নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মেটালিক মোস্তাফিজ

মেটালিক মোস্তাফিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাছাই '১৩ (২০১৩ সালের বাছাই করা স্ট্যাটাস)

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১৬



Topu- 08.01.13

মফিজের গ্রামীন ফোনের স্মাইল প্যাকেজে ৩ টি এফএনএফ সহ মাসে ৫৩৭ টাকা খরচ হয়; এখন মফিজ যদি স্মাইল প্যাকেজ পরিবর্তন করে ১০টি এফএনএফ সহ বন্ধু প্যাকেজে ব্যবহার করে তাহলে তার মাসে কত টাকা বেচে যাবে। বলো? বলো? বলো?

গ্রামীন ফোন ক্লিয়ার কাট কথা মোবাইল ব্যবহার করা . . . . .মফিজকে বলুন মোবাইল ব্যবহার করা ছেড়ে দিতে। পুরা টাকা আরামসে বেচে যাবে। খিক খিক খিক।







Topu- 13.02.13

ডিয়ার মিস্টার নোবেল লয়রেট ড: মুহম্মদ ইউনুস, আপনি শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়ে সারা দুনিয়ায় শান্তির বার্তা বয়ে বেড়াচ্ছেন। অথচ আমাদের এই অভাগা দেশটা নিয়ে মনে হয় আপনার কোন চিন্তাভাবনা নেই। রামুর বিদ্রোহে যখন সারা দেশ জ্বলছিল আপনি তখন নিওইয়র্ক-এর সুন্দর পরিবেশে সবাইকে শান্তির বার্তা শোনাচ্ছেন। বিদ্রোহের আগুন নিভে যাবার পর আপনি পত্রিকায় দায়সারা গোসের একটা স্ট্যাটমেন্ট দিলেন। এখন গত ৮ দিন যাবৎ শাহবাগে লাখ লাখ তরুন ছেলেমেয়ে,সাথে আবাল বৃদ্ধ বনিতা রাজাকারদের ফাসির দাবিতে আন্দোলন করছে তখন আপনার কোন খবর নেই। জামায়াত শিবির যখন তাদের সর্বোচ্চ শক্তি ব্যবহার করে দেশ বিদেশে এই আন্দোলন সমন্ধে নানা প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে, আপনি পারতেন আপনার আন্তর্জাতিক পরিচয় ব্যবহার করে ওদের এই চেষ্টা বানচাল করে দিতে। অথচ আপনি কোথায়? আমরা আমাদের দেশের রাজনীতিবিদদের কথা শুনতে শুনতে বিরক্ত। কিন্তু একজন সম্মানিত ব্যক্তি হিসেবে দেশের ক্রান্তিকালে আপনার বক্তব্য শুনতে চাই। মিস্টার ইউনুস, চুপ করে থাকাই যদি আপনার শান্তির মূলমন্ত্র হয়; তাহলে নিশিচৎ সামনে আপনি আরেকটি নোবেল পুরস্কার জিততে যাচ্ছেন। সরি মিস্টার নোবেল লয়রেট;একসময় আপনাকে নিয়ে আমি গর্বিত হতাম; এখন আপনাকে নিয়ে আমি লজ্জিত।





Topu- 17.02.13

একদিন লাব্বায়েক বাসে চড়ে গাবতলী যাচ্ছি। বাসে প্রচন্ড ভীড়। দাড়ানোর জায়গা নেই; একটা সুই ফেলে দিলে নিচে পড়বে না এমন অবস্থা। ভ্যাবসা গরমে জান যায় যায় অবস্থা। সৌভাগ্যবান হিসেবে আমি পিছনের দিকে একটা সীট পেয়েছি। হেডফোন না থাকায় মোবাইল হাতে নিয়ে গান শুনছি। দাঁড়িয়ে থাকা কেউ কেউ আমার দিকে হিংসা মিশ্রিত লুক দিচ্ছে। আমি কেয়ার না করে নির্লিপ্ত থাকার চেষ্টা করছি। বাস যখন মৌচাক আসল যাত্রীদের আপলোড আর ডাউনলোডের বৈষম্যের কারণে বাস সামান্য ফাকা হলো। এর ভিতর একটা ছেলেকে খেয়াল করলাম। ফুলহাতা শার্ট পড়া;বুকের দুইটা বোতাম খোলা। শার্টের নীচে কোন উর্বসীর ছবিসহ টি-শার্ট উকি দিচ্ছে। হাতে একাধিক ব্রেসলেট, চোখে সানগ্লাস; মাথার চুল কি স্পাইক করা নাকি চুলই এইরকম এইটা বুঝতে পারলাম না। দেখে বুঝতে পারলাম একটা পুরুষ মানুষের যত রকম ফ্যাশন সম্ভব;সবই সে নিজের মধ্যে ধারন করছে। এত ভীড়ের মধ্যে এক হকার উঠছে। ছেলেটা আমাকে অবাক করে দিয়ে হকারের কাছে একটা পত্রিকা কিনল। আমি তো পুরা তবদা। এই ছেলে নিজের ফ্যাশন নিয়ে যত সময় ব্যয় করে; তার তো দেশ নিয়ে খবর পড়ার সময়ই থাকার কথা না। তারপর দেখলাম ছেলেটা পত্রিকার দিকে চাইলোও না। সে ওইট বাসের সিড়ির কাছে কোনমতে বিছিয়ে বসে পড়ল। ছেলেটার কাছে আমি কৃতজ্ঞ। ছেলেটা ওইদিন আমার চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছিল- কিছু কিছু পত্রিকা যেমন 'দৈনিক আমার দেশ', 'দৈনিক সংগ্রাম' এই সব টয়লেট প্যাপারের মত পত্রিকা আসলে মানুষ কিসের জন্য কিনে।

অফ টপিকে একটা চুটকি। দৈনিক আমার দেশ পত্রিকাকে টয়লেট প্যাপারের সাথে তুলনা করায় মানহানির মামলা ঠুকে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তবে আমার দেশ কর্তৃপক্ষ না; টয়লেট প্যাপার মালিক। তাদের কথা দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সাথে টয়লেট প্যাপারের সাথে তুলনা করে টয়লেট প্যাপারের মান হানি করা হয়েছে। কারন টয়লেট প্যাপারেরও একটা মান আছে। দৈনিক আমার দেশ পত্রিকা মানুষের 'Sensitive issue'-তে আঘাত করে; আর টয়লেট প্যাপার মানুষের 'Sensitive tissue' কেয়ার করে। অকাট্য যুক্তি।







Topu- 07.03.13

নিজের পিতৃ পরিচয় না জানলে কেউ যদি জারজ হয়; তাহলে নিজের দেশের ইতিহাস না জানলে সেও জারজ। আমরা জারজ মুক্ত বাংলাদেশ চাই।





Topu- 17.03.13

স্কুল জীবনের ক্লাস ফোর ফাইভ পর্যন্ত আমার যথেষ্ট আনন্দ কেটেছে। রোল নাম্বার ছিল একেবারে পিছনের দিকে। কেউ পাত্তা দিতো না। পরীক্ষা নিয়ে কারো সাথে কোন প্রতিযোগিতা ছিল না। তখন পরীক্ষা মানে ছিল এক আনন্দের উপলক্ষ। ক্লাস সিক্সে উঠে কিভাবে যেন ভালো ছাত্রদের কাতারে চলে এলাম। আমাদের চুনোপুটি স্কুলের ভালো ছাত্রদের ভিতর আমি ছিলাম একজন। শুরু হলো এক যন্ত্রনাময় জীবন। পরীক্ষা, পরীক্ষার মার্কস নিয়ে বিশ্লেষন, সামনের রোলের জন কত পেল, পেছনের জন কত পেল, জীবনটা তেনা তেনা করে দিল। স্থানীয় স্কুল হওয়াতে আমার বাসাও স্কুলের কাছে; স্যারদের বাসাও আশেপাশে। রাস্তায় বের হতেই ভয় হতো, এই না কোন স্যার আবার দেখে বাসায় নালিশ করে দেয় যে আপনার ছেলে তো দেখি সারাদিন রাস্তাতেই থাকে। আর বাবা-মায়ের সেই চিরন্তন স্বভাব, এর ওর ছেলে-মেয়ের সাথে তুলনা। বিশেষ করে আমার বাবার। মা সহজ সরল হওয়াতে মায়ের অত্যাচার থেকে বেচে গেছি। বাবার সেই গল্প; অমুকের ছেলে এই করেছে; তমুকের মেয়ে সেই করেছে। শুনতে শুনতে কান জ্বালা পালা। তখনকার স্যাররাও মনে হয় খুব নিষ্ঠুর প্রকৃতির ছিল। আমার এক ফ্রেন্ডের রিপোর্ড কার্ডে এক স্যার মন্তব্য লিখেছিল, 'রেজাল্ট দেখে মনে হয় ছাত্র জীবনের অবসান ঘটিয়েছে'। ক্লাস সেভেন বা এইটের এক ছাত্রের জন্য এইটা যে কত বড় মানসিক অত্যাচার এইটা কি স্যাররা কখনো বুঝবে। ক্লাস নাইনের ১ম সাময়িক পরীক্ষায় ম্যাথে পেলাম ৫৫। স্যার আমার ব্যাপারে হাত পা ধুয়ে ফেললেন। নাহ ছেলেটাকে ভালো ভাবছিলাম, ছেলেটা বুঝি গোল্লায় গেল। যাই হোক পাস করে কলেজে নটরডেম কলেজে গেলাম। কাউকে চিনি না। কেমন মন খারাপ লাগত। স্কুলের বন্ধুদের খুব মিস করতাম। কলেজে উঠে একটা জিনিস ভালো লাগত। এখানে কোন প্রতিযোগিতা নাই। সবাই খুব ভালো ছাত্র। প্রতিযোগিতা নাই দেখেই কিনা আমার ক্রমাবনতি হতে লাগত। প্রথমে ৩২৪ তম, তারপরে ৪২৬ তম, তারপরে ৮১৮ তম। আল্লাহ বাচাইছে ইন্টারের কোর্স ২ বছরের। নয়তো এই অধঃপতন যে কোথায় গিয়ে ঠেকত আল্লাহই জানে। আজ শিশু দিবস পালিত হলো। দোয়া করি সবগুলি শিশুর স্কুল জীবন কলেজ জীবন অনেক আনন্দের হয়। মার্কস নিয়ে অসুস্থ্য প্রতিযোগিতা থেকে যেন তারা রক্ষা পায়। জানি জীবনটা 'থ্রি ইডিয়টস' ম্যুভি না; আর সবাই ফারহানের বাবার মত না যে ইঞ্জিনিয়ার ছেলেকে ফটোগ্রাফিতে ক্যারিয়ার করতে দিবে। তারপরেও স্বপ্ন দেখতে দোষ কী। স্বপ্ন দেখি সবগুলি শিশু আনন্দ নিয়ে পড়াশোনা করছে; নিজের খুশীমত ক্যারিয়ার বেছে নিচ্ছে। শিশু দিবসে এইটাই হোক আমাদের শিশুদের প্রতি অঙ্গিকার।





