![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কাহিনী বলার আগে আমি শ্রীমঙ্গল এর কিছু ট্র্যাভেল গাইড দিচ্ছি......
If you want to go to Sreemangal from Dhaka, you may follow the instructions given below. First you go to Kamlapur, Fakirapul and Saedabad of Dhaka city & buy a bus ticket from Dhaka to Sreemangal (Please remember, buses are available very early in the morning. Till noon you will get find any bus from Dhaka to Sreemangal). When you reach Srimongal, you will be dropped at Dhaka bus stand. You can rent a rickswa for going Choumohona at Sreemangal. Actually Choumohona is the center of Sreemangal town. There you will find several hotel like Hill town Rest House(Vanuganj Road), United, Tea town, Rain Forest Rest House(Habiganj Road) etc. el .Tea Resort is also available. To avail tea resort booking is mandatory. Its cost around 5000 BDT for 3 room banglow. Normal hotel is not bad for living 2 or 3 days. You will find there AC & Non-AC rooms at a cheap rate [300tk (Non-AC) to 1200tk (AC)]. I was at that hotel for 7 days and their services made me satisfied. After that you can go to Nilkantha Tea stall at Ramnagar or Near BDR camp. For reaching that place please rent a rickswa from Choumohona to Kalighat (rent 10tk-20tk. Lawasara, Madhabpur lake are nearest tourist spots near Sreemangal.
এক
মূল কাহিনী বলার আগে একটু ভনিতা করে লই...... এটা আমার লিখা কোন ব্লগ এ ফাস্ট পোস্ট। তাই লিখার স্টাইল ভাল নাও হতে পারে...... যাই হোক ট্যুর টা শুরু হয় ঠিক অন্যরকম ভাবে... মানে আমাদের শ্রীমঙ্গল যাওয়ার কথা ছিল না। গত বৎসর রোযার ঈদের পর দিন মানে ২১ আগস্ট সকালে আমি আর আমার ২ বন্ধু ফরহাদ ও সৈকত মিলে ঘুরতে বের হইছি... যাওয়ার কথা ছিল আসলে কথাও যাওয়ার কথা ছিল না। জাস্ট আমরা ট্রেন ভ্রমন করতে চাইচিলাম। তাই সরাসরি বিমানবন্দর ট্রেন ষ্টেশন এ গেলাম। গিয়ে দেখি হেভভি বিগ লাইন। যাই হোক লাইন এ দাঁড়ালাম। ১ ঘণ্টা কি আরও বেশি লাইন দারানর পর আমি টিকেট কাউন্টার এ আসলাম..... কাউন্টার এ আসার পর যা শুনলাম তাতে মনটা খুব খারাপ হয়ে গেল। ২৩ তারিখ এর আগে কোন টিকেট নাই... তো কি আর করা চার্ট দেখে স্রিমঙ্গল এর ৪ টা টিকেট কিনলাম। আমরা মানুষ ৩ জন আমি পাকনামি করে ১ টা বেশি কিনলাম। যাক ঐদিনকার মত বাসায় চলে আসলাম। আস্তে আস্তে আমাকে রোমাঞ্চ ঘিরে দরতে শুরু করল। বাসায় বসে বসে শ্রীমঙ্গল সম্পর্কে যতটুকু জানার জেনে নিলাম ইন্টারনেট থেকে।
দুই
ফরহাদ - ষ্টীল বডি। কথার চেয়ে অর হাত চলে বেশি। আর অর হাত শরীরে পড়লে মনে হবে রড দিয়া বাড়ি মাড়ছে। সৈকত – সে তো কথার দ্বিমত কারী। তুমি যা বলবা তার উল্টা বলবে ও। কাহিনির ৩য় আমি। আমার ব্যাপারে তেমন কিছু বলার নাই। কিন্তু অতিরিক্ত টিকেট এর মালিকের ব্যাপারে অনেক কিছু বলার আছে। রনি- কিপ্টা নাম্বার ১। ওদিন ও একটাকাও দেয় নাই। আমরাই ওরে লইয়া গেছি। ফ্রেন্ড দের কাছ থেকে কেমনে খাইব তার চিন্তা থাকে মাথায়। যাই হোক মূল কাহিনিতে আসা যাক
তিন
