নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পর্কগুলো আত্নার ভেতরে বাস করে। আত্না অবিনশ্বর, সম্পর্কটাও তাই হারিয়ে যায়না।

তাসজিদ

[email protected] www.fb.com/tasjid.ahmed.9

তাসজিদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মৃত্যু চিঠি

১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:০০







মা,

তুমি কেমন আছো? বাড়ির সবাই ভাল আছে ত? রুমি, কেমন আছে? ওকে অনেক দিন ধরে দেখি না। অনেক দেখতে ইচ্ছে করে ওকে।



মানুষের সব আশা, সব ইচ্ছা কি পূরণ হয়? হয় না। আমরা আশা করি এক, আর হয় আরেক। যা মানুষ স্বপ্নেও ভাবে নি, তাকে তা বাস্তবে দেখতে হয়।

মা, তোমার মনে আছে, একবার চুরি করে আমের আঁচার খেয়ে ফেলেছিলাম। তুমি, অনেক মেরেছিলে। তুমি কিছুতেই মেনে নিতে পারছিলে না যে তোমার ছেলে চুরি করেছে। নিজের ঘরে কি চুরি হয় মা? রুনু চাচি না বাচালে আরও অনেক মার কপালে ছিল। ওনি রাতে আমাকে ঘরে দিয়ে গেলেন।





আমি তো ভয়ে অস্থির। বিছানায় চুপচাপ শুয়ে আছি। গভীর রাতে ঘুম ভেঙ্গে যায় কারও কান্নার আওয়াজে। আমি ত ভাবলাম ভূত! কিন্তু একি। তুমি আমাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদছ। যাকে বলে হাওমাও করে কান্না। বুঝতে পারলাম আমার শরীরের থেকে অনেক বেশি কষ্ট তোমার মন পেয়েছে। তুমি কিন্তু মা ভেবেছিলে যে আমি ঘুম। আসলে কিন্তু আমি মা সজাগ ছিলাম। তোমার কান্নায় আমারও কান্না পেয়ে গেল। কত কষ্ট করে যে কান্না চেপেছিলাম তা মা তোমাকে বোঝানো যাবে না।



আচ্ছা মা, তোমার কি বাবার কথা মনে পরে? এই দেখ তো। কি বলতে কি বলে ফেললাম। তুমি তো মা বাবার সৃতি নিয়েই বেচে আছো। প্রতিক্ষণ, প্রতিমুহূর্তে তার সৃতিই তো তোমার সম্বল। বাবা যখন মারা যায়, তখন আমার বয়স ৬ আর আর রুমির ২ বছর। একদিন শুনলাম, বাড়িতে আসার সময় বাবার লঞ্চ ডুবে গেছে। বাবা মারা গেছে। তখনও আমি মারা যাওয়া কি জিনিস বুঝি না। একজন বলল, যে বাবা নাকি এখন থেকে মাটির ছোট্ট একটি ঘরে থাকবে। আমি তো অবাক। এত বড় ঘর থাকতে বাবা কেন ওই ছোট্ট ঘরে থাকবে?



কিছুক্ষণ পর বাবাকে নিয়ে আসা হল। বাবা অদ্ভুত একটি কাপড় পরেছেন। না শার্ট, না প্যান্ট, না লুঙ্গি। সাদা কাপড় দিয়ে বাবাকে মুড়িয়ে রাখা হয়েছে। আমি কত ডাকলাম, বাবার কোন সাড়া শব্দ নেই। চারিদিকে কান্নার রোল।

বাবার নতুন ঘর দেখে আমি ত হতবাক। এই ঘরে বাবা কি করে থাকবে? এখানে-ত ঠিক মত ঘুমানোর ব্যবস্থাও নেই। আর কোন ফ্যানও নেই। বাবা তো গরম একদম সহ্য করতে পারে না। একথা যাকেই বলি সেই কাঁদে। ছোট চাচা ত আমাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে লাগলেন। বাবাকে সবাই মিলে তার সেই ছোট্ট ঘরে রেখে এলো। জানো মা, আমি প্রায়েই রাতে গিয়ে বাবার কবরের পাশে বাবার সাথে কথা বলতে চেষ্টা করতাম। কিন্তু বাবা কখন আমার কথার জবাব দিতেন না।