Topu- 30.03.13

বিসিএস-এ জয়েন করে ২ বছরের উপর হলো গ্রামে পরে আছি। যদি প্রাপ্তি কি জিগ্গেস করা হয় তাহলে বলব এতদিন যাবত বেতন পাচ্ছি,কোনো মাসে বেতন মিস হয় নাই-এইটাই সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।





Topu- 05.04.13

নব্বই দশকে যখন বাংলা ব্যান্ড জগতের স্বর্ণযুগ চলছিল তখন সেই স্বর্ণযুগের পুরোধার দলে ছিল আইয়ুব বাচ্চুর নেতৃত্বে এলআরবি। শুরুতে ডাবল অ্যালবামের চমক-ই শুধু ছিল না; ছিল সময়ের আগে চলে আসা হার্ড রক ঘরানার গান। বাংলা ব্যান্ডে হার্ড রক গানের যাত্রা এলআরবি-কে দিয়েই শুরু হয়েছিল। মাধবী, হকার, ফেরারী মন, ঢাকার সন্ধ্যা সহ আরো অনেক মুগ্ধতা ছড়ানো গান দিয়ে এলআরবি জানান দিয়েছিল তারা থাকতেই এসেছে। দিনের বেলা অফিস আর রাতের বেলা মিউজিক না করে আইয়ুব বাচ্চু মিউজিক-টাকেই প্রফেশন হিসেবে নিয়েছেন।নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছেন দেশের সেরা গিটারিস্ট হিসেবে। শুধু দেশ বলি কেন- আমার মতে আইয়ুব বাচ্চু এই উপমহাদেশের অন্যতম সেরা গিটারিস্ট। প্রথম ডাবল অ্যালবামের পর সুখ, তবুও,ঘুমন্ত শহরে, ফেরারী মন, স্বপ্ন, আমাদের বিষ্ময়, মন চাইলে মন পাবে, মনে আছি নাকি নাই, স্পর্শ এবং সর্বশেষ অ্যালবাম যুদ্ধ। ‘সেই তুমি’, ‘রুপালী গিটার’, ‘ঘুমন্ত শহরে’, ‘সুখী ছেলে’, ‘রাতের তারা’, ‘চাঁদ মামা’, ‘সাড়ে তিন হাত মাটি’, ‘ভালো লাগে না’, ‘মন চাইলে মন পাবে’, ‘বান্দা’ ইত্যাদি অসংখ্য জনপ্রিয় গান উপহার দিয়েছে এলআরবি। মেইন স্ট্রিম ব্যান্ডগুলোর মধ্যে শুধুমাত্র এলআরবি-ই এই অডিও জগতের দুঃসময়ে অ্যালবাম বের করার সাহস রাখে। ‘আমাদের বিষ্ময়’ এলআরবি-র ২য় ডাবল অ্যালবাম এবং ‘ফেরারী মন’ অ্যালবামটা হলো বাংলাদেশের প্রথম এবং এখন পর্যন্ত একমাত্র লাইভ অ্যালবাম। এলআরবি শুরু থেকেই গান নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করে এসেছে। মাত্র ১৩ দিনের চেষ্টায় তারা বের করেছিল ‘তবুও’ নামের অ্যালবামটি। এলআরবি-র অন্য সব অ্যালবামের মত এই অ্যালবাম-টা এত হিট না হলেও সমজদার শ্রোতাদের ঠিকই মুগ্ধ করতে পেরেছে। ১৯৯১ সালের এই দিনে এলআরবি-র যে যাত্রা শুরু হয়েছিল ওই যাত্রা আজো থামেনি। শুভেচ্ছাসহ আশা রইলো এই যাত্রা যেন অচিরেই না থামে। মুগ্ধতা ছড়ানো গান দিয়ে যেন এলআরবি যেন আমাদের মুগ্ধ করে যায়। শুভ জন্মদিন এলআরবি।





Topu- 17.04.13

আমি আমার প্রোফাইল পিকচারে দিতে পারি গলির নেড়ি কুত্তাটার ছবি;

দিতে পারি ঢাকার সবচেয়ে নোংরা ডাস্টবিনের ছবি;

অনেক দিনের পচে যাওয়া গলিত লাশের ছবিও দিতে পারি যেখানে পোকারা কিলবিল করছে ;

দিতে পারি শুয়োরের ছবি যেখানে শুয়োররা তাদের নাদুস নুদুশ শরীর নিয়ে নোংরায় খেলা করছে;

দিতে পারি দেশের সবচাইতে বড় পতিতালয়ের ছবি;

মহিলারা কাপড়ে মুখ ঢেকে বাসে যে বিজ্ঞাপনের কাগজ বিলি করে তাও স্ক্যান করে প্রোফাইল পিকচার হিসেবে দিয়ে দিতে পারি;

সমস্ত ঢাকা শহরের ময়লা আবর্জনা ধারন করা বুড়িগঙ্গার ছবিও দিতে পারি;



তাই বলে মাহমুদুর রহমানের ছবি প্রোফাইল পিকচার; ওয়াক থু. . . . . .





Topu- 19.04.13

মিস্টার আন্দালিব, আপনি কিভাবে ব্যারিস্টারি পাস করলেন বা ব্যারিস্টারি পাস করে কি শিখলেন এইটাই বুঝতেছি না। আমাদের সংবিধানের ২৭, ৩১, ৩২ ও ৩৩ অনুচ্ছেদ অনুসারে গ্রেফতারের পর কোনো ব্যক্তির ক্ষেত্রে তদন্ত পর্যায়ে বা বিচারের আগে গণমাধ্যমের সামনে হাজির করা থেকে বিরত রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তাই আটক তিন ব্লগারকে জনসম্মুখে এনে সংবিধান লংগন করা হয়েছে বলে এই বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করা হয়েছে। আর আপনি মিস্টার কাঠাল পাতা চর্বনকারী তাতেও সন্তুষ্ট না, দাবী করতেছেন ব্লগারদের নাকি কান ধরে দাড় করিয়ে রাখা উচিৎ ছিল; তাদের নাকে খত দেয়া উচিৎ ছিল। এখন আমি যদি বলি এই কথা বলার পর আপনারে থাপড়ায়ে চাপার দাত ফেলা দেয়া উচিৎ ছিল আপানার কি ভালো লাগবে? নিশ্চয়ই ভালো লাগবে না। আমারো ভালো লাগে নাই আপনার কথা। কারণ এইটা শিক্ষিত লোকের মত কথা না; রিক্সাওয়ালাদের মত কথা (রিক্সাওয়ালাদের প্রতি পূর্ণ সম্মান রেখে বলছি)। এই ধরনের কথা কি উদ্দেশ্যে বলতেছেন? নিজের ভোট বাড়ানোর জন্য? মানুষ আপনার খোমা দেখে চাপা পিটানো শুনে বলবে- দেখছিস লোকটার ইসলামের প্রতি কত দরদ? আপনাকে দেখলেই ওই কথাটা মনে করতে চাইনা; কিন্তু মনে পড়ে যায়া- 'Blood never lies'.





