নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এস. এম. হাসান (তপু)

একটি পৃথিবী ৭০০ কোটি মানুষ, তবুও আমি একা

tapu88

আমি একজন সাধারন মানুষ। আমি পরিবর্তন শীল মানুষ আমি সৃজনশীলতা কে এবং সৃজনশীলতা কাজ করতে ভালোবাসি যারা এই কাজে নিয়োজিত তাদের কে ভালো লাগে। আমি একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এবং আমার আত্মবিশ্বাস যে আমি এই ছোট থেকে একদিন বড় হব। সবার দোয়া প্রার্থী।

tapu88 › বিস্তারিত পোস্টঃ

অজানা রহস্য (দ্বিতীয় খন্ড)

২০ শে জুন, ২০১৩ রাত ৯:২৩

গাছ নিয়ে অন্যরকম কিছু করার উদ্দেশ্যে সুইডিশ বংশভূত আমেরিকান চাষি অ্যাক্সেল আরলন্ডসন কাজ শুরু করেন। গাছকে কেটে, ছেঁটে, বাঁকিয়ে, জোড়া দিয়ে আকার-আকৃতি এমন করেছেন যাতে সৃষ্টি হয়েছে নতুন এক শিল্পের। যা আজও মানুষের কাছে বিশ্ময় হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। অ্যাক্সেল আন্ডারসন গাছগুলোর নাম দিয়েছিলেন 'সার্কাস ট্রি'।



অ্যালেক্স এন্ডারসন একবার ছয়টি একই প্রজাতির গাছের চারা এক জায়গায় বৃত্তাকারে একটু দূরে দূরে লাগালেন। চারাগুলো বাড়তে শুরু করলে তিনি পাশাপাশি দু’টো চারাকে টেনে কাছাকাছি নিয়ে এলেন। মাটি থেকে একটু ওপরে গাছের বাকল চেঁছে গাছ দুটি একসঙ্গে বেঁধে রাখলেন। এভাবে ছয়টি গাছ তিনটি জোড়ায় বাঁধলেন। গাছগুলোর মাথা কিন্তু আলাদাই থাকল। কিছুদিন পর দেখলেন, বেঁধে দেওয়া অংশটুকু এমনভাবে জোড়া লেগে গেছে যে ওই অংশটুকু একটি গাছই মনে হচ্ছে। এভাবেই গাছগুলো বাড়তে থাকল এবং সৃষ্টি হলো সত্যিকারের সার্কাস ট্রি।



এরপর এন্ডারসন আবার জোড়া লাগানোর কাজ শুরু করলেন। তবে একটু অন্যভাবে। এবার প্রতি জোড়া লাগানো গাছ থেকে একটি গাছ টেনে পাশেরটির সঙ্গে আগের মতো একইভাবে বেঁধে দিলেন। এভাবে ধাপে ধাপে বিপরীতক্রমে একই কাজ করে তিনি পাঁচ ধাপে সম্পন্ন করলেন। এভাবে বাঁধতে বাঁধতে একসময় দেখলেন, সব গাছ মিলে এক অসাধারণ শিল্পে রূপ নিয়েছে। ছয়টি গাছকেই একটি গাছ মনে হচ্ছে। মানুষ অবাক নয়নে গাছের এই শিল্প দেখে টাসকি খেয়ে গেলেন।



যতটুকু জোড়া বাঁধা, সে অংশটুকু ডায়মন্ড আকারের ফাঁকা সমৃদ্ধ একটি ঝুড়ির মতো হয়েছে। তাই তিনি সে গাছগুলোর নাম দিয়ে দিলেন সার্কাস বাস্কেট ট্রি ।

দুটি গাছকে জুড়ে করলেন 'সার্কাস টু-লেগড ট্রি' এবং চারটি গাছকে বেঁধে সৃষ্টি করলেন সার্কাস ফোর-ফুটেড ট্রি। পাশাপাশি দুটি গাছ লাগিয়ে একটির সঙ্গে অন্যটির ডাল জোড়া দিয়ে তৈরি করলেন সার্কাস ল্যাডার ট্রি। দেখতে একদম মইয়ের মতো যা সত্যিই অকল্পনীয়।



১৯৪৭ সালে এক্সেল এন্ডারসন এগুলো দর্শনার্থীর জন্য উম্মুক্ত করে দিলেন। এন্ডারসনের ম্যাজিক ট্রি গুলোর কথা যুক্তরাষ্ট সহ অন্যান্য দেশে ও বৃক্ষ পাগলদের মধ্যে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ল ।



