নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শঙ্কাপ্রেম

মেহেদী হাসান তামিম

কবিতা ব্যক্তিগত মত নয়, বেদনাঘাত বা আনন্দৌন্মুখতা হতে যে উচ্চারণ বেরিয়ে আসে তাই কবিতা। -কাহলিল জিব্রান

মেহেদী হাসান তামিম › বিস্তারিত পোস্টঃ

নিজেদের যারা মনে করেন তরুণ, তারা দয়াকরে পড়ুন, তবুও পড়ুন এবং পড়ুন -

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:৫৫

গল্প - তোমাকে বাঁচাতে পারে আনন্দ - তার হাত ধরে বাঁচো
- মেহেদী হাসান তামিম
এক অজানা লেখক প্রথমে লিখেছিলেন পরে মার্কিন মুল্লুকের সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন ২০০০ সালে ভারত ভ্রমনে গিয়ে পৃথিবীবাসীকে দুভাগে ভাগ করলেন, প্রথম ভাগে তাঁরা যারা আগ্রার তাজমহল দেখার সুযোগ পেয়ছেন, আর দ্বিতীয় ভাগে যারা কখনই তাজমহল দেখেননি। কী চমৎকার ভাবনা একটি স্থাপত্যশৈলীকে (যা আসলে নিছক একটি স্মৃতিস্তম্ভ, ভিন্নার্থে কবর ) কেন্দ্র করে। এই যে বিভাজন করা সম্ভব হয়েছে তা আসলে অন্তরের মধ্যে ক্ষুধা, পিপাসা, মুগ্ধতা আর কিছু বোধ প্রতিনিয়ত ক্রিয়াশীল রয়েছে বলেই। এই গল্পটি কমবেশি সবার জানা।

কিন্তু একটি কবিতা?

কয়েকটি মাত্র বাক্যখেলা, কয়েকটি শব্দপুঞ্জ একটা প্রজন্মকে কি দ্বিখন্ডিত করতে পারে! এটাও কি সম্ভব? আমি বলব সম্ভব, সম্ভব এবং খুব বেশিই সম্ভব।

কবি নির্মলেন্দু গুনের কবিতা ''দুঃখ করো না, বাঁচো'' কবিতাটিকে বলব আমাদের নবপ্রজন্মকে দুভাগে ভাগ করতে পারার মতো ক্ষমতাবান এক তাজমহল। তবে শুধুমাত্র পড়া দিয়ে নয়, প্রথম ভাগে তারা থাকবেন যারা কবিতাটির মর্মার্থ কার্যার্থে ধারন করেছেন আর দ্বিতীয় ভাগে তারা কবিতাটি পড়েন নাই অথবা পড়ে থাকলেও অন্তরে ধারন করতে পারেননি । পড়েছি অথবা পড়িনি যে দলেই আমি থাকিনা কেন এই একটি কবিতাই যদি আমরা জীবনে লালন, পালন ও ধারণ করতে পারি নিশ্চিত করেই বলতে পারি কবিতাটি পড়ার আগের আমি এবং তা অন্তরে ধারণ করার পরের আমি - এক মানুষের দুজীবনে মাঝে একটা বিস্তর ধনাত্বক ব্যবধান তৈরী করতে দারুণভাবে কার্যকর এবং সম্ভব।

" দুঃখকে স্বীকার করো না, –সর্বনাশ হয়ে যাবে।
দুঃখ করো না, বাঁচো, প্রাণ ভ’রে বাঁচো ।
বাঁচার আনন্দে বাঁচো । বাঁচো, বাঁচো এবং বাঁচো।"

