![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ইহুদীধর্ম পৃথিবীর অন্যতম প্রাচীনতম ধর্ম যা এখনো অনেক মানুষ পালন করছে। মধ্যপ্রাচ্যে ইসরাইলিদের আদি নিবাস ছিল। তবে তারা এখন যে জায়গা চিহ্নিত করছে তা নিয়ে বিতর্ক আছে। আল্লার নবী মুসা (আঃ) কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত এই সম্প্রদায়ের সবচেয়ে সুন্দর সময় গিয়েছে খৃষ্টপূর্ব এক হাজার বছর আগে হযরত দাউদ (আঃ) এর সময়। দাবি করা হয় বর্তমান সময়ের লেবানন, সিরিয়া, জর্ডান ও মিশরের বড় অংশই ছিল তখনকার কিংডম অব ইসরাইলের অংশ। দাউদ (আঃ) ছেলে হজরত সলোমন বা সোলাইমান (আঃ) এর সময়ও তাদের অবস্থা ভালো ছিল।
কিন্তু তাঁর মৃত্যুর পর এ-জাতি দুই ভাগে ভাগ হয়ে যায়। এ-সময় আসিরিয়ানরা ধীরে ধীরে এই অঞ্চলে ঢুকে পড়ে ও দখল করে নেয়। এরপর বিভিন্ন সময় ব্যাবিলনিয়ান, পার্সিয়ান, হেলেনেষ্টিক, রোমান, বাইজেনটাইন, অটোম্যান, বৃটিশ শাসনসহ বিভিন্ন পর্যায় পাড়ি দেয় এই অঞ্চল। আর এর প্রায় অনেকটা সময় জুড়েই ইহুদীদের তাড়া খেতে হয়।
ঈজিপশিয়ান ফারাওদের সময় থেকে শুরু করে জার্মানির হিটলারের সময় পর্যন্ত তাদের বিতাড়িত হতে হয়েছে বিভিন্ন দেশ থেকে। তবে এখন যেমন ইহুদীদের সাথে মুসলমানদের সংঘাত চলছে এক সময় তা ছিল কৃশ্চিয়ান ও ইহুদী সংঘাত। স্পেনে মুসলমানদের রাজত্বে ইহুদীরা খুবই ভালো ছিল। তারা এ-সময় তাদের বুদ্ধিবৃত্তির চর্চা করার ব্যাপক সুযোগ পান
শুরু থেকেই বিভিন্ন সমাজে ইহুদীদের ঘৃণিত, অবহেলিত ও খারাপভাবে দেখা হতো। প্রায় প্রতিটি জায়গায় তাদের উপর নিষেধাজ্ঞা থাকতো। উগ্র কৃশ্চিয়ানরা তাদের কখনোই সহ্য করতে পারেনি। এদের অনেকেই যিশুর হত্যাকারী হিসেবে ইহুদীদের চিত্রিত করেছে। অনেকেই তাদের অভিশপ্ত জাতি মনে করে।
এতোগুলো বছর তাদের ঐক্য ধরে রাখার বড়া শক্তি ছিল ধর্ম। বিশ্বের বহু দেশে ছড়িয়ে পড়লেও ইহুদী সম্প্রদায়ের সব সময় স্বপ্ন ছিল তারা তাদের নিজ দেশ ইসরাইলে ফিরে যাবে যদিও তখনো এর কোনো ভৌগলিক অস্তিত্ব ছিল না। ইসরাইল তাদের মাতৃভূমি ও ধর্মভূমিই শুধু নয়, তাদের স্বপ্ন ভূমিও বটে। প্রজন্মের পর প্রজন্ম স্বপ্ন দেখেছে ইসরাইল নামের দেশের। ইসরাইলের জন্য তারা সাধ্যমতো দান করেছে, ধর্ম ও বিশ্বাস দিয়ে নিজেদের এক করে রেখেছে। সংখ্যায় অত্যন্ত কম হওয়ার পরও ক্ষুরধার বুদ্ধি, কৌশল ও মেধার বিকাশ ঘটিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে নিজেদের বসিয়েছে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ধাওয়া খেয়ে ইহুদিরা বহু দেশে ছড়িয়ে পড়লেও তাদের স্বপ্নভূমির কথা কখনো ভোলোনি। এক্ষেত্রে তারা কট্টর ও চরমপন্থি। কারণ মিডল ইস্টের কোনো এক জায়গায় তাদের জন্মভূমি ছিলো তিন হাজার বছর আগে সেই যুক্তিতে একটি জায়গার দখল নেয়া একটি অবাস্তব বিষয়। কেননা এর কোনো সুনির্দিষ্ট ঐতিহাসিক ভিত্তি নেই। কিন্তু ইহুদীরা তা তৈরি করে নিয়েছে। তারা বিশ্ব শক্তিকে তাদের পক্ষে কাজে লাগিয়েছে।