নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তার ছেঁড়া বাক্য .......।\"জীবন একটা বাঁশ ঝাড় খালি মুথা আর মুথা\"..................

তারছেড়া লিমন

স্বপ্ন চারি কোন এক সময়ের খোঁজে................................ হেঁটে চলেছি অবিরাম............ চেনা পথের অচেনা গলিতে..... জীবনরে তুই মম বাঁশের বাঁশি... .............................. শুধু প্রার্থণা করি খোদা মৃত্যুর কালে ঠোঁটে হাসি রেখ সদা।।। .................................. বিশ্বাস করি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মিথ্যা "I LOVE YOU"।।।।

তারছেড়া লিমন › বিস্তারিত পোস্টঃ

তৃষ্না তোমার জন্য প্রতীক্ষা.............(শেষ)

১৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৫০

হঠাৎ ফোনের শব্দে ঘুম ভেঙ্গে গেল। তন্ময় এর দিকে তাকাতেই বলল তৃষ্না ফোন দিছে। আমি বললাম কয়টায় বের হচ্ছে শুনে নিস। কিছুক্ষন পর বলল ৮ টায়।কুষ্টিয়া পৌছুতে তিন ঘন্টা লাগবে এই অনুমান করে ঠিক আছে বলে আবার ঘুমালাম। কিছুক্ষন পর দেখি রানা ভাই ডাকছে বলে ৯ টা বেজে গেছে তারা রেডী হয়ে আমার ঘুম ভাঙ্গিয়েছে। আমি ও দ্রুত তৈরী হয়ে সকালের নাস্তা শেষ করলাম।

এরপর তিন মহারথি রওনা দিলাম। প্রথমে রিক্সা তারপর বাস এরপর ভ্যান এই করে সাড়ে ১০ টার দিকে কাঙ্খিত শিলাইদহে পৌছুলাম। তন্ময় কে বললাম ফোন কর এখন কোথায় আছে শুনে নে। ফোনে অপর পক্ষ কি বলল তা বুঝলাম না কিন্তু তন্ময় যা বলল তাতে টাসকিত হইলাম। ও বলল তৃষ্নাদের বাস সঠিক সময়েই ছেড়েছে শহরের মধ্যে কাজছিল তাই যশোর মেইন টাউনে যাবার পথে বাস নষ্ট হয়েছে । তার পর মিস্ত্রী এনে ঠিক করে সাড়ে ৯টার দিকে আবার রওনা হয়েছে। আমি কি বলবো বুঝে পাচ্ছি না এখন বাজে ১১টা ব্যচারা করুন মুখ করে আমার দিকে চেয়ে আছে। বললাম কি করা চল ঘুরতে থাকি চলে আসবে।

আমরা তিন জন অপেক্ষা করছি আর ঘুরে বেরাচ্ছি.... হঠাৎ তন্ময় এর ফোন বেজে উঠল বলে অপরিচিত নম্বার বললাম কথাবল ..... ফোন রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে বলে উঠল আমি তৃষ্না ফোন ব্যাক করেন আমার ফোনের চার্জ শেষ অন্য একজনের ফোন থেকে কথা বলছি ..... আমি নম্বার টা নিয়ে ফোনদিয়ে জানতে চাইলাম কোথায় আপনারা যা বলল তা শুনে আবার ও টাসকিত হইলাম বলল এখন মোবারক গন্জ চিনিকলের পাশে বাস আবার ও নষ্ট হয়েছে সারা হয়েছে আমরা আবার রওনা দিয়েছি...ওকে বলে ফোন কেটে দিলাম। তন্ময় করুন মুখে আমার দিকে তাকিয়ে আছে এখন ২ টা বাজে। রানা ভাই কে উদ্দ্যেশ্য করে বললাম চলেন নদীর পাশ থেকে ঘুরে আসি। বলে হাটা শুরু করলাম।