মুখোশে মুখ ঢেকে নিলেই কি বদলে যাবে মুখাবয়ব। সমাধান যদি মুখোশেই মিলত তবে সারা দুনিয়াজোড়া সকল ব্যবসায়ী মুখোশের কারখানা খুলে বসত। বাস্তবতা হলো একসময় এ মুখোশগুলি শুধুমাত্র সার্কাসের জোকারগুলোকেই ব্যবহার করতে দেখা যেত। কিন্তু এ সমাজে কিছু অবুঝ, নবীন, কাঁচা, আধমরা এবং ভন্ড, ঠগ, ধূর্তরা অনেকে জেনেবুঝে, অনেকে না জেনে না বুঝে অথবা অপরের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে মুখোশ ব্যবহার করে নিজেদের পুরোপুরি আড়াল করে ভিন্নভাবে নিজেকে উপস্থাপন করছে- সে যেন সে নয়, অন্যকেউ, অন্য কোন সমাজের। মনের মধ্যে তার ভীষণ দুঃখ আছে, কষ্ট আছে আর তার উপরেই একটা মুখোশ পরে সারাটিক্ষণ চলছে, ফিরছে, হাসছে, গাইছে, ক্লাসে যাচ্ছে, আড্ডা দিচ্ছে, তাস পিটাচ্ছে আবার নিংসঙ্গতার সাথে সাথে তার সব মুখোশ খুলে ডুকরে, কুঁকড়ে, দুমড়ে মুচড়ে কেঁদে ভাসাচ্ছে। তার এই মুখোশটি সেই সার্কাস দলের জোকারদের ব্যবহার কাগুজে বা প্লাস্টিকের তৈরী ঠুনকো কোন মুখোশ নয়। এটি তার থেকেও বেশি হাল্কা, নাজুক, বেশি হাস্যকর, বেশী শঠতার সেই সাথে ভয়াবহ রকমের ভঙ্গুর আর ক্ষণস্থায়ী তো বটেই। এ মুখোশে শুধু সাময়িক ভাবে মুখটিকে, দুঃখ-কষ্ট বোধকে ঢাকা সম্ভব- নিজের ভাব-ভঙ্গি, ভাষাকে নয়, কৃষ্টি- কালচার, জ্ঞান, জানাশোনার গন্ডিকে নয়, নয় ঢাকা সম্ভব তার চরিত্রকেও। তার থেকেও আরো বেশি যা আশংঙ্কাজনক তা হল যেকোন মুহূর্তে এর খসে পড়ার সম্ভাবনা এর ভেঙ্গে যাবার সম্ভাবনা। আর যখনি এমন কোন ঘটনা ঘটবে আরো পরম বেগে দুঃখ, কষ্ট, হতাশা তাকে গ্রাস করবে আর নিজেকে পরিচালিত করবে এক অজানা আর অন্ধকারের পথে।

আমাদের প্রথম কাজ হলো এই মুখোশ নিজ দায়িত্বে খুলে ফেলা। স্বেচ্ছায়, অনিচ্ছায় অথবা কোন পরিপার্শ্বিক কারণেই হোক আমাদের যদি মুখোশ পড়তে হয়, এমুহূর্তেই তা খুলে ফেলে ছিঁড়ে টুকরো টুকরো করে বাতাসে উড়িয়ে,পানিতে ভাসিয়ে, আগুনে পুড়িয়ে দিতে না পারলে আমাদের মুক্তি মিলবে না। হতাশা, দুঃখ, কষ্ট, ভণ্ডামির ডালপালা আরো শক্ত ভাবে,আরো নিবিঢ় গভীরতায় আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরবে আমাদের।