সেই থেকে তুমিই আমাদের মা, তুমিই আমাদের বাবা। তুমি আমাদের জন্য কি না করেছ। অথচ বিনিময়ে কিছুই পাওনি। কতই বা বয়স ছিল তোমার। আমাদের জন্য নিজের কথাও একবার ভাবলে না।





তোমার দুনিয়া বলতে ত আমি আর রুমি। আমি যখন রাত জেগে পড়াশোনা করতাম তখন তুমিও সজাগ থাকতে। তোমাকে আমি শুয়ে পরতে বলতাম। কিন্তু কে শুনে কার কথা।



মা, আমি যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চাঞ্চ পেলাম তখন তোমার কি কান্না! বাবার মৃত্যুর পর সেটাই ছিল তোমার প্রথম সুখের কান্না।





আসলে মা, দুনিয়া বড় অদ্ভুত এক স্থান। তার থেকেও অদ্ভুত আমাদের জীবন। যে আমি কোনদিন রাজনীতি করিনি তাহলে আমি কেন এ নোংরা রাজনীতির শিকার?



প্রতিটি দিন এর মত সেদিনও শুরু হয়েছিল শান্তির বার্তা নিয়ে। কিন্তু ক্ষমতালোভী মানুষ শান্তির পাখি কে হত্যা করতে বিন্দুমাত্রও হাত কাপে না।

সেদিন সকাল থেকেই ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। বড় একটি টেন্ডার নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে তুমুল উত্তেজনা। কিন্তু আমি তো এসবের কিছুই জানতাম না। তাই যখন দুই গ্রুপ এর মধ্যে গোলাগুলি শুরু হয়ে গেল তখন তার মধ্যে পরলাম আমরা কয়েকজন। হঠাৎ কোথা থেকে একটি বুলেট কোন আগাম বার্তা না দিয়ে আমার বুকে ঢুঁকে গেল। আমি দেখলাম যে আমার বুকের বাম পাশে একটি গর্ত। যা থেকে ঝরঝর করে রক্ত পরছে। একেবারে তাজা রক্ত। আমার দৃষ্টি ঘোলা হয়ে আসছিল। একসময় একেবারেই বন্ধ হয়ে গেল।



আমি চোখ খুললাম। বুঝতে পারলাম আমাকে হসপিটালে নিয়ে আসা হয়েছে। হাসান, মিলন, জব্বার আরও অনেকেই এসেছে। হাসান আমার হাত ধরে বলল যে আমি নাকি ভাল হয়ে যাব। কিন্তু একজন মৃত্যু পথযাত্রী ঠিকই বুঝতে পারে যে তার হাতে আর সময় নেই। কিন্তু বার বার তোমার মুখটা কেন আমার চোখে ভেসে উঠছে। তোমাকে খুব বেশি দেখতে ইচ্ছে করছে। তোমার কোলে মাথা রেখে ঘুমুতে ইচ্ছে করছে, মা।





হা, আমি চলে যাচ্ছি এ দুনিয়া ছেড়ে, তোমাকে ছেড়ে, রুমিকে ছেড়ে। আমি জানি আমার হাতে আর সময় নেই। তাই হাসানকে দিয়ে এ চিঠি লেখাচ্ছি। ডাক্তাররা বারণ করেছিল। আমি শুনিনি। তুমি যখন এ চিঠি পাবে তখন আমি তোমাকে, রুমিকে ছেড়ে চলে গেছি, অনেক দূরে। কোনদিন আসতে পারব না তোমার কাছে, তোমার কোলে মাথা রাখতে পারব না, তোমার হাতের খাবার মুখে দেয়া হবে না আর কোনদিন।





মা, তুমি ভেঙ্গে পড়ো না। রুমিকে অনেক বড় করো। আকাশের মত বড়। আমি এখন বাবার কাছে যাব মা। বাবা নিশ্চই আমার কথার জবাব দিবে এবার। চুপ করে থাকতে পারবে না আর। কিছুতেই না।