মনের সুখে নদী পার হলাম নৌকায় করে মাথার উপর রোদ মাথার মধ্যে সব সিদ্ধকরে দিতে চাইছে তার পর ও নদীর চর থেকে ফেরার নাম নিচ্ছি না।এইভাবে ঘন্টা তিনেক কাটিয়ে দিয়েছি । পেটের মধ্যে ছুঁচো অবিরাম ডন মারা শুরু করেছে কিন্তু কিছু করার নাই রানা ভাই ঘোষনা দিলেন আজ দেখা না করে ফিরছি না আমার অবস্থা ছ্যাড়াব্যাড়া।শুধু বললাম পেটে কিছু দেবার দরকার এখানে কোন খাবার দোকান ও নেই যে ভাত খাব । ইতিমধ্য নদী পার হয়ে আবার কুঠিবাড়ি চলে এসেছি। পাশের এক দোকানে জানতে চাইলাম খাবারের দোকানের কথা তারা জানাল আলাউদ্দিন মোড়ে যেতে হবে বললাম এখানে যাওয়া আর শহরে ফিরে যাওয়া একই ব্যাপার তার চেয়ে আপনার এখানে কি আছে বলেন। অবশেষে ৫টার সময় খেলাম ২ টা করে হাসের ডিম ২টা করে কলা আর বিস্কিট সাথে সারাদিন ধরে সিগারেট আর চা তো আছেই । এরমধ্যে আবার আমার ফোনে মিসকল কে দিল তাই কল ব্যাক করলাম দেখি তৃষ্না বলল দাদা আমরা এখন শেখপাড়া ই.বি ক্যামপাসে শুনে আমার মেজাজ সপ্তমে তার পরও জানতে চাইলাম ওখানে কি কর আর আগের নস্বার কই? তার উত্তর শুনে হাসবো না কাদবো ভেবে পাচ্ছি না কারন এরা শেখপাড়া এসেছে ২টার পর ওদের বাস আবার ও নষ্ট হয়েছে যশোর থেকে মিস্ত্রী এনে ঠিক করা হয়েছে আর এখন ওরা রওনা হচ্ছে আবার ।জানতে চাইলাম খেয়েছে কিনা? বলল খেয়েছে।



কি আর করা শুধু বসে বসে সিগারেট ফুকছি আর তন্ময় বলছে চল চলে যাই আমিও ঘোষনা দিয়েছি নাদেখা করে ফিরছি না আজ। আবার ফোন দিলাম নতুন নম্বারে দেখি একটা ছেলে রিসেভ করলো কথা উল্টা পাল্টা বলা শুরু করলো দিলাম ধমক ।ধমক শুনে তৃষ্নার কাছে দিল সে জানাল কুষ্টিয়া শহর পার হয়ে এসেছে । আমি জানালাম সন্ধার পর আর ফিরতে পারবোনা শহরে কারন কোন বাহন পাব না । শুনে বলল দাদা আর একটু আমরা চলে এসেছি । আমি ওকে বলে ফোন কেটে দিলাম ।



এদিকে মাগরিবের আযান হয়ে গেছে অনেকক্ষন আমি বারবার ফোনে ট্রাই করে চলেছি ফোন বন্ধ মেজাজ সপ্তমে চড়েছে তন্ময় আমার হাত ধরে টানতে টানতে একটা ভ্যানে বসিয়ে দিল আর চলতে বলল । কি আর করা ফিরে চলেছি ব্যর্থ মনোরথে ।আকাশে দারুন চাঁদ উঠেছে আমি হেরে হলা ছেড়ে গান ধরেছি রবী ঠাকুরের " চাঁদের আলো বাঁধ ভেঙ্গেছে"।

কিছুদুর যেতে না যেতেই ফোন বেজে উঠল দেখি তৃষ্না বলল দাদা আমরা আলাউদ্দিন নগর ছেড়ে এসেছি আবার বাস নষ্ট হয়েছে এইবার নাকি বাসের চ্যাসিস ভেঙ্গে গেছে এখন ভ্যানে করে রওনা হয়েছি আমি বললাম আসরাও রওনা হয়েছি আপনাদের কিছুটা আগেই আছি রাস্তায় দেখা হচ্ছে খেয়াল কইরেন একটা ভ্যানে তিন জন গান গেতে গেতে আসছে বলতে বলতে দেখি কয় একটা ভ্যান আমাদের পাশ কাটিয়ে চলে গেল একটা ভ্যানে তৃষ্না ও ছিল । সে শুধু বলল দেখেছি আপনাদের । আমি বলরাম তা হলে চলি হয়তো দেখা হবে অন্য কোন দিন। এইকথা শুনে সে শুধু অনুরোধ করলো।

শুধু বললাম দেখি।



এদিকে রানা ভাই বিদ্রোহ করে বসেছে যে সে দেখা না করে আর ফিরবে না কি আর করা ভ্যান ঘুরাতে বললাম। শুধু তৃষ্না কে বললাম আমরা আসছি । পাশ থেকে কারা যেন হৈ হৈ করে উঠলো।আবার পৌছালাম কুঠিবাড়ি। তৃষ্না বলল যে সে রেষ্ট হাউজে আছে । আমি তাকে সামনের স্টল এর দিকে আসতে বললাম সে বলল সে আসতে পারছে না ছেলেরা ওদের পাহারা দিচ্ছে।আমরাও ভিতরে যেতে পারছি না ভয়ে কারন মেয়ে বলে কথা। এর কিছুক্ষন পর তৃষ্না জানাল সে ,তার ছোট বোন আর তার এক টিচার আসছে দেখা করতে । আর ততক্ষনে সাড়ে ৭ টা বেজে গেছে। আমরা নির্ভয়ে ঢুকলাম দেখি তৃষ্না তার দলবল নিয়ে চলে আসলো। আমদের বোকা বানিয়ে ওর টিচার বলল তৃষ্না তোমার সেই মানুষটি কে? আমি দেখিয়ে দিলাম তিনি বললেন যাও তোমরা পাশে গিয়ে কথা বল আমি এনাদের সাথে পরিচিত হই । আমরা তো পুরো টাসকিত স্যার বলছেন কি ? নাকি আমরা ভুল শুনছি।তিনি বললেন আমাকে ধমক দিল তিনি কে ? আমি তো লজ্জায় পড়ে গেলাম স্যার কে সরি বললাম । স্যার হেসে বললেন আপনারা অনেক কষ্ট করেছেন সারাদিন অপেক্ষা করে আশাকরি আমাদের সাথে ডিনার করবেন। আমরা স্যার কে বললাম যে রাত হলে আর শহরে ফিরতে পারবো না তাই আমাদের যেতে হবে। আর জানতে চাইলাম রাতে কি করবেন শহরে থাকার প্রস্তাব দিলাম তিনি বললেন দেখা যাক কি করা যায় । আর সমস্যা হলে আপনাদের জানাব। আমরা বিদায় নিলাম কারন ততক্ষনে ৭টা ৫০ বেজে গেছে।