আমাদের দেশের ছেলেমেয়েরা যারা মাস্টার্স পাস করে ফেলেছে অথবা বিশ্ববিদ্যালয়ে, কলেজে, স্কুলে বড় ক্লাসে পড়ছে অথবা অনেকেই জীবনের তাগিদে পড়াশুনা ছেড়ে জীবন যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছে তারা ব্যক্তিজীবন, সামাজিক জীবন, বৈশ্বিক জীবনে একটা সময়ে এমন কোন এক ঘটনার মধ্য দিয়ে পাড়ি দেয় যা তাদের চলার পথকে তিক্ত, কটু,বিস্বাদ ও বিষময় করে তোলে। সে সময় জীবনটাকে মনে করে একটা বোঝা এবং বেঁচে থাকাকে মনে কওে একটা বিড়ম্বনা। তাদের আসলে সমস্যাটা কি কিংবা তাদের কষ্ট -দুঃখ -অপ্রাপ্তি-হতাশাগুলোর মূল উৎসটা কি তা আমাদের গভীর ভাবে ভাবতে ও বিশ্লেষণ করতে হবে। আমরা যদি সে সমস্যাগুলোর মূল উৎসকে চিহ্নিত করতে পারি তবেই সম্ভব এইগুলো সমাজ থেকে সমূলে উৎপাটন করা।
সবার এক ধরনের কষ্টবোধ, অসহায়ত্ব বা হতাশাবোধ থাকবে তা কিন্তু নয়। সবাই একই ভাবে সবার প্রতি আকর্ষিত হয়ে তার বা তাদের প্ররোচনায় বিপথগামী হবে তা কিন্তু নয়, বয়সের ভিন্নতার সাথে সাথে আমাদের সমস্যাগুলো ভিন্নতর হয়, বহুমুখী আকার ধারণ করে। আবার অনেক ক্ষেত্রে সব বয়সের ছেলেমেয়েদের হতাশার জায়গাটা একেবারেই একই রকম হতে পারে। অনেক সময় এই সমস্যাগুলোর কেন্দ্রবিন্দুগামীতা একটি বিন্দুর দিকেই ধাবিত হতে পারে। এই সব উপাদানগুলো জীবনে আসবেই, এটাই নিয়ম। কখনও কখনও ছেড়ে যাবে, কখনও আঁকড়ে ধরবে বাহির হবার সব পথকে রুদ্ধ কর। আসতে দাও- যা আসতে চায় , ছেড়ে যেতে দাও- যা ছাড়তে চায়, আঁকড়ে ধরুক- যা ধরতে চায়। কিন্তু সবচেয়ে জরুরি কথাহলো এসব তোমার তো নয়, একমাত্র তুমিই তোমার অতীত, তোমার বর্তমান আর ভবিষ্যৎ। আর বাকীসব কখনই তো তোমার নয়, তোমার ছিলনা। ভালো করে তাকিয়ে দেখ যার থাকার কথা ছিল, যা তোমার ছিল সেগুলোর সব এখনও তোমারি আছে- হাত বাড়ালেই পাবে তা। তাই তোমার যা ছিলনা, তোমার যা হতোনা, তুমি যা পেতেনা তা নিয়ে অহেতুক যদি কোন কষ্ট,দুঃখ,হতাশা মনের মধ্যে ধারণ কর টেনে হিঁচড়ে, সকল নিংড়ে সেগুলো দাও ফেলে ভেসে চলা কোন আস্তাকুঁড়ে। এখন থেকে ওসবের জন্য কোন স্থান আর বরাদ্দ রেখোনা। সব না বোধক আবর্জনাকে সজোরে ছুঁড়ে ফেলে তোমার বর্তমান, আর ভবিষ্যতের জন্য বাঁচো। যারা এখনও তোমার জন্যে আছে তাদের জন্য বাঁচো।

"জানি মাঝে-মাঝেই তোমার দিকে হাত বাড়ায় দুঃখ,
তার কালো লোমশ হাত প্রায়ই তোমার বুক ভেদ করে
চলে যেতে চায়, তা যাক, তোমার বক্ষ যদি দুঃখের
নখরাঘাতে ছিন্নভিন্ন হয়; যদি গলগল করে রক্ত ঝরে,
তবু দুঃখের হাতকে তুমি প্রশ্রয় দিও না মুহূর্তের তরে ।
তার সাথে করমর্দন করো না, তাকে প্রত্যাখান করো।"

দুঃখ, কষ্ট, হতাশা বা অনুতাপের কারণ যাই হোকনা জীবনকে কভু থামিয়ে দেওয়া মানে নিজেকে নিঃস্ব করা, হেরে যাওয়া। এত সহজেই হেরে যাব? হেরে যাওয়া আমার উপরে যারা বিশ্বাস রেখেছিল তাদের চপেটাঘাত করা, তাদের কি কোন দোষ ছিল আমার হেরে যাওয়ায়? এতো সহজে নিজেকে হারিয়ে দেওয়া হলো নিজেকে হেয় করা, তাচ্ছিল্যের পাত্র হওয়া, অন্যকে অনুকম্পা দেখানোর সুযোগ দেওয়া, নিজেই নিজের করুণা। তাহলে হারকে আমরা মেনে নিবনা। আমরা ঘুরে দাঁড়ানোর মতো সক্ষমতা এখনও ধারণ করি। কিন্তু একবার হেরে গেলে, একবার ঘুড়ে না দাঁড়াতে পারলে সময় তো আমাদের দেখে মুচকি হাসবে। যখন ঘুরে দাঁড়ানোর প্রবল ইচ্ছা জাগবে তখন আর সময় থাকবেনা। তখন শুধু আফসোসটাই জীবনে সঙ্গী হবে। জীবন প্রশ্ন করবে, যখন সময় ছিল তখন তুমি কি করছিলে? এর জবাব না তুমি দিতে পারবে, না আমি।

