![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পচা নর্দমায় কুড়ানো কোন এক অপার্থিব স্বপ্ন নিয়েই বেঁচে থাকতে চাই।।
১) বক্স জেলি
জেলি ফিশ দের দলের সদস্য এই প্রাণীটিই পৃথিবীর সবচেয়ে বিষাক্ত প্রাণী।এদের দেহের দৈর্ঘ্য ২০ সেন্টিমিটার এর মত এবং কর্ষিকার দৈর্ঘ্য প্রায় ৩ মিটার এর মত হয়। এতে প্রায় ৫০০০ এর মত নেমাটোসাইট থাকে, যা তীব্র বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ বহন করে।এরা কর্ষিকার দ্বারা হুল ফোটায়।বক্স জেলি কাউকে হুল ফোটালে সাধারনত ১ মিনিট এরও কম সময়ের মধ্যে মানুষটি মারা যেতে বাধ্য। একটা বক্স জেলিতে যে পরিমান বিষ থাকে, তা প্রায় ৬০ জন মানুষকে মেরে ফেলতে সক্ষম। এদের দেখা মেলে অস্ট্রেলিয়া এবং এশিয়া এর সমুদ্রে।
২) কিং কোবরা
বিষাক্তের তালিকায় এদের অবস্থান ২ নাম্বারে। চীন এবং ভারতীয় উপমহাদেশের জঙ্গলে এদের দেখা মেলে। গায়ের রং কালো, জলপাই রং বা ধুসর। সাধারনত ১২-১৪ ফুট লম্বা, কিছু কিছু ক্ষেত্রে ১৮ ফুটের মত লম্বা হয়ে থাকে। এদের মাত্র ৭ মিলিলিটার পরিমান বিষ প্রায় ২০ জন পূর্ণবয়স্ক মানুষকে মেরে ফেলতে সক্ষম।।
৩) মার্বেলড কোন স্নেইল
শামুকের মত দেখতে এই প্রাণীটিকে দেখতে আপাত দৃষ্টিতে নিষ্পাপ মনে হতে পারে, কিন্তু বিষাক্তের তালিকায় এর অবস্থান ৩ নাম্বারে। কোন আইসক্রিম আকৃতির কারনেই এদের এই নাম দেয়া। এদেরকে ' সিগারেট স্নেইল' নামেও ডাকা হয়। কারন মার্বেলড কোন স্নেইল এর বিষ শরীরে নিয়ে একটা মানুষ একটা সিগারেট শেষ করার মত সময়টুকু হয়ত পাবে। একটি পূর্ণবয়স্ক মার্বেলড কোন স্নেইল প্রায় ৬ ইঞ্চি এর মত লম্বা হয় কিন্তু ওজন হয় মাত্র ৮ গ্রাম। এরা এদের বিষ হারপুন এর মত করে ছুঁড়ে মারে। মার্বেলড কোন স্নেইল যে কোন দিকে এমনকি পিছনের দিকেও বিষ ছুড়ে মারতে সক্ষম। ভারতীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরের ৯০ মিটার গভীরতা পর্যন্ত এদের দেখতে পাওয়া যায়।
৪) ব্লু রিংড অক্টোপাস
অনিন্দ্য সুন্দর একটি প্রাণী। বিষের দিক থেকেও অনেক এগিয়ে। তালিকায় এদের অবস্থান ৪। একেই হয়ত বলে ভয়াবহ সৌন্দর্য। এই তালিকায় এটিই একমাত্র অক্টোপাস। সাধারন অবস্থায় শুধুই হলুদ রঙের নীল রক্ত বিশিষ্ট অক্টোপাস। কিন্তু রেগে গেলে এর শরীরে ফুটে ওঠে ৫০-৬০ টা নীল বর্ণের গোলাকার দাগ। যা তার শত্রুর মনে ভয় ঢুকিয়ে দেয়ার জন্য যথেষ্ট।ব্লু রিংড অক্টোপাস দের বিষ সায়ানাইড থেকেও ১০০০০ গুণ বেশি বিষাক্ত। এদের আকৃতি একটা গলফ বলের মত। দেখা মেলে অস্ট্রেলিয়া, জাপান, পাপুয়া নিউ গিনি, ফিলিপাইন প্রভৃতি দেশের সমুদ্রে।
