নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তারেক ইবনে রহমান

আমি একজন ছাত্র। পড়ছি ডেন্টাল কলেজে। মানে আমি ডাক্তার হব। ভবিষ্যৎ দাঁতের ডাক্তার।

তারেক ইবনে রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাসেলের গল্প- ১

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:২৯

গল্পের মাধ্যমে কিছু বিষয় তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। পড়ে দেখতে পারেন।





অনেক দিন মার সাথে দেখা হয় না রাসেলের। সেই ঈদের ছুটিতে শেষ দেখা হয়েছিলো। এর পর দেখা করার মত সুযোগই হয়ে ওঠে নি। তাই ১দিন ছুটি পেয়েই সিদ্ধান্ত নিল আজ রাতেই বাড়ি যাবে।



রাসেলের রুমমেট কামাল। সন্ধ্যার সময় রাসেল বের হবে এমন সময় কামাল বলল, ‘ ভাই, মাগরিবের নামায পরে বের হতেন। :) ’ রাসেল বলল, ‘ ভাই, আমার প্যান্ট ঠিক নাই। তুমি পরে নাও। আমি কাল থেকে পরবো।’ কামাল বলল, ‘ ভাই, কালকের তো গ্যারান্টি নাই।’ রাসেল ‘ কাল থেকে, কাল থেকে, শিওর......’ বলতে বলতে বেরিয়ে গেলো।





মহাখালি বাস স্ট্যান্ড। সময় রাত ৮টা ১৩ মিনিট। রাসেল বাসে উঠে মাকে ফোন দিয়ে জানালো সে যাচ্ছে। কিছু সময় পর বাস যাত্রা শুরু করবে। রাসেল কানে হেড ফোন লাগিয়ে Linkin Park এর Some where I belong গান শুনছে আর অপেক্ষা করছে বাস ছাড়ার। ৮টা ২০ মিনিটে বাস রওনা হল রংপুরের উদ্দেশ্যে। পাশের যাত্রীকে প্রথমে খেয়াল না করলেও পরে তার দিকে চোখ পরে রাসেলের। টাক মাথার একটা লোক। মুখে তামিল অভিনেতাদের মত গোঁফ। লোকটা বসে বসে টেম্পল রান গেম খেলছে। তার পিছনের সিটের কয়েক জন কি যেন বলছে। গানের সাউন্ড কমিয়ে খেয়াল করে তারা দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করছে। রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে রাসেলের মাথা ব্যাথা কখনই ছিলো না। সে আবারো গানে মন দিলো। সে এখন শুনছে Linkin Park এর In The End.



রাত প্রায় ১১টা । বাসে লোকজন এখনো জেগে আছে। যে যার মত কাজে ব্যস্ত। কেউ গল্প করছে, কেউ মোবাইল টিপছে আবার কেউ কানে হেড ফোন দিয়ে বসে আছে। রাসেল বসে বসে সবার কান্ড কারখানা দেখছে। হঠাত গাড়ি বেশ জোরে ব্রেক করলো। যাত্রিদের অনেকেই ড্রাইভারের গুষ্টি তুলে গালি দিলো। কিছুক্ষণ পর কন্টাক্টার দৌড়ে এসে হাপাতে হাপাতে বলল, ‘ডাকাত সামনে গাড়ি আটকাইছে! আমাদের ২টা গাড়ির সামনের গাড়িতে কয়েকজনকে নাকি ছুড়ি মারছে শুনলাম! একটু পরেই আমাদের গাড়িতে আসবো!’ তার কথা শুনেই সবার মাঝে অজানা আশংকা ভর করলো। সবাই আল্লাহ্‌ আল্লাহ্‌ করছে! আল্লাহর কাছে সাহায্য চাচ্ছে। কেউ কেউ তাদের মূল্যবান জিনিস ছিটের নিচে লুকিয়ে রাখছে আর আল্লাহ্‌ বাঁচাও! আল্লাহ্‌ বাঁচাও! বলছে। রাসেলের পাশের লোকটা ভগবান, ভগবান বলতে বলতে মাঝে মাঝে আবার আল্লাহ্‌ আল্লাহ্‌ ও বলে উঠছে। রাসেল আয়াতুল কুরসি পড়ছে আর মনে মনে ভাবছে কামালের কথা। কামাল তাকে নামাজের কথা বলেছিলো আর সে প্যান্ট ভালো নেই সেই অযুহাতে নামাযটা পরেনি। কাল পরবে বলে চলে এসেছিলো। আজ যদি তার শেষ দিন হয় তাহলে কাল আর নামায পরা হবে না, নাপাক অবস্থায় সে মারা যাবে! তার মার সাথেও আর দেখা হবে না! এসব চিন্তা করতে করতে তার গা শিওরে ওঠে!