Topu- 03.05.13

আজ শহীদ জননী জাহানারা ইমামের জন্মদিন। যুদ্ধাপরাধিদের বিচারের ব্যাপারে উনিই এ দেশে অগ্রগন্য ভূমিকা পালন করেছেন। নাহ এখনকার ইমরান এইচ সরকারের গনজাগরন মঞ্চের মত পুলিশ প্রোটেকশনে আন্দোলন করার সৌভাগ্য উনার হয় নি। আন্দোলন করতে হয়েছে তীব্র বিরোধিতার মুখে। ১৯৯২ সালের ১৯ জানুয়ারী ১০১ সদস্যবিশিষ্ট ‘একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি’ গঠিত হয় তার নেতৃত্বে।এই কমিটি ১৯৯২ সালের ২৬ মার্চ ‘গণআদালত’-এর মাধ্যমে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে একাত্তরের নরঘাতক গোলাম আযমের ঐতিহাসিক বিচার অনুষ্ঠিত করে।

বর্তমান সরকার গন জাগরন মঞ্চের আন্দোলনের জড়িত ব্লগারদের গান ম্যান দিয়ে নিরাপত্তা দিতে চেয়েছিল। আর তৎকালীন সরকার গণআদালত অনুষ্ঠিত হবার আনন্দে ২৪জন বিশিষ্ট ব্যক্তিসহ জাহানারা ইমামের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ এনে অজামিনযোগ্য মামলা দায়ের করে । পরবর্তীতে হাইকোর্ট ২৪ জন বিশিষ্ট ব্যক্তির জামিন মঞ্জুর করেন। ২৮ মার্চ ১৯৯৩ নির্মূল কমিটির সমাবেশে পুলিশের নির্মম লাঠিচার্জে আহত হন জাহানারা ইমাম। তিনি প্রায় অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান রাজপথে। পুলিশ কেন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার মা' কে এভাবে নির্যাতন করলো এই প্রশ্নের উত্তরে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া পাল্টা সাংবাদিকদের কাছে প্রশ্ন রাখেন, 'জাহানারা ইমামটি কে'?

সেই উনি যখন বলেন ‘প্রকৃত যুদ্ধাপরাধী খুজে বের করবো আমারই' তখন জানতে মন চায় মিরাক্কেল কি আজকাল লাইভ দেখানো শুরু করছে নাকি।

আমরা শুয়োরের সাথে সহবাসের ফতোয়াকে অস্বীকার করি; স্বপ্ন দেখি আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্ম তাই করবে। যুদ্ধাপরাধিদের বিচারের আওতায় আনার যে স্বপ্ন উনি দেখিয়ে গিয়েছেন আজ তা পূরন করেই আমরা তার বিদেহী আত্ত্বাকে শান্তি ও সম্মান জানাতে পারি।







Topu- 09.05.13

এসএসসি-তে এ প্লাস পাই নাই তো কি হয়েছে? শরীরেই তো এ প্লাস রক্ত নিয়ে ঘুরতেছি।





Topu- 23.05.13

১ম দৃশ্য-

(কোন এক কারণে আমার মেডিকেল কলেজের বান্ধবী আমার উপর সন্তুষ্ট হয়ে বলছে)-

বান্ধবীঃ তোরে থাপড়া দিয়ে সব দাত ফেলে দেয়া উচিৎ।

আমিঃ খালি গায়ে হাত দেয়ার অজুহাত, তাই না?

(বান্ধবী একেবারে চুপ)



২য় দৃশ্য-

(আরেকদিন আমি কোন কারনে আমার সেই বান্ধবীটাকেই বলছি)-

আমিঃ তোরে চড় মারতে ইচ্ছে করছে।

বান্ধবীঃ খালি গায়ে হাত দেয়ার অজুহাত, তাই না? শালা লুজ ক্যারেক্টার।

আমিঃ তোর গায়ে হাত দিতে আবার অজুহাত লাগবে নাকি?

(বান্ধবী একেবারে চুপ)



মুখ খুললেই যদি দারুনভাবে পচতে হয় তাহল মুখ বন্ধ রাখাই ভালো। ভালো তো; ভালো না???





Topu- 23.05.13

Health Cadre-এ BCS-এর মত ফালতু পরীক্ষা আর নেই। আরে ভাই ডাক্তার একটা ছেলে/মেয়ে Preli-তে যেই সাধারন জ্ঞান লাভ করছে তাই ত যথেষ্ট। একই Subject-e আবার Written-এর কি দরকার??? আমি একজন ডাক্তার- মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির কি হইল না হইল তা জানার চেয়ে আমার অনেক বেশি দরকার একটা Ecclampsia Patient-এর Management জানা। আমেরিকার অর্থনীতির ধ্বসের কারন জানার চেয়ে অনেক বেশি দরকার অল্প খরচে আমাদের দেশের মহিলাদের রক্তশুন্যতার Management জানা। বারাক ওবামার জীবনী থেকে আমার কাছে ফিতাকৃমি গোলকৃমির জীবনীচক্র অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। রচনা মুখস্থ করে পরীক্ষা হলে বমি করে দিয়ে আসার চেয়ে অনেক বেশি ইম্পোর্টেন্ট- একটা বমির patient আসলে আমি কিভাবে Approach করব। এইসব হাবিজাবি জিনিস শিখে আমাদের সময় নষ্ট করে কি লাভ?????গুরু্ত্বপূর্ন স্থানে বসে থাকা ননমেডিকেল ছাগলগুলো-কে এইসব কে বুঝাবে?





Topu- 29.05.13

দুনিয়ার সব পাশের বাসার ছেলে মেয়েদেরই কেন লেখাপড়াই ভালো হতে হবে? আমরা এই অধ্যায় পার করে আসছি; কিন্তু কোন পোলাপানের এই পাশের বাসার ভালো ছাত্রের সাথে তুলনা হতে মুক্তি নাই। হ্যা আল্লাহ তুমি দুনিয়ার সব পাশের বাসার ছেলেমেদের লেখাপড়ায় খারাপ বানায়ে দাও; নয়তো দুনিয়া থেকে পাশের বাসাই তুলে দাও।





Topu- 30.05.13

মাঝরাতে মুফতে একটা ভালো উপদেশ দেই- 'যদি ভালো লিচু কিনতে চান তাহলে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অথবা জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিউট-এর আশেপাশের মার্কেট থেকে কিনবেন। নাহ মানে এই সব মার্কেটেই ভালো লিচু পাওয়া যায় ব্যাপারটা তা না। ভালো লিচুর দাম শুনে যদি আপনার হার্ট অ্যাটাক হয়ে যায় তাহলে জলদি হাসপাতালে আসতে পারবেন এই আর কি।'





Topu- 03.06.13

আপুনিরা, আপনারা যখন দেখিয়ে বেড়ান আপনাদেরই Curve,

বিশ্বাস করেন দারুন ঝাকুনি খায় যে মোদের Nerve.

কে বলছে শরীরটাকে করতে এমন Serve?

কলিযুগে এসব দৃশ্য করছি যে Observe

কি বলব যায় গুলিয়ে Noun,Adjective,Verb.

(ইহা একটি সব আপুদের জন্য নয় জাতীয় স্ট্যাটাস)



ভাইয়ারা, মেয়ে দেখলেই নোংরা কমেন্ট করতে হবে Pass?

সুযোগ পেলেই নজর এড়িয়ে করতে হবে Touch?

বাসায় কি মা-বোন নেই?Never seen your Dad?

বোশেখ মাসের কুত্তার মতই মেয়ে দেখলেই Mad।

বলতে ভীষন বাধ্য হচ্ছি Sad,Very Sad.

(ইহা একটি সব ভাইয়াদের জন্য নয় জাতীয় স্ট্যাটাস)





Topu- 21.06.13

একটা কাজে মতিঝিল গিয়েছিলাম। ফুটপাত দিয়ে যখন হাটছিলাম তখন দেখলাম রাস্তার পাশের দোকানগুলোতে শার্টের পিছ বিক্রি করতেছে। একটা দোকানের সামনে দাড়ালাম। ডানে বায়ে তাকালাম কেউ যদি দেখে ফেলে। একটা শার্ট পিছ দেখে খুব ভালো লাগলো। মামাকে দাম জিজ্ঞেস করলাম, 'মামা কত'? মামা উত্তর দিল, 'এক দাম এক হাজার টাকা'। দাম শুনে আবার ডানে বামে তাকালাম- কেউ দেখুক।





Topu- 13.07.13

:ওই মাছের দাম কত?

:স্যার বাম পাশেরটা ৬০০ আর ডান পাশেরটা ১০০০ টাকা।

:ওই বেটা, চোখে কি ঠাডা পড়ছে নাকি? দুইটা মাছই তো একই সাইজের। দামের এত হেরফের কেন?

:স্যার, ডান পাশেরটা মেধাবী মাছ। তাই দাম একটু বেশি।

:কিছু খাইছিস নাকি উলটাপালটা? মাছ আবার মেধাবী কেমনে হয়?

:স্যার এইটা মেধাবী মাছ। দুইবার জাল থেকে ছুইটা গেছিল। তিন বারের চেষ্টায় ধরতে পারছি।

:হুমম বুঝতে পারলাম তোর মেধাবী মাছের রহস্য। তা দাম বেশি নিবি কেন?