৫) ডেথ স্টকার স্করপিয়ন
কাঁকড়া বিছার জাত ভাই। কিন্তু বিষের দিক থেকে বহুযোজন এগিয়ে।এদের অবস্থান ৫। " ইসরাইলি ইয়েলো স্করপিয়ন " নামেও পরিচিত এরা। এদের দেখা মেলে উত্তর আমেরিকা এবং মধ্য প্রাচ্যের দেশ সমুহে।
৬) স্টোন ফিশ
সবচেয়ে সুন্দর(!) সামুদ্রিক প্রাণীর মধ্যে অন্যতম হল এই স্টোন ফিশ। এই প্রাণীটির অবস্থান ৬ নাম্বারে। এরাই বোধহয় সমুদ্রের এক মাত্র মাছ যারা নিজেদের শরীরে অবলীলায় শৈবাল দের বেড়ে উঠতে দেয়। এদের দেখা পাওয়া যায় লোহিত সাগর থেকে কুইন্সল্যান্ড গ্রেট ব্যারিয়ার রীফ পর্যন্ত।
৭) ব্রাজিলিয়ান ওয়ানডারিং স্পাইডার
মাকড়শা দের মধ্যে সবচেয়ে বিষাক্ত এরা। মাত্র ৬ মিলিগ্রাম বিষ প্রায় ১০০০ ইদুর মেরে ফেলতে সক্ষম।ব্রাজিলিয়ান ওয়ানডারিং স্পাইডারের আর একটি নাম হল ব্যানানা স্পাইডার।
৮) ইনল্যান্ড তাইপান
সাপদের মধ্যে এরা আছে ২ নাম্বারে। বিষাক্তের তালিকায় এদের অবস্থান ৮ নাম্বারে। ইনল্যান্ড তাইপান এক কামড়ে ১১০ মিলিগ্রাম বিষ নির্গত করে যাতে প্রায় ১০০ পূর্ণবয়স্ক মানুষ বা ২৫০০০ ইদুর মারা যেতে বাধ্য।। এদের বাসস্থান অস্ট্রেলিয়া মহাদেশ।।
৯) পয়সন ডার্ট ফ্রগ
আমাজন জঙ্গলের অনেক সুন্দর ব্যাঙ গুলোর একটি। কিন্তু এর সৌন্দর্য অনেক ভয়াবহ। ২ ইঞ্চি লম্বা এই ব্যাঙ এ প্রায় ১০ জন পূর্ণবয়স্ক মানুষকে মেরে ফেলার মত বিষ থাকে। স্থানীয় আদিবাসীরা তাদের তীরের ডগায় এই বিষ ব্যাবহার করে।
১০) পাফার ফিশ
বাংলায় বললে পটকা মাছ।। এই তালিকায় এদের অবস্থান ১০। পটকা মাছ সম্বন্ধে নতুন করে বলার কিছু নেই। এদের চামড়ার নিচে এবং অন্য কিছু অঙ্গে বিষ থাকে। এগুলো বাদে বাকি অংশ খাওয়া যায়। চীন, জাপান, কোরিয়া প্রভৃতি দেশে যেখানে খাবার ম্যানু থেকে কিছুই বাদ পরে না, সেখানে এটা একটা জনপ্রিয় খাবার। সাহসী বাঙ্গালীও মাঝে মাঝে খাওয়ার অদম্য চেষ্টা করে। চাইলে আপনারাও বাসায় খাওয়ার চেষ্টা করতে পারেন। কিছু হয়ে গেলে লেখক দায়ী নহে।।
©somewhere in net ltd.