![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পৃথিবীর সব ভাল টিকে থাকুক শেষ দিন পর্যন্ত
খাওয়া দাওয়ার প্রতি কোনদিনই আমার তেমন লোভ ছিল না। মোটামুটি মোবাইল এ চার্জ দেওয়ার মত পেটটাকে কোন রকম চার্জ দিতে পারলেই খুশি। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এ পড়ার সময় পৃথিবীর সবচেয়ে জঘন্য খাবার হাসিমুখে খেয়ে এসেছি। ভাতের ভিতর মাছি দেখলে মাছিটাকে তুলে ফেলে দিয়ে ভাত খেয়ে নিয়েছি। কিন্তু ইদানিং খাবারের প্রতি বেশ লোভ বেড়েছে, এটা আমার এক কলিগ বড় ভাইয়ের প্রভাবে। প্রতিদিন অফিসে লাঞ্চের সময় খাবার টেবিলে বসে ওনার খাবারের গল্প শুনতে শুনতে খাবারের প্রতি লোভ ক্রমেই বেড়ে যাচ্ছে।এখন প্রতি শুক্রবার মনে হয় একটু পোলাও মাংস,বিরানি খাই।
পেটুক মানুষ যেখানেই যাক শুধুই খাবারের গল্প। আজ আমার সেই প্রিয় কলিগ বড় ভাইয়ের খাবারের গল্প বলি। উনার ওজন ১২০+ হবে,ডায়াবেটিস, ব্লাড প্রেশার সবই উনার নিত্যসঙ্গী। খাবারের বেলায় যেমন ভোজনরসিক কথাবার্তাতেও খুব রসিক মানুষ। উনি মাঝে মাঝেই ফেসবুক টাইমলাইন এ বিভিন্ন মজার মজার রান্নার রেসিপি শেয়ার দিয়ে থাকেন। উনার বক্তব্য হচ্ছে- পৃথিবীতে এসেছো আল্লাহ তোমাকে খাওয়ার সামর্থ্য দিয়েছেন তুমি খাও। যদি না খাও তবে একদিন আল্লাহ তোমাকে বলবে, 'এই ব্যাটা তোকে খাওয়ার সামর্থ্য দিয়েছিলাম তুই খাসনি ক্যান আজ তোর বিচার হবে'। উনি এই বিচারের ভয়েই প্রতিদিন পোলাও, বিরানি, বড় বড় মাছ, মাংস সাবাড় করেন। আর বাজারে বড় বড় মাংস কিনেন, তবে তিনি মুরগী অপছন্দ করেন উনার ভাষ্য হচ্ছে মুরগীর মাংস রোগীর খাবার।
উনার শাশুড়ি উনাকে একদিন ফোন দিয়ে বললেন কাল তোমাদের সবার দাওয়াত(মানে উনার পুরো পরিবারের) উনি ভাবলেন কি না কি রান্না করে, পরে দেখা যাবে শাকপাতা,মাছ, ডাল রান্না করে খাইয়ে বিদায় দিয়ে দিয়েছেন। তখন আর কিছুই করার থাকবে না । তাই উনি তখনই বললেন, ঠিক আছে আম্মা কাল আমরা চলে আসবো, আপনার হাতের পোলাও মাংস খুব মজা লাগে। এবারতো আর পোলাও রান্না না করে উপায় নেই,যেহেতু জামাই খেতে চেয়েছি।
আর একদিন উনার এক আত্মীয় উনার সাথে খেতে বসেছেন তিনি(আত্মীয়) নিজে না খেয়ে শুধু উনার খাওয়া দেখছেন আর নানা মন্তব্য করছেন। যেমন - এত খাস না অকালে মরে যাবি ইত্যাদি। উনি তখন বললেন আপনারা নিজেরাও খাবেন না আবার অন্যকেও খেতে দিবেন না, এই কথা শুনে ব্যাচারা আত্নীয় একেবারে চুপসে গেলেন।
এই গল্প থেকে আমরা কি শিখলাম?
শিখলাম দুনিয়াটা মস্ত বড় খাও দাও ফুর্তি কর,আগামীকাল বাঁচবে কিনা বলতে পারো।
উৎসর্গ : পোষ্টটি রাজীব নুর ভাইকে উৎসর্গ করলাম, কারণ গতকাল আমার সাড়ে তিন হাত মাটি জুটবে তো পোষ্টটিতে উনার মন খারাপ হয়েছিল তাই পোষ্টটি মন ভাল করার প্রয়াস।
১১ ই মে, ২০১৮ রাত ৯:৫৮
তারেক_মাহমুদ বলেছেন: হা হা হা টাকা থাকলেই খেতে হবে যদি ব্লাড প্রেশার, ডায়াবেটিস থাকে তবুও?
