নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এক সমুদ্র লিখব বলে এক ফোঁটা কালিও নষ্ট করিনি...

তারিক আল যিয়াদ

এক সমুদ্র লিখব বলে এক ফোঁটা কালিও নষ্ট করিনি...

তারিক আল যিয়াদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

\'দেশে বিদেশে\'র পথে

০৩ রা মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:০৯





বাংলা সাহিত্যের এক অনবদ্য সৃষ্টি সৈয়দ মুজতবা আলীর দেশে বিদেশে।ভ্রমণ কাহিনী,ইতিহাস,উপন্যাস সবকিছুর সংমিশ্রণে তৈরী হয়েছে দেশে বিদেশে।১৯২৭ সালের দিকে লেখক যখন আফগান সরকারের অনুরোধে কাবুল কৃষি কলেজের ইংরেজী ও ফারসী ভাষার অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন মূলত সেই সময়কার (১৯২৭-১৯২৯) আফগানিস্তানের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, সামাজিক জীবন,শিক্ষাব্যবস্থা, কৃষিব্যবস্থা, ব্যবসা-বাণিজ্য ইত্যাদি বিষয় উঠে আসে লেখকের লেখায়।১৯৪৮ সালে ধারাবাহিকভাবে লেখাগুলো দেশ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল।ফেব্রুয়ারি ২০১৪ তে 'চিরায়ত বাংলা গ্রন্থমালা' শীর্ষক সিরিজের আওতায় বইটির প্রথম বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র সংস্করণ বের হয়।


আফগানিস্থান বলতেই যে উষর, মরুময়,রক্তপাত,যুদ্ধবিগ্রহ,হানাহানি তথা প্রাণহীন পাথরের চিত্র আমাদের মানসপটে ভেসে উঠে, সেই চিত্রের পাশাপাশি আফগানিস্তানের রং, রুপ, বৈচিত্র্য, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের প্রাণময় বর্ণনার মাধ্যমে লেখকের কলমের ছোঁয়া যেন সার্থকভাবে ফুল ফুটিয়েছে মরা পাথরে।মূল অকুস্থল কাবুল হলেও রুশ,ফরাসী,ইংরেজ, ইরানীসহ বিভিন্ন দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আড্ডার ঢঙে উঠে এসেছে বিভিন্ন রাষ্ট্রের জীবনদর্শন।এছাড়া এক কাবুলেই আছে খাস কাবুলি,পাঠান,হাজারা,তাজিক,মঙ্গোলীয়,ভারতীয়সহ বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী। এদের কৃষ্টি কালচার,দৈনন্দিন জীবনযাপন,ধ্যানধারণা,জীবনবোধ,রাষ্ট্রভাবনার উপর তুলনামূলক আলোচনাও উঠে এসেছে গ্রন্থে।লেখকের রসবোধ এসব একগুঁয়ে লেখাগুলোকে করেছে প্রাণান্তকর।সুতরাং,দেশে বিদেশে নামকরণ যেমন যথার্থ, একজন পন্ডিত ও রসসাহিত্যে বিশেষ অধিকারী লেখকের হাতে এ বিশাল ভ্রমণকাহিনী লেখার গুরুভার অর্পিত হওয়াও তেমনি যথার্থ বলে মনে হয়েছে।রসপ্রাণহীন কোন লেখকের হাতে পড়লে যা হয়তো অখাদ্যই হতো।


কাবুল যাওয়ার উদ্দেশ্যে হাওড়া থেকে যাত্রা শুরু করে প্রথমে পেশোয়ারে নামেন লেখক।যাত্রাপথে পাঠানদের যে আন্তরিকতা, আড্ডাপ্রিয়তা,সরলতা,আতিথেয়তা লেখক দেখেছিলেন তা আরো ভালোভাবে অবলোকন করেন পেশোয়ারে এসে।পাঠানদের সংস্কৃতি, জীবনদর্শন,অকৃত্রিম দেশপ্রেম,রাষ্ট্রভাবনা ইত্যাদি বিষয়ও ফুটিয়ে তুলতে কার্পণ্য করেননি লেখক।পাঠানদের সম্পর্কে আলোচনায় 'দেশে বিদেশে'র কিছু টুকরো-