হাসান চশমা খুলে চোখের জল মুছলো। প্রভাত এর দিকে তাকিয়ে বুঝতে পারল যে প্রভাত নিকষ কাল অন্ধকারে হারিয়ে গেছে।



অন্ধকার নেমে এসেছে চারিদিকে, গভীর অন্ধকার, আলো বিতাড়িত হয়েছে চিরতরে।

মন্তব্য ৪৪ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (৪৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:০৬

তাসজিদ বলেছেন: উৎসর্গ:

বুয়েটের সানি, ঢাবির ওমর সহ আর ও অসংখ্য মেধাবীদের যারা রাজনীতির বিষবাস্পে হারিয়ে গেছে, চিরতরে।

২| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:১৬

মাহতাব সমুদ্র বলেছেন: ভীর রাতে ঘুম ভেঙ্গে যায় কারও কান্নার আওয়াজে। আমি ত ভাবলাম ভূত! কিন্তু একি। তুমি আমাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদছ



শুভ কামোনা। অনেক ভালো লিখেছেন.।।

১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:২৪

তাসজিদ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ কষ্ট করে পরার জন্য।

মাঝ রাতে মাঝে আমারও ঘুম ভেঙ্গে যায়, কি কারণে জানি না।

৩| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৩৩

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
চমৎকার, খুব চমৎকার লিখা ||

১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৩৮

তাসজিদ বলেছেন: ছোট এবং চমৎকার কমেন্ট। ধন্যবাদ, অনেক।

৪| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৪২

মামুন রশিদ বলেছেন: মর্মান্তিক চিঠি, আর কোন মায়ের যেন এই চিঠি পড়তে না হয় ।

১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৪৮

তাসজিদ বলেছেন: তার পর ও তো মায়েদের সন্তান হারাতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। ভিন্নরুপে।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হোক নিরাপদ। কোন মাকে যেন আর সন্তান হারাতে না হয় ।

৫| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৪২

তাসনুভা সাখাওয়াত বীথি বলেছেন: হার্ট টাসিং :( হৃদয়টা ছুয়ে গেল :( ২য় ভাল লাগা ।

১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৫০

তাসজিদ বলেছেন: many many thanks, doc.

৬| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৩৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

আমাদের দেশে আজ পর্যন্ত কাউকে বলতে শুনিনি যে তার এইম ইন লাফ হলো রাজনীতিবীদ হওয়া। সবাই শুধু ডাক্তার আর ইঞ্জিনিয়ার হতেই চায়। তবে দেশের নেতৃত্ব দেয়ার জন্য অবশ্যই কাউকে না কাউকে এগিয়ে আসা উচিত। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলোর হীনচরিত্রের কারনেই ছাত্ররা রাজনীতিতে এসে বিপথ গামী হয়ে পরে। রাজনৈতিক দলগুলো যদি ছাত্রদের এভাবে অন্যায় কাজে ব্যবহার না করে এবং মেধাবী এইসব ছাত্ররা নিজের আত্মাকে বিক্রি না করে দিয়ে সত্যটাকে উপলব্ধি করতে শেখে তবে এইসব রাজনৈতিক দলগুলো কখনও তাদের অসৎ চরিত্র স্থাপন করার সুযোগ পেতনা। বরং তারা নিজেরাও ভালো হত পাশাপাশি দেশটাও হানাহানি থেকে মুক্ত হত। সুন্দর হত।

১৪ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:০২

তাসজিদ বলেছেন: এ ব্যাপার টিকে আমার কাছে কিছুটা controversial মনে হয়। যে ছাত্র শিক্ষা জীবনে সততার বুলি দেয়, সে একি ছাত্র BCS এ প্রথম পছন্দ দেয়, পুলিশ অথবা কাস্টম। কেন?