: স্যার, আবুল হায়াত আংকেলের বিজ্ঞাপন দেখেন নাই? ঢেউটিনের বিজ্ঞাপন। ওইখানে তো আংকেল বলছিল 'মাছ যেইটা মেধাবী; দাম তার একটু বেশি-ই'।





Topu- 16.07.13

প্রথম এভারেস্ট বিজয়ী মুসা ইব্রাহিম আজকে তার পোস্টে জাফর ইকবাল স্যার-কে ইংগিতে মুখোসধারী উল্লেখ করে বলেছেন- ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল যখন আপনাকে মানবাতাবিরোধী অপরাধের ব্যাপারে সাক্ষ্য দিতে ডেকেছিল, তখন আপনি যান নি’। এবং ইহা একটি বিশাল ট্রাজেডী।

মিস্টার মুসা ইব্রাহিম, ‘এভারেস্ট চূড়া জয় করে কি বুদ্ধি সুদ্ধি এভারেস্টের চূড়াতেই রেখে এসেছেন নাকি? তাই যদি হয় আরেকবার এভারেস্ট জয় করার প্লান করেন। আমরা ফেইসবুকে খরচপাতি জোগার করার চেষ্টা করি। আর যা কিছু ভালো তার সাথে পরথম আলু তো আছেই। জাফর ইকবাল স্যারের মত একজন ব্যক্তির সমন্ধে এই ধরনের আপত্তিকর কথা বলার আগে একটু খবর নেয়ার বুদ্ধিও যদি আপনার না হয় তাহলে বলি আপনার যে বুদ্ধির এই নমুনা; বউ জানে??? মনে রাখবেন এই দেশের মানুষ যখন মুসা বলতে শুধু আমাদের নবীকে চিনত; আপনার টিকিটার খবর ছিল না; তখনই জাফর ইকবাল স্যার আমাদের ভালোবাসার শ্রদ্ধার এভারেস্টের আসনে আসীন ছিলেন। সুতরাং তার বিরুদ্ধে কিছু বলার আগে খুব খিয়াল কইরা; খবর নিয়া। যেই মানুষটা সারাজীবন রাজাকার আর যুদ্ধাপরাধের বিরুদ্ধে লিখে গেছেন, বলে গেছেন। সারা জীবন মৌলবাদীদের হুমকি সহ্য করে গেছেন; তাকে নিয়ে তার মেয়েকে নিয়ে কত নোংরামি করা হয়েছে ইন্টাররেন্টে। তার অপরাধ তিনি মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে লিখেন। আর তাকে আপনি সাক্ষ্য না দিতে চাওয়ার দায়ে অভিযুক্ত করে মুখোসধারী বলেন। পুরাই টাস্কিত অবস্থা। শুনেন আপনি যখন রাজাকার শব্দটার ‘র’ অক্ষরটাও চিনেন না তখন থেকেই স্যার রাজাকারদের বিরুদ্ধে ছিলেন;আছেন এবং থাকবেন। স্যার প্রতিদিন ফোনে যতটা হুমকি পায়; আপনি মনে হয় আপনার বান্ধবীদের কাছ থেকে ততটা মিসড কলও পান না। মৌলবাদী সহ জামায়ত শিবিরের হিট লিস্টে আজও উপরের দিকের প্রথম দুই তিনজনের লিস্টে জাফর ইকবাল স্যারের নাম থাকবে। ওই লিস্টে আপনার নাম ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপ দিয়েও খুজে পাওয়া যাবে না; হাবলের টেলিস্কোপ দিয়েও খুজে পাওয়া যাবে না।

সো মিস্টার মুসা ইব্রাহিম পোস্ট দেয়ার পর যেন পোস্ট আবার মুছে না দিতে হয় এইটা একটু খিয়াল কইরা। আমরা গেরামের পোলা না; গেরামের পোলারা শুধু গাইল দিতে জানে; আমরা গাইল দিতেও জানি ; আবার পোস্টের স্ক্রীন শটও নিয়ে রাখতে জানি।





Topu- 30.07.13

আজকে আমার ফ্রেন্ড লিস্টের কিশোর মাহমুদ নামে একজন স্ট্যাটাস দিয়েছে- 'এক বন্ধু ফোন দিয়ে জানালো তার ছোট ভাইয়ের সামান্য জ্বর হওয়ার কারনে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলে ডাক্তার সাহেব তাকে ৬টা টেস্ট দিয়েছে!

আমরা জানি জ্বর কোন রোগ নয়, রোগের পুর্ব লক্ষন। তাই বলে ৬টা টেস্ট!

এরা ডাক্তার না কসাই?'



এখন পর্যন্ত ৯৮ জন এইটা লাইক করে অশেষ নেকি হাসিল করেছে। কিন্তু এই রকম একটা মহৎ স্ট্যাটাস কেউ শেয়ার করে নাই দেখে ব্যথিত হলাম। সকালেই স্ট্যাটাসটা চোখে পড়েছে। কিন্তু সারাদিন ব্যস্ত ছিলাম। তাই রিপ্লাই দেয়া হয় নাই। এখন কিছু একটা লিখি।



জানতাম যে অল্প বিদ্যা ভয়ংকরী; কিন্তু কিশোর মাহমুদ ভাইয়ের স্ট্যাটাস পড়ে মনে হচ্ছে কোন বিদ্যা না থাকা আরো বেশি ভয়ংকর। যদি আপনার বন্ধু মনে করেন ছোট ভাইয়ের সামান্য জ্বর; তো ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়ার কি দরকার ছিল? বাংলাদেশের তো সবাই ডাক্তার। সামান্য জ্বর হলে কি খেতে হয় তা তো যার মুখে আজকে বুলি ফুটছে সেও বলতে পারবে। আর যেই ডাক্তার রোগীকে দেখেছে সে আপনাদের মত জ্বরটা সামান্য ভাবতে পারে নাই। তার মতে জ্বরে কিছু পরীক্ষা করানো দরকার। তাই সে কিছু টেস্ট দিয়েছে।এই টেস্ট দেয়াতেই আপনাদের গা জ্বলে গেল। তা ভাই আপনার বন্ধুকে বলতেন ডাক্তারকে একটু জ্ঞান দিয়ে আসতে কি রকম সিরিয়াস জ্বর হলে টেস্ট দিতে হয়। জ্ঞানের টাইটানিক কিশোর মাহমুদ ভাই আমাদের একটু জ্ঞান দিয়েছেন- 'জ্বর কোন রোগ নয়, রোগের পুর্ব লক্ষন'। জ্বর রোগের পূর্ব লক্ষন হলে ভাই পশ্চিম লক্ষনটা কী? আসল কথা হলো জ্বর রোগের লক্ষন।প্রায় একশ কারনে জ্বর হতে পারে। কিন্তু ডাক্তারের কাছে আসলে ডাক্তার কি তাহলে একশ রোগের পরীক্ষা করবে? অবশ্যই না। মাইর একটাও মাটিতে পড়বে না; সব পিঠে পড়বে। ডাক্তার রোগীর কাছে হিস্টোরি নিয়ে উনার কাছে যেই সব সম্ভাব্য কারনে জ্বর আসতে পারে বলে মনে হয় সেই সব পরীক্ষা করাবেন। আমাদের দেশে স্বাধারনত ভাইরাল ফিভার ইনক্লুডিং ডেঙ্গু (এখন ডেঙ্গুর সিজন চলছে) ম্যালেরিয়া; টাইফয়েড; প্রসাবে ইনফেকশন ইত্যাদি কারনে জ্বর হয়ে থাকে। সুতরাং একজন ডাক্তার অবশ্যই এই রোগগুলোর জন্য পরীক্ষা করাবেন। এর জন্য যদি ৬টা পরীক্ষা দেয়। আর আপনাদের মাথায় সপ্ত আসমান ভেঙ্গে পড়ে বুঝতে হবে এইটা আসমানেরও দোষ না; ডাক্তারের দোষ না; আপনাদের মাথার দোষ। আপনাদের বেশি বোঝার দোষ। এইটা একটা গুড প্র্যাকটিস- 'No antibiotic should be given without blood report unless the condition of the patient is severe enough'. অর্থাৎ রোগীর অবস্থা যদি খুব বেশি খারাপ না হয় তাহলে রক্তের পরীক্ষা ছাড়া কোন এন্টিবায়োটিক দেয়া যাবে না। সুতরাং যে বাঙ্গালির কাছে জ্বরের কারনে ডাক্তার ৬ টা পরীক্ষা দিয়েছে বলে ডাক্তারকে কসাই মনে হয় সে আর কোন ডাক্তারের কাছে যাবেন না। আপনারা ফার্মেসিতে যাবেন।ওইখানে ঔষধ বিক্রেতা আপনাদের প্রিয় কনসালট্যান্ট। আল্লাহ আপনাদের জন্যই এদের তৈরি করছে। এদের কাছে গেলে এরা আপনাদের ছররা গুলি টাইপের চিকিৎসা দিবে; যেই গুলিতে কাজ হয়। আপনিও সন্তুষ্ট; ফার্মেসির দোকানদারও সন্তুষ্ট; আমরা ডাক্তাররাও সন্তুষ্ট। আমি স্বীকার করি ডাক্তারদের ভিতরেও মন্দ লোক আছে। কিন্তু জ্বরের কারনে একজন ডাক্তার ৬টা পরীক্ষা দিয়েছে। শুধু মাত্র এই কারনে যে ডাক্তারদের অবলীলায় কসাই ডাকতে পারে; আমার মনে হয় সেই সব গরু-ছাগল চিকিৎসা করার জন্য ডাক্তার দরকার নাই। আমার উপরের লেখায় আমি এইটাই বুঝাতে চেয়েছি; আর কিছু না। বুঝলে বুঝেন; না বুঝলে অফ যান।





Topu- 04.08.13

দৃশ্য ১-১: দুইজন (পাকিস্তানি সৈন্য) ঘরে প্রবেশ করলো যেখানে কনের বাসর হবার কথা। বাকিরা রুমের বাহিরে পরিবারের বাকি সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে রাখলো।

দৃশ্য ২-১: আজকে ছোয়া অনেক উত্তেজিত। ওর স্বপ্নের পুরুষ শহীদ আফ্রিদির খেলা সরাসরি মাঠে দেখতে পারবে।



দৃশ্য ১-২: পরিবারের সবাই বাহির থেকে ভিতরে সৈন্যদের উত্তেজিত স্বরে কথাবার্তা শুনতে পেল এবং শুনতে পেল তাদের ছোট মেয়েটা প্রতিবাদ করার চেষ্টা করছে।