"প্রতি স্টেশনে আড্ডার কেউ না কেউ কিছু না কিছু কিনবেই।চা,শরবত,বরফজল,কাবাব,রুটি,কোনও জিনিসই বাদ পড়ল না।কে দাম দেয়, কে খায়,কিচ্ছু বোঝবার উপায় নেই।আমি দু একবার আমার হিস্যা দেবার চেষ্টা করে হার মানলুম।বারোজন তাগড়া পাঠানের তির্যকব্যূহ ভেদ করে দরজায় পৌঁছবার বহু পূর্বেই কেউ না কেউ পয়সা দিয়ে ফেলেছে।আপত্তি জানালে শুনে না,বলে 'বাবুজি এই পয়লা দফা পাঠানমুল্লুকে যাচ্ছেন,না হয় আমরা একটু মেহমানদারি করলুমই।আপনি পেশাওয়ারে আড্ডা গড়ুন,আমরা সবাই এসে একদিন আচ্ছা করে খানাপিনা খেয়ে যাব।' "

"আমাদের দেশে সাধারণত লোকজন রাস্তা সাফ করে দেয়-গাড়ি সোজা চলে।পাঠানমুল্লুকে লোকজন যার যেরকম খুশি চলে,গাড়ি এঁকে-বেঁকে রাস্তা করে নেয়।ঘন্টা বাজানো,চিৎকার করা বৃথা।খাস পাঠান কখনও কারও জন্যে রাস্তা ছেড়ে দেয় না। সে 'স্বাধীন',রাস্তা ছেড়ে দিতে হলে তার 'স্বাধীনতা' রইল কোথায়?"

"পাঠানরা বড্ড আড্ডাবাজ।গল্পগুজব না করে সে এক মাইল পথও চলতে পারে না।কাউকে না পেলে সে বসে যাবে রাস্তার পাশে।মুচিকে বলবে, 'দাও তো ভায়া, আমার পয়জারে গোটা কয়েক পেরেক ঠুকে।'মুচি তখন ঢিলে লোহাগুলো পিটিয়ে দেয়,গোটা দশেক নতুনও লাগিয়ে দেয়।- - - - - - - - - - - - -কিন্তু আসল কথা হচ্ছে, লোহা ঠোকানো না-ঠোকানো অবান্তর-- মুচির সঙ্গে আড্ডা দেবার জন্য ওই তার অজুহাত।"

"বেইমান বললে পাঠানের রক্ত খাইবারপাসের টেম্পারাচার ছাড়িয়ে যায়,আর ভাইকে বাঁচাবার জন্য সে অত্যন্ত শান্তমনে যোগাসনে বসে আঙুল গোনে,নিদেনপক্ষে তাকে কটা খুন করতে হবে।"

অধ্যাপক বললেন, 'পাঠানের সোপবক্স লেকচার শোনেননি বুঝি কখনও।সে বলে, "ভাই পাঠানসব,এস আমরা সব উড়িয়ে দি; ডিমোক্রেসি,অটোক্রেসি,ব্যুরোক্রেসি,কমুনিজম,ডিক্টেটরশিপ --সব সব।"আরেক পাঠান তখন চেঁচিয়ে বলল, "তুই বুঝি অ্যানার্কিস্ট?" পাঠান বলল, "না, আমরা অ্যানার্কিও উড়িয়ে দেব।"


পেশোয়ার থেকে কাবুল যাওয়ার পথে মোটর ড্রাইভার অমর সিং এবং পাশের যাত্রী বেতার কর্মকর্তার সাথে লেখকের কথোপকথনের মাধ্যমে উঠে আসে আফগানিস্তানের ইতিহাস,নানা ধরণের জাতিগোষ্ঠী এবং বিভিন্ন স্থানের বর্ণনা। কাবুল যাওয়ার পথে খাইবারপাস অতিক্রমের অভিজ্ঞতা,সরাইয়ে রাত্রিযাপন,দক্কা দূর্গ পরিদর্শন বিশেষ করে দক্কা দূর্গের পাশে বয়ে যাওয়া কাবুল নদীর বর্ণনা,জালালাবাদ থেকে কাবুল যাওয়ার পথে নিমলার বাগানের সৌন্দর্যের বর্ণনা পাঠককে বিমোহিত করবে। জালালাবাদের বাজার, সামাজিক জীবন,রাষ্ট্রভাবনা এবং সড়কপথের বিড়ম্বনা খুব সুচারুভাবে উপস্থাপন করেছেন লেখক।