কোনভাবেই আমরা নিজেদের হারতে দিতে পারি না। জীবনের মানচিত্র বিষাদময় হবে নাকি আনন্দলহরি তুলবে তার কারিগর মানুষ নিজেই। শুধুমাত্র সিদ্ধান্তটাই সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ এখানে। আগুন থেকেই ফুলকে খুঁজে আনতে হবে। নিজের ভিতরে চলতে থাকা যেকোন প্রোজ্জ্বল দহন থেকে নিজেকে করতে হবে মুক্ত। অন্তরাত্মায় প্রজ্জ্বলিত বহ্নিশিখাকে নিভিয়ে সেখানে প্রশান্তির প্রশস্ত উদ্যান তৈরীর পদ্ধতি জানতে হবে। তবেইতো সে হৃদয় সকল বঞ্চনা, হতাশা আর অপ্রাপ্তিগুলোকে দূরে ঠেলে খুঁজে নিবে হৃদয়জ সুস্বস্তি।

মানুষের চেতনালোকেই সংকট আর সমাধান একইসাথে করে সহাবস্থান। এই মানুষের মনের স্বভাবসুলভ প্রবণতা হলো সমাধান অপেক্ষা সংকটের দিকে অধিক বেগে ধাবমান হওয়া। কিন্তু এই গতিকে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা যদি মহান সৃষ্টিকর্তা কাউকে দিয়ে থাকেন সে হলো মানুষ নিজেই। মানুষ নিজে না চাইলে পৃথিবীর কোন চিকিৎসক, অধ্যাপক, মনোবিজ্ঞানী, ফার্মাসিস্ট, দার্শনিক কারও পক্ষে সম্ভব নয় তার অন্তরের সংকটের সমাধান করা। মানুষের অস্থিত্বের মধ্যেই লুকিয়ে থাকে সৌন্দর্য। এই সৌন্দর্য তার অন্তরে অবিচ্ছিন্ন ভাবে সৃষ্টির শুরু থেকেই বিরাজ করছে। শুধু হৃদমাজারে মাঝে ঘুমিয়ে থাকা সৌন্দর্যকে জাগিয়ে তুলে নিজের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে হবে।

সৃষ্টির শুরুর সময়কে বিবেচনায় আমাদের হৃদয়ে সংকট সৃষ্টির শুরুর সময় হলো এইমাত্র অথবা কাছের দূরের কিছুক্ষণ আগের। আমার আমিকেই তাই জানতে হবে, চাই সংকট নাকি সমাধান। সর্বাগ্রে আমার নিজেকেই আমার জন্য এগিয়ে আসতে হবে। মানুষ যদি চায় সে তার অন্তরে বাস করা সকল সংকটের অবসান ঘটাবে, মুহূর্তের মধ্যেই তার চারপাশের অন্ধকার হয়ে যাবে আলো, রাত হয়ে যাবে দিন, বর্ষা হয়ে উঠবে বসন্ত। এ যেন একটা ম্যাজিক, আলোক দ্রুততার বেগে তার অন্তরে বাস করা সকল যন্ত্রনার মুক্তি ঘটবে। চারপাশ ভরে উঠবে শান্তি আর স্নিগ্ধতার সুবাতাসে।