দৃশ্য ২-২: টিকিট জোগার করতে যে কি কষ্ট হয়েছে। ওর বন্ধুরা না থাকলে হয়তো এই টিকিট কখনো পাওয়া সম্ভব হতো না। যদিও টিকিট পাবার কারনে ওর বন্ধুদের একটা অনায্য আবদার রাখতে হয়েছে। এই সব ব্যাপার না। ওর স্বপ্ন পুরুষকে আজকে সামনা সামনা দেখতে পাবে এইটাই বড় কথা।



দৃশ্য ১-৩: রুমের ভিতর চুপচাপ নীরবতা যতক্ষন পর্যন্ত না মেয়েটা চিৎকার করতে করতে নিস্তেজ হয়ে গেল। কিছুক্ষন পর আবার মেয়েটার চিৎকার। তারপর আবার চুপচাপ।

দৃশ্য ২-৩:আম্মা আমার সবুজ টি-শার্টটা কোথায়? চিৎকার করলো ছোয়া ওর আম্মুর উদ্দেশ্যে। কাজের সময় কিছু পাওয়া যায় না। তবে প্লে-কার্ড ওর খুজতে হলো না। আগে থেকেই যত্ন্ব করে রেখে দিয়েছে। গতকাল সারারাত জেগে সে প্লে-কার্ডটা লিখেছে। ফাইনাল এক্সামের আগেও ও এত রাত জাগে নাই যতটা জেগেছে প্লে-কার্ডটা লেখার জন্য।



দৃশ্য ১-৪: কিছুক্ষন পর একজন সৈন্য রুম থেকে বের হয়ে আসলো। তার পোশাক বিধ্বস্ত। সে তার সঙ্গীর দিকে তাকিয়ে অশ্লীল ইঙ্গিত দিয়ে হাসলো।

দৃশ্য ২-৪: মুখে হালকা মেক-আপ ঘসে আংকেলের আমেরিকা থেকে পাঠানো পারফিউম সারা শরীরে মেখে তাড়াতাড়ি নিচে নেমে এল। নীচে বন্ধুরা অপেক্ষা করছে। দেরি হয়ে যাচ্ছে। কখন সে স্ট্যাডিয়ামে পৌছবে সে উত্তেজনায় তার কিছু ভালো লাগছে না।



দৃশ্য ১-৫: অন্য সৈন্য রুমে ঢুকে আগের সৈন্যের জায়গা দখল করলো। একে একে ছয় জন সৈন্য তাদের জায়গা বদল করলো। তারপর ছয়জন দ্রুত স্থান ত্যাগ করলো।

দৃশ্য ২-৫: স্ট্যাডিয়ামে ঢুকে কিছুই ভালো লাগছে না ছোয়ার। কখন আসবে তার স্বপ্ন পুরুষ। ঐ যে ঢুকেছে তার স্বপ্ন পুরুষ। উত্তেজনায় ছোয়ার নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে যাবার মত দশা। সে তার প্লে-কার্ডটা শক্ত করে ধরে বসে থাকলো।



দৃশ্য ১-৬: হতভাগ্য পিতা তার কন্যার সন্ধানে রুমে ঢুকে দেখলো তার মেয়ে বিছানায় অচেতন হয়ে শুয়ে আছে। সারা বিছানা রক্তের বন্যায় ভেসে যাচ্ছে। মেয়েটার সদ্য বিবাহিত জামাই রুমের ফ্লোরে বমির উপর শুয়ে আছে।

দৃশ্য ২-৬: ছোয়া তার প্লে-কার্ডটা উচু করে ধরলো- ‘আফ্রিদি, উইল ইউ ম্যারি মি?’



দৃশ্য ১-এর রেফারেন্সঃ Against Our will by Brownmiller; Page-82.

দৃশ্য২-এর রেফারেন্সঃ ওইদিন খেলার পরের দিনের সমস্ত পত্রিকা। যদিও স্ট্যাডিয়ামে যাবার আগের অংশটুকু আমার কল্পনা।





Topu- 15.08.13

জাফর ইকবাল স্যারকে নিয়ে লেখা একটা নোটে আমি লিখেছিলাম- 'স্যার, আপনি বড্ড অসভ্য একটা সমাজে বড্ড অকৃতজ্ঞ একটা জাতির মাঝে জন্মগ্রহন করেছেন। এই জাতি ২০০ বছর ইংরেজদের গোলামি করেছে; ২৪ বছর পাকিস্তানিদের দ্বারা ধর্ষিত হয়েছে; ৪০ বছর ইন্ডিয়ার দ্বারা শ্লীলতাহানির স্বীকার হচ্ছে। হবেই কারন এই জাতি এইটারই প্রাপ্য।' অনেকে আমার এই লাইনে আপত্তি করেছিল, কিন্তু আমি সত্যি সত্যি বিশ্বাস করি এই জাতির এইটাই প্রাপ্য। পাকিস্তানের হাত থেকে ধর্ষিত হওয়া থেকে রক্ষা পাবার পর যে জাতি কাপড়টাও ঠিক করতে পারেনি; তারই(৩/৪ বছরের মধ্যে) মধ্যে যেই জাতি তার বীরদের এইভাবে নৃশংসভাবে মেরে ফেলতে পারে ওই জাতি আর কি ভালো আশা করতে পারে? একজন বঙ্গবন্ধু; একজন তাজউদ্দীন, একজন মনসুর, একজন নজরুল ইসলাম ,একজন কামরুজ্জান, একজন তাহেরকে মেরে ফেললে এই দেশটা বারুদের আগুনের মত জ্বলে উঠার কথা ছিল। কিন্তু তার বদলে এই জাতি কি করেছে? রানীক্ষেত রোগে আক্রান্ত মুরগীর মত ঝিমিয়েছে। আর এই প্রজন্মের পোলাপান তো আর তামাশা। গত ৪২ বছর যেই পাকিস্তান আমাকে কাছে সামান্য ক্ষমা পর্যন্ত চায় নাই; বরং বিভিন্ন সময় আমাদের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বিভিন্ন আপত্তিকর মন্তব্য করেছে। সেই পাকিস্তানের আফ্রিদির সেঞ্চুরিতে বুম বুম আফ্রিদি লিখে স্ট্যাটাস দেয়; স্টেডিয়ামে মেয়েরা প্লে-কার্ড নিয়ে হাজির হয় 'আফ্রিদ, উইল ইউ ম্যারি মি'। অথচ জানে না (জানলেও কি আসে যায়?) এখনো দুই লক্ষ মা বোন পাকিস্তানে পতিতালয়ে আটকা পড়ে আছে। কারো কোন ভ্রু-ক্ষেপ নাই এই সব ব্যাপারে। চিহ্নিত রাজাকারেরা দেশের মানুষের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হয়ে এই দেশের মন্ত্রীসভার মন্ত্রীর পদ অলংকৃত করে গাড়িতে আমাদের জাতীয় পতাকা লাগিয়ে ঘুরে। অথচ একটু চিন্তাও করে না এই পতাকা পেতে আমাদের ৩০ লক্ষ ভাই; ৩ লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রম হারাতে হয়েছে। তাতে এই হারামখোর জাতির কিচ্ছু আসে যায় না; কিচ্ছু আসে যায় না।

— feeling sad.





Topu- 18.08.13

:স্যার, একটা প্রশ্ন- আপনি কেন আপনার পিতার খুনীর বিরুদ্ধে ট্রাইবুনালে সাক্ষ্য দিতে যাননি?

:‘আমার বাবা শহীদ হওয়ার বিষয়ে তথ্য নেওয়ার জন্য আমাদের বাড়িতে তদন্ত সংস্থার লোক গিয়েছিলেন। আমরা তাঁদের তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছি। কিন্তু ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য আমাকে কিংবা আম্মাকে ডাকা হয়নি। ডাকলে নিশ্চয়ই আমরা সাক্ষ্য দিতে ট্রাইব্যুনালে যেতাম।’"



:কিন্তু স্যার আমার প্রশ্ন হলো- আপনি কেন আপনার পিতার খুনীর বিরুদ্ধে ট্রাইবুনালে সাক্ষ্য দিতে যাননি?

: বললাম তো আমার বাবা শহীদ হওয়ার বিষয়ে তথ্য নেওয়ার জন্য আমাদের বাড়িতে তদন্ত সংস্থার লোক গিয়েছিলেন। আমরা তাঁদের তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছি। কিন্তু ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য আমাকে কিংবা আম্মাকে ডাকা হয়নি। ডাকলে নিশ্চয়ই আমরা সাক্ষ্য দিতে ট্রাইব্যুনালে যেতাম।



: স্যার, আপনি হয়তো আমার প্রশ্নটা বুঝতেছেন না। আমার প্রশ্ন হলো- আপনি কেন আপনার পিতার খুনীর বিরুদ্ধে ট্রাইবুনালে সাক্ষ্য দিতে যাননি?