সারাদিনের কষ্ট টা একবারে মুছেগেল স্যার এর কথা গুলো শুনে। শুধু ভাবলাম এমন ভালমনের একজন মানুষের সাথে পরিচয় হতনা যদি এই কষ্ট না করতাম। আর তাই আমার এই লেখাটা আপনাকে উৎসর্গ করছি স্যার । আপনি একজন সাহিত্য প্রমিক মানুষ (আর আপনার বিষয়টা কেও আমি শ্রদ্ধা করি ইংরেজি সাহিত্য )। আজ আমার নাম আমার মনে নেই তাই ক্ষমা চাচ্ছি । যেখানেই থাকুন ভাল থাকুন স্যার।



পরিশেষেঃ তন্ময় এর এই প্রেম টা টেকেনি । সে ইনোসেন্ট প্রেম চেয়েছিল। আর এই মেয়েটি কিছুদিন পর আমার সাথে মিথ্যা বলে ছিল । হয়তো পরোক্ষ ভাবে আমি ও দায়ী।



আগের দুই পর্বঃ



১ম পর্ব





২য় পর্ব

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:০২

একজন আরমান বলেছেন:
প্রথম ভালো লাগা।

নারী মানেই ছলনাময়ী। X( X((

১৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:০৪

তারছেড়া লিমন বলেছেন: ধন্যবাদ আরমান ভাই............... তিন দিনের কাহীনি তাই তিনদিনেই শেষ করলাম .............

২| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:০২

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: সুন্দর বর্ণনা, , , ২য় ভালোলাগা।

১৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:০৬

তারছেড়া লিমন বলেছেন: ধন্যবাদ ব্যাঙ ভাই.... সাথে থাকার জন্য।।।

৩| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:৫৪

শিপন মোল্লা বলেছেন: আহ

১৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:৫৯

তারছেড়া লিমন বলেছেন: কেমন আছেন ভাই? অনেক দিন আপনার লেখা মিস করছি ভাই.........

৪| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:১৫

বাংলার হাসান বলেছেন: একজন আরমান বলেছেন: নারী মানেই ছলনাময়ী। X( X((

চমৎকার লিখেছেন।

১৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:২২

তারছেড়া লিমন বলেছেন: ধন্যবাদ hasan ভাই.... সাথে থাকার জন্য।।।

৫| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৮:৫৪

মামুন রশিদ বলেছেন: যাই হোক অনেক গড়বড়, অনেক টেনশন (নিজেরাও করেছেন, পাঠককেও করিয়েছেন) কাটিয়ে অবশেষে যবনিকা টানতে পেরেছেন । :P


তবে শেষটা মিলনাত্বক হইতে পারতো :(

১৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৫১

তারছেড়া লিমন বলেছেন: ভাই গল্প মিলনাত্বক হইতে পারে জীবন নয়................. :( :( :( :(

৬| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:০১

জাকারিয়া মুবিন বলেছেন:
নারীদের বিশ্বাস করা যায়, কিন্তু রিস্ক নিজেকেই নিতে হবে। ;) ;)

২০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:০৬

তারছেড়া লিমন বলেছেন: রিস্ক নিজেকেই নিতে হবে।১০০% ঠিক বলেছেন মুবিন ভাই............

৭| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:০১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

হুম ভালই লিখেছেন।

২০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:১৭

তারছেড়া লিমন বলেছেন: ধন্যবাদ কান্ডারী অথর্ব ভাই.... সাথে থাকার জন্য।।।

৮| ২২ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৪৩

bappyalmamun বলেছেন: বেটা খচ্চর। ভাল লোক গুলারে পঁচা কাহিণী শুনাও...

২৩ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৫৬

তারছেড়া লিমন বলেছেন: তুই কতি পাইলি যে এইটা পঁচা কাহিণী..........?????

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.