![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একটা 'আমি' হবো এই ইচ্ছা ও আকাঙ্খায় কেটে গেছে দুইটি দশক হই হই করে হয়ে ওঠা হয়নি পূর্ণাঙ্গ ভাবে কখনই অতঃপর আমার ইচ্ছারা ডালপালা মেলেছে আজ কত শত প্রতিক্ষা প্রহর শেষে, কত শত সাধনার পর আমি একটা 'আমি' হব এই চিন্তায় কেটে যায় রাত
আমার একটা সমস্যা হল গল্প লিখলে নাম দিতে পারি না এটা তেমনি একটা গল্প পড়ে নাম দেওয়ার অনুরোধ রইল ...
**************************
-২০০ টাকা দিন
-মানে?২০০ টাকা দেব কীজন্য?
-পাবলিক প্লেসে সিগারেট খেলে পুলিশের জরিমানা নেওয়ার কথা কিন্তু পুলিশ যখন আইন ভঙ্গ করে তার দিগুন জরিমানা হতেই পারে জনগনের পক্ষ দিয়ে আমি জরিমানা নিচ্ছি ।
-তুই কার সাথে কথা বলছিস জানিস?
-নেমপ্লেটে তো আবুল লেখা অন্য কোন নাম আছে নাকি ?
-কু*** বা* আমার সাথে ফাজলামি করশ ? জেলে হান্দাইয়া এমন চিংগি ডলা দিমু তখন বুজবি খা*** পোলা
-আপনার কি মনে হয় পুলিশের সাথে খালি হাতে ঝামেলা করতে আসছি? ৩ টা ক্যামেরা সকাল থেকে আপনার উপর ফোকাস রাখা কি করছেন না করছেন সব রেকর্ড হচ্ছে একটা আবার সাংবাদিকের ক্যামেরা আপনার উপর ক্লোজলি টার্গেট করা আমার পকেটে ইয়াবা দিয়া বা জাল টাকা দিয়াও আমার কিছু করতে পারবেন না । রিপোর্ট হয়ে যাবে...
আবুল পুলিশ কি যেন ভাবল কত টাকা দেবে তাই নিয়ে মনে হয় চিন্তা করছে পকেট থেকে ৫০০ টাকা বের করে দিয়ে বলল ভাই যান ঝামেলা কইরেন না ।
-আমার জরিমানা ২০০ টাকা , ওইটাই দেন এর বেশি নেব না
আবুল সাহেব রাগ করবে কিনা বুজতে পারছে না , ভাই খুচরা নাই এইটাই নে্ন
-আমার কাছেও নাই আপনার কাছ থেকে বেশি নিলে আমি তো আপনার মতো হয়ে যাব
আবুল সাহেব অপমানিত বোধ করলেন মনে হয় বললেন দাঁড়ান ,পাশের একটা কনফেকশনারি থেকে ঝাড়ি দিয়ে ৫০০ টাকা ভাংতি করে ২০০ টাকা আমাকে দিলেন জিজ্ঞেস করলেন
-ভাই আপনি কি সাংবাদিক?
-না আবুল সাহেব সাধারন জনগন
আর কিছু না বলে হাটা দিলাম আবুল সাহেব ডাকছে একটা অটো পেয়ে উঠে গেলাম । আবুল সাহেব নিশ্চয়ই ক্যামেরা খোঁজার চেষ্টা করছে । আমার এতো সাহস কখনো ছিল না কিন্তু আজ সকাল থেকে একটার পর একটা সাহসী কাজ করছি ।
এখন পড়াতে যাচ্ছি, আমার স্টুডেন্ট টা খুব চালাক তার থেকে তার মা আরও বেশি চালাক, ভাবছি আজ ওর মায়ের একটা ক্লাস নেব ।
-স্যার ভালো আছেন,
-হ্যাঁ ভালো তোমার পড়া হইছে ?
- না স্যার
- আচ্ছা তুমি কি কথা বলার পর দিয়ে এই একটা শব্দ শিখছ ? আর লজ্জা শরম কি উপরে রেখে আসছ ?