২| ১১ ই মে, ২০১৮ রাত ১০:০০
সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: খাওয়াদাওয়ার ব্যাপারটা আমার কাছে ঝামেলার মনে হয়। তিনবারের বদলে সারাদিনে এঞ্জিনে একবার কয়লা ভরে চালাতে পারলে বেশ হত। তাতে কষ্ট আর সময় নষ্ট দুটোই কম হত। কাজের জন্য আরো সময় বের করা যেত।
আপনারা খেতে ভালোবাসলে আমার কোন আপত্তি নেই। আমি জাস্ট আমার ওপেনিয়নটা জানালাম।
শুভকামনা।
১২ ই মে, ২০১৮ সকাল ৭:২১
তারেক_মাহমুদ বলেছেন: ধন্যবাদ শুভ সকাল সম্রাট ভাই
কারো কারো কাছে ৩ বেলা খাওয়া ঝামেলার কাজ আবার কারো কারো কাছে খাওয়া দাওয়াই সব কিছু। আমাদের দেশের বেশিরভাগ মহিলা তার জীবনের অর্ধেকের বেশী সময় পার করেন রান্না ঘরে। অনেক ভালবাসা।
৩| ১১ ই মে, ২০১৮ রাত ১০:৫৩
মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: ১২০+ ওজন?????
ভয়াবহ ব্যাপার!!
লোকটা ঠিকমত চলতে পারে তো???
১২ ই মে, ২০১৮ সকাল ৭:২৬
তারেক_মাহমুদ বলেছেন: শুভ সকাল নিজাম ভাই
হুম ১২০+ কেজি ওজন, তবু খারারের প্রতি খুবই লোভ। একদিকে ইচ্ছামত খায় আবার সকাল বিকেল কসরত করে ওজন কমানোর জন্য কিছু ফলাফল একই, ওজন কমে না।
৪| ১১ ই মে, ২০১৮ রাত ১১:২০
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: আমাদের দেশের মানুষের অসুখ বিসুখের আধিক্যের মূলে বাড়তি ভুড়িভোজ আর বেশি চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়া। সাথে খাবারে ফরমালিন ও মানের সমস্যা তো আছেই। পরিমিত খাবার শরীরকে সুস্থ রাখে।
১২ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১২:৪২
তারেক_মাহমুদ বলেছেন: শুভ দুপুর কাওসার ভাই
ছুটির দিনে বেশি সময় অনলাইনে থাকায় বউয়ের সাথে ফাইট চলছে, তাই উওর দিতে দেরী হয়ে গেল। খুবই ঠিক কথা বলেছেন খাবারের প্রতি অতি লোভ, এবং অতিরিক্ত তেল মশলাদার খাবারই নানারকম অসুখ বিসুখের কারণ
তবুও আমরা অনেকেই ভাল খাবারের লোভ সংবরণ করতে পারিনা। পরিণাম ডায়াবেটিস ব্লাডপ্রেসারসহ নানা জটিল রোগ। অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
৫| ১২ ই মে, ২০১৮ রাত ১২:০৮
প্রামানিক বলেছেন: ঠিকই বলেছেন, জোয়ান থাকতে না খেলে বুড়ো বয়সে শুধু আফসোস করতে হয়।
১২ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১২:৫২
তারেক_মাহমুদ বলেছেন: এই হোটেলের মালিকের ব্যবসায়িক উদ্দেশ্য এ আমার কলিগের থিওরি ফলো করেন। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ প্রামাণিক ভাই।
৬| ১২ ই মে, ২০১৮ সকাল ১০:০৩
রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট।
সুন্দর বিনোদন।
এই পষজটে আমার মতো তুচ্ছ মানূষকে যে পরিমান ভালোবাসা দেখালেন তাতে আমি মুগ্ধ।
১২ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১:২৮
তারেক_মাহমুদ বলেছেন: শুভ দুপুর রাজীব ভাই
পোষ্টটি আপনার ভাল লেগেছে জেনে আমারো ভাল লাগলো। আপনি প্রতিদিন নতুন নতুন পোষ্ট দিয়ে সামুর ব্লগারদের যেমন উজ্জিবিত রাখেন, আবার সবার পোষ্টে কমেন্ট করে উৎসাহিত করেন তাই আপনাকে ধন্যবাদ। ভাল থাকুন সবসময়।
৭| ১২ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১:৩৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ভাবছিলাম না জানি কতকিছু খাওয়াইবেন। ভেতরে ঢুকে দেখি আপনি নিজেও খান না, অন্যকেও না খাইতে কহেন। কলিগের জন্য দোয়া রইল, আল্লাহ উনার খানাপিনা আরো বাড়িয়ে দিন, ওজন ৩২০+ করুন , বয়স ১৫০+ করুন। দুনিয়াটা মস্তবড়ো তো, খাইতে হবে বেশি বেশি।