:বললাম তো আমার বাবা শহীদ হওয়ার বিষয়ে তথ্য নেওয়ার জন্য আমাদের বাড়িতে তদন্ত সংস্থার লোক গিয়েছিলেন। আমরা তাঁদের তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছি। কিন্তু ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য আমাকে কিংবা আম্মাকে ডাকা হয়নি। ডাকলে নিশ্চয়ই আমরা সাক্ষ্য দিতে ট্রাইব্যুনালে যেতাম।



: আপনার কথা বুঝতে পারছি। আপনার কথায় যুক্তি আছে। কিন্তু আপনি কেন ট্রাইবুনালে সাক্ষ্য দিতে গেলেন না এইটা যদি একটু বুঝিয়ে বলতেন।

:একই কথা- আমার বাবা শহীদ হওয়ার বিষয়ে তথ্য নেওয়ার জন্য আমাদের বাড়িতে তদন্ত সংস্থার লোক গিয়েছিলেন। আমরা তাঁদের তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছি। কিন্তু ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য আমাকে কিংবা আম্মাকে ডাকা হয়নি। ডাকলে নিশ্চয়ই আমরা সাক্ষ্য দিতে ট্রাইব্যুনালে যেতাম।



:ধুস শালা, এক কথা বার বার কস।শালা তুই আওয়ামীলীগের দালাল, তুই নাস্তিক। তোর ফাসি চাই।





Topu- 29.09.13

এক ফ্রেন্ডের ফোন, 'তপু, তুই কোথায়?'

'এইতো আছি ঢাকাতেই'।

'বাসায় কখন ফিরবি'?

'একটু পর'।

'বিকালের দিকে কি কাজ'?

'এত হিসাব নিচ্ছিস কেন? কি দরকার বল।'

'আমার সাথে বিকালে সেগুন বাগিচা যেতে পারবি?'

মন আনন্দে নেচে উঠলো। কোথাও বেড়াতে যাবার দাওয়াত মানেই খাবার দাবার। আই লাইক টু ইট;আই লিভ টু ইট।

'অবশ্যই যেতে পারবো।'

'আমার এক ফ্রেন্ডের কাগজপত্র সত্যায়িত করে দিতে হবে'।

মনটাই দমে গেল। না হয় চ্যাম্বার ট্যাম্বার করি না। পসার প্রতিপত্তি নাই। না হয় এলাকাতেও কেউ চিনে না। তাই বলে এভাবে অপমান? সত্যায়িত করতে আমাকে সেগুন বাগিচা যেতে হবে? আর এই ডিজিটাল যুগেও মুগদা টু সেগুন বাগিচা দূরত্ব নেহায়েত কম না।

চুপ করে আছি দেখে বন্ধু জিজ্ঞেস করলো, 'কিরে চুপ করে আছিস কেন? সেগুন বাগিচা তো বেশি দূরে না'।

আমি মিনমিন করে বললাম,' হুমম সেগুনবাগিচা বেশি দূরে না। আমাদের বাসার ছাদে উঠলে দেখা যায়'।

'হুমম' ফ্রেন্ড রিপ্লাই দিলো।

আমি আবার বললাম, 'দোস্ত তোর আর কোন ফ্রেন্ড আছে নাকি মতিঝিল গুলিস্তানের দিকে। সেগুনবাগিচা গেলে একেবারে ওদের টাও সত্যায়িত করে দিয়ে আসতাম।'

'তপু তুই কি আমার সাথে ফাজলামি করতেছিস'।

'নাহ কিসের ফাজলামি?' মানুষ অনুরোধে ঢেকি গেলে; আমি অনুরোধে ট্রাক্টর গিলতে রাজী হলাম।

দোস্তকে রিকোয়েস্ট করলাম, 'দোস্ত আমি যে তোর বন্ধুকে সত্যায়িত করতে সেগুন বাগিচা যেতে চাচ্ছি দয়া করে এই কথা কাউকে বলিস না। এমনিতেই মান ইজ্জত বলতে কিছু নাই। এই খবর শুনলে যে টুকু অবশিষ্ট আছে তাও থাকবে না'।

সত্যায়িত শেষে হালকা খানা পিনা হলো। বাসায় ফিরবো। আজকে আবার হার্ট দিবস। হার্ট-কে ভালো রাখার জন্য পরামর্শ দিয়েছে পত্রিকায় আপনার গন্তব্যস্থল থেকে একটু আগে গাড়ি ছেড়ে দেন। বাকিটুকু হেটে যান। রিক্সাওয়ালাদের পিলেচমকানো ভাড়া শুনে আমি রিক্সায় না চড়ে পুরা রাস্তায় হেটে আসলাম। বিশ্ব হার্ট দিবসে সবার হার্ট ভালো থাকুক। রিক্সাওয়ালাদের অবশ্য হার্ট নিয়ে কোন চিন্তা নাই। এই শালাদের হার্ট-ই নেই।





Topu- 29.09.13

মেডিকেলের ফার্স্ট ইয়ার বা সেকেন্ড ইয়ারের ঘটনা। আমার রুম মেট Tareq সাথে ওর এক স্কুলের বড় ভাই Tanveen Kamal ভাইয়ের রুমে প্রায়ই যেতাম। ভাইয়াকে খুব ভালো লাগতো বলে যেতাম ব্যাপারটা তা না। ভাইয়ার রুমের কাবার্ডে বিভিন্ন খাবার থাকতো যেমন ম্যাংগো বার, বিস্কুট, চকলেট মূলত ওইগুলার লোভেই যেতাম। ভাইয়াটাকে আমার কেমন যেন পাগল পাগল মনে হতো। উনার সারাঘর ছড়ানো নানারকম ইংলিশ ব্যান্ডের সিডি ছড়ানো থাকতো। পরদিন উনার আইটেম পরীক্ষা; দেখা যেত কানে হেডফোন গুজে পড়াশোনা করছে; মাঝে মাঝে চেচিয়ে আবার গানেও কন্ঠ মেলাচ্ছে। উনার রুম মেটদের জন্য আমার আফসোস হতো। আহারে কি এক পাগল রুম মেট জুটেছে কপালে (কে জানতো তখন অলক্ষ্যে কেউ আমার রুমমেটদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে মুচকি হাসছিল)। ভাইয়াকে একদিন জিজ্ঞেস করলাম ভাইয়া এইগুলা কি শুনেন? চিল্লাচিল্লি ছাড়া তো আর কিছুই শোনা যায় না। ভাইয়া কি মনে করে আমার হাতে মেটালিকার 'ব্লাক' অ্যালবামটা দিলো। তখন কে জানতোএকটা নক্ষত্র তার জায়গা বদল করতে যাচ্ছে নিতান্ত অনাগ্রহ নিয়ে হাতে নিলাম। রুমে এসে ছাড়লাম। প্রথম গান 'Enter Sandman', মোটামুটি; তারপরের গান Sad But True খারাপ না; চার নাম্বার গান The Unforgiven শুরু হলো কেমন যেন ঝি ঝি পোকার মত শব্দ। তারপর ড্রামের বাড়ি; তারপর গীটারের সুর। পুরা গান শুনে আমি পুরা জমে গেলাম। রবি ঠাকুরের ভাষায় বলতে গেলে বলতে হয়, 'এ আমি কি শুনিলাম'। একবার, দুইবার, দশবার, একশবার; একহাজার বার শুনলাম। এনাটমি ভবনের আমাদের চার জনের রুমটা তখন Unforgiven ময়। আমি নাচুনে বুড়ি টাইপের পোলা; এই গানটা ছিল ঢোলের বাড়ি। গানের এক অন্য জগতে তখন ঢুকলাম যেই জগতটা তখন পর্যন্ত ছিল আমার অজানা। ঢাকায় আমার এক ফ্রেন্ড ছিল Tarik। ওরে এসে শুনালাম। তারপরে দুইজনের তখন শুরু হলো এক অজানা জগতের সন্ধান। কামাল ভাইয়ের কাছ থেকে প্রতিবার ঢাকায় আসার আগে কয়েকটা করে সিডি নিয়ে আসতাম; পিসিতে কপি করে ফেরত দিতাম; আর নিউমার্কেট; রাইফেলস স্কয়ারের সিডি দোকানগুলো হয়ে গেল আমাদের তীর্থস্থান। Metallica, Megadeth, Iron Maiden, Judas Priest, Dream Theatre, Black Sabath, Linking park, AcDc,Guns N Roses, Iced Earth, Van Halen, Dio, Sinergy, Disturbed, Sabatage, Eagles, Deep Purple, Skid Row, Nirvana, Ozzy Osbourne, Red Hot chili Pepers, Creed, Evanescence, POD, Nickle Black, Meat Loaf এগুলান হয়ে উঠলো আমার নাওয়া খাওয়া। দুই তিন বছরে আমার আর তারেকের মেটাল গানের কালেকশন যখন আর সামাল দেয়া যাচ্ছিল না তখন তারেক গানগুলান ডিভিডি করে ফেলার সিদ্ধান্ত নিল। সব মিলিয়ে আমাদের এমপ্রি ফরম্যাটে গানের সাইজ দাড়ালো প্রায় ৩০ জিবি। এমন কোন ব্যান্ড ছিল না যাদের গান আমাদের কাছে ছিল না। এখন সবাই ব্যস্ত; সেই পাগলামি কমে আসলেও মেটাল গানের আবেদন এতটুকুও কমে নাই; এখনো The Unforgiven গানটা আমাকে অন্য এক জগতে নিয়ে যায়; Fear of the Dark শুনে তব্দা মেরে যাই; Back in black রক্তে নাচন তুলে; Paranoid শুনে সেইরকম মজা পাই। তবে বাহিরের দেশের মেটাল গান শুনে আমার সেই লাভটা হয়েছে আমাদের দেশি ব্যান্ডের প্রতি সম্মান বেড়েছে। আগে যখন শুধু মাত্র দেশি ব্যান্ড LRB,Feelings,Miles,Feedback,Prometheus, Warfaze, Ark-এ বুদ হয়ে থাকতাম মনে হতো আহারে বাহিরের দেশের ব্যান্ডগুলো কি না জানি রসগোল্লা টাইপের মিউজিক বানায়; কি জানি বাজায়। সবার প্রতি পূর্ন সম্মান রেখেই বলছি আমাদের দেশি ব্যান্ডগুলোর মান যথেষ্ট ভালো। যখন বিশ্বের সেরা সেরা মেটাল ব্যান্ডগুলোর গান মুগ্ধ হয়ে শুনছি তখন LRB-এর 'অচেনা জীবন' এলবামটাকে আমার মনে হয়েছে অসাধারন একটা অ্যালবাম। সারা বিশ্বের সেরা সেরা মেটাল ব্যান্ডের গান শোনার পর আমার প্রিয় দুইটা ব্যান্ড হলো- Metallica & LRB.