এর ভিতর স্বভাব অনুযায়ী স্টুডেন্ট এর মায়ের প্রবেশ স্যার মেয়েটা কিছু পড়ে না সারাদিন টিভি দেখে , আপনি একটু ওরে প্রথমে একটা প্যারাগ্রাফ পড়া দেন তার পর একটা প্যাসেজ ধরেন তারপর কিছু শূন্যস্থান ...
-অ্যান্টি একটু বসেন, অ্যান্টি বসল ।
-অ্যান্টি আমি আপনার মেয়েকে আজ ৬ দিন হল পড়াচ্ছি , এই ৬ দিন আপনি ৬ ভাবে পড়ানোর কথা বলছেন , তাই না ? অ্যান্টি বলতে পারেন আপনার বাসার মেয়ের সাবেক প্রেমিক মাস্টার বাদে কোন টিচার সর্বচ্চো কয়মাস পড়াতে পারছে ? আসেন আজ আপনাকে এক ঘণ্টা আমি পড়াই
প্রত্যেকটা টিচারের একটা নিজস্ব স্টাইল থাকে , তার স্টুডেন্টকে বুজতে তার ২ দিন সময় লাগে । আর আপনি যদি প্রতিদিন মাষ্টারকে পড়াতে চান তখন সেই মাস্টার আপনার মেয়েকে পড়াবে নাকি আপনার কাছে নিজের পড়া দেবে ?
আপনার স্টাইল নিয়ে কোন টিচার তো আপনার মেয়েকে পড়াতে পারে নাই তার পর সে ছোট বেলা দিয়ে মনে হয় একটা কথা শিখছে স্যার পড়তে পারি নাই , স্যার জানেন আমি কাল একটা ড্রেস কিনছি...
অ্যান্টি বসতে চাচ্ছেন না উশখুশ করছে , অ্যান্টি যেতে চাচ্ছেন ? শেষ কথা শুনে যান আমি আপনার মেয়েকে আর পড়াতে আসব না আপনি আপনার স্টাইলে পরাইয়েন
চলে আসছিলাম অ্যান্টি সম্ভবত অবাক ও রাগের মাঝামাঝি অবস্থায় আছে কিছু মানুষ তার উপর নিয়ন্ত্রন সহ্য করতে পারে না এই অবস্থায় সে কথাও বলতে পারে না অ্যান্টি সেই অবস্থায় আছে ।
আজ হঠাৎ করেই আমার টাকার প্রয়োজন কমে গেছে তাই ভয়ও কমে গেছে ।
নদীর পাড়ে যেতে হবে বাতাসটা খুব সুন্দর তার থেকেও সুন্দর একজন অপেক্ষা করছে আমার জন্য ,
-এতো দেরি করলা কেন ?
-এই তো প্রাইভেট ছেড়ে দিলাম তাই, চলো নৌকায় ঘুরি
নিতু আমার হাত ধরল বলল চলো । আমরা নৌকায় উঠলাম বেশ কিছুক্ষণ ঘুরলাম নিতুকে বললাম নিতু ভালো থেকো আমি আজ এ শহর ছেড়ে চলে যাব নিতুর চোখের কোনে পানি দেখলাম
নৌকা থেকে নামার সাথে সাথে দেখলাম একজন দৌড়িয়ে আসছে মৃত্তিকা , মৃত্তিকা মানে মাটি কিন্তু আজ সে রুদ্র মূর্তি ধারন করছে কারন একটাই তার সাথে প্রেম করেও তার বান্ধবির সাথে নৌকায় ঘুরে চরিত্র হীনতার পরিচয় দেওয়ায় । আর এখানে নৌকায় সাধারণত বিশেষ কিছু কাজের জন্যই একটা ছেলে আর একটা মেয়ে ঘুরতে যায় । এতদিনের গোপন সম্পর্ক ধরা পরে গেলো কিন্তু এইতুকু সাহসী যে আমাকে হতেই হল । নাহলে মৃত্তিকার বাবার কাছ থেকে নেওয়া এতগুলো টাকা হালাল করতাম কিভাবে । মৃত্তিকার বাবাকে আমি কথা দিয়েছি তার মেয়ের জীবন থেকে আমি সরে যাব বিনিময়ে পাব ৫০ লক্ষ টাকা ! হ্যাঁ আজকের দিনের আমার সবচেয়ে সাহসী কাজ ছিল নিজের ভালবাসাকে বিক্রি করা । বাবা-মা ভালোবাসা অনেক আগেই হারিয়েছি টিকে ছিলাম মৃত্তিকার ভালবাসায় চালচুলো হীন ছেলের এই একটাই স্বপ্ন ছিল আজ তাও বেচে দিলাম । মৃত্তিকা আমাকে একটা চড় মেরে চলে গেলো
আমার আর একটা সাহসী কাজ বাকি আছে এই শহর থেকে দূরে কথাও যাওয়া ...