গল্পের পরবর্তী অংশে কি হয় তা অজানাই থেকে যাক। এখন মূল কথায় আসি।



১। কাপড় ঠিক নেই এই অযুহাতে আমরা অনেকেই নামায ছেড়ে দেই। তা হওয়া উচিত না। এছাড়াও আমরা জানি না কখন মৃত্যুর সময় হবে। সবসময় পবিত্র থাকা উচিত।



২। আমাদের ভালো সময়ে আল্লাহকে ডাকি খুব কমই। অথচ, বিপদে পরলে আল্লাহকে ডাকতে ডাকতে গলা শুকিয়ে ফেলি। বিপদে মানুষ আল্লাহকে বেশি মনে করে।গল্পের মাধ্যমে কিছু বিষয় তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। পড়ে দেখতে পারেন।





অনেক দিন মার সাথে দেখা হয় না রাসেলের। সেই ঈদের ছুটিতে শেষ দেখা হয়েছিলো। এর পর দেখা করার মত সুযোগই হয়ে ওঠে নি। তাই ১দিন ছুটি পেয়েই সিদ্ধান্ত নিল আজ রাতেই বাড়ি যাবে।



রাসেলের রুমমেট কামাল। সন্ধ্যার সময় রাসেল বের হবে এমন সময় কামাল বলল, ‘ ভাই, মাগরিবের নামায পরে বের হতেন। :) ’ রাসেল বলল, ‘ ভাই, আমার প্যান্ট ঠিক নাই। তুমি পরে নাও। আমি কাল থেকে পরবো।’ কামাল বলল, ‘ ভাই, কালকের তো গ্যারান্টি নাই।’ রাসেল ‘ কাল থেকে, কাল থেকে, শিওর......’ বলতে বলতে বেরিয়ে গেলো।





মহাখালি বাস স্ট্যান্ড। সময় রাত ৮টা ১৩ মিনিট। রাসেল বাসে উঠে মাকে ফোন দিয়ে জানালো সে যাচ্ছে। কিছু সময় পর বাস যাত্রা শুরু করবে। রাসেল কানে হেড ফোন লাগিয়ে Linkin Park এর Some where I belong গান শুনছে আর অপেক্ষা করছে বাস ছাড়ার। ৮টা ২০ মিনিটে বাস রওনা হল রংপুরের উদ্দেশ্যে। পাশের যাত্রীকে প্রথমে খেয়াল না করলেও পরে তার দিকে চোখ পরে রাসেলের। টাক মাথার একটা লোক। মুখে তামিল অভিনেতাদের মত গোঁফ। লোকটা বসে বসে টেম্পল রান গেম খেলছে। তার পিছনের সিটের কয়েক জন কি যেন বলছে। গানের সাউন্ড কমিয়ে খেয়াল করে তারা দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করছে। রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে রাসেলের মাথা ব্যাথা কখনই ছিলো না। সে আবারো গানে মন দিলো। সে এখন শুনছে Linkin Park এর In The End.



রাত প্রায় ১১টা । বাসে লোকজন এখনো জেগে আছে। যে যার মত কাজে ব্যস্ত। কেউ গল্প করছে, কেউ মোবাইল টিপছে আবার কেউ কানে হেড ফোন দিয়ে বসে আছে। রাসেল বসে বসে সবার কান্ড কারখানা দেখছে। হঠাত গাড়ি বেশ জোরে ব্রেক করলো। যাত্রিদের অনেকেই ড্রাইভারের গুষ্টি তুলে গালি দিলো। কিছুক্ষণ পর কন্টাক্টার দৌড়ে এসে হাপাতে হাপাতে বলল, ‘ডাকাত সামনে গাড়ি আটকাইছে! আমাদের ২টা গাড়ির সামনের গাড়িতে কয়েকজনকে নাকি ছুড়ি মারছে শুনলাম! একটু পরেই আমাদের গাড়িতে আসবো!’ তার কথা শুনেই সবার মাঝে অজানা আশংকা ভর করলো। সবাই আল্লাহ্‌ আল্লাহ্‌ করছে! আল্লাহর কাছে সাহায্য চাচ্ছে। কেউ কেউ তাদের মূল্যবান জিনিস ছিটের নিচে লুকিয়ে রাখছে আর আল্লাহ্‌ বাঁচাও! আল্লাহ্‌ বাঁচাও! বলছে। রাসেলের পাশের লোকটা ভগবান, ভগবান বলতে বলতে মাঝে মাঝে আবার আল্লাহ্‌ আল্লাহ্‌ ও বলে উঠছে। রাসেল আয়াতুল কুরসি পড়ছে আর মনে মনে ভাবছে কামালের কথা। কামাল তাকে নামাজের কথা বলেছিলো আর সে প্যান্ট ভালো নেই সেই অযুহাতে নামাযটা পরেনি। কাল পরবে বলে চলে এসেছিলো। আজ যদি তার শেষ দিন হয় তাহলে কাল আর নামায পরা হবে না, নাপাক অবস্থায় সে মারা যাবে! তার মার সাথেও আর দেখা হবে না! এসব চিন্তা করতে করতে তার গা শিওরে ওঠে!







গল্পের পরবর্তী অংশে কি হয় তা অজানাই থেকে যাক। এখন মূল কথায় আসি।



১। কাপড় ঠিক নেই এই অযুহাতে আমরা অনেকেই নামায ছেড়ে দেই। তা হওয়া উচিত না। এছাড়াও আমরা জানি না কখন মৃত্যুর সময় হবে। সবসময় পবিত্র থাকা উচিত।



২। আমাদের ভালো সময়ে আল্লাহকে ডাকি খুব কমই। অথচ, বিপদে পরলে আল্লাহকে ডাকতে ডাকতে গলা শুকিয়ে ফেলি। বিপদে মানুষ আল্লাহকে বেশি মনে করে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.