তারপর অবসর নিয়ে টাকার বস্তা হাতে নেমে পরে রাজনীতির মাঠে।
আমার বাস্তব অভিজ্ঞতা বলে রাজনীতিবিদ থেকে আমলারা অনেক বেশি corrupted হয়। যার ব্যাখ্যা আমার কাছে নেই।


আসলে আমাদের মনে এক আর বাহিরে আরেক। আমারা বাস করি দ্বৈত সত্তা নিয়ে।

১৪ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:০৪

তাসজিদ বলেছেন: আমরা আসলে দায়িত্তকে ক্ষমতা বলে ভুল করি। কিন্তু ভুলে যাই, with great power, come great responsibility

৭| ১৪ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:১৮

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: খুবই মর্মস্পর্শী লেখা তাসজিদ ভাই। গল্পে চিঠির ব্যবহার আমার ভাল লাগে। এটা তো দেখি পুরো আস্ত চিঠি সর্বস্ব লেখা! :)

একটা চিঠি কত কথা বলে গেল! রাজনৈতিক অস্থিরতা, একটি সপ্নের মৃত্যু, মধ্যবিত্ত পরিবারের জীবন, মা-ছেলের মধুর সম্পর্ক আরও কত কিছু! শেষের লাইনগুলো একটা মরাল দাড় করিয়েছে গল্পের। সব মিলিয়ে খুব বেশি ভাল লাগার মত একটি লেখা।

মাঝখানে একটু কম দেখলাম, কাজের বেশি চাপ নাকি?

ভাল থাকুন। :)

১৪ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:৫৪

তাসজিদ বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ, নাজিম ভাই। কাজের চাপ ?????? পাগল বানিয়ে ফেলবে।

অনেক দিন ধরেই এই প্লট টা মাথায় ঘুরছিল। ঢাবির ওমর তার রুম এ মারা গেল.....................তখন তার মৃত্যুর আগ মুহূর্তে কি অনুভুতি হয়েছিল............... সে কি তার মা বাবার কথা ভেবেছিল?

এই বিচিত্র অনুভূতি হচ্ছিল কিছুদিন ধরে। যার ফলশ্রুতিতে এ লেখা।

৮| ১৪ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৪১

একজন আরমান বলেছেন:
মামুন রশিদ বলেছেন: মর্মান্তিক চিঠি, আর কোন মায়ের যেন এই চিঠি পড়তে না হয় ।

১৪ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:৪৮

তাসজিদ বলেছেন: সেই আশা করি, সেই সপ্ন দেখি প্রতিনিয়ত

৯| ১৪ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ৯:৩৬

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: লেখাটা টাচ করছে

১৪ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:১৫

তাসজিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, মাসুম ভাই। ১৪ কেন? এত সংখ্যা থাকতে

১০| ১৪ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:৩২

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: যখন রেজি করি তখন সামু বারবার বলছিল মাসুম আহমদ নামটা নাকি তাদের কাছে খালি নাই! আমার জন্মতারিখ ১৪, তাই ১৪ টা নামের শেষে জুড়ে দিছিলাম। তাছাড়া সামুর ব্যাপার স্যাপার তখন তেমন একটা বুঝতাম না :)

১৪ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৩০

তাসজিদ বলেছেন: তার মানে ১৪ তারিখ এ ধরণিতে আগমন হয়েছিল আপনার।

Happy blogging.

welcome at samu.

১১| ১৪ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:১৮

সপ্নাতুর আহসান বলেছেন: মর্মান্তিক চিঠি। আর যেন কখনো এমন না হয়। কর্তৃপক্ষের নজর হোক উদয়।

বেশ ভাল লিখেছেন।

১৪ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৪৯

তাসজিদ বলেছেন: শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হোক নিরাপদ। কোন মাকে যেন আর সন্তান হারাতে না হয় ।

১২| ১৪ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৩

গোর্কি বলেছেন:
ছুঁয়ে যাওয়া অনবদ্য প্রকাশ। খুব ভাললাগা জানাই।

১৪ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৫৩

তাসজিদ বলেছেন: অনেক অনেক শুভেচ্ছা

১৩| ১৪ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৫৪

লাবনী আক্তার বলেছেন: পড়তে পড়তে আমার চোখ দুটিই ভিজে উঠেছে।

বেশ লিখেছেন ভাই। এমন ভাবে আর কোন মা যাতে ছেলে না হারায়!