প্রিয় ব্যান্ড AcDc-এর ভাষায় বলতে চাই-

'For those about to rock, We salute you,

'For those about to rock, We salute you.





Topu- 06.10.13

মালালা যদি শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পায় তবে সানি লিয়নকেও শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেয়া উচিৎ। দুনিয়ার বেশিরভাগ মানুষ যদি পুরুষ হয় তাহলে বলতে হয় দুনিয়ার বেশিরভাগ মানুষকে শান্তি দেয়ার চেষ্টা করেছে সানি লিয়ন। আর এদিকে মালালা পাকিস্তান নামক একটা অপদার্থ, অযোগ্য; অকার্যকর দেশের অধিবাসী হয়ে নারী শিক্ষার পক্ষে বলতে গিয়ে একটা গুলি খেয়ে বিশ্ব শান্তির জন্য কি ঘোড়ার ঘাসটা কাটলো বুঝলাম না যেখানে পাকিস্তানে দিনে দুপুরে বোমাবাজি; গোলাগুলি পুরা ডালভাত ব্যাপার স্যাপার। চিন্তা করতে করতে আমি স্পীকার হয়ে যাচ্ছি। — feeling মাইসেলফ স্পীকার।





Topu- 07.10.13

কয়েকদিন আগে আসিফ নজরুল সাহেব অনন্ত জলিলের সিনেমা দেখে এসে প্রথম আলোতে একটা কলাম লিখেছেন 'অনন্ত জলিলঃ কিছু আত্মজিজ্ঞাসা' নামে। এই কলামে তিনি লিখেছেন দেশের তরুনদের মধ্যে ভয়াবহ একটি শ্রদ্ধাহীন অংশের বিকাশ হচ্ছে। তাদের সামনে কোন আইডল নাই; শ্রদ্ধা করার মত কোন মানুষ নাই। উদাহরন টেনে তিনি বলেছেন, 'যে নেত্রী তিন বারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী; তার জন্মের বৈধতা আর চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়।' আসিফ নজরুল সাহেব চোখে কি টিনের চশমা পড়ে থাকেন? তিন বারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীর ৫টা জন্মদিন কিভাবে হয় বলেন দেখি। দেখেন না হঠাৎ করে অহি প্রাপ্ত হয়ে এই সাবেক প্রধানমন্ত্রী ১৫ আগস্ট জাতির জনকের শহীদ হবার দিনটাতে কিরকম ৭০ পাউন্ডের কেক কেটে আনন্দ উল্লাস করে জন্মদিন পালন করেন? এইটা আপনার চোখে পড়ে না মিস্টার ছাগু? নাকি এই শোক দিবসে প্রধানমন্ত্রীর মিথ্যা জন্মদিন পালন করাকে আমাদের হাত তালি দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো উচিৎ? দেশের মানুষ যদি শ্রদ্ধাহীন হয় তাহলে আপনাদের মত ভন্ড মানুষগুলোর জন্যই হচ্ছে। আপনার মত শিক্ষিত মানুষ যখন জামায়াত শিবিরের পক্ষ নিয়ে কথা বলেন তখন আর আপনাদের প্রতি কোন শ্রদ্ধা আসে না; আসে ঘৃনা।

অনন্ত আপনাদের মত শিক্ষিত জ্ঞানপাপীদের চেয়ে অত্যন্ত শ্রদ্ধার পাত্র; এইটা আমি স্বীকার করি।







Topu- 08.10.13

হুমায়ুন আহমেদ স্যার যখন আমেরিকায় পলিমার রসায়নে পিএইচডি করতে যান উনাকে কোয়ান্টিম ম্যাকানিক্সের একটা কোর্স করতে হয়। খটমটে কেমিস্ট্রি সাব্জেক্টের ততোধিক খটমটে সাবজেক্ট। নিজের মেধা ও বুদ্ধির উপর সীমাহীন আস্থা থাকায় আগের কোন কোর্স না করেই স্যার ৫০০ মার্কস-এর কোর্স নিয়ে নেন। কোর্স কো-অর্ডিনেটর মার্ক গর্ডন-এর চোখ রাঙ্গানিকে পাত্তা না দিয়েই শুরু হয় এই কোর্স যাত্রা। কিন্তু লেকচার শুরু হতেই স্যার বুঝতে পারেন কত বড় ভুল করে ফেলেছেন। মার্ক গর্ডন লেকচার দিয়ে ক্লাসে মোটামুটি ঝড় বইয়ে দিলেন। সেই ঝড়ে হুমায়ুন স্যার বলতে গেলে প্রায় উড়ে গেলেন। লেকচার সব মাথার এন্টেনার উপর দিয়ে চলে গেল। ১ম দিন লেকচার শেষে স্যার বললেন, 'সহজ বিষয়গুলো নিয়ে আজকে আলোচনা করলাম'। স্যারের মাথায় সপ্ত আসমান ভেঙ্গে পড়লো। সহজ বিষয়েরই উনি কিছু বুঝেন নাই; কঠিন বিষয় কি করে বুঝবেন? নিজের মেধা ও বুদ্ধির উপর আস্থা ততক্ষনে ভেঙ্গে শতধা হয়ে গেছে। উনার ইনসোমনিয়ার মত হয়ে গেল। লং ডিসট্যান্স কল করে মাঝে মাঝে জাফর ইকবাল স্যারের সাথে কথা বলে সাবজেক্ট একটু বোঝার চেষ্টা করেন। মিড টার্ম পরীক্ষা চলে আসলো। পরীক্ষায় স্যার পেলেন ১০০-তে ০। মার্ক গর্ডন ডেকে বললেন, 'তুমি কোর্স ছেড়ে দাও।' কি লজ্জার কথা। অথচ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের সভাপতি প্রফেসর আলি নওয়াব স্যার প্রসঙ্গে চেয়ারম্যানকে একটি চিঠিতে লিখেছেন—ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগ যে অল্পসংখ্যক অসাধারণ মেধাবী ছাত্র তৈরি করেছে, হুমায়ূন আহমেদ তাদের অন্যতম।' স্যার গো ধরে লেগে রইলেন। স্কলারশিপ বাতিল হয়ে যাবার আশংকাকে পাত্তা না দিয়ে স্যার খেটে খেটে কোয়ান্টিম মেকানিক্স নিজে নিজেই শিখলেন। ফাইনাল পরীক্ষায় স্যার ১০০-তে ১০০ পেয়েছিলেন। যেই মার্ক গর্ডন উনাকে কোর্স ছেড়ে দিতে বলেছিলেন তিনি স্যারকে তার সাথে কাজ করার অফার করলেন যদিও স্যার রাজি হন নাই। এত কিছু বলার একটাই অর্থ দুনিয়াতে অসম্ভব বলে কিছু নাই। আজকে হুমায়ুন আহমেদ স্যারের এই প্রসঙ্গ টেনে আনার একটাই কারণ- গত কয়েকদিন ধরেই দেখছি মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার রেজাল্টে আনিকা তাহসিন নামের এক মেয়ের ৯৬.৫ পাওয়া নিয়ে সবাই কিভাবে মেয়েটাকে নোংরা ভাষায় আক্রমন করছে। শুধুমাত্র সন্দেহের বশবর্তী হয়ে কাউকে এইভাবে আক্রমন কত রুচিসম্পন্ন এই বিচারের দায়িত্ব আমার ডাক্তার ফ্রেন্ডদের কাছে দিয়ে গেলাম। এইবার শুনেছি মেডিকেলের প্রশ্ন অনেক সহজ হয়েছে। এত সহজ প্রশ্নে ৯৬.৫ পাওয়া কি একেবারেই অসম্ভব? আমার পক্ষে অসম্ভব। কিন্তু কারো না কারো পক্ষে তো সম্ভব হলেও হতে পারে। তাই সন্দেহের বশবর্তী হয়ে কাউকে এভাবে ব্যক্তিগত আক্রমনের নিন্দা জানাই। সাথে সাথে নিন্দা জানাই সরকারের প্রশ্নপত্র ফাস আটঁকাতে না পারার ব্যর্থতাকে। নতুন যারা ডাক্তার জীবনের বন্ধুর পথে পা দিয়েছ সবাইকে অভিনন্দন ও শুভকামনা।











Topu- 21.10.13

হরলিক্স-এর বিজ্ঞাপনের ভাষা শুনলে মনে হয় হরলিক্স নিয়া যত রিসার্চ হইছে বিগ ব্যাং নিয়েও এত রিসার্চ হয় নাই।