সার্কাস ট্রি দেখার জন্য দিনে দিনে লোকসমাগম বাড়তে লাগলো। তবে মজার ব্যাপার হল এন্ডারসন সার্কাস ট্রি সম্বন্ধে তেমন মুখ খুললেন না। ১৯৬৪ইং সালে এলেক্স এন্ডারসন চলে গেলেন কিন্তু রহস্য রহস্যই থেকে গেলো। এখনও এগুলোর পুরো রহস্য পুরোপুরি জানা হয়নি।



১৯৮৫ সালে বোনফেন্টি অনেক দাম দিয়ে সার্কাস ট্রি গুলো কিনে নিয়ে লাগিয়ে দিলেন তার বোনফেন্টি গার্ডেনে। গিলরয়ের সে উদ্যানে গাছগুলো আজও বেঁচে আছে। কিন্তু রয়ে গেছে রহস্য।



আমাদের শখ ও সাধ্যকে কাজে লাগিয়ে আমরা কি এমন কিছু করে বিশ্বকে দেখিয়ে দিতে পারি না? আসুন আমরা আমাদের শিষ্টিশীলতাকে প্রতিষ্ঠিত করতে শিখি।







শেষ ফারাও সম্রাটের মৃত্যু রহস্য উন্মোচন



মিসরের শেষ ফারাও সম্রাট তৃতীয় রামেসেসকে জবাই করে হত্যা করা হয়েছিল। নতুন একটি ফরেনসিক বিশ্লেষণের ওপর ভিত্তি করে বিজ্ঞানীদের এ বিশ্বাস জন্মেছে। তিন হাজার বছর আগে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। বিশ্লেষণটি গত সোমবার ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত হয়েছে।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, নতুন এই বিশ্লেষণে তাঁদের ধারণা, সিংহাসনের উত্তরাধিকারের লড়াইয়ের চূড়ান্ত পর্যায়ে রামেসেস খুন হন। সে সময় মানুষ তাঁকে ঈশ্বরের সমতুল্য ভাবতেন। তাঁরা বলেন, রামেসেস তাঁর স্ত্রী ও উচ্চাভিলাষী ছেলের পাঠানো এক বা একাধিক ভাড়াটে ব্যক্তির হাতে খুন হন। ফারাও সম্রাটের মমি বলে পরিচিত মমিটি রামেসেসের ওই ছেলের। বাবাকে হত্যার ষড়যন্ত্রের পর তিনি আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছিলেন।

রামেসেসের মমির সিটি (কম্পিউটেড টমোগ্রাফি) স্ক্যানের একটি প্রতিবেদনে দেখা যায়, রামেসেসের শ্বাসনালি ও প্রধান ধমনিগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। ৭০ মিলিমিটার (২ দশমিক ৭৫ ইঞ্চি) চওড়া গর্ত সৃষ্টি হয়ে তা প্রায় মেরুদণ্ড পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছিল।

ইতালির ইনস্টিটিউট ফর মাম্মিস অ্যান্ড দ্য আইসম্যানের (ইইউআরএসি) প্রাচীন রোগতত্ত্ববিদ আলবার্ট জিংক বলেন, ‘আমি নিঃসন্দেহ যে, সম্রাট তৃতীয় রামেসেসকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছিল।’

সম্রাট রামেসেস খ্রিষ্টপূর্ব ১১৮৮ থেকে খ্রিষ্টপূর্ব ১১৫৫ সাল পর্যন্ত ৩৩ বছর মিসর শাসন করেন। প্রাচীন নথিপত্রে তাঁকে ‘গ্রেট গড’ এবং মিসর রক্ষাকারী সামরিক নেতা বলে উল্লেখ করা হয়েছে।



জাপানের সবচেয়ে গোপনীয়,পবিত্র এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থান Ise Grand Shrine



জাপানের সবচেয়ে গোপনীয়,পবিত্র এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থান।খ্রিস্টপূর্ব ৪ সালে এটি নির্মাণ করা হয় বলে ধারনা করা হয়।জাপানের রাজকীয় পরিবার আর প্রিস্ট ছাড়া এতটা কাল এখানে আজ পর্যন্ত কেউ প্রবেশ করতে পারেনি।এই শ্রিন টি প্রতি ২০ বছর পরে ভেঙ্গে আবার নতুন করে নির্মাণ করা হয়।কেন এত গোপনীয়তা???ইতিহাসবিদদের মতে এককালের জাপানিজ সাম্রাজ্যের অনেক পুরনো মূল্যবান নথিপত্র ওখানে লুকায়িত আছে,যেগুলো বিশ্বের সামনে আগে কখনই আসেনি।



চলবে........................





প্রথম খন্ডের লিন্ক ......http://www.somewhereinblog.net/blog/tapu88/29843608

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.