অতঃপর আসলো সেই ২৩ অগাস্ট ২০১২। সবাই মালপত্র নিয়া সন্ধ্যা ৭ টায় বের হইছি বিমানবন্দর ট্রেন ষ্টেশন এর উদ্দেশে। আমাদের ট্রেন ১০.৩০PM এ। বন্ধু দের নিয়ে দূরে কোথায়ও ঘুরতে যাওয়া আর সেটা যদি ট্রেন জার্নি হয় বুঝতেই পারছেন কি পরিমান রোমাঞ্চ আমাদের ভিতর ছিল। ট্রেন এর জন্য ষ্টেশন এ আড়াই ঘণ্টা অপেক্ষা করছি বুঝতেই পারি নাই সময় কিভাবে পার হল। যাই হোক পাঁচ মিনিট লেট করে ট্রেন আসার পর ট্রেন এ উটলাম। আমদের ছিট এ বসার পাঁচ মিনিট পর ট্রেন ছেরে দিল। ও কি রোমাঞ্চ। এক লাইন লিখছি আর সেই দিন টার ফিল্লিংস এর কাথা মনে পরছে। বয়স কম ছিল তো তাই মেয়দের ব্যাপারে একটু বেশী আগ্রহ ছিল। তাই ২ জন ২ জন করে পর ট্রেন টা চষে ফেললাম। কিন্তু দুঃখের ব্যাপার লাইন বা কথা বলার জন্য একটা মে ও খুজে পেলাম না। তাই বলে আমাদের আবার খারাপ ছেলেদের দলে নিয়েন না। যাইহোক ছিটে এসে কিছুখন শুইলাম।
চার
রাত দুই টা কি আড়াই টার সময় আমাদের শ্রীমঙ্গল নামাইয়া দিয়া ট্রেন সিলেট এর উদ্দেশে চলে গেল। এত তাড়াতাড়ি এসে পড়ব ভাবতেও পারি নাই। ওদিকে একটু শীত শীত ও করছিল। ষ্টেশন টা একেবারে জনশূন্য ও ছিল না। তাই বেশী ভয় লাগছিল না। ষ্টেশন এর বেঞ্ছে বসে বসে বোরিং লাগছিল। তাই শেষমেশ শহরের দিকে গেলাম একটা হোটেল এর রুম বুক করার জন্য। কিন্তু একটা হোটেল ও খালি ছিল না। তবে দুপর দিকে খালি হবে। খুব বিপাকে পরছিলাম। আবার ষ্টেশন এ চলে আসলাম। তখন বাজে মাত্র চারটা। আসার সময় একটা মজার ব্যাপার হইসে... তা হল দুইটা কুকুর আমাদের দাওানি দিসে (ঃপি ঃপি) এখন খুব মজা পাচ্ছি সেই কথা মনে পরে। পরে আবার গেলাম হোটেল বুক করার জন্য। তবে এইবার সাবধানে গেলাম যাতে আবার কুকুরের দাওানি না খাই। ওদিন আবার সুপার কাপ এর রিয়াল অ্যান্ড বার্সা এর খেলা চলছিল। বার্সা ৩-২ রিয়াল কে হারাই ছিল। ঐদিন দুপুরের পর থাকার জন্য একটা রুম বুক করলাম। ততক্ষণে বাজে ৫ টা।
পাঁচ
ফজরের নামাজ টা পরে সকালের নাস্তা করার জন্য আবার গেলাম ষ্টেশন এ। শহরের দিকে সব দকান পাট বন্ধ ছিল। হোটেলে ডুকে পরোটা আর ডিম ও বাজি নিলাম। বাজি টা বাসি ছিল তাই খাই নাই। নাস্তা করার পর লাউয়াছরা বন এ যাওয়ার জন্য একটা ছিএনজি ভারা করলাম। ৬ টায় গিয়া পোঁছালাম লাউয়াছরা বন এ। আসার সময় যা দৃশ্য দেখলাম যা এক কথায় অসাধারণ। আঁকা বাঁকা পথ দু পাশে চা বাগান ভিতর থেকে হাল্কা কুয়াশা উটছে। তবে দুখের ব্যাপার এই অসাধারণ দৃশ্য গুলো কে ক্যামেরার ফ্রেমে বন্ধি করতে পারি নাই। আপনারা যারা শ্রীমঙ্গল এ ঘুরতে যাবেন তারা এই সময়টা মিস করবেন না। তাহলে শ্রীমঙ্গল এর সুন্দর্য টা উপভোগ করতে পারবেন না। যাই হোক ভারি জিনিস পত্র গুলো নিয়া দুপর পর্যন্ত ঘুরলাম লাউয়াছরা বন। দুপরে বুক করা হোটেলে এসে করা গোসল দিলাম। গোসল সেরে দুপরে খাওয়ার জন্য রেডি হলাম। আমার অন্য বন্ধুরা দুপরে কিছু খেতে চাইচিল না তাই ওদের জন্য শিঙ্গারা আনা হল। আমার আবের গ্যাসটিক এর প্রবলেম তাই আমি দুপরে গেলাম হোটেলে। খাওয়া সেরে হোটেলে কিছুখন রেস্ট নিয়ে আবার বের হলাম ঘুরতে। ভালই চা বাগান ঘুরলাম। সন্ধ্যার দিকে এক প্যাকেট তাস কিনে হোটেলে উটলাম। কিছুখন তাস খেলে রাতের খাবার খেয়ে বের হলাম ঢাকার উদ্দেশে......... ট্রেন এ অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। তা আর বললাম না। আনন্দ ভ্রমণে কষ্টের কথা না বলাই ভাল।
©somewhere in net ltd.