কাবুলে পৌঁছেই ফরাসী,রুশ,ইরানী,ইংরেজসহ বিভিন্ন দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সাথে নিয়মিত আড্ডায় মেতে উঠেন লেখক।কাদানফ,বেনওয়া,দেমিদফ,মাদাম, দোস্ত মুহাম্মদের সাথে লেখকের আড্ডায় উঠে আসে বিভিন্ন রাষ্ট্রের সংস্কৃতি,পররাষ্ট্রনীতি,জীবনদর্শন।কাবুলের দৈনন্দিন জীবন এবং রাজনৈতিক জীবন সম্বন্ধে ধারণা পাওয়া যায় লেখকের সাথে কাবুলি বৃদ্ধ মীর আসলমের সংলাপে।ভৃত্য আবদুর রহমান পুরো উপন্যাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং ক্যারিশম্যাটিক চরিত্র।তার কার্যকলাপ,আন্তরিকতা,সরলতা এবং ভালবাসায় অভিভূত হন লেখক।সেই আবদুর রহমানকে পরিচয় করাতে গিয়েই পুরো রসের হাঁড়ি যেন উপুড় করে দেন লেখক।

'কাবুল শহরে আমি দুটি নরদানব দেখেছি।তার একটি আবদুর রহমান--দ্বিতীয়টির কথা সময় এলে হবে।পরে ফিতে দিয়ে মেপে দেখেছিলুম---ছ ফুট চার ইঞ্চি।উপস্থিত লক্ষ করলুম লম্বাই মিলিয়ে চওড়াই।দু খানা হাত হাঁটু পর্যন্ত নেমে এসে আঙুলগুলো দু কাঁদি মর্তমান কলা হয়ে ঝুলছে।পা দু খানা ডিঙি নৌকার সাইজ।কাঁধ দেখে মনে হল,আমার বাবুর্চি আবদুর রহমান না হয়ে সে যদি আমির আবদুর রহমান হত তবে অনায়াসে গোটা আফগানিস্তানের ভার বইতে পারত।একান ওকান জোড়া মুখ--হাঁ করলে চওড়াচওড়ি কলা গিলতে পারে।পাগড়ি থাকায় মাথার আকার প্রকার ঠাহর হল না,তবে আন্দাজ করলুম বেবি সাইজের হ্যাটও কান অবধি পৌঁছবে।
রঙ ফর্সা,তবে শীতে গ্রীষ্মে চামড়া চিরে ফেঁড়ে দিয়ে আফগানিস্তানের রিলিফ ম্যাপের চেহারা ধরেছে।'

'চোখ দুটি দেখতে পেলুম না।সেই যে প্রথমদিন ঘরে ঢুকে কার্পেটের দিকে নজর রেখে দাঁড়িয়েছিল,শেষ দিন পর্যন্ত ওই কার্পেটের অপরূপ রূপ থেকে তাকে বড় একটা চোখ ফেরাতে দেখিনি।'


কাবুলি, হাজারা,উজবুক,তাজিক,মঙোল,ইরানী,কুর্দ,ভারতীয়সহ বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর সংযোগস্থল কাবুল বাজার।সেই কাবুল বাজারের দৈনন্দিন কার্যক্রম,খাস কাবুলি,ভারতীয় এবং বিদেশীদের সমন্বয়ে কাবুলের সামাজিক জীবন, কাবুলের শিক্ষাব্যবস্থা, কৃষিব্যবস্থার আলোচনার পর লেখক আশ্রয় নেন ইতিহাসের ঘরে।আফগান ইতিহাস সম্পর্কে বাংলায় লেখালেখি হাতেগোনা।বৃটিশদের কাছ থেকে স্বাধীনতালাভের পর রাজতন্ত্রের পতন ঘটার মাঝখানের ইতিহাস সম্পর্কে তেমন একটা ধারণা পাওয়া যায় না।এক্ষেত্রে মুজতবা আলীর বর্ণিত ইতিহাস অনেক গুরুত্ব বহন করে।তৎকালীন আফগান বাদশাহ আমানউল্লাহ কিভাবে বড় ভাই ইনায়েতউল্লাহ ও বাবা নসরুল্লাহকে ডিঙিয়ে সরাসরি আফগান অধিপতি হন সে ইতিহাস অত্যন্ত সুন্দরভাবে বর্ণনা করেছেন লেখক।সেই বাদশাহ আমানউল্লাহ ইউরোপ ভ্রমণ থেকে ফিরে এসে নানা ধরণের প্রয়োজনীয় অপ্রয়োজনীয় সংস্কার শুরু করেন।বিশেষ করে পাগড়ীর বদলে দেরেশী চাপানো,বৃহস্পতিবার ছুটির দিন করা,মেয়েদের স্কুল প্রতিষ্ঠা, পর্দার হুকুম তুলে দেয়া তৎকালীন রক্ষণশীল আফগান জনগণকে প্রচন্ড বিরক্ত এবং ক্ষিপ্ত করে তোলে।বিশেষ করে মোল্লা সমাজ,আফগান জনগণের উপর যাদের প্রচুর প্রভাব ছিল,তারা বাদশা আমানউল্লাকে কাফির বলে ঘোষণা করে।সেই মোল্লা সম্প্রদায়ের উৎসাহে বাচ্চা সকাও নামে একজন দুর্ধর্ষ ডাকাত সর্দার আমানউল্লাহকে হঠানোর উদ্দেশ্যে কাবুল আক্রমন করে বসে।অবশেষে বাচ্চা সকাও এর কাছে হেরে গিয়ে বড় ভাই ইনায়েতউল্লাহকে সিংহাসনে বসিয়ে পলায়ন করেন আমানউল্লাহ।ইনায়েতউল্লাহও পরাস্ত হলে সিংহাসনে বসেন ডাকাত সর্দার বাচ্চা সকাও।সমস্ত সংস্কার কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।