ইরাক যখন কুয়েত দখল করে নেয় তখন সাদ্দাম হোসেন বলেছিলেন, কুয়েত ঐতিহাসিকভাবে ইরাকের অংশ। কিন্তু সে যুক্তি বাতিল হলেও ইহুদিদের যুক্তি বাতিল হয়নি। এ-কারণে ইসরেল রাষ্ট্রটির জন্ম হলো ১৯৪৮ সালে তখন একসঙ্গে আরব দেশগুলো আক্রমন চালিয়ে চরমভাবে ব্যর্থ হয়।মুসলমান অধ্যুষিত মিডল ইস্টে ছোট একটি রাষ্ট্র হলেও ইসরাইলকে স্পর্শ করতে পারে না কেউ। ইসরাইল প্রতিষ্টার সময় ১৯৪৮ সাল থেকে ১৯৫৬, ১৯৬৭ এবং ১৯৭৩ সালে আরবদের সঙ্গে ইসরাইলের যুদ্ধ হয়। যুদ্ধগুলোতে ইসরাইল এগিয়ে যায়। আরবরা কিছুই করতে পারেনি বরং অনেক সময় নিজেদের জায়গা হারিয়েছে।প্যালেষ্টিনিয়ানদের নিজ আবাস ভূমি থেকে উৎখাত করে জুইশ কমিউনিটি বা ইহুদী সম্প্রদায়ের নিজস্ব আবাসভূমি ইসরাইল সৃষ্টি ও তাকে রক্ষা করার প্রতিটি পর্যায়ে পশ্চিমা শক্তি, বিশেষ করে আমেরিকা, সবসময়ই সর্বাত্মক সমর্থন যুগিয়ে এসেছে।
বিশ্বের নিয়ন্ত্রক আমেরিকার সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যাক্তি আমেরিকার প্রেসিডেন্টগণ বিশেষ করে জর্জ বুশ বরাবরই প্রকাশ্যে ইহুদীদের সমর্থন করে এসেছেন। প্রশাসনের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ পদেই বসে আছেন জুইশ কমিউনিটির সদস্যরা। এরা আছেন ন্যাশনাল সিকিউরিটি এডভাইজার, চীফ পলিসি ডিরেক্টর, পলিটিক্যাল মিলিটারি এফেয়ার্স কর্মকর্তা, বাজেট ম্যানেজমেন্ট কর্মকর্তা, ফরেন সার্ভিস ডিরেক্টর, হোয়াইট হাউজের স্পিচ রাইটারসহ অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ এবং পলিসি নির্ধারণের পদগুলোতে। শুধু ভূমিতে নয়, মহাশূন্যে কাজ করার প্রতিষ্ঠান নাসার এডমিনিষ্ট্রেটর হিসেবে ডেনিয়েল গোল্ডিন ইসরাইলের স্যাটেলাইট পাঠানোতে অনেক ছাড় দিয়েছেন বলে অভিযোগ আছে।
ফলে আমেরিকার কেউ চাইলেও এদের কিছু করতে পারবে না। বরং জুইশ কমিউনিটি বা ইহুদী সম্প্রদাকে হাতে না-রাখলে ক্ষমতায় টেকা যাবে না। এসব কারণে শুধু জুইশ কমিইনিটির সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে ক্ষমতাসীন মার্কিন প্রেসেডেন্টের প্রশাসনের কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তাকে সার্বক্ষণিকভাবে কাজ করে যেতে হয় ।হযরত ইব্রাহিম (আঃ) এর সারা ও হাজেরা নাম্নী দু’জন স্ত্রী ছিলেন। বাইবেলের বর্ণনা অনুযায়ী ইহুদীদের ধারণা এই যে, সারা ছিলেন ইব্রাহীম (আঃ)-এর স্বাধীন স্ত্রী আর হাজেরা ছিলেন তাঁর বাঁদী। উল্লেখ্য যে ইহুদীরা সারার মাধ্যমে এবং আরবরা হাজেরার মাধ্যমে ইব্রাহীম (আঃ) এর বংশধর। কাজে কাজেই ইহুদী-খৃস্টানদের বদ্ধমূল ধারণা এই যে, স্বাধীন স্ত্রীর ছেলে হযরত ইসহাক (আঃ) এর বংশধর "ইয়াহুদীরা" হল উৎকৃষ্টতর আর বাঁদীর ছেলে ইসমাইলের বংশধর "আরবরা" নিকৃষ্টতর। প্রকৃতপক্ষে, হাজেরার বংশগত আভিজাত্য কম নয়। তিনি ছিলেন মিশরের সম্রাটের কন্যা। সম্রাট নম্রতা প্রকাশের উদ্দেশ্যে স্বীয় কন্যাকে খাদেমা বলে হজরত সারার হাতে তুলে দিলেও পরে তো তিনি ইব্রাহীম (আঃ)-এর স্বাধীন স্ত্রী হয়েছিলেন।
ক্রুসেড এর সব পথ চলেছে কেয়ামত এর পথে – প্রথম পর্বক্রুসেড এর সব পথ চলেছে কেয়ামত এর পথে – প্রথম পর্ব
ক্রুসেড এর সব পথ চলেছে কেয়ামত এর পথে - তৃতীয় পর্ব
©somewhere in net ltd.