শান্তি, প্রজ্ঞা ও মানবতার কবি শেখ সা'দী আজীবন সুন্দরকে খুঁজে বেরিয়েছেন জগতময়। পরিশেষে তাঁর বোধোদয় হয়েছিল আর সে মুহূর্তেই তিনি চিৎকার করে বলেছিলেন-
" হে সুন্দর! তুমিতো ছিলে আমার হৃদয়েই। কিন্তু তোমাকে আমি খুঁজে বেরিয়েছি জগতময়। তুমিতো আমার সাথেই ছিলে, কিন্তু আমিই ছিলামনা তোমার সঙ্গে। শান্তি আর সুন্দরের জন্য আমি কাতর ও ব্যাথিত ছিলাম। কিন্তু এর সবইতো আমার মাঝেই। আমার অন্তরগহীনে সুন্দর আর শান্তির খোঁজ করিনি বলেই তন্নতন্ন করে খুঁজেও পৃথিবীর কোথাও তোমাকে এতদিন পাইনি আমি। কী বোকা আমি!"

এমুহূর্ত থেকেই আমরা যদি প্রতিজ্ঞা করতে পারি আমাদের অন্তরে ঘুমিয়ে থাকা শান্তি আর সৌন্দর্যকে কেড়ে নেবার অধিকার পৃথিবীর কাউকে, কোনকিছুকে আর এক মুহূর্তের জন্যও দেবনা। আমাদের নতুন জীবন শুরু হতে যাচ্ছে এখন থেকেই। আমাদের নিজেদের মধ্যকার ঘুমিয়ে থাকা অথবা আধো জাগ্রত আত্মবিশ্বাস আর চিরসুন্দর আমাদের একমাত্র চালিকাশক্তি। আমাদের সামনে মাত্র দুটি পথ খোলা। হ্যা অথবা না, এর যেকোন একটি আমার জন্য অধীর আগ্রহে প্রতিক্ষা করছে। পা দুটি আমার, সিদ্ধান্তও আমার।

"অনুশোচনা হচ্ছে পাপ, দুঃখের এক নিপুণ ছদ্মবেশ ।
তোমাকে বাঁচাতে পারে আনন্দ । তুমি তার হাত ধরো,
তার হাত ধরে নাচো, গাও, বাঁচো, ফুর্তি করো ।
দুঃখকে স্বীকার করো না, মরে যাবে, ঠিক মরে যাবে ।
যদি মরতেই হয় আনন্দের হাত ধ’রে মরো ।
বলো, দুঃখ নয়, আনন্দের মধ্যেই আমার জন্ম,
আনন্দের মধ্যেই আমার মৃত্যু, আমার অবসান ।"

নিজেকে জয় করতে পারাটাই প্রকৃত সাফল্য। সম্পদ বা ক্ষমতার অধিকারী নয় নিজের উপরে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পারলেই জয়ী হওয়া সম্ভব। মানুষের মনের ইচ্চাশক্তি যেমন ভাবে ভাববে সে সেভাবেই নিজেকে সেখানে আবিষ্কার করবে। তার ইচ্ছাশক্তি যদি হয় প্রবল সে জয়ী হবে, যদি হয় আধাপ্রবল তবে আধা জয় পাবে, যদি হয় দুর্বল তাহলে হেরে যেতে হবে নিশ্চিত। আমাদের দুঃখ, কষ্ট, হতাশাগুলো বিসর্জন দিয়ে আমাদের ভেতরের কল্পনাশক্তি, চেতনা, আত্ম সচেতনতা সম্মিলিত ভাবে আমাদের ইচ্ছাশক্তিগুলোকে প্রবল থেকে প্রবলতর করবে।
তুমি মনেপ্রাণে অন্তর থেকে কিছু চাইবে আর সৃষ্টিকর্তা তোমাকে ফিরিয়ে দেবে তা কখনই হয়না। শুধু বিশ্বাস রাখতে হবে নিজের সক্ষমতার উপর আর জানতে হবে তুমি যা চাও সেটাকে। কেউ অন্তরের সকল ইচ্ছাশক্তি দিয়ে চেয়েছে আর তা পাবার জন্য নিজের সকল দিয়ে চেষ্টা করেছে তারপরেও আল্লাহতালা তাকে বিফল করেছে এমন ঘটনা পৃথিবীজুড়েই বিরল। নিজের উপর বিশ্বাস সবসময়ের জন্য শতভাগ রাখতে হবে।
সফল তুমি হবেই।
ছবি - প্রান্ত আল আমিন

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.