আফগানিস্তানের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের এই সময়েই কাবুলে ছিলেন লেখক। আফগানিস্তানের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য যেমন উপভোগ করেছিলেন, তেমন ভোগ করেছিলেন আফগান কাঁটাও।যুদ্ধচলাকালীন এবং তার পরবর্তী সময়ে চরম খাদ্যসংকট এবং নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন লেখক।স্কুল-কলেজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় হারান চাকরীও।সেই দিনগুলোর লোমহর্ষক বর্ণনা উঠে এসেছে লেখকের লেখায়।প্রায় সব বিদেশীরা যথাসময়ে কাবুল ত্যাগ করতে পারলেও পরাধীন ভারতবর্ষের লোক হওয়ায় লেখক ও শান্তিনিকেতনের অধ্যাপক মৌলানা জিয়াউদ্দিন অনেক দেরীতে কাবুল ত্যাগ করেন।পেছনে পড়ে থাকে কাবুলের সব স্মৃতি, দূতাবাসের আড্ডা আর আবদুর রহমান। সেই আবদুর রহমান যে লেখকের কাবুল জীবনের শুরু থেকে বিদায় বেলা পর্যন্ত সমস্ত বিপদ-আপদ,কাজেকর্মে ছায়ার মতো ছিলেন।হাওয়াই জাহাজ আকাশে উড়ার পরে জানালা দিয়ে বাইরে তাকালেই লেখক দেখেন, ভৃত্য আবদুর রহমান তখনও পাগড়ির ন্যাজ মাথার উপর দুলিয়ে দুলিয়ে বিদায় জানাচ্ছে।লেখক পুরো ভ্রমণকাহিনীর ইতিরেখা টানেন সেই আবদুর রহমানের প্রতি মুগ্ধতা রেখেই-

"বহুদিন ধরে সাবান ছিল না বলে আবদুর রহমানের পাগড়ী ময়লা।কিন্তু আমার মনে হল, চতুর্দিকের বরফের চেয়ে শুভ্রতর অাবদুর রহমানের পাগড়ি,আর শুভ্রতম আবদুর রহমানের হৃদয়।"