১২ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৭
তারেক_মাহমুদ বলেছেন: প্রিয় সোনাবীজ ভাই শুভ বিকেল
আপনার ইঙ্গিতটি বুঝতে পেরেছি, পোষ্ট আপনার মনঃপূত হয়নি, আসলে লেখকেরওতো সীমাবদ্ধতা আছে। সবার পক্ষেতো বিরানি রান্না করা সম্ভব নয়, তাই ডাল ভাতেই অতিথি সন্তুষ্ট করাতে চাই।
আমার সেই কলিগ ব্যাচারা কিছুদিন আগে ব্লাডপ্রেশার বেড়ে মরার যোগাড় হয়েছিলেন, তবুও তিনি খাওয়ার ব্যাপারে সংযমী হতে নারাজ।
অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
৮| ১২ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৩:১৮
খালেদা শাম্মী বলেছেন: বিনোদিত হলাম। এমন লেখা কিন্তু আরও চাই ভাইয়া।
১২ ই মে, ২০১৮ রাত ৮:০৪
তারেক_মাহমুদ বলেছেন: মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য ধন্যবাদ শাম্মী আপু
ভাল লেগেছে জেনে ভাল লাগলো। নিরন্তর শুভেচ্ছা।
৯| ১২ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার ইঙ্গিতটি বুঝতে পেরেছি, পোষ্ট আপনার মনঃপূত হয়নি। আমার ইঙ্গিত মোটেও বুঝতে পারেন নাই আমি খুব সরল অর্থেই বলেছি - অনেক কাচ্চি টাচ্চি রান্না করে খাওয়ার দাওয়াত দিতেছেন বুঝি
পোস্ট পড়ে দেখলাম- নাহ, সেই আশার গুঁড়ে তেঁতুল মাখানো
রম্য মজাদার ছিল।
১২ ই মে, ২০১৮ রাত ৮:৩১
তারেক_মাহমুদ বলেছেন: আবারো আসার জন্য ধন্যবাদ সোনাবীজ ভাই
আমি আসলে বুঝতে চাইছিলাম আপনি প্রশংসা করলেন নাকি অন্য কিছু!
অনেক ধন্যবাদ ভালবাসা নিরন্তর।
১০| ১৩ ই মে, ২০১৮ রাত ৯:৩৯
সুমন কর বলেছেন: হাহাহা.......আমারও চার্জ হলেই চলে.....
১৪ ই মে, ২০১৮ সকাল ৮:০৫
তারেক_মাহমুদ বলেছেন: শুভ সকাল সুমন ভাই,
বাংলায় একটা কথা আছে আহার এবং নিদ্রা যত বাড়াবেন ততই বাড়তে থাকবে। আমরা অনেকেই কায়িক পরিশ্রম করি না কিন্তু খাওয়ার বেলায় নিয়ম কানুন মানি না। যার পরিণাম ওজন বৃদ্ধি, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ। যারা কায়িক পরিশ্রম করে তাদেরকে এ ধরনের রোগে আক্রন্ত হতে দেখা যায় না। আমাদের পরিমিত এবং সুষম খাদ্য খাওয়া উচিত। অনেক ধন্যবাদ।
১১| ২০ শে মে, ২০১৮ রাত ৮:৩৭
বৃষ্টি বিন্দু বলেছেন: বাহ!!!! হাসিটা মুখে লেগেই আছে। আপনার উপ্সথাপনা আসলেই সুন্দর।
তবে কথাটা ঐ ভাই মিথ্যে বলেন নি। সামর্থ্য আছে, খাবেন না কেন?
কিন্তু খেয়ে যদি অসুস্থই থাকি আর ইবাদাত থেকে দূরে থাকি তাহলেতো খাওয়া পরিমিতই করতে হবে। কারন আমরাতো একটা মিশনেই এসেছি এই ধরাতলে।
আমার মন্তব্য কাউকে আঘাত করার জন্য নয়। তারপরও ভুল হলে নিজ গুনে ক্ষমা করবেন।
২০ শে মে, ২০১৮ রাত ৯:৪৩
তারেক_মাহমুদ বলেছেন: আপনার মন্তব্যটিও চমৎকার, আপনার হাসি পেয়েছে জেনে ভাল লাগলো। পাঠ এবং সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ বৃষ্টি আপু।
১২| ২৩ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৮
উদাস মাঝি বলেছেন: খাও দাও ফুর্তি কর, এই লাইনটা জোস লেগেছে
রম্যতে টুইস্ট না থাকলেও, ভাল লেগেছে ।
আপনার কলিগের চিন্তা ধারাও আমার মতই !
২৩ শে মে, ২০১৮ রাত ৮:০৫
তারেক_মাহমুদ বলেছেন: ঠিকই বলেছেন তেমন টুইষ্ট নেই রম্যতে এজন্যই ব্যর্থ চেষ্টা। ভাল লেগেছে জেনে ভাল লাগলো। অনেক ধন্যবাদ উদাস মাঝি।
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই মে, ২০১৮ রাত ৯:৩৯
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: যার টাকা আছে কিপ্টামি করে না খেলে তো আল্লাহর কাছে হিসেব দিতেই হবে আপনার কলিগ ঠিকই বলেছেন।
রম্য সামনে আরও ভাল হবে তারেক ভাই ।