১৪ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৫২

তাসজিদ বলেছেন: কোন লেখা যদি পাঠক পাঠিকার অন্তরাত্মা ছুয়ে যায় তাহলেই লেখকের সার্থকতা

১৪| ১৪ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:১০

ফজলুল গনি মজুমদার বলেছেন: দারুন ভাই...............।

১৪ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৪৮

তাসজিদ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই

১৫| ১৪ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:১৩

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: পড়তে পড়তে আমার চোখ দুটিই ভিজে উঠেছে।

বেশ লিখেছেন ভাই। এমন ভাবে আর কোন মা যাতে ছেলে না হারায়!

১৪ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৩৫

তাসজিদ বলেছেন: এমন ভাবে আর কোন মা যাতে ছেলে না হারায়!

এমন ভাবে রাষ্ট্র যাতে তার সন্তান না হারায়!

এমন ভাবে আর কোন বাবা যাতে ছেলে না হারায়!

১৬| ১৪ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:১৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: চমৎকার লেখা। ছুঁয়ে গেল।

১৪ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৪৬

তাসজিদ বলেছেন: হামা ভাই, এতো ছোট মন্তব্য কেন???

১৭| ১৪ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:২২

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: দারুন একটা লেখা! বুকের ভেতরটা কেমন যেন খচ খচ করছে। পাঠকের এই ধরনের অনুভুতি আনাই তো লেখকের বড় সাফল্যা।

ভালো থাকবেন। শুভেচ্ছা রইল।

১৫ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:১০

তাসজিদ বলেছেন: অনেক ভাল থাকবেন, ভাই, শুভেচ্ছা রইল

১৮| ১৭ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:২৪

তানজিয়া মোবারক মণীষা বলেছেন: সহজ ভাষায় এতটা গুছিয়ে লিখেছেন, সত্যিই মনে ধরে গেল। কষ্ট পেলাম চিঠিটা পড়ে। সে সব সাধারণ শিক্ষার্থীরা এ পর্যন্ত এসব রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বলি হয়েছে, হয়তো মৃত্যুক্ষণে তাদের মনেও এই কথাগুলোই ঘুরে বেড়াচ্ছিলো। আমাদের মতই তো তারা সাধারণ ঘরের সন্তান। পোস্টে ভালো লাগা থাকলো ভাইয়া, আপনার জন্য অনেক শুভকামনা থাকলো। :) :)

১৭ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:০৭

তাসজিদ বলেছেন: রাজনৈতিক অস্থিরতার বলি হল কত নিরীহ ছাত্র ছাত্রি। কিন্তু কেও কি তাদের কথা ভাবে?

কি অবস্থা হয় তাদের পরিবারের? তার মা বাবার কিংবা তার খুব কাছের কারও
একটি মৃত্যু শুধু একটি মৃত্যু নয়। একটি পরিবারের মৃত্যু, অনেকগুল স্বপ্নের মৃত্যু।

আমার ব্লগে স্বাগতম।

১৯| ১৮ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৩:৩২

খেয়া ঘাট বলেছেন: পুরুষমানুষকে নাকি এতো সহজে কাঁদতে নেই। কিন্তু আমার চোখ ঝাপসা হয়ে আসছে।

১৮ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ৭:৩৮

তাসজিদ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আমার লেখা যদি কারও অন্তরাত্মাকে ছুয়ে যায় তাহলেই আমি সার্থক।

২০| ২৪ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৫

একজন আরমান বলেছেন:
শুভ জন্মদিন প্রিয় তাসজিদ ভাই :)

২৫ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৫২

তাসজিদ বলেছেন: অনেক, অনেক, অনেক বেশি ধন্যবাদ আরমান ভাই।

২১| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৩

মামুন রশিদ বলেছেন: View this link

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৮

তাসজিদ বলেছেন: আমার নাম আপডেট দেয়ার জন্য ধন্যবাদ, অনেক বেশি।

২২| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:২৯

এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা বলেছেন:
ভাল লেগেছে।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৬

তাসজিদ বলেছেন: অনেক দিন পর এলেন আমার ব্লগে। At least ৫ কি ৬ মাস পর।

ভাল লেগেছে, তাই ধন্যবাদ। তবে এত ছোট কমেন্ট কেন?

NY এ মনে হয় খুব বিজি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.