রাত ৯ টা বাস ছেড়েছে কিন্তু আমি বাসে যাচ্ছি না একটা মাইক্রো ভারা করে নিয়েছি পিছুটানহীন এই শহর ছেড়েই যাব একটু আয়েশ করেই যাই । মৃত্তিকার নিশ্চয়ই গায়ে হলুদ হয়ে গেছে ।
- সেই তখন থেকে ভাবছ কি ভাবছ এতো ?
নাড়া খেয়ে হুশ ফিরল নাহ মৃত্তিকার গায়ে হলুদ হয় নি ... আজকের দিনের সর্বশেষ সাহসী কাজটা করে ফেলেছি মৃত্তিকাকে নিয়ে পালাচ্ছি আমার স্বপ্নকে রেখে যেতে পারি না কোন ব্যবসায়ীর কাছে । মৃত্তিকার বাবা যদি আমার ভালবাসাকে পন্য বানাতে পারে আমি তার সাথে একটু ব্যবসা করতেই পারি ...পুরটাই ছিল প্লান নৌকা, মৃত্তিকার চড় পুরোটাই ওর বাবার লোকদের দেখানোর জন্য আর নৌকায় বসে ছক কষা কিভাবে মৃত্তিকাকে নিয়ে বের হওয়া যায় । মৃত্তিকা লাল টুকটুকে একটা শাড়িতে বিয়ের সাজে আমার পাশে বসা এই সাজে ও পার্লার থেকে পালিয়েছে কিন্তু ওর সাজার কথা ছিল হলুদের সাজে তাই চোখে ধুলো দেওয়াটা একটু সহজ ছিল
নিতুর কাছে আমরা কৃতজ্ঞ পুরো ব্যাপারটায় আমাকে আর মৃত্তিকাকে সাহায্য করেছে পাগলের মতো ...
মৃত্তিকা কাঁদছে ...ওর বাবার কথা মনে পরেছে নিশ্চয়ই ...
-মৃত্তিকা
-হুম
-বাড়ি যাবে ?
-বাড়িই তো যাচ্ছি ......
২১ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৬
নষ্টছেলে তানিম বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ , আরও কিছু লেখা আছে কষ্ট করে পড়লে খুব খুশি হব
২| ২১ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৩
জেরিফ বলেছেন: ৫০ লাখ টাকা । ভাই পারলে এই অধম কে কিছু সাহায্য করিবেন :!> :!>
গল্পে ভালোলাগা রইলো ।
ভালো থাকুন ।
২১ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৬
নষ্টছেলে তানিম বলেছেন: লেখক বলেছেন: ভাই শুশুর কাছ থেকে নিছি তার মাইয়ার আমানত ...
নিজে ইনকাম করে দেব নে ... ধন্যবাদ ভাই পড়ার জন্য
৩| ২২ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:১৬
সুমন কর বলেছেন: বেশ মজা করে লিখেছেন, তাই মজা করেই পড়লাম।
শেষটুকু সুন্দর হয়েছে।
৩য় লাইক।
২২ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:৪৯
নষ্টছেলে তানিম বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:২৯
মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: বাহ্ বেশ সুন্দর লিখেন তো আপনি।
লেখায় টুইষ্ট আছে, ধার আছে। ভালো লাগলো।