তু তার আর আমাদের পার্থক্য বোধহয় চিন্তা করা ও তার প্রয়োগবিধিতে। তাইতো তিনি গড়ে তুলতে পেরেছেন পৃথিবীর একমাত্র হাতে কলমে শিক্ষার স্কুল, The Himalayan Institute of Alternative. তিনি এখন স্বপ্ন দেখেন এমন একটি বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তুলবেন যা সত্যিকার অর্থেই হবে 'Doer's University.'
তীব্র শীতে লাদাখে বেড়াতে গেলে দেখবেন জায়গায় জায়গায় কিছু ধবধবে সাদা বরফবর্ণ টিলা, ছোট ছোট পাহাড়ের মতো। এটা এক আশ্চর্য আবিষ্কার আর এটাকে কেন্দ্র করেও সেখানে একটা বিশাল পর্যটক শ্রেণী দেশ বিদেশ থেকে প্রতিদিন সেখানে ভীড় জমাচ্ছে। ওয়াংচুক তার স্কুলের ছেলে মেয়েদের নিয়ে তৈরী করেছেন এই প্রকান্ড সাদা টিলা, তার নাম দিয়েছেন 'আইস স্টুপা'। ওয়াংচুকের পূর্বে শতশত বিজ্ঞানী এরকম একটা সৃষ্টির কথা ভেবেছেন যার মাধ্যমে সম্ভব হবে অভাবের দিনে খাবার পানি মজুদ করার ব্যবস্থা। সবাই ব্যর্থতা নিয়ে শহর ছাড়লেও ওয়াংচুক ছাড়েননি। তিনি বরং পদার্থবিদ্যার সব কঠিন সূত্রগুলোকে নিমিষে ভুলে গিয়ে সহজ সাধারণ ভাবে ভেবেছেন আর অন্তর থেকে চেয়েছেন এমন এক ব্যাবস্থা। সাধারণ প্লাস্টিক পাইপ দিয়ে তৈরী করলেন গ্রীন হাউজ এফেক্ট দূর করানো আর গ্রীষ্ম কালে পানীয় পাবার ব্যবস্থা। কে না জানে অন্তর থেকে যদি কিছু চাওয়া হয় তা আপনাকে ধরা না দিয়ে যাবেই না। সফল হয়েছেন তিনি, সফল হয়েছে মানুষ জাতি যারা কিনা সৃষ্টির আদি থেকে দফায় দফায় বিভিন্ন কৌশল পরিবর্তন আর অবলম্বন করে পৃথিবীর সকল প্রতিকূলতা ও বিরুদ্ধতার সাথে লড়াই করে টিকে আছে।
তিন-চারবার ফেল করা এখানকার ছাত্ররা কেউ আজ বিশ্বসেরা সাংবাদিক, স্বনামধন্য ফিল্মমেকার, জাতীয় ক্রড়াবিদ, সফল উদ্যোক্তা অথবা মন্ত্রী। মেট্রিকে চারবার ফেল করেও তাদের ছাত্র দামাম হয়েছিলেন লাদাখের শিক্ষামন্ত্রী। তাদের ছাত্ররা আরো বিভিন্নরকম অবাক করা ও পরিবর্তনকারী আবিস্কার করেছেন। আপনি যখন তীব্র শীত প্রায় -১৫ ডিগ্রী পার হয়ে খুব সাধারণ উপাদান দিয়ে তৈরী করা লাদাখের এক ঘরে ঢুকছেন কাঁপতে কাঁপতে আর হাটুর সাথে হাটু ঠকঠক বাড়ি খেতে খেত মনে ভাবছেন এবার আর রক্ষে নাই, আপনার হাড় রক্ত মাংস পর্যন্ত যেন বরফ হয়ে যাবে। কিন্তু আশ্চর্য ব্যাপার এক সে ঘরটিতে কি দারুন উষ্ণতা, মাতৃজঠরের ওম। আপনার হাতঘড়িতে থাকা তাপমাত্রা মাপকের দিকে তাকিয়ে দেখলেন সেই সাধারন, না কোন এসি না কোন হিটার লাগানো ঘরটির ভেতরের তাপমাত্রা +১৫ ডিগ্রী। এই অভাবনীয় আবিষ্কারের জনকও তো সে স্কুলের সন্তানেরা। আরো এমন সব আবিষ্কার করার প্রতিনিয়ত স্বপ্ন দেখছে যা শুধু তাদের রাজ্য বা দেশ নয় তাতে উপকৃত হবে পুরো গ্রহের মানুষ।
কিছুদিন আগে সোনুম পুরস্কার পেলেন এক কোটি রুপি সমমূল্যের ভীষণ সম্মানের "Rolex Award for Enterprise "। তিনি এর পুরো অর্থই উৎসর্গ করেছেন স্কুল ও এর বিভিন্ন প্রজেক্টের জন্য। তিনি স্নপ্ন দেখেন এবং এ মুহুর্তে কাজ করছেন একটু সবুজের জন্য, কিছু রঙিন ফুলের জন্য, কয়েকটা নেচে বেড়ানো ঝিলমিল প্রজাপতির জন্য। তিনি অবশ্যই একদিন সফল হবেন বরফাচ্ছাদিত পাহাড়ের মৃত মাটিতে জাগিয়ে তুলতে সবুজ বন, অসংখ্য চাপাফুল ও গোলাপ, আর মন প্রজাপতি। তাঁর নাম যে সোনুম ওয়াংচুক।
সোনুমের স্বপ্ন শুধু লাদাখ নয়, ভারত - পাকিস্তান নয়, সারা বিশ্বের যুদ্ধবাজদের জন্য একদিন হয়ে উঠবে একটি লজ্জা, সবার মনে প্রতিধ্বনিত করবে ভালোবাসার অমোঘ ধ্বনি আর সকল মানুষের মনে সৃষ্টি করবে এক বিশাল আবেগ, আদর্শ ও অণুপ্রেরণার উৎসস্থলের।
তোমাকে জানাই সহস্র সালাম সোনুম ওয়াংচুক।
* গল্পের কোন চরিত্র বা ঘটনাই কাল্পনিক অথবা অবাস্তব নয়।
১২/০৮/১৭
ছবি
১) অন্তর্জাল
২) প্রচ্ছদ শিল্পী - ধ্রুব এষ
©somewhere in net ltd.