Topu- 01.11.13

খবরটা অলরেডী অনেকে বলে ফেলছে, তাও না বলে পারছি না।



প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আর বিরোধীদলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ফোনালাপ প্রকাশ হবার পরে,"আসিফ নজরুল ছ্যার বলেন,

"কারও সম্মতি ছাড়া তার ব্যক্তিগত কথোপকথন প্রকাশ করা বেআইনি।"



স্কাইপি কথোপকথন প্রকাশের পর তিনি বলেছিলেন,

"মাহমুদুর রহমান, জুলিয়ান আসেঞ্জ এর মত কাজ করেছেন। তাকে পুরস্কৃত করা উচিত।"



মহাত্মনের কাছে অধমের বীনিত প্রশ্ন, ' স্যার, গাঞ্জা কি আজকাল জলের দামে বিকোচ্ছে? ডাইল কি আজকাল ভাতের সাথেও খাওয়া শুরু করছেন নাকি? না মানে আমরাও ডাল ভাতের সাথেই খাই। তবে আমি ঐ ডাইল মীন করি নাই। কি ডাইল মীন করছি নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন।' — feeling কেউ আসিফ নজরুলরে চুলকে দে; নয়তো চুলকানির মলম দে।







Topu-16.11.13

বিদায় টেন্ডুলকার। জীবনের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচে খেলে রঙ্গ মঞ্চ থেকে বিদায় নিলেন রেকর্ডের বরপুত্র। টু-টুয়েন্টির এই উড়াধুরা সময়ে ব্যাকরনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে বোলারকে বেধরক মারাই হুচ্ছে যখন ব্যাটসম্যানের কাজ, ক্রিকেট খেলার সাথে বেসবল খেলার পার্থক্য বুঝতে গেলে যেখানে স্কোর দেখতে হয়; সেখানে টেন্ডুলকারই ছিলেন বিশুদ্ধতার আবরণে মোড়ানো এক খুনে ব্যাটসম্যান। বয়স তার খেলার উপর যথেষ্ট টোল আদায় করলেও এ কথা নিশ্চিৎ করে বলা যায় বিশুদ্ধ ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় প্রতিনিধি ছিলেন টেন্ডুলকার। এই রকম একজন বিশুদ্ধ ব্যাটসম্যান আমাদের আর পাবার সৌভাগ্য হবে কিনা কে জানে। তাই টেন্ডুলকারের বিদায়ে ক্রিকেট দুনিয়া শুধুমাত্র একজন রেকর্ডের বরপুত্রকেই মিস করবে না; মিস করবে একজন বিশুদ্ধ ব্যাটসম্যানকে; মিস করবে একজন জেনুইন ভদ্রলোককে। দুইটাই এই সময়ের ক্রিকেটে বড় দরকার।

মিস্টার টেন্ডুলকার ক্রিকেট দুনিয়াটাকে বড় এতিম করে দিয়ে গেলেন।



Topu-27.11.13

জাফর ইকবাল স্যারকে বিজ্ঞানী উল্লেখ করে এক বাম বড় ভাই স্ট্যাটাস দিয়েছেন-



"যে বিজ্ঞানী জাতীয় সম্পদ পাচারের প্রতিবাদ করে নাই,

যে বিজ্ঞানী প্রতিবেশীর আগ্রাসী বাজারের বিরুদ্ধে দাড়ায় নি,

যে বিজ্ঞানী ৪০০০ টাকা দামের শ্রমিকের পাশে দাড়ায় নি,

যে বিজ্ঞানী নোবেল বিজয়ীর সর্বগ্রাসি লুণ্ঠনের প্রতিবাদ করেনি,

যে বিজ্ঞানী গণতান্ত্রিক রাজনীতি আর উৎপাদনের কথা না বলে কিশোরকে করেছে যুদ্ধ বিমুখ, রাজনীতি বিমুখ সেই বিজ্ঞানী অন্যদের চেয়ে খুব কি আলাদা?"



আমার কমেন্ট- 'বাংলাদেশের সবকিছু যদি স্যারকেই করতে হয় তাহলে ১৬ কোটি আবাল আছে কি বাল ফালাইতে??? মনে হয় সব দায়িত্বই স্যারের। স্যার যে অল্প কয়টা কাজই করেছে এইটাই আপনারা কয়জন করতেছেন ফেইবুকে বইসা বাল ফালানো ছাড়া।



আরেকজনের পোস্ট- বহুত তেনা প্যাচাইয়া উনার উপসংহার হইলো- 'জাফর ইকবাল ও আসিফ নজরুলের মাঝে উনি কোন তফাত দেখেন না।'

আমিও বলতে চাই- ভাই, রাম ছাগল আর আপনার মাঝে কোন তফাত দেখি ন। তবে রাম ছাগলগুলো একটু স্মার্ট; দাড়ি আছে তো। — feeling শ্রদ্ধেয় সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, নাদের আলীকে কাইন্ডলি জিজ্ঞেস করবেন- আমি আর কত বড় স্পীকার হবো?????





Topu- 15.12.13

আমার সমস্ত মেধা,বুদ্ধি,মনন,প্রজ্ঞা নিয়ে ডিপার্টমেন্টাল পরীক্ষার প্রথম পত্রে আবারো অশেষ কৃতিত্বের সাথে ডাব্বা মেরেছি। দুর্নিতী এখন এই সেক্টরেও হানা দিচ্ছে। স্যাররা আবার পরীক্ষার খাতা পড়া শুরু করেছেন। স্যারদের বুঝা উচিৎ পরীক্ষা দিতে যাবার আগে এবং পরীক্ষা দিয়ে এসে ফেইসবুকে কি স্ট্যাটাস দিবো এইটা নিয়ে এত চিন্তায় থাকতে হয় যে চিন্তার চোটে পড়াশোনা করার সময়ই পাই না। আমি অবশ্য একা ফেল করি নাই। আশে পাশের সবাইকে নিয়ে ফেল করেছি। আমার রোল ছিল ---৫৩। ৫০ থেকে ৬০ পর্যন্ত কেউ পাস করে নাই। নিজের প্রভাবে নিজেই মুগ্ধ হয়ে যাচ্ছি। ২০১৩ সালের সেরা প্রভাবশালী লোকের মাঝে আমার নাম অন্তর্ভূক্ত করার জোর দাবি জানাচ্ছি। আর এই স্ট্যাটাস বেশি বেশি করে শেয়ার করে লোকজনকে ফেইসবুকের মাত্রাতিরিক্ত কুফলতা সমন্ধে সতর্ক করুন। এই ব্যাপারে আমার নামের প্যাটেন্ট চেয়ে বসবো নাকি বুঝতেছি না।



Topu- 16.12.13

আমার ফ্রেন্ডদের জন্য একটা শিক্ষামূলক স্ট্যাটাসঃ



কয়েকদিন আগে এক বন্ধুর বাসায় গিয়েছিলাম। এক বাটি স্যুপ আর কাবাব খাওয়ার পর বন্ধু জিজ্ঞেস করলো- 'কফি খাবি'? আমি বললাম , 'নাহ'। বন্ধু দেখি আর কিছু বলে না। আমি বললাম, 'কি রে মাত্র এক বার সেধেই থেমে গেলি? ভদ্রতা টদ্রতা কিছু শিখিস নাই নাকি? একবার সাধছিস, আমি না করেছি। তারপর আবার সাধবি। তারপরেও যদি না করি; তার মানে 'না'। বন্ধু নিতান্ত অনিচ্ছায় জিজ্ঞেস করল, 'কফি খাবি'? আমি বললাম, 'আগের বারেই সাধলে খাইতাম না; কিন্তু এখন তোকে ভদ্রতা শেখানোর জন্য খাবো'। এক বাটি স্যুপ; কাবাব আর পানি খাওয়ার পর আর কিছু খাওয়ার মত অবস্থা ছিল না। বন্ধুর বাসায় যাবার আগে ব্যাক আপ একটা পাটি সাপটা পিঠাও খেয়েছিলাম এইটা আর গোপন না করি। বন্ধুকে ভদ্রতা শেখানোর জন্য আমাকে কষ্ট করে আবার কফি খেতে হলো। মানুষকে ভদ্রতা শেখাতে গিয়ে এভাবে আমাকে যে আর কত কষ্ট করতে হবে আল্লাহ মালুম।



Topu- 19.12.13

"আমি লিখে দিতে পারি, এ সরকারের আমলে বিশ্বজিৎ হত্যার বিচার হবে না" -আসিফ নজরুল



(২০১২ সালের ১৪ ডিসেম্বর বাংলাভিশনের ফ্রন্টলাইন অনুষ্ঠানে)



'' আমি লিখে দিতে পারি আসিফ নজরুলের প্যান্ট খোলা হলে তার পেছনে ছাগলের মত একটা লেজ দেখা যাবে" - ডাঃ মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান তপু



(২০১৩ সালের ১৯ ডিসেম্বর রাত ৮ টা বেজে ৮ মিনিটে ফেইসবুকের এক স্যটাটাসে)



মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২৬

মোঃ আনারুল ইসলাম বলেছেন: পুরা প্যাকেজ একদিনেই দিলেন। ;) ;)

২| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩০

অদিব বলেছেন: পুরো বছরের স্ট্যাটাস একদিনে! :-* :-* :-*

৩| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫১

মেনন আহমেদ বলেছেন: ভালো লাগতো যদি এর মধ্যে কৌশলে রাজনীতি না ঢুকাতেন।

৪| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫৮

মেনন আহমেদ বলেছেন: ফালতু

৫| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:২৩

anonno420 বলেছেন: ফালতু

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.