ঠাপ!

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১:৫২

"ঠাপ" খুব ছোট একটা শব্দ। কিন্তু এর তাৎপর্য বিশাল । চারিদিকে আজ ঠাপা ঠাপির শব্দ, শেই পৃথিবীর শুরু থেকে এই ঠাপাঠাপি চলছে আর চলতেই থাকবে।
.
ছেলে মেয়েকে, মেয়ে ছেলেকে ঠাপিয়ে ঠাপিয়ে আরেক ঠাপানো সৈনিক এর জন্ম দেয়। এই ঠাপই জনসংখ্যা বৃদ্ধির প্রধান শক্তি ।
.
ঠাপানোর জন্য বিভিন্ন পাড়া মহল্লায়, অলিতে গলিতে, পতিতালয় গড়ে উঠেছে, আজকাল ফাইফ স্টার হোটেল গুলোতেও লিগ্যালি ঠাপানোর সুব্যবস্থা আছে। আর এই ঠাপানোর টাকা আমাদের অর্থনীতিতে যোগ হয়ে অর্থনীতির চাকা ও ঘুরাচ্ছে।
.
এই ঠাপ বিশ্ব আইনেও জায়গা করে নিয়েছে। এই দেশের আইন মোতাবেক ২০০৩ সালের সংশোধিত আইনের ৯ ধারায় অন্যের অসম্মতিতে ঠাপানোর জন্য মামলা করে যে কাওকে জেলের ভাত খাওয়ানো যায়।
.
এই ঠাপ বিশ্ব রাজনীতিতে ও প্রভাব ফেলে। ট্রাম্প এর মত বিশ্ব নেতাদের নামে ঠাপানোর অভিযোগ এনে নির্বাচন থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়।
.
শিক্ষা ব্যবস্থায় ও "ঠাপ" জায়গা করে নিয়েছে। অন্টারিওর স্কুলসমূহে সুকৌশলে ক্লাস ১ থেকে ১২ পর্যন্ত ছাত্র ছাত্রী দের গ্রেড ওয়াইস ঠাপের উপর শিক্ষা দেওয়া হয়। যা আর অল্প কিছুদিনের মধ্যে চীনে ও হতে যাচ্ছে।
.
"ঠাপ" আছে বলেই জনি সিন্স ও সাসা গ্রে এর মত কর্মঠো মানুষেরা দিন রাত ঠাপিয়ে টাকা উপার্জন করতে পারছে। আজ হাজার হাজার বেকার মানুষ এই ঠাপ কে পেশা হিসাবে নিয়েছে ফলে বেকারত্ব হ্রাস পাচ্ছে।
.
মমতাজের ঠাপে মগ্ন হয়েই শাহজাহান বানিয়েছেন তাজমহল।
এই ঠাপা ঠাপির জন্য প্রাণ দিতে হয়েছে রোমিও জুলিয়েটকে।

এই ঠাপকে শ্রদ্ধা জানিয়েই সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের যুগ থেকেই প্রতি বছর ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবস নামে যা পালিত হয় আদৌতে তা ঠাপেরই দিবস।
।
এত কিছুর পর বুঝাই যায় এই ঠাপই মাতিয়ে রেখেছে পুরা বিশ্বকে। যেখানে সোসিয়াল মিডিয়া গুলোতেও আজ ঠাপে মগ্ন প্রায় সবাই।
।
অপেরা শো এর মত টক শো গুলোতে ও চলে ঠাপের কথা।
সুতরাং বলাই যায় এই ঠাপই জীবন ঠাপই সব
যত দিন রবে মানুষ, পশুপাখি, জীবজন্তুর প্রাণ
ততদিন চলিবে ঠাপের কীর্তি কামাল।
।
[ বিঃদ্রাঃ - অনেকে খুব আবেগি হয়ে বলবে ভালবাসা মানেই ঠাপ নয়। আর আমি বলব
যে ভালবাসায় ঠাপ নয়,
সে ভালবাসা ভাই বোনের হয় ]

০ টি +০/-০