যে আফগানিস্তান লেখক দেখে এসেছিলেন, শাসনব্যবস্থায় বহুবার পরিবর্তন সত্ত্বেও সে আফগানিস্তানের সংকট এখনো কাটেনি।প্রতিকুল পরিবেশের কারণে কাবুল নদী, নিমলার বাগান, পাগমানের পাহাড়, পানশিরের বরফ পড়াসহ আফগানিস্তানের যাবতীয় রুপ বৈচিত্র উপভোগ করতে না পারার আক্ষেপ কিছুটা হলেও ঘুচাবে "দেশে বিদেশে"। কারণ প্রতিটি বিষয় লেখক এত বাস্তবভাবে বর্ণনা করেছেন, পাঠ করার সময় মনে হবে পাঠক নিজেই লেখকের সঙ্গে আছেন। তবে বিশ্বের বিভিন্ন ভাষা এবং তুলনামূলক ধর্মতত্ত্বে প্রচুর দখল থাকায় পন্ডিত সৈয়দ মুজতবা আলীর তৈরী করা "দেশে বিদেশে"র পথ পাড়ি দিতে হলে পাঠককে ধৈর্য সহকারে সতর্কতার সাথে চলতে হবে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের প্রাণময় বর্ণনা, ভ্রমণকাহিনী, রস,ইতিহাস,ক্লাইমেক্স,কাব্য সবকিছুরই যেন পসরা সাজিয়ে বসেছেন "দেশে বিদেশে"র মালিক। তাই শুধুমাত্র বাংলাসাহিত্য নয়, বিশ্বসাহিত্যেরও যেন অমূল্য সম্পদ সৈয়দ মুজতবা আলীর লেখা প্রথম গ্রন্থ "দেশে বিদেশে"। ২০১৫ সালে 'In a land far from home' নামে বইটি ইংরেজিতে অনুবাদ করা হয়েছে।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা মার্চ, ২০২১ বিকাল ৪:০৭

কল্পদ্রুম বলেছেন: পছন্দের বই।আপনার আলোচনা ভালো লেগেছে।

০৪ ঠা মার্চ, ২০২১ রাত ২:০২

তারিক আল যিয়াদ বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ০৩ রা মার্চ, ২০২১ বিকাল ৪:৫৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



আফগান জাতি সময়ের সাথে বারবার ভুল করেছে; তাদের জাতীয় ঐক্য নষ্ট করে দিয়েছে তালেবানরা, এখন ওরা নিজ পায়ে দাঁড়াতে পারছে না। সৈয়দ মুজতবা আলী সাহেব আফগানদের ঐতইহাসিক সমাজ ব্যবস্হাকে ও জাতিকে সঠিকভাবে তুলে ধরেছিলেন।

০৪ ঠা মার্চ, ২০২১ রাত ২:০৬

তারিক আল যিয়াদ বলেছেন: জাতীয় ঐক্য থাকলে আজকের দুর্দশা দেখতে হতো না।

৩| ০৩ রা মার্চ, ২০২১ বিকাল ৫:০৮

মেহেদি_হাসান. বলেছেন: সৈয়দ মুজতবা আলী আমার প্রিয় লেখক ওনার "শবনম" বইটা পড়ে মুগ্ধ হয়েছিলাম।

০৪ ঠা মার্চ, ২০২১ রাত ২:০৯

তারিক আল যিয়াদ বলেছেন: 'শবনম' পড়েছিলাম অনেক আগে।উনার বইগুলো একটু ধীরে পড়তে হয়।পন্ডিত মানুষ তাই বিভিন্ন ভাষা ব্যবহার করেন অনায়াসে।

৪| ০৩ রা মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০০

নীল আকাশ বলেছেন: লেখা ভালো লেগেছে।

০৪ ঠা মার্চ, ২০২১ রাত ২:১০

তারিক আল যিয়াদ বলেছেন: ধন্যবাদ

৫| ০৩ রা মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২৩

রাজীব নুর বলেছেন: শিবরাম পড়ার পর দেশ বিদেশে আর ভালো লাগে নি।

০৪ ঠা মার্চ, ২০২১ রাত ২:১১

তারিক আল যিয়াদ বলেছেন: শিবরাম তারাপদ মুজতবা। মন খারাপের ঔষুধ

৬| ০৩ রা মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩০

জাহিদ হাসান বলেছেন: সৈয়দ মুজতবা আলী আমার প্রিয় লেখক B-)

০৪ ঠা মার্চ, ২০২১ রাত ২:০৯

তারিক আল যিয়াদ বলেছেন: আমারও প্রিয়।

৭| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২১ রাত ৩:১৩

রেজওয়ান ইসলাম বলেছেন: সুন্দর আলোচনা করেছেন।মূল বইয়ের কিছুটা ফ্লেভার পাওয়া গেল।

১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ ভোর ৫:৪৩

তারিক আল যিয়াদ বলেছেন: ধন্যবাদ

৮| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২১ সকাল ৯:০২

কবিতা ক্থ্য বলেছেন: অত্যন্ত সুন্দর এবং সাবলীল পোষ্ট।
অনেক ধন্যবাদ শেয়ারের জন্য।

১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ ভোর ৫:৪৩

তারিক আল যিয়াদ বলেছেন: ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.